ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
লকডাউনে দোকান খোলার দাবিতে কুড়িগ্রামে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে সরকারের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে লকডাউনে দোকানপাট খোলার দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে কাপড়-জুতা ব্যবসায়ীদের একাংশ।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের বড় মসজিদে মোড়ে প্রায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকটা বেকার হয়ে পড়েছেন কাপড়-জুতার দোকানের মালিক ও কর্মচারীরা। কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে একটু বেচাকেনার আশায় দোকানপাট খোলার দাবিতে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন।
আরও পড়ুন: বোয়ালমারীতে ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উলিপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে বস্ত্র মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, সরকারের নির্দেশ আমরা অবশ্যই মেনে চলব। কিন্তু আজকের বিক্ষোভ মানববন্ধন আমরা কিছু জানি না। তারা আমাদেরকে কিছু জানায়নি।
উলিপুর বণিক সমতির সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবা বলেন, যেখানে সারাদেশে লকডাউন চলছে, সেখানে তারা কিভাবে এমন ধৃষ্টতা দেখাতে পারে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তাদের অভিযোগ লিখিত আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দিতে বলেছি।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের মুখে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-এ-জান্নাত রুমি জানান, ঘটনাটি মেয়র ও বণিক সমিতির লোকজনকে জানানো হয়েছে। এছাড়াও আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
৩ বছর আগে
মার্কেট খোলা রাখার দাবিতে সিলেটে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
লকডাউনে মার্কেট ও শপিংমল বন্ধের প্রতিবাদে সিলেটের একাধিক স্থানে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন ব্যবসায়ীরা। এ সময় সড়কে দাঁড়িয়ে সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে নগরীর জিন্দাবাজারস্থ শুকরিয়া মার্কেটের সামনে থেকে ‘সিলেটের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীবৃন্দ’র ব্যানারে মিছিল বের করেন ব্যবসায়ীরা।
এ সময় মিছিল নিয়ে কোর্ট পয়েন্টে গিয়ে মানববন্ধন করেন তারা। এরপর ব্যবসায়ীরা মিছিল নিয়ে জিন্দাবাজার পয়েন্টে এসে সমাবেশ করেন।
আরও পড়ুন: দোকান খোলা রাখার দাবিতে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
সমাবেশে বক্তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। করোনার কারণে লকডাউন থাকায় গেল বছরও ঈদে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করা থেকে বঞ্চিত হন।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন দিলে শতভাগ লকডাউন দিতে হবে। কোনো কোনো খাত ছাড় দিয়ে কোনো কোনোটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করাটা অন্যায়। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খোলা রাখতে পারলে নিজেদের খাবার দাবারের সংস্থান হবে, কর্মচারীরা বেতন পাবেন।
তারা বলেন, সারাবছর ব্যবসায়ীরা এই সময়ের দিকে তাকিয়ে থাকেন। ঈদের সময় ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেন। তিন ধাপে ব্যবসা ভেদে এ সময় কেনাবেচা হয়। রোজার আগের ১৫ দিন, রোজার প্রথম ১৫ দিন ও শেষ ১৫ দিন। এ সময়ে এসে দোকানপাট বন্ধ হওয়া মানে পথে বসে যাওয়া।
আরও পড়ুন: নড়াইলে বাজারে লকডাউনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
বিক্ষোভকারীদের দাবি, যেভাবে বিশেষ বিবেচনায় শিল্প-কারখানা চালু রাখা হয়েছে, সেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখার সুযোগ দেয়া হোক। তারা সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ব্যবসা করতে চান এবং অনতিবিলম্বে সরকার কর্তৃক ঘোষিত লকডাউন প্রত্যাহারের দাবি জানান।
ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, দেশের করোনা পরিস্থিতি ও সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে প্রায় একবছর তারা ব্যবসা করা থেকে বিরত থাকেন। এখন আবার লকডাউন দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিলে ব্যবসায়ীদের পথে বসতে হবে। পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান তারা।
সমাবেশে ব্যবসায়ী নেতা ফুয়াদ বিন রশিদ, আবুল কালাম আজাদ, আজির উদ্দিন, কামাল উদ্দিন চৌধুরী মাখন ও আবদুল আহাদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সোমবার সকাল ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত পর্যন্ত চলাচল ও কাজে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এ সময় শুধু জরুরি সেবা ছাড়া প্রায় সবকিছু বন্ধ থাকবে। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো পালিত হচ্ছে লকডাউন।
৩ বছর আগে
দোকান খোলা রাখার দাবিতে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
নগরীতে দোকান খোলা রাখার দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্যবসায়ীরা সাহেববাজার জিরোপয়েন্টের রাস্তায় বিক্ষোভ করেন তারা।
রাজশাহী কাপড় পট্টি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শামিম বলেন, গত বছর লকডাউনের কারণে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে ঠিকমতো ঈদ করতে পারেননি। ‘লকডাউন চলছে চলুক, আমাদের একটা সময় বেঁধে দিলে ভালো হবে। সেই সময়ের মধ্যে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করতে চাই।‘
তিনি বলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম ও পুলিশের কর্মকর্তারা এসেছিলেন। তারা আমাদের সাথে কথা বলেছেন। আমাদের দাবিগুলো জেলা প্রশাসকের কাছে জানাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্রবর্মন জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু আসলাম এসে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেছেন। ব্যবসায়ীদের দাবিগুলো শুনেছেন। তিনি ব্যবসায়ীদের কথাগুলো সরকারের উপর মহলে জানাবেন এমন আশ্বাস দেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার জানানো হবে। পরে রাস্তা থেকে ব্যবসায়ীরা চলে যান।
৩ বছর আগে
নড়াইলে বাজারে লকডাউনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
নড়াইল শহরের অন্যান্য এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে শুধুমাত্র রূপগঞ্জ বাজারে লকডাউন করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে ব্যবসায়ীরা।
৪ বছর আগে