জাপান
শিনজো আবের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এক শোকবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শিনজো আবে আমার ঘনিষ্ঠজন ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশেরও বন্ধু ছিলেন।
ড. মোমেন শিনজো আবের উপর গুলি চালানোর ঘটনা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে বলেন, তাঁর মৃত্যুতে জাপানের জনগণ এক অসাধারণ নেতাকে হারালো, একইসাথে বাংলাদেশ হারালো তার একজন অকৃত্রিম বন্ধুকে।
তিনি শিনজো আবের বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য এবং জাপানের জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রসঙ্গত, পশ্চিম জাপানের নারাতে শুক্রবার বক্তব্য শুরু করার কয়েক মিনিট পর পেছন থেকে গুলি করা হয় আবেকে। তাকে জরুরি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তবে তার শ্বাসকষ্ট ও হৃদপিণ্ডের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে হাসপাতালে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
পড়ুন: গুলিবিদ্ধ শিনজো আবে মারা গেছেন
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে গুলিবিদ্ধ
গুলিবিদ্ধ শিনজো আবে মারা গেছেন
নির্বাচনী প্রচারণার সময় গুলিতে আহত জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির এনএইচকে টেলিভিশন।
পশ্চিম জাপানের নারাতে শুক্রবার বক্তব্য শুরু করার কয়েক মিনিট পর পেছন থেকে গুলি করা হয় আবেকে। তাকে জরুরি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তবে তার শ্বাসকষ্ট ও হৃদপিণ্ডের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে হাসপাতালে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
৬৭ বছর বয়সী আবে ২০২০ সালে শারীরিক কারণে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।
পুলিশ হামলার ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে গুলিবিদ্ধ
দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, আবে ‘গুরুতর অবস্থায়’ ছিলেন এবং তিনি আশা করেছিলেন আবে বেঁচে যাবেন।
প্রকাশিত ফুটেজ-এ দেখা গেছে, আবে রক্তাক্ত অবস্থায় নিচে পড়ে গেলে বেশ কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী তার দিকে ছুটে যান। এ সময় আবেকে বুক চেপে ধরেতে দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা হামলার সময় গুলির শব্দ শোনার কথা জানিয়েছেন।
হত্যার চেষ্টার সন্দেহে নারা প্রিফেকচারাল পুলিশ ৪১ বছর বয়সী তেতসুয়া ইয়ামাগামি নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তি ২০০২ এর দশকে তিন বছর মেরিটাইম সেলফ-ডিফেন্স ফোর্সে কাজ করেছিল।
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে গুলিবিদ্ধ
জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে শুক্রবার এক নির্বাচনী প্রচারণায় বক্তব্য দেয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। এ সময় তিনি হৃদরোগেও আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
রবিবার জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ নির্বাচনের আগে নির্বাচনী প্রচারণার ভাষণ দেয়ার সময় আবে এই হামলার শিকার হন।
এনএইচকে পাবলিক টেলিভিশন শুক্রবার বিষয়টি জানিয়েছে।
প্রকাশিত ফুটেজ-এ দেখা গেছে, আবে রক্তাক্ত অবস্থায় নিচে পড়ে গেলে বেশ কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী তার দিকে ছুটে যান। এ সময় আবেকে বুক চেপে ধরেতে দেখা গেছে।
এনএইচকে বলছে, আবেকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা হামলার সময় গুলির শব্দ শোনার কথা জানিয়েছেন।
এনএইচকে জানিয়েছে, পুলিশ হত্যা চেষ্টার সন্দেহে ঘটনাস্থল থেকে এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছেন।
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগ
জাপানের রাষ্ট্রদূতের অভিযোগের ব্যাখা দিল টিআইবি
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির তথ্য-প্রমাণ ভিত্তিক প্রতিবেদন প্রকাশের প্রত্যাশাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি এবং এই গবেষণাকে কোনো দিক থেকেই ভিত্তিহীন বিবেচনা করার সুযোগ নেই।
জাপানের রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যের জবাবে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘একইসঙ্গে তাকে এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করতে চাই, সামাজিক বিজ্ঞানের গবেষণায় আন্তর্জাতিকভাবে অনুসৃত নীতি, পদ্ধতি ও মানদণ্ড কঠোরভাবে মেনে উপাত্ত সংগ্রহ ও তার শুদ্ধতা পরীক্ষাসহ গবেষণাটি পরিচালনা ও প্রতিবেদনটি প্রণয়ন করা হয়েছে। এই গবেষণাকে কোনো দিক থেকেই ভিত্তিহীন বলার কোনো অবকাশ নেই।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি গত ৩ জুলাই ইনটিগ্রেটেড এনার্জি এন্ড পাওয়ার মাস্টার প্ল্যান (আইইপিএমপি) প্রণয়ন বিষয়ক দ্বিতীয় স্টেকহোল্ডার মিটিংয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রণীত ‘বাংলাদেশে কয়লা ও এলএনজি বিদ্যুৎ প্রকল্প: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং তার বক্তব্য টিআইবির নজরে এসেছে।
অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি টিআইবিকে ‘তথ্য-প্রমাণ ভিত্তিক প্রতিবেদন প্রকাশের’ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘এই বছরের মে মাসে প্রকাশিত টিআইবির সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনের কিছু বিবরণ... আমি প্রকল্পের বিশদ বিবরণে যাচ্ছি না... তবে যখন এই প্রতিবেদনে বলা হয় জাপান অচল প্রযুক্তি (ব্যবহার করতে) বাংলাদেশকে প্রভাবিত করছে, তখন আমি দেখতে পেলাম যে এটি ভিত্তিহীন।’
টিআইবি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জাপান তার অচল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে বাংলাদেশকে প্রভাবিত করছে’ এমন কোনো মন্তব্য টিআইবি’র আলোচ্য গবেষণায় করা হয়নি। বরং এ খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ কর্তৃক চীন ও জাপানের পুরাতন এবং ব্রাউন ফিল্ড বয়লারগুলোকে গ্রীন নামে চালিয়ে দেয়া এবং উন্নত দেশের উদ্বৃত্ত ও অব্যবহৃত কয়লা প্রযুক্তির ‘ডাম্পিং ক্ষেত্র’ হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করার অভিযোগের বিষয়টি টিআইবি প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞ মতামত হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।’
ড. ইফতেখারুজ্জামানবলেন, ‘অন্যদিকে টিআইবির গবেষণায় জ্বালানি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও প্রকল্প বাস্তবায়নে জাপানি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের দ্বন্দ্ব বিষয়ে বিশদ আলোচনা হলেও জাপানের রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে কোনো আলোকপাত করেননি। যদিও জাপানের রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেছেন, এটি নিয়ে তৃতীয়বারের মতো জাপান বাংলাদেশের পাওয়ার ও এনার্জি খাতে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজে যুক্ত ছিল।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, দাতাদের প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং পরামর্শ প্রদান অনিবার্য এবং দাতা-গ্রহীতা সম্পর্কেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা প্রয়োজনীয়ও।
তিনি বলেন, এজন্য আইইপিএমপি প্রণয়নে জাপানিদের সহায়তাকে স্বাগত জানাই, তবে তারা একটি বিশ্বাসযোগ্য ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করার মাধ্যমে এর সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নকালীন ব্যবসায়িক ও বিনিয়োগ স্বার্থের দ্বন্দ্ব মুক্ত পরিবেশ তৈরির একটি উত্তম উদহারণ তৈরি করতে পারত, যা স্বচ্ছতার জন্য অধিকতর ফলদায়ক হতো।
পড়ুন: নির্বাচনে সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিতে আইনি সংস্কারের সুপারিশ টিআইবির
বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে আনার সুযোগ বাতিলের আহ্বান টিআইবির
বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী সাংস্কৃতিক বন্ধন চায় জাপান
বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী সাংস্কৃতিক বন্ধন চায় জাপান
বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ঐতিহ্যবাহী জাপানি শিল্পকলা ইকেবানার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে সাংস্কৃতিক বন্ধনে সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
শুক্রবার বাংলাদেশ ইকেবানা অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি ইকেবানা বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীদের পছন্দ হবে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপানের ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রবল আগ্রহ রয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু বাংলাদেশিদের একটি বড় অর্জন: অস্ট্রেলীয় রাষ্ট্রদূত
তিনি বিআইএকে জাপানি সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে দু’দেশের বন্ধুত্বকে আরও উন্নত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত নাওকি বলেন, আমি আশা করি বিআই এর কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি পাবে।
১৯৭৩ সালের অক্টোবরে শান্তিনগরে জাপান দূতাবাসের প্রাঙ্গণে বিআইএ নামে পরিচিত ইকেবানা স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে বিআইএ এর উদ্যোগগুলো বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও শিল্প জগতে গভীর প্রভাব রাখবে।
আরও পড়ুন: দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যার্তদের সহায়তায় জরুরি ত্রাণ দেবে যুক্তরাষ্ট্র: রাষ্ট্রদূত
উন্নত দেশে পরিণত হতে জাপানের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার রূপকল্প বাস্তবায়নে জাপান ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে জাপান ও জাইকা আমাদের সঙ্গে থাকবে।’
বাংলাদেশ ও জাইকার মধ্যে সহযোগিতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠান উপলক্ষে বৃহস্পতিবার প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দক্ষিণাঞ্চল আর অবহেলিত থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ২০২৬ সালে একটি উন্নয়নশীল দেশে স্নাতক হওয়ার স্বীকৃতি পেয়েছে।
২০১৪ সালে জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, উভয় দেশ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে।
শেখ হাসিনা বলেন, “বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করতে আমরা ‘জাপান-বাংলাদেশ সমন্বিত অংশীদারিত্ব’ চালু করেছি। আমাদের ব্যাপক অংশীদারিত্ব এখন অদূর ভবিষ্যতে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত হওয়ার জন্য প্রস্তুত।”
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও জাপান সেই মূল্যবোধ ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে সম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং এগিয়ে চলেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি আন্তরিকতা, বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রধান মানদণ্ড।’
আরও পড়ুন: মেগা প্রকল্প অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় থেকে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধে জাপান ও দেশটির জনগণের অমূল্য সমর্থন ও অবদানের জন্য আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে টোকিওতে তার প্রথম সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জাপানের সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্বীকার করি যে জাপান আমাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু ও একক বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী।’
বাংলাদেশে গতবারের চেয়ে ভালো নির্বাচন প্রত্যাশা করে জাপান
গত জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় এবার বাংলাদেশে একটি ভালো নির্বাচন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ এর কথা ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমি সরকারের কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ লক্ষ করেছি…। তাই ৫০ বছর পর প্রথমবারের মতো একটি নতুন আইন প্রণয়ন হলো। আমি মনে করি এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।’
জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী বছরের শেষের দিকে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও গণমাধ্যম প্রায় প্রতিদিনই নির্বাচনী বিষয় নিয়ে কথা বলছে এবং সংবাদ প্রচার করছে।
আরও পড়ুন: জাপানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পাচ্ছেন আবুল কালাম আজাদ
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রদূত।
ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন।
রাষ্ট্রদূত নাওকি বলেন, তার প্রত্যাশা গত জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় একটি ভালো, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এখন থেকে আগামী বছরের শেষ পর্যন্ত আরও কিছু ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তাকে বলেছেন বাংলাদেশে এবার তুলনামূলক ভালো, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে-এমনটা প্রত্যাশা করে জাপান। ‘আমি সরকারের কাছে এ দাবি উত্থাপন অব্যাহত রাখব।’
তিনি বলেন, আপনারা শুনে অবাক হবেন ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনের পরপররই জাপান দূতাবাস কিছু উদ্বেগ জানিয়ে একটি বিবৃতি দেয়। এর মূল বিষয় ছিল- নির্বাচনকে ঘিরে যে সহিংসতা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে জাপানি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি মনে করি তুলনামূলক ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য গণমাধ্যমের জন্য জায়গা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। গণমাধ্যমের ভূমিকা ছোট করে দেখা উচিত নয়।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ কিছু বিধি-বিধানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগামী বছর নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমের জন্য জায়গা থাকবে বলে আমি আশাবাদী।’
কম্বাইন হারভেস্টার তৈরির আগ্রহ জানিয়েছে ইয়ানমার ও এসিআই মটর্স
জাপানের কৃষিযন্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইয়ানমার বাংলাদেশে ধান কাটার যন্ত্র বা কম্বাইন হারভেস্টার তৈরির কারখানা স্থাপনের আগ্রহ জানিয়েছে। দেশের এসিআই মটর্সের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এ কারখানা স্থাপন করবে ইয়ানমার।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে ইয়ানমারের আন্তর্জাতিক বিজনেস হেড সোগো ডেটের নেতৃত্বে ইয়ানমার ও এসিআই মটর্সের প্রতিনিধিদলের বৈঠকে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রতিনিধিদল জানান, দেশে ইয়ানমার ব্র্যান্ডের কম্বাইন হারভেস্টার অনেক জনপ্রিয় ও চাহিদাও বেশি। এটিকে বিবেচনায় নিয়ে স্থানীয়ভাবে কম্বাইন হারভেস্টার তৈরি ও সংযোজন করার উদ্যোগ নিয়েছে ইয়ানমার ও এসিআই মটর্স। ২০২৪ সালের শুরুতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদনে যাওয়ার প্রাথমিক পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান আন্তর্জাতিক বিজনেস হেড সোগো ডেট।
আরও পড়ুন: হাওরের ৪১ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে কৃষি শ্রমিকের ঘাটতি দিন দিন প্রকট হচ্ছে। এ মুহূর্তে বোরো ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া সনাতন পদ্ধতির কৃষিতে ফসল উৎপাদনে খরচ অনেক বেশি ও সময় সাপেক্ষ। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে কাজ করছে। সারাদেশে ৫০ শতাংশ ও হাওর-উপকূলীয় এলাকায় ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদেরকে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্র তৈরি ও সংযোজনে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছি। ইয়ানমারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনে ইয়ানমারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: দেশে খাদ্য সংকট নেই, বিএনপি কোরাস গেয়ে চলেছে: কৃষিমন্ত্রী
বৈঠকে ইয়ানমারের আন্তর্জাতিক বিজনেস প্রতিনিধি ইতো সান, আন্তর্জাতিক সার্ভিস প্রতিনিধি মিৎসুমি সান, এসিআই মটর্সের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জাপানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পাচ্ছেন আবুল কালাম আজাদ
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ জাপান সরকারের ‘অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান, গোল্ড অ্যান্ড সিলভার স্টারস’ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান জাপানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার।
জাপানের সম্রাট দীর্ঘমেয়াদে বিশেষত মেধাবী সেবার স্বীকৃতিস্বরূপ যোগ্য ব্যক্তিদেরকে দ্য অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান পুরস্কারে ভূষিত করেন।
শুক্রবার ঢাকার জাপান দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপান সরকার জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের আজীবন অবদানের স্বীকৃতি দিচ্ছে।
আগামী ১০ মে জাপানের ইম্পেরিয়াল প্রাসাদে দেশটির সম্রাট এই পুরস্কার তুলে দেবেন।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় আবুল কালাম আজাদ বিদ্যুৎ খাতে মাস্টার প্ল্যান ২০১০ প্রণয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশে জাইকার কর্মসূচিতে সহায়তা করেন।
তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত জাপানের সেক্রেটারি এমইটিআই এর সাথে বাংলাদেশ-জাপানের সরকারি-বেসরকারি যৌথ অর্থনৈতিক সংলাপের (পিপিইডি) সহ-সভাপতি ছিলেন।
এ সময় টোকিও ও ঢাকায় অনুষ্ঠিত একাধিক বৈঠকে বাংলাদেশ ও জাপানের পিপিইডি সরকারি ও বেসরকারি খাতের নেতারা যোগ দেন।
তার নেতৃত্বের কারণে পিপিইডি সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জাপান বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
মহেশখালী মাতারবাড়ী ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভে (এমআইডিআই) আজাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
২০১৮ সালে এমআইডিআই গঠিত হওয়ার পর এমআইডিআই-এর চেয়ারম্যান হিসেবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গভীর-সমুদ্র বন্দর এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলে জাপানের আরও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
তিনি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার জাপানিজ ইকোনমিক জোন বাস্তবায়নে ঘনিষ্ঠভাবে নেতৃত্ব দেন।
আজাদ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব এবং পরবর্তীতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, মুখ্য সচিব এবং পরে, প্রধান এসডিজি সমন্বয়কারী হিসেবে তার ভূমিকায় বাংলাদেশের ঐতিহাসিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবদান রাখেন।
বর্তমানে, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বায়োডাইভারসিটি বিষয়ক গ্লোবাল কমিশনের কমিশনার এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নিযুক্ত ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম প্রেসিডেন্সির বিশেষ দূত হিসেবে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সচেতনতার পক্ষে কথা বলছেন।
পড়ুন: ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে জাপানি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের সহায়ক: জাপান
পানি সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যৌথ পদক্ষেপের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
পানি সম্পর্কিত অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভালো অনুশীলন, জ্ঞান ও প্রযুক্তি ভাগ করে নিতে শক্তি একত্রিত করতে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার জাপানের কুমামোটোতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ এশিয়া-প্যাসিফিক ওয়াটার সামিটে প্রদর্শিত একটি ভিডিও বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান তিনি।
আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর পানি ব্যবস্থাপনার জন্য অববাহিকা ভিত্তিক পদ্ধতির প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালনসহ আঞ্চলিক বা উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতাকে গুরুত্ব দিই।’
তিনি বলেন, আজকের মানুষ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পানি সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পূরণে দায়বদ্ধ। এর মধ্যে পানি সম্পর্কিত এসডিজিও রয়েছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমাদের তরুণদের অবশ্যই ক্ষমতায়ন করতে হবে যাতে তারা পানির অন্তর্ভুক্তি, দক্ষতা ও স্থায়িত্বের জন্য দায়িত্বশীল অংশগ্রহণকারী হতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পানি জীবনের জন্য অত্যাবশ্যক এবং এটি টেকসই উন্নয়ন ও শান্তির সংস্কৃতি প্রচারের জন্য মৌলিক।
তিনি বলেন, “চলমান কোভিড-১৯ মহামারি থেকে ‘ভালোভাবে ফিরে আসার’ জন্য আমাদের সঠিক পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।’
২০১৬ সালে তিনি পানি সম্পর্কিত জাতিসংঘের উচ্চ-স্তরের প্যানেলের সদস্য ছিলেন যেটি একটি ‘কল টু অ্যাকশন’ গ্রহণ করেছিল বলেও স্মরণ করেন তিনি।
আগামী বছরের ওয়াটার অ্যাকশন দশকের মধ্য-মেয়াদী পর্যালোচনা আমাদের অ্যাকশন এজেন্ডা বাস্তবায়নে একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করবে। কুমামোটো ঘোষণা সেই প্রক্রিয়ায় একটি কার্যকর অবদান হবে বলেও যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশে, তিনি বলেন, সরকার পানি ব্যবস্থাপনায় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, পুরো সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে যেখানে এর ৮৫ শতাংশেরও বেশি মানুষের নিরাপদ পানীয় পানি এবং উন্নত স্যানিটেশন সুবিধার প্রবেশ রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা খোলামেলা মলত্যাগের বিষয় প্রায় শেষ করে ফেলেছি। পানিবাহিত রোগের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই একটি নিরন্তর প্রচেষ্টা। আগামী মাস থেকে আমরা রাজধানীতে ২৩ লাখ কলেরা টিকা প্রদান করবো।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পানি সংক্রান্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশকে ‘রোল মডেল’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তিনি উল্লেখ করেন যে বন্যার বাঁধ, সাইক্লোন শেল্টার, উপকূলীয় পোল্ডার, গ্রিন বেল্ট, ভাসমান কৃষি, নদী খনন, শহুরে ঝড়ের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় বিনিয়োগ বাংলাদেশের সহনশীলতা বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমরা পূর্ব সতর্কতা ব্যবস্থা এবং গোষ্ঠী ভিত্তিক হস্তক্ষেপের বিকাশ থেকে উপকৃত হয়েছি। আমাদের প্লাবনভূমি ব্যবস্থাপনার লক্ষ্য পানির প্রাপ্যতার ঋতুগত বৈচিত্র্য পরিচালনা করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি সহনশীল ও সমৃদ্ধ ব-দ্বীপের দিকে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, সরকার পরিকল্পনার আওতায় প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সম্পদ সংগ্রহের জন্য আগামী মাসে একটি আন্তর্জাতিক অর্থায়ন সম্মেলনের আয়োজন করছে।
জলবায়ু পরিবর্তন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক প্রভাব সম্পর্কে বাংলাদেশ সচেতন।
জাপানের কুমামোটো সিটি ও এশিয়া-প্যাসিফিক ওয়াটার ফোরাম (এপিডব্লিউএফ) যৌথভাবে ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য পানি- সর্বোত্তম অনুশীলন ও পরবর্তী প্রজন্ম’ শীর্ষক এই সামিটের আয়োজন করে।