হত্যা
পরীমণির দায়ের করা মামলায় চার্জশিট দাখিল
ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাভার থানায় চিত্রনায়িকা পরীমণির দায়ের করা মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।
সোমবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার পরিদর্শক মো. কামাল হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত অপর আসামি হলেন শাহ শহিদুল আলম।
এ বছরের ১৩ জুন রাতে ফেসবুক পোস্টে পরীমণি অভিযোগ করেন, ৯ জুন উত্তরার বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালান ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় তিনি সাভার থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: মুক্তি পেয়ে কী বার্তা দিলেন পরীমণি
পরীমণির মামলা দায়েরের পর উত্তরায় তুহিন সিদ্দিকী অমির বাসায় অভিযান চালিয়ে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। অমির বাসায় তল্লাশি চালিয়ে এক হাজার পিস ইয়াবা, বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করা হয়।
এরপর ১৪ জুন রাত ১২টা ৫ মিনিটে ডিবির গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার সিকদার বাদী হয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় নাসির, অমিসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: পরিমণির মামলায় জামিন পেলেন নাসির-অমি
মাদকের মামলায় কয়েক দফা রিমান্ড শেষে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
সিনহা হত্যা মামলা: সাক্ষ্য দিলেন আরেক প্রত্যক্ষদর্শী সিএনজি চালক কামাল
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণের দ্বিতীয় দিনে সোমবার চতুর্থ স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে। সাক্ষ্য দিয়েছেন ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী সিএনজি চালক কামাল হোসেন। পরে তাকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। পুলিশের গুলিতে সিনহা নিহতের সময় তিনি ঘটনাস্থলের কাছেই ছিলেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এ সাক্ষ্যগ্রহণ চলে।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলা: দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
এর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়ে পুলিশের প্রিজনভ্যানে করে মামলার ১৫ আসামিকে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর ৬ সাক্ষীকে নোটিশ দেয়া হয়েছিল।
তাদের মধ্যে যারা সোমবার ৬ সেপ্টেম্বর হাজির হয়েছে তাদের পর্যায়ক্রমে আদালতে উপস্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে চতুর্থ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। ৭ সেপ্টেম্বর পঞ্চম সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলা : ২য় দিনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী রানা দাশ গুপ্ত বলেছেন, আজ যিনি সাক্ষী দিয়েছেন তিনি যে সিএনজি চালক তার কোন প্রমাণ নেই। আদালতকে তিনি যা বলছেন তা এর আগে তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেননি।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিনদিনে মামলার বাদী মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস ও ঘটনার সময় সিনহার সাথে থাকা সাবেক সহকর্মী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল। গত রোববার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন এই হত্যা মামলার ৩ নম্বর সাক্ষী মোহাম্মদ আলী।
গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা: ৩ আসামির জামিন আবেদন খারিজ
এ ঘটনায় গত বছর ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয় র্যাবকে। ঘটনার ছয় দিন পর ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ সাত পুলিশ সদস্য আত্মসমপর্ণ করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন। পরে র্যাব পুলিশের দায়ের মামলার তিন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টে দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এর তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে। সর্বশেষ গত ২৪ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেব।
গত বছর ১৩ ডিসেম্বর র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারি পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
গত ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে।
সারিয়াকান্দিতে ছোটভাই হত্যায় অভিযুক্ত বড় ভাইয়ের মুক্তি
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ছোটভাই হত্যায় অভিযুক্ত বড় ভাইকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৮ বছরের শিশু হত্যার দায় তারই বড় ভাই ১২ বছর বয়সী আরেক শিশু সৌরভের ঘাড়ে চাপানোয় সারিয়াকান্দি থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) নয়ন কুমার কোনো মামলার তদন্তের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ ও শিশু হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, সাজা কমিয়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন
এই হত্যা মামলার যথার্থতা ও আইনি দিক পর্যালোচনার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে করা আবেদন বিচারাধীন থাকা পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে উল্লেখ করে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দিয়েছেন। সেই সাথে মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা (উপপরিদর্শক, পিবিআই বগুড়া) মো. মনসুর আলীকে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর এই মামলার মেডিকেল রিপোর্ট, নতুন নেয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দি ও আদালতের আদেশের ফটোকপি দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
আরও পড়ুন: ছোটমণি নিবাসে শিশু হত্যা: তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি
গত ১১ জুন ‘বিয়ারিং দ্য আনবিয়ারেবল’ শিরোনামে একটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এই মামলায় শিশু আদালতের কার্যক্রম চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ আইনজীবী হাইকোর্টে আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ আগস্ট হাইকোর্ট এক আদেশে সংশ্লিষ্ট মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা সারিয়াকান্দি থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক বর্তমানে নাটোরে সিআইডির পরিদর্শক নয়ন কুমার এবং বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়ার পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক মো. মনসুর আলীকে মামলার নথি (সিডি) নিয়ে হাজির হতে বলেন। ওই আদেশে তারা গত ২২ আগস্ট হাইকোর্টে হাজির হন।
এরমধ্যে নয়ন কুমার লিখিত আবেদন দিয়ে তদন্তে ভুলের জন্য আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। এরপর আদালত এবিষয়ে শুনানির জন্য ৬ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন। এইদিন নয়ন কুমারকে আদালতে উপস্থিত হতে বলা হয়। তবে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা মো. মনসুর আলীকে আদালতে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: মুক্তিপণ না পেয়ে শিশু হত্যার অভিযোগে ২ কিশোর আটক
ওইদিন শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, ভাইকে হত্যার অভিযোগে ১২ বছর বয়সী ভাইয়ের কাছ থেকে ‘স্বীকারোক্তি’ নিয়ে সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা ‘অবেহলা নয়, অপরাধ করেছেন।’ আজ শুনানির একপর্যায়ে সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা নয়ন কুমার প্রসঙ্গে আদালত বলেছেন, ‘ডিপার্টমেন্টাল প্রসেডিংস এখানে বিষয় না। হি হ্যাস কমিটেড ক্রাইম’। তার অপরাধ অবহেলাজনিত নয়।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৫ আগস্ট ৮ বছরের শিশুর লাশ উদ্ধারের একদিন পর বগুড়ার সারিয়াকান্দি থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা মহিদুল ইসলাম। স্থানীয় থানা পুলিশ ওই বছরের ২৯ নভেম্বর বাদীর ১২ বছরের ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন ৩০ নভেম্বর বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় তাকে। সেখানেই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সে। বাবা-মা ছোট ভাইকে তার চেয়ে বেশি ভালোবাসায় তাকে খুন করেছে বলে ম্যাজিস্ট্রেটকে জানায় বড় ছেলে। পরে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার কারণে। কিন্তু সন্দেহভাজন হিসেবে প্রতিটি শুনানিতেই আদালতে উপস্থিত থাকতে হয়েছে ওই শিশুকে।
মহিতুলের অভিযোগ, ‘খুনীরা প্রভাবশালী। পুলিশ তাদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে স্বীকারোক্তি দিতে বড় ছেলেকে বাধ্য করেছে।’ পরে প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা নয়ন কুমার বড় ভাইকে একমাত্র আসামি দেখিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। কিন্তু মহিদুল ইসলাম এতে নারাজি দিলে ২০১৭ সালে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয় আদালত। পিবিআই চারবছর ধরে তদন্ত শেষে বড় ছেলেকে নির্দোষ হিসেবে চিহ্নিত করে। এছাড়া হত্যার ঘটনায় অন্য দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। এ অবস্থায় এসআই মনসুর আলী ১২ বছর বয়সী বড়ভাইকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মুনিয়ার মৃত্যু: বসুন্ধরার এমডিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা
রাজধানীর গুলশান এলাকায় কলেজ ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার আত্মহত্যার ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ আটজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান তানিয়া ঢাকার ৮ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন।
অন্য সাত আসামি হলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শাহ আলম; শাহ আলমের স্ত্রী আফরোজা বেগম; আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা সায়েম; ফারিয়া মাহবুব পিয়াশা; সাইফা রহমান মিম; ফ্ল্যাটের বাড়িওয়ালা ইব্রাহিম আহমেদ রিপন এবং তার স্ত্রী শরমিম আক্তার।
বিচারক মাফরোজা পারভিন অভিযোগকারী তানিয়ার বক্তব্য রেকর্ড করেন। শুনানি শেষে বিচারক পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) সাত কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেন।
এর আগে ১৯ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে মুনিয়ার আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।
আরও পড়ুন: মুনিয়া আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা: আনভীরকে অব্যাহতি
১৯ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান আনভীরের মুক্তি চেয়ে আদালতে একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তার জমা দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মুনিয়ার আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীর দোষী সাব্যস্ত হননি এবং তার নাম বাদ দেয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
গত ২৬ এপ্রিল রাতে গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া বাদী হয়ে সেই রাতেই বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: মুনিয়া আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বোনের নারাজি
গুলশানে তরুণী নিহত: বসুন্ধরার এমডির বিরুদ্ধে মামলা
কুমিল্লায় স্বামী স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা
কুমিল্লার সদর উপজেলায় স্বামী স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের সুবর্ণপুর এলাকায় মীর বাড়িতে রবিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সুবর্ণপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী সফুরা বেগম।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা: চেম্বার আদালতে ৩ আসামির জামিন স্থগিত
জানা গেছে, রবিবার রাতে বৃষ্টি চলাকালীন সময় সাত থেকে আটজন দুর্বৃত্ত তাদের ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় তাদের হাত পা বেঁধে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের খোঁজ করে। কাগজপত্র না দেয়ায় তাদের শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তাৎক্ষণিকভাবে হামলাকারীদের পরিচয় জানতে পারেনি তাদের পরিবার।
এই বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক কমল কৃষ্ণ ধর জানান, শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলা: দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষ মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
রিফাত হত্যা মামলার আসামি মুসা বন্ড গ্রেপ্তার
বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার এজাহার ও চার্জশিটভুক্ত আসামি মুছা বন্ডকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১১ টায় বরগুনার মাছ বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মুসা বরগুনা পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের ধানসিঁড়ি এলাকার কামাল খানের ছেলে।
রিফাত হত্যা মামলা থেকে খালাস পেলেও মুসা বন্ডের বিরুদ্ধে বরগুনা সদর থানায় পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রিফাত হত্যা: মিন্নিসহ ২ জনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ
রিফাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়া ওই মামলার এজাহারভুক্ত এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ডের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন মুছা। এছাড়াও তিনি বন্ড বাহিনীর একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। রিফাত হত্যা হওয়ার পর থেকেই মুসা ভারতসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করেছিলেন।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম তারিকুল ইসলাম বলেন, রিফাত হত্যাকাণ্ডের পর মুসা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। এ মামলার বিচার কাজ চলাকালীন পর্যন্ত তিনি ভারতে পালিয়ে ছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডের আগে মারামারিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মুসার বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় চারটি মামলা দায়ের হয়। সেসব মামলায় মুসার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
আরও পড়ুন: রিফাত হত্যা: ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামি বরিশাল কারাগারে
তিনি আরও বলেন, রিফাত হত্যা মামলায় মুসা বেকসুর খালাস পেলেও এ মামলা চলাকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। কিন্তু মামলায় তিনি খালাস পাওয়ার পরও সেই সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র বরগুনা থানায় আসেনি তাই তাকে এ মামলাসহ অন্য চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
আগামীকাল শনিবার মুসাকে বরগুনার আদালতে হাজির করা হবে বলেও জানান ওসি ।
আরও পড়ুন: রিফাত হত্যাকাণ্ড: স্ত্রী মিন্নিসহ ৬ জনের ফাঁসি
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের ৭ বিচারপতি বিব্রতবোধ করেছিলেন: আইনমন্ত্রী
আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আইনের শাসনের প্রতি আজীবন শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। জনগণের পক্ষে কথা বলার জন্য তিনি প্রায় ১৩ বছর জেল খেটেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। অথচ এদেশের মাটিতে, এদেশেরই কিছু কুলাঙ্গার তাঁকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে। আরও আশ্চর্যজনক বিষয়- এ হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্সে জন্য উচ্চ আদালতে গেলে হাইকোর্টের সাতজন বিচারতি বিব্রতবোধ করে এ মামলার শুনানি করতে অপারগতা প্রকাশ করেছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আয়োজিত এক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রমাণ করতে হবে জিয়াউর রহমান প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা: আইনমন্ত্রী
আনিসুল হক বলেন, জিয়াউর রহমান যদি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হতেন তাহলে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত না করে বাতিল করতেন এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান তা না করে খুনিদের বিদেশি মিশনে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছেন। আর এরশাদ খুনিদের ফ্রিডম পার্টি গঠনের অনুমতি দেন। খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিনা ভোটে নির্বাচন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিকে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার আসনে বসান। জগগণের মুখে চপেটাঘাত করার জন্য এসব করা হয়।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্টের ইতিহাস ভুলে গেলে বাঙালি পথভ্রষ্ট হবে: আইনমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু বন্দুকের নল দেখিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন না উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজনীতি করে জনগণকে নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করেছেন এবং অধিকার আদায়ের পদ্ধতি শিখিয়েছেন। এরপর জনগণ যখন তাঁকে মেন্ডেট দিয়েছেন তখনই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এবং বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রয়োজনে যা কিছু প্রয়োজন বঙ্গবন্ধু তা করে দিয়েছেন। আজকে বাংলাদেশ যে আইনি কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে আছে তা বঙ্গবন্ধুর তৈরি করে দেয়া। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ২১ বছর এই আইনি কাঠামো পাল্টে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
আনিসুল হক আরও বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও রাস্তায় ঘোরাফেরা করছে। এদের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে নিরপেক্ষ কমিশন: আইনমন্ত্রী
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন আমরা বাঙালি। তিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, সংবিধান দিয়েছেন। বিনিময়ে আমরা তাঁকে হত্যা করেছি। আমরা এ কলঙ্ক কোনদিন মোচন করতে পারবে না।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবর, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহীদুল আলম ঝিনুক, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা ও যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম, ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. গোলাম কিবরিয়া বঙ্গবন্ধুর জীবন আলেখ্য নিয়ে আলোচনা করেন।
ফতুল্লায় ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
নারায়ণগঞ্জরে ফতুল্লায় অজ্ঞাত র্দুবৃত্তদরে ছুরিকাঘাতে লিটন নামে এক যুবক খুন হয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার রাত সোয়া ১০টায় ফতুল্লা খান সাহেব ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষর্দশীরা জানান, লিটন (২৭) স্টেডিয়ামের কাছে সুপার স্টার বাল্ব কারখানায় শনিবার সকালে কাজে যোগ দেয়। সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা র্পযন্ত কাজ করে। কাজ শেষে কারখানা থেকে বের হয়ে বাড়ি ফেরার পথে রাত সোয়া ১০টায় স্টেডিয়ামের সামনরে সড়কে ৫ থেকে ৬ জন যুবক লটিনকে ছুরিকাঘাত করে কাঠেরপুলের দিকে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: মাদকাসক্ত যুবকের ছুরিকাঘাতে রিহ্যাব কর্মীর মৃত্যু
প্রত্যক্ষর্দশীদরে মধ্যে মোহন নামে এক রাজমিস্ত্রী লিটনরে পরচিয় নশ্চিতি করে বলনে, লিটন হবগিঞ্জ জেলার আজমীরি থানার পাহাড়পুর গ্রামরে গৌরমনরি ছেলে।
তিনি আরও বলনে, লিটনরে গ্রামের বাড়ি ও তার বাড়ি পাশাপাশি। সকালে লিটনের সঙ্গে তার দখো হয় এবং আজই কাজে যোগদান করেছে বলে মোহনকে লিটন জানিয়েছিল।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের এসআই নিহত
ফতুল্লা মডলে থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তরে জন্য শহররে ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকান্ডরে রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারীদরে শনাক্তরে চেষ্টা চলছে।
হত্যাকে কেন্দ্র করে মাগুরায় ১৮ বাড়িতে তাণ্ডব
মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার বানিয়াবহ গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৯ জুন এক যুবক খুনের শিকার হয়। ওই খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আসামি পক্ষের ১৮ বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিবারগুলো এখন ভিটে ছাড়া হয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত ২৯ জুন জমি নিয়ে বিরোধের জেরে খুন হন মাহফুজার মোল্লা। এরপর মামলা হয়। পুলিশ কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
বাকি পলাতক আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর আসামিদের বাড়িুগলো পুরুষশুণ্য হয়ে পড়লে ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে চলে যান মহিলারা। এই সুযোগ নিয়ে তাদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও ঘরগুলো গায়েব করে দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আ’লীগ নেতার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
মামলার আসামি কদম আলীর স্ত্রী পারভীন বেগম বলেন, ‘আমার বাড়িতে চারটি পাকা ও হাফ পাকা ঘর ছিল। বাদীর লোকজন এই হত্যার পর বিভিন্ন সময়ে আমার বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তারা আমার প্রায় ১৭ লাখ টাকার বেশি সম্পদ চুরি ও ক্ষতি করেছে। এ নিয়ে আমি ১৮ জুলাই মোকাম মাগুরার বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা করেছি।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, হত্যা মামলার একজন আসামি নায়েব আলীর স্ত্রী সেলিনা বেগমও একই আদালতে একটি ভাঙচুর মামলা করেন। মামলার ৩৮ দিনের মাথায় পারভীন বেগমের এখন ঘর বলতে কিছুই নেই। ঘরের জায়গায় এখন কিছুই নেই।
একই অবস্থা সবুজ মোল্লারও। তার শুধু ঘরের মাটির ডোয়া ছাড়া আর কিছুই দেখা যায়নি।
স্থানীয় সালেহা বেগম জানান, কিছু অসৎ লোক রাত গভীর হলেই আসামিদের বাড়িতে এসে ভাঙচুর চালায়।
জামিনে বের হয়ে আসা হত্যা মামলার আসামি হোসেন মোল্লার অভিযোগ, গত কয়েকদিনে মুজিব মোল্লা, নাজির মোল্লা, আউয়াল মোল্লা, আকবর মোল্লাসহ মামলার কয়েকজন আসামির বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রায়ই ভাঙচুর করা হচ্ছে। বাড়িঘর গায়েব করে দিচ্ছে। তারা ভিটে থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: মধুখালীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের পিলার ভাঙচুর
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, নতুন করে ভাঙচুরের কোনও সত্যতা পাইনি। পুরনো ভাঙচুরের মামলা তদন্ততাধীস আছে। এছাড়া কয়েকটি আসামির পরিবারকে তাদের বাড়িতে উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এরপরও যদি অভিযোগ পাই তবে, আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯জুন জমি নিয়ে বিরোধের জেরে খুন হন মাহফুজার মোল্লা। এরপর মাহফুজার মোল্লার বাবা আফসার মোল্লা বাদী হয়ে গত ৩০ জুন ২১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ১৭ জন আসামি জেলে আছে। এক জন জামিন পেয়েছেন। পলাতক রয়েছে তিন জন।
লক্ষ্মীপুরে ৫০০ টাকার জন্য অটো চালককে পিটিয়ে ‘হত্যা’
লক্ষ্মীপুরে সড়ক মেরামতের অতিরিক্ত টাকা তোলা নিয়ে বিরোধে এক অটোরিকশা চালকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়নের আসমত আলী মসজিদের সামনে শুক্রবার বিকালে মারধরের এই ঘটনা ঘটে। নিহত সফিক মোল্লা স্থানীয় মজিদ মোল্লার ছেলে।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, স্থানীয় চর রমনী মোহন গ্রামের আসমত আলী সড়ক (কাঁচা) চলমান বর্ষায় বৃষ্টিতে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। সম্প্রতি তৌহিদ ও মমিনসহ কয়েকজন যুবক শ্রমিকদের দিয়ে ওই সড়ক মেরামত করে। এরপর ওই সড়কে চলাচলকৃত যানবাহন থেকে ১০০ টাকা করে তুলতে থাকেন তারা।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
শুক্রবার বিকালে অটোরিকশা চালক সফিক ও মিন্টু নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী যাত্রী নিয়ে ওই সড়ক দিয়ে যায়। এসময় দু’জনের কাছে ২০০ টাকা চাইলে তারা ১০০ টাকা দেন।
পরে সন্ধ্যায় সেই অটোরিকশা চালক ফেরার পথে তারা আবারও তাকে আটকিয়ে ৫০০ টাকা দাবি করেনে। টাকা না দেয়ায় তৌহিদ ও মমিনসহ আট যুবক তাকে মারধর করে বলে জানা যায়। পরে আহত সফিক মোল্লা বাড়ি ফিরে কয়েকবার বমি করে মারা যান।
ঘটনার খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান ও সদর থানার ওসি জসীম উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
আরও পড়ুন: সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে দপ্তরে দপ্তরে ঘুরছে পরিবার
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান জানান, সড়ক সংস্কারের টাকা তোলা নিয়ে বিরোধে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছেয়। পরে অটোরিকশা চালক সফিক মারা যান। ঘটনার তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।