নারী
হাটহাজারীতে নারীকে শ্বাসরোধ ও ঘাড় ভেঙ্গে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ ও ঘাড় ভেঙ্গে হত্যা করার অভিযোগে স্বামী মো. মোজাম্মেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার বিকালে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার (১৩ নভেম্বর) বিকালে র্যাব-৭ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় পিকনিক বাসের ২ যাত্রী নিহত
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার জানান, উক্ত আসামিকে গ্রেপ্তারের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। তারই অংশ হিসেবে শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ড থানাধীন ভাটিয়ারী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে স্ত্রী হত্যা মামলার প্রধান মোজাম্মেল হোসেন (৪০)কে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মোজাম্মেল সাতকানিয়া থানার কেউচিয়া এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানায়, প্রায় দুই বছর আগে নিহত ভুক্তভোগী লাকির সঙ্গে মোজাম্মেল হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং পরিবারের লোকজনকে না জানিয়ে তারা বিয়ে করে চট্টগ্রাম শহরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতে থাকে।
লাকি হাটহাজারীর মেখল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড কাইয়ুম মেম্বারের বাড়ির মৃত ফজল করিমের মেয়ে।
জানা গেছে, কিছুদিন যেতেই পারিবারিক কলহের জের ধরে লাকি একা তার ভাইয়ের বাড়িতে চলে আসে এবং পারিবারের লোকদেরকে জানায় তার স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছে।
বেনাপোল চেকপোস্টে স্ট্রোক করে ভারতীয় নারীর মৃত্যু
যশোরের বেনাপোল চেকপোস্টে মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক যাত্রীদের লাইনে দাঁড়িয়ে স্ট্রোক করে ৫১ বছর বয়সী এক ভারতীয় নারীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে বেনাপোল প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের বহির্গমন সাইডে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত পাসপোর্ট যাত্রীর নাম বিপ্লবী দাস (৫১)। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ফুলবাগান এলাকার রবিতোষের স্ত্রী।
মৃত বিপ্লবী দাসের ভাইপো শান্ত চন্দ্র দে জানান, তারা কয়েকদিন আগে ভারত থেকে বাংলাদেশে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন। আজ দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য বেনাপোল এসে তারা প্রথমে ট্রাভেল ট্যাক্স ও পোর্ট ট্যাক্স দেয়। তারপর কাস্টমস ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের লাইনে দাঁড়ান। অনেকক্ষণ দাঁড়ানোর এক পর্যায়ে তার পিসি অসুস্থবোধ করেন এবং কিছুক্ষণ পরে তিনি মাথা ঘুরে পড়ে যান। পরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, ভারতে ফিরে যাওয়ার জন্য ভারতীয় এক নারী যাত্রী লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসার জন্য নাভারন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক জানান হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ১৩
বেনাপোলে অস্ত্র ও গুলি জব্দ, গ্রেপ্তার ১
বেনাপোল সীমান্তে ১০ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
‘বাড়ি বাঁচাতে না পেরে’ প্রেসক্লাবের সামনে নারীর আত্মহত্যাচেষ্টা
পৈতৃক বাড়ি বাঁচাতে ব্যর্থ হয়ে শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৩৫ বছর বয়সী এক নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। এ সময় সঙ্গে তার তিন সন্তান ছিল।
ওই নারী নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যাচেষ্টার অভিযোগ
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মমিন জানান, পুলিশ ওই নারী ও শিশুদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
এসআই তাকে উদ্ধৃত করে জানান, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তার (ওই নারীর) বাড়ি বাঁচানোর বিষয়ে বিচার না পেয়ে ওই নারী হতাশ হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: রুমমেটের ফেসবুক পোস্টে মানসিক চাপে কুবি ছাত্রীর আত্মহত্যাচেষ্টা
চাঁদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
চাঁদপুরে সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের নীচে কাটা পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক শেষে সদরের ঘোড়ামারা গ্রামে হাজী বাড়ীর দক্ষিণে চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত আলীয়া বেগম (৪৮) নামে জেলার শাহরাস্তি উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের বলশীদ গ্রামের দৈল বাড়ির হাবিবুল্লাহ প্রধানিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকাল থেকেই মহিলাটি রেল লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলো। দেখছিলো কখন ট্রেন আসবে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি দ্রুত গতিতে চাঁদপুর কোর্ট স্টেশনে প্রবেশের সময় হঠাৎ ঝাঁপ দেয় আর ট্রেনের নীচে কাটা পড়ে ওই নারী। লোকজন তাকে ধরতে পারে নাই । এতে তার দেহ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
বলশীদ গ্রামের ইউপি সদস্য মো. আবুল হোসেন জানান, ওই নারীর গত কয়েক বছর মানসিকরোগী। তার স্বামী, দুই ছেলে এবং এক কন্যা সন্তান রয়েছে। মৃত্যুর ঘটনা পরিবারের সদস্যদেরকে জানানো হয়েছে।
চাঁদপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ উল্যাহ বাহার জানান, সংবাদ পেয়ে উপ-পরিদর্শক (এসআই) তোফাজ্জল হোসেনসহ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নারীর সঙ্গে থাকা ব্যাগে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া যায়। এতে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়।
তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ওই নারী মানসিক কোন রোগ বা পারিবারিক কলহের কারণে ট্রেনের নীচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে।
ওসি আরও জানান, সুরতহাল শেষে লাশের ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চাঁদপুরকে জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়।
সৌদির বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ২৪ নারী গৃহকর্মী উদ্ধার
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে প্রায় ১১০০ কিমি দূরে অবস্থিত আরআর শহর থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ২৪ জন বাংলাদেশি নারী গৃহকর্মীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
একটি সৌদি রিক্রটিং এজেন্সি ২৪ জন বাংলাদেশি নারী গৃহকর্মীকে অবৈধভাবে আটকে রেখেছে মর্মে জানতে পেরে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম (বার) তাদের দ্রুত উদ্ধার করে দেশে পাঠানোর জন্য দূতাবাসের শ্রম কল্যাণ উইংকে নির্দেশ দেন। এ প্রেক্ষিতে দূতাবাসের শ্রম কল্যাণ উইংয়ের কর্মকর্তা সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনে জানা যায়, সৌদি রিক্রটিং এজেন্সি ‘মাকতাব তাওয়াসুল আলসারি’ বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি ‘মেসার্স এস. আনোয়ার ওভারসিজ’- এর মাধ্যমে ওই নারী কর্মীদেরকে সৌদি আরবে এনে সৌদি নিয়োগ কর্তাদের বাসায় কাজে না পাঠিয়ে বেআইনিভাবে দীর্ঘদিন আটকে রাখে। পরিবারের সঙ্গে তাদের সকল প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। পর্যাপ্ত খাবার ও পানীয়ের অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাদেরকে কোন চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়নি। দূতাবাসের কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে নারী কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট সৌদি এজেন্সি বাধা দেয়।
এ প্রেক্ষিতে সৌদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় ওই ২৪ নারী গৃহকর্মীকে উদ্ধার করে সৌদি ফিমেল ডিপোর্টেশন সেন্টারে হস্তান্তর করা হয়। উদ্ধার করা নারী গৃহকর্মীদের পর্যাপ্ত খাবার, পানীয় ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। অভিযুক্ত সৌদি রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাদের এজেন্সি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সৌদি কর্তৃপক্ষের সহায়তায় উদ্ধারকৃত নারী গৃহকর্মীদের দ্রুত বাংলাদেশে পাঠানোর কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশের উন্নয়নে নারী শিক্ষা অন্যতম: সমীক্ষা
বাংলাদেশের উন্নয়নে ৫টি মূল বিষয়ের মধ্যে অন্যতম হলো নারী শিক্ষা। প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) গবেষণা সহযোগী মাহির এ রহমান পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিআইডিএস আয়োজিত এক সেমিনারে ‘অ্যাস্পিরেশনাল মোমেন্টাম: দ্য ডেভেলপমেন্ট স্টোরি অব বাংলাদেশ’- শীর্ষক গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস, মেয়েদের স্কুলে শিক্ষা বৃদ্ধি, বিদ্যুত সরবরাহ, জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং অবকাঠামোতে খাতে বিনিয়োগ এই পাঁচটি বিষয় বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে।
আরও পড়ুন: বছরে ৩০ নারী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে এফবিসিসিআই
এ বিষয়ে মাহির এ রহমানের সঙ্গে যৌথ উপস্থাপনা করে তৌফিক ইলাহী বলেন, মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণে পরিবারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের পথ ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।
সেমিনারে তিনি বলেন, পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া যখন একটি জাতির উচ্চাকাঙ্খার গতির সঙ্গে মিলে যায় তখন তা এটির উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
তিনি বলেন,‘দেশের ক্ষেত্রেও অনুরূপ।’
মাহির বলেন, গবেষণায় ২৬টি দেশের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। যেগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা বাংলাদেশের মতো, সেগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
মশিউর বলেন, বাংলাদেশ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভালো কিছু করতে না পারলেও অবকাঠামোতে সরকারি বিনিয়োগ দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নকে শুধুমাত্র চিরাচরিত অর্থনৈতিক তত্ত্বের মূলনীতি দিয়ে ব্যাখ্যা করা উচিত নয়। বরং এর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলো বিবেচনায় নেয়া উচিত।’
তিনি আরও বলেন, নারীরা চাকরির জন্য ঘরের বাইরে যাচ্ছে, শিশু মৃত্যুর হার কমেছে, পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে, গ্রামের রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন হয়েছে এবং কোনো সাম্প্রদায়িক সংঘাত হয়নি-এসব বিষয় সম্মিলিতভাবে উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে।
বিনায়ক বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে সব সরকারই উন্নয়নে কিছু সাধারণ নীতি অব্যাহত রেখেছে, যা (সামগ্রিক উন্নয়নে) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
বিআইডিএস মহাপরিচালক বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মশিউর রহমান, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ডক্টর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, অধ্যাপক বরকত-ই-খুদা ও অধ্যাপক আবুস সাত্তার মণ্ডল।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে বিকশিত নারী শিক্ষাবৃত্তি প্রদান
নারী শিক্ষায় অবদান রাখছে হুয়াওয়ে
নারীকে মারধর: ৭ ঘন্টা তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ
শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে পারিবারিক বিরোধের জেরে নারীকে মারধরের পর একটি কক্ষে সাতঘন্টা তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতে উপজেলার নলমুড়ি ইউনিয়নের চর ভূয়াই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত বকুলা বেগম (৪২) ওই গ্রামের হাতেম ব্যাপারীর স্ত্রী।
এঘটনায় শুক্রবার ১৪ অক্টোবর দুপুরে গোসাইরহাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বকুলার ছেলে রাকিব হোসেন ব্যাপারী।
আরও পড়ুন: থানায় বিচার প্রার্থীকে মারধর: এএসআইয়ের পর ওসিও প্রত্যাহার
আহত বকুলা বেগম ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নলমুড়ি ইউনিয়নের চর ভূয়াই গ্রামের আব্দুল মান্নান ব্যাপারীর সঙ্গে হাতেম ব্যাপারীর দীর্ঘদিন যাবৎ পারিবারিকভাবে বিরোধ চলে আসছিল।
সম্প্রতি অভিযুক্ত আব্দুল মান্নানের ছেলে তারেক ব্যাপারী কোন এক মেয়ের সঙ্গে প্রেম করে ওই মেয়ের স্বর্ণালংকার ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় তারেক। কিন্তু এঘটনায় বকুলা বেগমের স্বামী হাতেম ব্যাপারীকে দোষারোপ করছেন আব্দুল মান্নান।
তাই বুধবার রাতে বকুলা বেগমের স্বামীকে দোষারোপ করছে কেন? এ ব্যাপারে আব্দুল মান্নানের বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞেস করতে যায় বকুলা।
একপর্যায়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরলে আব্দুল মান্নান ব্যাপারী (৬৫), ইমন ব্যাপারী (৩৫), মোমিন ব্যাপারী (৩২) ও সাইফুল ব্যাপারী (২৮) মিলে বকুলা বেগমকে বেধরক মারধর করে তাদের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে দেয়।
রাত ৮টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত তালাবদ্ধ করে রাখে বকুলাকে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তাঁর অবস্থা আশংকাজনক।
বকুলা বেগমের ছেলে রাকিব হোসেন ব্যাপারী বলেন, আমার মাকে একলা পেয়ে আব্দুল মান্নান, ইমন, মোমিন ও সাইফুল মারধর করেছে। মা হাসপাতালে ভর্তি। তাই বিচার পেতে আমি থানায় অভিযোগ করেছি। এখন বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের হুমকি দিচ্ছে। আমি এঘটনায় জড়িতদের বিচার চাই।
এদিকে অভিযুক্ত আব্দুল মান্নান ব্যাপারী ও তাঁর লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তাদের পাওয়া যায়নি। তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম সিকদার বলেন, আমি ছুটিতে রয়েছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি জেনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: অপারেশন টেবিলে শিশুকে মারধর, তদন্ত কমিটি গঠন
শরীয়তপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা
৯ মাসে ৩৪ নারী ধর্ষণের পর হত্যা: আসক
চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গত ৯ মাসে সারাদেশে কমপক্ষে ৩৪ জন নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং আরও সাতজন ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
এছাড়া এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একই সময়ে প্রায় ৭৩৪ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে এবং আরও ১২৮ জন ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন।
আসক-এর ডকুমেন্টেশন ইউনিট ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯টি নেতৃস্থানীয় জাতীয় দৈনিক এবং সংস্থাটির নিজেদের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যানগুলো তৈরি করেছে।
আসকের তথ্য বলছে যে একই সময়ে পারিবারিক সহিংসতায় কমপক্ষে ১৫৮ জন নারী তাদের স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন। একই সময়ে কমপক্ষে ৩৯৫ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন: স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
এছাড়াও এই সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ক্রস ফায়ারে নিহত হন, একজন র্যাবের গ্রেপ্তারের পর নির্যাতনের কারণে মারা যান এবং একজন র্যাবের হেফাজতে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান।
আসকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে শারীরিক নির্যাতনে দুজন মারা গেছেন, অন্য চারজনের নির্যাতনের কারণে মৃত্যু হয়েছে,একজন পুলিশ হেফাজতে আত্মহত্যা করেছে,একই সময়ে পুলিশ হেফাজতে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে আরও দুজন।
আসক জানায়, সারাদেশে ৩৮৭টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ৫৮ জন মারা গেছেন এবং পাঁচ হাজার ৪০০ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে শিশু নির্যাতনের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
খুলনায় নারী নির্যাতনের মামলায় আরও ২ জন গ্রেপ্তার
সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে নারীসহ আটক ৭
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে নারীসহ সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর এ তথ্য জানান।
এর আগে বুধবার (১২ অক্টোবর) রাতে পৌরসভার বাকাইল এতিমখানা মাদরাসা এলাকা থেকে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ তাদেরকে আটক করে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- রাকিবুল হায়দার, রেজাউল করিম খান, আরাফাত হোসেন, শামীম হোসেন, গাড়ির ড্রাইভার আতাউর রহমান, জীবনী ও সোমা পারভিন। তারা গাজীপুর, নোয়াখালী, জামালপুর ও শেরপুর জেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় জাল নোট জব্দ, গ্রেপ্তার ১
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকালে উপজেলার ইউসুবেরবাগ মাদরাসা ও এতিমখানায় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি চলছে-এমন অভিযোগ তুলে মাদরাসার অধ্যক্ষের কাছে জানান তারা সমাজসেবা মন্ত্রণালয় থেকে অডিট করার জন্য এসেছেন। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট ও সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হয়। ‘অডিট করার বিল’ বাবদ নগদ ৩ হাজার টাকাও নেন। আরও ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন,যা দুই দিনের মধ্যে বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করতে বলা হয়।
একইভাবে উপজেলার পৌরসভার বাকাইল এতিমখানা মাদরাসায় গিয়ে অধ্যক্ষ হাফেজ মো. ইদ্রিস আলীকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে টাকা হাতানোর চেষ্টা করেন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষের বিষয়টি সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকদের জানান। তাদের কাছে থাকা আইডি কার্ড যাচাই করে দেখা যায় তারা অবৈধ অর্থ লাভের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে আলফাডাঙ্গায় এসে বিভিন্ন মাদরাসায় প্রতারণা করে টাকা দাবি করছে।
পরে স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকরা পুলিশকে খবর দিলে রাতে পুলিশ এসে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে ইউসুবেরবাগ গোরস্থান মাদরাসা ও এতিখানার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. শরফুদ্দিন মোল্যা বাদী হয়ে আটকদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মধুখালী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কর বলেন, বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
বগুড়ায় মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মেহেরপুরে অটোভ্যানের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে নারীর মৃত্যু
মেহেরপুরের গাংনীতে ইঞ্জিনচালিত ভ্যানের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে নাজমা খাতুন (২৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া-কাজীপুর সড়কের সাহবেনগর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নাজমা গাংনী উপজলোর তেঁতুলবাড়ীয়া গ্রামের দয়ার পাড়া এলাকার আসমত আলীর মেয়ে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, নাজমা সরকারি রাস্তা (সংস্কার) মেরামত করার জন্য নারী শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন। ভ্যানে চড়ে সাহেবনগর গ্রামের কাছে পৌঁছালে হঠাৎ ভ্যানের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে তিনি রাস্তার ওপর পড়ে গুরুতর আহত হন।
ওসি আর বলেন, উদ্ধার করে পাশের বামন্দী গ্রামের একটি ক্লিনিকে নেয়ার সময় পথেই তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় গৃহবধূ হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
আড়িয়াল খাঁ নদে গোসলে নেমে ৩ শিশুর মৃত্যু
কক্সবাজারে সমুদ্রে ভেসে গিয়ে পর্যটকের মৃত্যু!