রবিবার সকাল ৭টার দিয়ে বাধটি ভেঙ্গে যায়। এর ফলে পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। হঠাৎ করে বাঁধটি ভেঙ্গে যাওয়ায় বেড়িবাঁধে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন শত শত মানুষ।
এদিকে বাঁধে ফাটল দেখা দেয়ায় ফরিদপুর চরভদ্রাসন আঞ্চলিক সড়কে যানচলাচল সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই সড়কের বেশ কয়েকটি স্থান পদ্মার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ফাটলের স্থানে জিও ব্যাগ ফেলে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
আলীয়াবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান জানান, হঠাৎ করে শহররক্ষা বাঁধটি ভেঙ্গে গিয়ে পাঁচ গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। অনেকেই বাড়ির প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, শহররক্ষা বাঁধের পাশে পানির চাপ কমে গেলে বাধটি মেরামত করা হবে। এখন যারা খোলা আকাশের নিচে রয়েছেন তাদের শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, জেলার ৩০টি ইউনিয়নের ২২ হাজার পরিবার এখন পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। তাদের জন্য সরকারি খাদ্য সহায়তা বিতরন করা হচ্ছে। এছাড়াও জেলা সদর থেকে চরভ্রদাসন ও সদরপুর উপজেলার প্রধান সড়কটি চলাচলের উপযোগী করতে সড়ক বিভাগকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, পদ্মায় পানি বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এছাড়া মধুমতি নদীর আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নেও তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।
তিনি জানান, শহর বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধের আলিয়াবাদে প্রায় ১০০ ফিটের মতো জায়গা ধ্বসে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বাঁধ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়া হবে।