ইভ্যালি
গ্রেপ্তার হতে পারেন তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়া
আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান, অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ মামলায় যে কোনো সময় তারা গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলাটি ধানমন্ডি থানায় ৪ তারিখে হলেও বৃহস্পতিবার রাতে জানাজানি হয়।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া ইউএনবিকে জানান,গত ৪ ডিসেম্বর আদালতে একটি পিটিশন করেন সাদ স্যাম নামের ইভ্যালির একজন গ্রাহক। শুনানির পর আদালত ধানমণ্ডি থানাকে ওই গ্রাহকের পিটিশনটিকে এফআইআর (এজাহার) হিসেবে নিয়ে মামলা রুজু করে এ বিষয়ে তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ওসি আরও জানান,তারা মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছেন। তদন্তের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালি’র এমডি’র বিরুদ্ধে বরিশালে চেক প্রতারণার ৩ মামলা
এক প্রশ্নের উত্তরে ওসি আর জানান, তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে প্রয়োজনে তাদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে।মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রেপ্তার হওয়া ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল, তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, আকাশ, আরিফ, তাহের ও মো. আবু তাইশ কায়েস।মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, তারকা তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়া ইভ্যালির বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। তাদের উপস্থিতি ও তাদের বিভিন্ন প্রমোশনাল কথাবার্তার কারণে আস্থা রেখে সাদ স্যাম তিন লাখ ১৮ হাজার টাকা ইভ্যালিতে বিনিয়োগ করেন। এসব তারকার কারণে মামলার বাদী প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি।
জানা যায়, গায়ক-অভিনেতা তাহসান খান ইভ্যালির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যুক্ত ছিলেন। আর রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ইভ্যালির ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইল শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যুক্ত ছিলেন। এ ছাড়াও প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন শবনম ফারিয়া।
আরও পড়ুন: ইভ্যালি পরিচালনায় বিচারপতি মানিককে প্রধান করে ৫ সদস্যের বোর্ড
ইভ্যালির সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা
ইভ্যালির সিইও রাসেলের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরার আদালতে মামলা
চেক প্রতারণায় ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেলের বিরুদ্ধে এবার সাতক্ষীরা আদালতে মামলা হয়েছে।
আরওয়ান ফাইভ ভার্সন থ্রি বাইক না পেয়ে ২ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) শেখ তানভীর হোসেন সাতক্ষীরা আমলী আদালত-১ এ মামলা করেন।
আদালতের মুখ্য বিচারিক হাকিম হুমায়ুন কবীর মামলায় আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: ইভ্যালি’র এমডি’র বিরুদ্ধে বরিশালে চেক প্রতারণার ৩ মামলা
মামলার বিবরণে জানা গেছে, মোহাম্মদ রাসেল একজন প্রতারক ও বিশ্বাস ভঙ্গকারী ব্যক্তি। তিনি ইভ্যালির মাধ্যমে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে আসছিলেন। ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহারের লক্ষ্যে (আর ওয়ান ফাইভ ভি থ্রি ইন্দোনেশিয়া ভার্সন) মোটরসাইকেল ক্রয়ের জন্য নির্ধারিত বিশেষ অফার মূল্যে দুই লাখ ৯৪ হাজার ৮৭৩ টাকা পরিশোধ করেন। মোটরসাইকেলটি ৪৫ দিনের মধ্যে বাদীকে সরবরাহ করার কথা ছিল। আসামি উল্লিখিত সময়ের মধ্যে মোটরসাইকেলটি সরবরাহ করতে না পারায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ী নীতিমালা অনুযায়ী উল্লিখিত মোটরসাইকেলের এম আর পি (খুচরা মূল্য) বাবদ বাদীকে ৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। চেকটি নগদায়নের জন্য সর্বশেষ গত ৩ অক্টোবর বাদীর নিজস্ব ব্যাংক হিসাবে জমা দিলে তা ডিজঅনার হয়।
বাদী চেকটি ডিজঅনারের বিষয় আসামিকে জানানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে বিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে গত ১১ অক্টোবর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানায় ডিমান্ড নোটিশ পাঠায়। অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ অক্টোবর নোটিশটি ফেরত আসে। এক পর্যায়ে কোন উপায় না পেয়ে তিনি মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাভারে ইভ্যালির ৪ ওয়্যার হাউজ সিলগালা করেছে পরিচালনা কমিটি
মামলাটির বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোস্তফা আসাদুজ্জামান দিলু জানান, মামলাটি মূলত চেক ডিজঅনার মামলা। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামি মোহাম্মদ রাসেলের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। আগামী ২৪ মার্চ এই মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
ইভ্যালি’র এমডি’র বিরুদ্ধে বরিশালে চেক প্রতারণার ৩ মামলা
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলের বিরুদ্ধে বরিশালে তিনটি চেক প্রতারণা মামলা হয়েছে। রবিবার বরিশাল অতিরিক্ত প্রধান মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক পৃথক তিনটি মামলা আমলে নিয়ে সমন জারি করে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারি চারচিল ও বাদী পক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান।মামলা সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের বাসিন্দা নিলয় শরীফ মোটরসাইকেল ক্রয়ের জন্য তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা, সাদিকুর রহমান সুরুজ দুই লাখ ৭১ হাজার টাকা এবং মো. ফেরদাউস এক লাখ ৭৪ হাজার টাকা ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলের কাছে দেন। এর বিপরীতে চেক দেয়া হয়। কিন্তু চেক নিয়ে ব্যাংকে গেলে সেই চেক ফেরত দেয় ব্যাংক কতৃপক্ষ।পরে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে টাকা ফেরত চেয়ে লিগাল নোটিশ করা হলেও কোনো সদুত্তর না মেলায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন নিলয়, সুরুজ ও ফেরদাউস।
আরও পড়ুন: সাভারে ইভ্যালির ৪ ওয়্যার হাউজ সিলগালা করেছে পরিচালনা কমিটি
ইভ্যালির গ্রাহকরা ৬ মাস পাওনার জন্য বোর্ডকে চাপ দিতে পারবেন না: হাইকোর্ট
ই-কমার্স খাতের অর্থপাচার: প্রতিবেদন না পেয়ে হাইকোর্টের ক্ষোভ প্রকাশ
দেশের ই-কমার্স খাত থেকে অর্থপাচারের বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপ এবং এ খাতের কর আদায়ে নীতিমালা ও কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে প্রতিবেদন চেয়ে নির্ধারিত সময়ে তা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আদালত বলেন, ‘নোটিশ জারির পরেও তারা রেস্পন্স করবে না? বিষয়টি আমরা কিন্তু সিরিয়াসলি নেব।’ এসময় আদালতে উপস্থিত রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমারকে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট বলেন, ’ মি. ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আপনি অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলেন। বিষয়টি তাকে জানান। এসব আমরা কিন্তু টলারেট করবো না।’
আরও পড়ুন: আইন বিভাগের মতামতের পর ই-কমার্স গ্রাহকদের গেটওয়ের টাকা ফেরত
এরপর আদালতে ২৩ নভেম্বর মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়ে ওইদিন পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ই-ভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হাজার হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল, কিভাবে এসব টাকা হস্তান্তর হয়েছে, এক্ষেত্রে যে অর্থ পাচার হয়েছে-সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট থেকে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চান। একইসঙ্গে ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়িক লেনদেনের বিপরীতে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে কি পলিসি নেয়া হয়েছে, আদৌ কোন পলিসি আছে কিনা কিংবা ভ্যাট-ট্যাক্স আদায় করা হয় কিনা-সে ব্যাপারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআরকে) জানাতে বলা হয়। পাশাপাশি ই-কমার্স খাতের স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের করা ১৬ সদস্যের কমিটির কার্যপরিধি কী তাও জানতে চান আদালত। সরকারও এ বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা আনুষ্ঠানিকভাবে আদালতের সামনে উপস্থাপন করতে বলা হয়। ই-কমার্স কোম্পানির গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় ভুক্তভোগীদের করা পৃথক তিনটি রিটের শুনানিকালে হাইকোর্ট এসব আদেশ দেন। এ বিষয়ে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন দাখিল না করায় গতকাল ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: দারাজসহ ২৩ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর ই-কমার্স গ্রাহকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম এ রিট দায়ের করেন। পরে গত ২২ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন এবং ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের দুজন গ্রাহকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব একটি রিট করেন। এই রিটে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির সমন্বয়ে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে যাদের গাফিলতির কারণে ইভ্যালি, আলেশা মার্ট, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, দারাজ, কিউকম, আলাদিনের প্রদীপ ও দালাল প্লাসের মতো পরিচিত ই-কমার্স কোম্পানি থেকে প্রতারিত হয়ে লাখ লাখ গ্রাহক সর্বসান্ত হয়েছেন তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, এ পর্যন্ত এসব ই-কমার্স কোম্পানি থেকে পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ নিরূপণ করে দুদকের মাধ্যমে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা, বাংলাদেশ ব্যাংককে এ পর্যন্ত ইভ্যলি, ধামাকা, আলেশা মার্ট, কিউকেম, দালাল, ই-অরেঞ্জ, আলাদিনের প্রদীপ, দারাজ, ইত্যাদিতে মোট কত টাকা লেনদেন হয়েছে এবং গ্রাহকরা মোট কত টাকা দিয়েছে তা চিহ্নিত করা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত কতগুলো প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়েছে এবং তারা কি কি পদক্ষেপ এ পর্যন্ত নিয়েছে, বাংলাদেশে প্রতিযোগিতা কমিশনকে প্রতিযোগিতা আইন, ২০১২ অনুযায়ী, ই -কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণ দায়িত্ব নেয়াসহ ই-কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর নজরদারি, অসম প্রতিযোগিতা রোধ, জনসচেতনতা তৈরি ইত্যাদি পদক্ষেপ নেয়া, জাতীয় ডিজিটাল বাণিজ্য নীতি, ২০১৮ অনুযায়ী দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে হেল্প ডেস্ক অবিলম্বে চালু করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স: গেটওয়েতে আটকা গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে হাইকোর্টের রুল
পরে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ই-অরেঞ্জের কাছে আটকে থাকা টাকা উদ্ধারে ৩৩ জন গ্রাহক একটি রিট করেন। এই রিটে ই-অরেঞ্জসহ অন্যান্য অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহে রিসিভার নিয়োগের, অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বশীল ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদান এবং গ্রাহক ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সুষ্ঠু পরিচালনার নিমিত্তে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেয়ার জন্য অর্থনীতিবিদ, তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ী ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের আর্জি জানানো হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর এই তিনটি রিটের ওপর একসাথে শুনানি হয়।
সাভারে ইভ্যালির ৪ ওয়্যার হাউজ সিলগালা করেছে পরিচালনা কমিটি
সাভারে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চারটি ওয়্যার হাউজ সিলগালা করে দিয়েছে হাইকোর্ট গঠিত পরিচালনা কমিটি।
প্রতিষ্ঠানটির দায় ও সম্পদ পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে সোমবার দুপুরে সাভারের আমিনবাজারে ভাড়া করা ওয়্যার হাউজ পরিদর্শন করেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককের নেতৃত্বে পরিচালিত কমিটির পাঁচ সদস্য।
এ সময় ওয়্যারহাউজটিতে বেশ কিছু টেলিভিশন, কোমল পানীয়সহ ইলেকট্রনিক্স মালামাল দেখতে পায়।
আরও পড়ুন: ইভ্যালি পরিচালনায় বিচারপতি মানিককে প্রধান করে ৫ সদস্যের বোর্ড
কমিটির সদস্যদের জানানো হয়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের পর এই ওয়্যারহাউজ থেকে মূল্যবান অনেক মালামাল সরিয়ে ফেলা হয়।
পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
প্রতারিত গ্রাহক ও মার্চেন্টের স্বার্থ সুরক্ষায় নিবিড়ভাবে কাজ করছে হাইকোর্ট গঠিত নতুন পরিচালনা কমিটি। এখানে যারা টাকা লগ্নি করেছিলেন তারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
কমিটির প্রধান বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, ক্ষতিগ্রস্ত এই মানুষদের যতখানি সম্ভব স্বার্থ সুরক্ষা করে তা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির কোথায় কী সম্পদ রয়েছে এবং সেগুলো কী অবস্থায় রয়েছে? – সেসব সম্পদ দিয়েই বা দায়দেনা কতটুকু পরিশোধ করা যাবে ইত্যাদি বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করছে কমিটি।’
আরও পড়ুন: ইভ্যালির গ্রাহকরা ৬ মাস পাওনার জন্য বোর্ডকে চাপ দিতে পারবেন না: হাইকোর্ট
এ সময় সেখানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইভ্যালি পরিচালনায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব পাওয়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ওএসডি হওয়া আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, সাবেক সচিব মো. রেজাউল আহসান, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফখরুদ্দিন আহমেদ ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী শামীম আজিজ।
দারাজসহ ২৩ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব
দারাজ, প্রিয় শপসহ ২৩টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এবং এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ২৯ জন নির্বাহী কর্মকর্তার হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত শাখা বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। চলতি সপ্তাহের শুরুতে বিএফআইইউ এ নির্দেশনা জারি করেছে এবং এই নির্দেশনায় ব্যাংকগুলোকে এসব প্রতিষ্ঠানের তথ্য দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৪৯টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করে এবং এসব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেন ও অর্থ পাচারের বিষয়টি সিআইডি ও অন্যান্য সংস্থা তদন্ত করছে।
বিএফআইইউ এমন সময় এ নির্দেশনা জারি করলো যখন সরকার ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জসহ বেশ কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তারা ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রীম টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ করে না। বর্তমানে ইভ্যালি ও ই-কমার্সের প্রধান কর্মকর্তারা কারাগারে আছেন।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স: গেটওয়েতে আটকা গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে হাইকোর্টের রুল
দুই মাসের মধ্যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবন্ধন নেয়ার নির্দেশ
ই-কমার্স নারী ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইভ্যালির গ্রাহকরা ৬ মাস পাওনার জন্য বোর্ডকে চাপ দিতে পারবেন না: হাইকোর্ট
ঢাকা, ২১ অক্টোবর (ইউএনবি)-ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালি লিমিটেডের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার জন্য পাচঁ সদস্যের বোর্ড গঠন করে হাইকোর্টের দেয়া পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। লিখিত আদেশে বলা হয়েছে, ইভ্যালির গ্রাহকরা আগামী ছয় মাস তাদের পাওনা আদায়ের জন্য বোর্ডকে চাপ দিতে পারবেন না। তবে কোনো গ্রাহক চাইলে পাওনার কথা বোর্ডের কাছে বা আদালতে জানাতে পারবেন। এছাড়া রায়ে গঠিত বোর্ড সদস্যদের সম্মানী নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ ১০ পৃষ্ঠার লিখিত আদেশ প্রকাশ করেন।
এর আগে গত ১৮ অক্টোবর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট। লিখিত আদেশে আদালত আরও বলেছেন, লিখিত আদেশ পাওয়ার পরপরই তারা বোর্ড মিটিংয়ে বসবেন। কোথায় কী আছে, সবকিছু বুঝে নেবেন। কোম্পানি যেভাবে চলে, সেভাবে প্রথমে বোর্ড মিটিং বসবে। তাদের (বোর্ড) দায়িত্ব হলো টাকাগুলো কোথায় আছে, কোথায় দায় আছে, তা দেখা। অডিট লাগবে, বোর্ড অন্য কাজগুলোও দেখবে। এরপর সবকিছু করার পর বোর্ড যদি দেখে কোম্পানিটি চলার যোগ্যতা নেই, তখন অবসায়নের জন্য প্রসিড (প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া) করবে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালি পরিচালনায় বিচারপতি মানিককে প্রধান করে ৫ সদস্যের বোর্ড
রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাসুম বলেন, বোর্ড শুরুতেই ইভ্যালির অবস্থা সম্পর্কে অডিট করবে। তাদের কাছে দায়-দেনার পরিমাণ হিসাব, কত অর্থ তাদের কাছে ভোক্তাদের পাওনা, তাদের কত সম্পদ আছে এই পুরো বিষয়টা অর্থাৎ কোম্পানিটি কী অবস্থায় আছে সেটার একটা খতিয়ান করতে হবে। এজন্য শুরুতেই অডিট করবেন তারা।
তিনি বলেন, কোম্পানিটির যে দেনা রয়েছে, তা কীভাবে পরিশোধ করা যাবে, কোম্পানিটি আদৌ আর পরিচালনা করা সম্ভব, নাকি বন্ধ ঘোষণা করা উচিত, এসব বিষয়ে অডিটের পর বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। যদি কোম্পানিটি পরিচালনা করা সম্ভব হয়, তাহলে বোর্ড সেটি পরিচালনা করবে। পরিচালনা করা সম্ভব না হলে কোম্পানিটি অবসায়ন করে দেয়া হবে। এক মাস পর আগামী ২৩ নভেম্বর সার্বিক বিষয়ে এ বোর্ড আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করবে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির জন্য বোর্ড: হাইকোর্টে সাবেক তিন সচিবের নাম দাখিল
ইভ্যালি গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ করছে না- এমন অভিযোগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় মামলা করার পরদিন বিকালে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে দু’জনই কারাগারে। এরই মধ্যে ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টের কোম্পানি আদালতে আবেদন করেন ইভ্যালির গ্রাহক ফরহাদ হোসেন। এতে ইভ্যালি নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য একটি পরিচালনা পরিষদ গঠনেরও আবেদন জানান। এ আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত। এ জন্য একটি নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা
এর ধারাবাহিকতায় ৩০ সেপ্টেম্বর বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আদালত ইভ্যালির সব নথিপত্র ১১ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রেজিস্ট্রার ফর জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মকে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী ইভ্যালির সব নথি হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়েছে। জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রার এ নথি গত ১১ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় বোর্ড গঠনের আদেশ দেয়া হয়।
ইভ্যালি পরিচালনায় বিচারপতি মানিককে প্রধান করে ৫ সদস্যের বোর্ড
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
কোম্পানিটি অবসায়ন চেয়ে করা এক আবেদনে সোমবার (১৮ অক্টোবর) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্টের একক কোম্পানি বেঞ্চ অন্তবর্তীকালীন এ আদেশ দেন।
বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন-সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ, আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
পড়ুন: ইভ্যালির জন্য ৪ সদস্যের বোর্ড গঠনের অভিমত হাইকোর্টের
এর আগে গত ১২ অক্টোবর বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ ইভ্যালি পরিচালনার জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড গঠনের অভিমত ব্যক্ত করেন। আদালত সেদিন বলেন, কোম্পানির দুজন সদস্য, দুজনই কারাগারে। কীভাবে বোর্ড মিটিং হবে? বোর্ড মিটিং করতে গেলেও তা করা যাচ্ছে না। বোর্ড মিটিং না করতে পারলে টাকা কোথায় কী আছে, সে বিষয়েও জানা যাচ্ছে না। সাবেক বিচারপতি, সচিব ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসহ একটি বোর্ড গঠন করা যেতে পারে। বোর্ডের সদস্য করার জন্য সেদিন আদালত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তার নাম প্রস্তাব করতে বলেন। এরপর আদালত আজ ওই বোর্ড গঠন করেন।
কোম্পানি অবসায়নের আবেদনের পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন আদেশের পর জানান, হাইকোর্ট ইভ্যালি কোম্পানি লিমিটেড নিয়ন্ত্রণ, পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার জন্য সাবেক একজন বিচারপতিকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করেছেন। আগামী ধার্য তারিখে বোর্ডকে কোম্পানিটির ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।
ইভ্যালি গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ করছে না-এমন অভিযোগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় মামলা করার পরদিন বিকালে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে দু’জনই কারাগারে। এরই মধ্যে ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টের কোম্পানি আদালতে আবেদন করেন ইভ্যালির গ্রাহক ফরহাদ হোসেন। এতে ইভ্যালি নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠনেরও আবেদন জানান।
পড়ুন: ইভ্যালির সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা
ইভ্যালি কাণ্ড: ভদ্রজনের কি কোন দায় নেই
এ আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত। এ জন্য একটি নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে।
এর ধারাবাহিকতায় ৩০ সেপ্টেম্বর বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আদালত ইভ্যালির সব নথিপত্র ১১ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রেজিস্ট্রার ফর জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মকে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী ইভ্যালির সব নথি হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়েছে। জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রার এ নথি গত ১১ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দেন। বিশাল আকারের এ নথি আদালতে জমা পড়েছে। তবে বিশাল আকৃতির এ নথি এখনো খতিয়ে দেখা হয়নি বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসাইন। এরই ধারাবাহিকতায় বোর্ড গঠনের আদেশ এলো।
ইভ্যালির জন্য বোর্ড: হাইকোর্টে সাবেক তিন সচিবের নাম দাখিল
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি লিমিটেড ব্যবস্থাপনায় বোর্ড গঠনের লক্ষ্যে হাইকোর্টের কাছে সাবেক তিনজন সচিবের নাম প্রস্তাব করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই তিনজন হলেন-ভূমি মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সচিব মো. রেজাউল আহসান ও ভূমি সংস্কার বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী। সাবেক এই তিন সচিবের নাম দেখে হাইকোর্ট বর্তমান সচিবদের নামও দিতে বলেছেন। একই সঙ্গে ইভ্যালির পরিচালনা বোর্ড গঠনের বিষয়ে ১৮ অক্টোবর আদেশ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন। বুধবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চ একাত্মতা জানিয়েছেন।
ইভ্যালির দুজন সদস্যই (চেয়ারম্যান ও সিইও) কারাগারে থাকায় ওই মামলার শুনানিতে গতকাল মঙ্গলবার একই বেঞ্চ ইভ্যালির বিষয়ে চার সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেয়ার কথা বলেন। আদালত বলেন, কোম্পানির দুজন সদস্য, দুজনই কারাগারে। কীভাবে বোর্ড মিটিং হবে? বোর্ড মিটিং করতে গেলেও তা করা যাচ্ছে না। বোর্ড মিটিং না করতে পারলে টাকা কোথায় কী আছে, সে বিষয়েও জানা যাচ্ছে না। সাবেক বিচারপতি, সচিব ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসহ চারজন রাখা যেতে পারে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইনজীবীকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে কথা বলে বর্তমান বা সাবেক সচিব, অতিরিক্ত সচিব-এমন তিনজনের নাম দিতে বলেন। এর মধ্য থেকে যাচাই–বাছাই করে একজনের নাম চূড়ান্ত করা হবে জানিয়ে আদালত বুধবার আদেশের জন্য দিন রাখেন।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যান ৩ দিনের রিমান্ডে
আজ আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইনজীবী তাপস কান্তি বল বলেন, কথা বলে অবসরপ্রাপ্ত তিনজন সচিবের নাম দেয়া হয়েছে। আদালত বলেন, কর্মরত সচিবদের নামও দেন, শুধু অবসরপ্রাপ্ত কেন?
আইনজীবী তাপস বলেন, অনুমতি পেলে হলফনামা করে দাখিল করা যাবে। আদালত অনুমতি দেন। একপর্যায়ে আদালত বলেন, নামগুলো পেতে হবে, যাচাই–বাছাই করতে হবে। মন্ত্রণালয় ভালো লোকের নাম দেবে আশা করি। যাচাই–বাছাই করে চেষ্টা করব, তুলনামূলক ভালো ও সততা নিয়ে প্রশ্ন আসবে না-এ রকম লোককে দিতে। পরবর্তী তারিখে (১৮ অক্টোবর) আদেশের জন্য রাখা হলো।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ করছে না-এমন অভিযোগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় মামলা করার পরদিন বিকেলে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে দু’জনই কারাগারে। এরই মধ্যে ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টের কোম্পানি আদালতে আবেদন করেন ইভ্যালির গ্রাহক ফরহাদ হোসেন। এতে ইভ্যালি নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠনেরও আবেদন জানান। এ আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত। এজন্য একটি নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মতো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: ডিএমপি
এর ধারাবাহিকতায় ৩০ সেপ্টেম্বর বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আদালত ইভ্যালির সব নথিপত্র ১১ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রেজিস্ট্রার ফর জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মকে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী ইভ্যালির সব নথি হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রার এই নথি গত রোববার হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দেন। বিশাল আকারের এই নথি আদালতে জমা পড়েছে। তবে বিশাল আকৃতির এই নথি এখনও খতিয়ে দেখা হয়নি বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ইভ্যালির চেয়ারম্যান-পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা
ইভ্যালির জন্য ৪ সদস্যের বোর্ড গঠনের অভিমত হাইকোর্টের
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি লিমিটেড পরিচালনার জন্য চার সদস্যের অন্তবর্তীকালীন বোর্ড গঠনের পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার রেজিস্ট্রার ফর জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মের পক্ষ থেকে কোম্পানিটির সব নথিপত্র দাখিলের পর বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্টের একক কোম্পানি বেঞ্চ এই অভিমতের কথা জানান।
আদালত বলেন, কোম্পানির দু’জন সদস্য,দুজনই কারাগারে। কীভাবে বোর্ড মিটিং হবে? বোর্ড মিটিং করতে গেলেও তা করা যাচ্ছে না। বোর্ড মিটিং না করতে পারলে টাকা কোথায় কী আছে, সে বিষয়েও জানা যাচ্ছে না। সাবেক বিচারপতি, সচিব ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসহ চার জন রাখা যেতে পারে। বেসরকারি কোম্পানিতে চার জনের বেশি সদস্যের দরকার নেই। শুনানি নিয়ে আদালত আজ বুধবার আদেশের জন্য দিন রেখেছেন।
আদালত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে তিন জন সচিব ও অতিরিক্ত সচিবের নাম চেয়েছেন; যাদের মধ্য থেকে একজনকে চূড়ান্ত করা হবে। বোর্ডের বাকিদের নাম আদালত নিজেই নির্ধারণ করে দেবেন বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইনজীবী তাপস কান্তি বলের উদ্দেশে আদালত বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে কথা বলবেন। যাতে বর্তমান বা সাবেক সচিব, অতিরিক্ত সচিব-এমন তিন জনের নাম দেন। এখান থেকে যাচাই-বাছাই করে একজন চূড়ান্ত করা হবে।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ এম মাছুম ও সৈয়দ মাহসিব হোসেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও প্রতিযোগিতা কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তাপস কান্তি বল। রেজিস্ট্রার ফর জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম বদরুদ্দোজা।
জানতে চাওয়া হলে আইনজীবী এ কে এম বদরুদ্দোজা বলেন, কোম্পানিটি অবসায়নের আবেদন করেছে। এটা নিষ্পত্তি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কে? যেহেতু প্রতিষ্ঠানটির দু’জন পরিচালকই কারাগারে। এখন সম্পদের দায়-দেনা, হিসাব-নিকাশসহ প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ফোরাম গঠন করার কথা ভাবছে হাইকোর্ট। এ কারণে হাইকোর্ট চার সদস্যের অন্তবর্তীকালীন একটি বোর্ড গঠনের পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এতে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, একজন আইনজ্ঞ, একজন সচিব ও একজন চার্টার্ড একাউনট্যান্ট রাখার কথা বলেছেন। এ ব্যাপারে বুধবার হাইকোর্ট আদেশ দেবেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ইভ্যালি কাণ্ড: ভদ্রজনের কি কোন দায় নেই
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ করছে না-এমন অভিযোগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় মামলা করার পরদিন বিকালে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে দু’জনই কারাগারে।
এরই মধ্যে ইভ্যালি’র অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টের কোম্পানি আদালতে আবেদন করেন ইভ্যালি’র গ্রাহক ফরহাদ হোসেন। এতে ইভ্যালি নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠনেরও আবেদন জানান। এ আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত। এজন্য একটি নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে।
এর ধারাবাহিকতায় ৩০ সেপ্টেম্বর বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আদালত ইভ্যালির সব নথিপত্র ১১ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রেজিস্ট্রার ফর জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মকে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী ইভ্যালির সব নথি হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রার এই নথি গত রবিবার হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দেন। বিশাল আকারের এই নথি আদালতে জমা পড়েছে। তবে বিশাল আকৃতির এই নথি এখনও খতিয়ে দেখা হয়নি বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।
আরও পড়ুন: ফের রিমান্ডে ইভ্যালির সিইও
ইভ্যালির চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা