বাংলাদেশের উন্নয়নে ৫টি মূল বিষয়ের মধ্যে অন্যতম হলো নারী শিক্ষা। প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) গবেষণা সহযোগী মাহির এ রহমান পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিআইডিএস আয়োজিত এক সেমিনারে ‘অ্যাস্পিরেশনাল মোমেন্টাম: দ্য ডেভেলপমেন্ট স্টোরি অব বাংলাদেশ’- শীর্ষক গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস, মেয়েদের স্কুলে শিক্ষা বৃদ্ধি, বিদ্যুত সরবরাহ, জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং অবকাঠামোতে খাতে বিনিয়োগ এই পাঁচটি বিষয় বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে।
আরও পড়ুন: বছরে ৩০ নারী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে এফবিসিসিআই
এ বিষয়ে মাহির এ রহমানের সঙ্গে যৌথ উপস্থাপনা করে তৌফিক ইলাহী বলেন, মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণে পরিবারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের পথ ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।
সেমিনারে তিনি বলেন, পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া যখন একটি জাতির উচ্চাকাঙ্খার গতির সঙ্গে মিলে যায় তখন তা এটির উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
তিনি বলেন,‘দেশের ক্ষেত্রেও অনুরূপ।’
মাহির বলেন, গবেষণায় ২৬টি দেশের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। যেগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা বাংলাদেশের মতো, সেগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
মশিউর বলেন, বাংলাদেশ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভালো কিছু করতে না পারলেও অবকাঠামোতে সরকারি বিনিয়োগ দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নকে শুধুমাত্র চিরাচরিত অর্থনৈতিক তত্ত্বের মূলনীতি দিয়ে ব্যাখ্যা করা উচিত নয়। বরং এর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলো বিবেচনায় নেয়া উচিত।’
তিনি আরও বলেন, নারীরা চাকরির জন্য ঘরের বাইরে যাচ্ছে, শিশু মৃত্যুর হার কমেছে, পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে, গ্রামের রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন হয়েছে এবং কোনো সাম্প্রদায়িক সংঘাত হয়নি-এসব বিষয় সম্মিলিতভাবে উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে।
বিনায়ক বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে সব সরকারই উন্নয়নে কিছু সাধারণ নীতি অব্যাহত রেখেছে, যা (সামগ্রিক উন্নয়নে) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
বিআইডিএস মহাপরিচালক বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মশিউর রহমান, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ডক্টর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, অধ্যাপক বরকত-ই-খুদা ও অধ্যাপক আবুস সাত্তার মণ্ডল।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে বিকশিত নারী শিক্ষাবৃত্তি প্রদান