লকডাউনে মার্কেট ও শপিংমল বন্ধের প্রতিবাদে সিলেটের একাধিক স্থানে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন ব্যবসায়ীরা। এ সময় সড়কে দাঁড়িয়ে সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে নগরীর জিন্দাবাজারস্থ শুকরিয়া মার্কেটের সামনে থেকে ‘সিলেটের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীবৃন্দ’র ব্যানারে মিছিল বের করেন ব্যবসায়ীরা।
এ সময় মিছিল নিয়ে কোর্ট পয়েন্টে গিয়ে মানববন্ধন করেন তারা। এরপর ব্যবসায়ীরা মিছিল নিয়ে জিন্দাবাজার পয়েন্টে এসে সমাবেশ করেন।
আরও পড়ুন: দোকান খোলা রাখার দাবিতে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
সমাবেশে বক্তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। করোনার কারণে লকডাউন থাকায় গেল বছরও ঈদে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করা থেকে বঞ্চিত হন।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন দিলে শতভাগ লকডাউন দিতে হবে। কোনো কোনো খাত ছাড় দিয়ে কোনো কোনোটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করাটা অন্যায়। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খোলা রাখতে পারলে নিজেদের খাবার দাবারের সংস্থান হবে, কর্মচারীরা বেতন পাবেন।
তারা বলেন, সারাবছর ব্যবসায়ীরা এই সময়ের দিকে তাকিয়ে থাকেন। ঈদের সময় ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেন। তিন ধাপে ব্যবসা ভেদে এ সময় কেনাবেচা হয়। রোজার আগের ১৫ দিন, রোজার প্রথম ১৫ দিন ও শেষ ১৫ দিন। এ সময়ে এসে দোকানপাট বন্ধ হওয়া মানে পথে বসে যাওয়া।
আরও পড়ুন: নড়াইলে বাজারে লকডাউনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
বিক্ষোভকারীদের দাবি, যেভাবে বিশেষ বিবেচনায় শিল্প-কারখানা চালু রাখা হয়েছে, সেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখার সুযোগ দেয়া হোক। তারা সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ব্যবসা করতে চান এবং অনতিবিলম্বে সরকার কর্তৃক ঘোষিত লকডাউন প্রত্যাহারের দাবি জানান।
ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, দেশের করোনা পরিস্থিতি ও সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে প্রায় একবছর তারা ব্যবসা করা থেকে বিরত থাকেন। এখন আবার লকডাউন দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিলে ব্যবসায়ীদের পথে বসতে হবে। পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান তারা।
সমাবেশে ব্যবসায়ী নেতা ফুয়াদ বিন রশিদ, আবুল কালাম আজাদ, আজির উদ্দিন, কামাল উদ্দিন চৌধুরী মাখন ও আবদুল আহাদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সোমবার সকাল ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত পর্যন্ত চলাচল ও কাজে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এ সময় শুধু জরুরি সেবা ছাড়া প্রায় সবকিছু বন্ধ থাকবে। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো পালিত হচ্ছে লকডাউন।