ছাত্রদল
ছাত্রদল নেতার মৃত্যু: ভোলায় চলছে বিএনপির হরতাল
ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদলের জেলা শাখার সভাপতি নুরে আলমের মৃত্যুর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করছে জেলা বিএনপি।
বিএনপির ভোলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির শোপান বলেন, সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ হরতাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে।
আজ সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও মিছিল করছে নেতা-কর্মীরা।
শহরের মহাজনট্টি সদর রোড, বিএনপির কার্যালয় এলাকায় সকাল থেকে অধিকাংশ দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রদল নেতার মৃত্যু: ভোলায় বৃহস্পতিবার হরতালের ডাক বিএনপির
হরতালের কারণে জেলার সড়কে যান চলাচল কম করতে দেখা গেছে। তবে ভোলা-চরফ্যাশন রুটে দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে।
এছাড়া যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শহরের প্রধান কয়েকটি স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
রবিবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নূরে আলম গুলিবিদ্ধ হন।
হুমায়ুন কবির জানান, ওই দিনই রাজধানীর কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে বুধবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে নূরে আলম মারা যান। তিনি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ: ঢাকায় ছাত্রদল নেতার মৃত্যু
চলমান লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিএনপির দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার ভোলায় জেলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন দলটির নেতাকর্মীরা।
এক পর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা কালীনাথ রায় বাজারে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
পরবর্তীতে পুলিশ গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম নিহত হন এবং দলের কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন।
ছাত্রদল নেতার মৃত্যু: ভোলায় বৃহস্পতিবার হরতালের ডাক বিএনপির
ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদলের জেলা শাখার সভাপতি নুরে আলমের মৃত্যুর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জেলা বিএনপি।
বিএনপির ভোলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোপান ইউএনবিকে বলেছেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলায় হরতাল পালিত হবে।
তিনি জানান, রবিবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নূরে আলম গুলিবিদ্ধ হন। ওই দিনই রাজধানীর কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে বুধবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে তিনি মারা যান। তিনি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ: ঢাকায় ছাত্রদল নেতার মৃত্যু
চলমান লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিএনপির দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার ভোলায় জেলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন দলটির নেতাকর্মীরা।
এক পর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা কালীনাথ রায় বাজারে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
পরবর্তীতে পুলিশ গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম নিহত হন এবং দলের কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন।
ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ: ঢাকায় ছাত্রদল নেতার মৃত্যু
ভোলায় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) এক নেতা বুধবার ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। এতে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দুই জনে দাঁড়িয়েছে।
নিহত নূরে আলম জেলা ছাত্রদলের সভাপতি।
জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির স্বপন জানান, রবিবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নূরে আলম গুলিবিদ্ধ হন। ওই দিনই রাজধানীর কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে বিকাল সোয়া ৩টার দিকে তিনি মারা যান। তিনি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
রবিবার সকালে সদর উপজেলার কালীনাথ রায়ের বাজারে জেলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশ করে এর নেতাকর্মীরা।
একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কালীনাথ রায়ের বাজারে বিক্ষোভ করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও গুলি বর্ষণ করে; যার ফলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এসময় একজন নিহত হয় এবং কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, এ ঘটনায় হত্যা মামলায় প্রায় ২৫০-৩০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে এবং পুলিশকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৩০০ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে অন্য একটি মামলা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০
ঢাবিতে সংঘর্ষ: ছাত্রদল সভাপতি-সম্পাদকসহ ৩৫ জনের আগাম জামিন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাদের পক্ষ থেকে শাহবাগ ও পল্টন থানায় করা পৃথক দৃই মামলায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ ৩৫ জনের ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদেরকে ওই সময়ের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তারা সশরীরে হাজির হয়ে আগাম জামিনের আবেদন জানালে গতকাল বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাদের আগাম জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
বুধবার আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মুহাম্মদ আলী। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ফজলুর রহমান, ব্যারিস্টার বদরোদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভুইয়া ও সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সম্রাটের জামিন বাতিলের আদেশ স্থগিত করেননি চেম্বার আদালত
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
এর আগে প্রথম দফায় গত ২২ মে এবং দ্বিতীয় দফায় গত ২৪ মে ছাত্রদল মিছিল নিয়ে ঢাবি ক্যাম্পাসে ঢুকতে চাইলে তাদের বাধা দেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। ছাত্রদল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের হামলায় তাদের অন্তত ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
পরবর্তীতে ২২ মে পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন থানায় এবং ২৭ মে দিবাগত রাতে ঢাবির শহীদুল্লাহ হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন। এসব মামলায় ছাত্রদলের বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা অনেককে আসামি করা হয়। মামলার অন্যতম আসামি করা হয়-ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব, ঢাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক আক্তার হোসেন এবং সদস্যসচিব মো. আমানুল্লাহ আমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নর্থ সাউথের জমি ক্রয়ে দুর্নীতি: চার ট্রাস্টির জামিন আবেদন খারিজ
জামিন আবেদন নামঞ্জুর: কারাগারে হাজী সেলিম
কুষ্টিয়ায় জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিবসহ আটক ৩
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব খন্দকার তসলিম উদ্দিন নিশাত, মিরপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান তুষার ও সদস্য সচিব ছাব্বির আহমেদকে আটক করেছে মিরপুর থানা পুলিশ। রবিবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার জিয়া সড়ক এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোজাক্কির রহমান রাব্বি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর পুলিশি হয়রানি ও দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মিরপুর উপজেলার জিয়া সড়ক এলাকা থেকে একটি মিছিল বের করলে পুলিশ সেখান থেকে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় ছাত্রদলের ১১জন নেতাকর্মীকে আটক করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
মিরপুর থানার (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, মিছিলের প্রস্তুতিকালে পুলিশ উপজেলার জিয়া সড়ক এলাকা থেকে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব খন্দকার তসলিম উদ্দিন নিশাতসহ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে আটক করেছে। আটকদের নামে থানায় আগেও একাধিক মামলা রয়েছে বলেও দাবি করেন ওসি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় এনএসআই এর ভূয়া এডি আটক
কুষ্টিয়ায় প্রেমিকের ওপর অভিমান করে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
ঢাবি ক্যাম্পাসে আসতে হলে ছাত্রদলকে ক্ষমা চাইতে হবে: ছাত্রলীগ সভাপতি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়ে করা অশালীন মন্তব্যের জন্য ছাত্রদলকে ক্ষমা চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে আসতে হবে বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।
তিনি বলেন, ‘তারা ক্ষমা না চাইলে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিহত করবে।’
গত ২৪ ও ২৬ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে রবিবার ঢাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন ছাত্রলীগ সভাপতি।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের ৩৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেত্রীর মামলা
ঢাবির বিভিন্ন আবাসিক হল, ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, বদরুন্নেসা কলেজ, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রলীগের বিভিন্ন শাখার নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন।
বিএনপি ও ছাত্রদলের দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘তারা এ দেশের ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত করেছে। বিএনপি বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, ছাত্রদের হাতে অস্ত্র দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে আহত না হলেও ছাত্রদলের অনেক কর্মী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এমনকি বাংলাদেশ ছাত্র শিবিরের সভাপতিকেও এই ঘটনায় ছাত্রদলের সঙ্গে একত্রিত হয়ে হাসপাতাল পরিদর্শন করতে দেখা গেছে।’
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ উসকানি দেয়নি, দিয়েছে ছাত্রদল: তথ্যমন্ত্রী
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা প্রেসক্লাবের সামনে তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে ধৃষ্টতার সীমা লঙ্ঘন করে বলেছে, ৭৫ এর হাতিয়ার দরকার হলে আবার তাদের হাতে গর্জে উঠবে। তাদের এই বক্তব্যে প্রমাণিত হয় যে ৭৫ এ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড হয়েছিল।
তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশে হত্যার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এ ধরণর অপচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করবে।
ছাত্রলীগের ৩৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেত্রীর মামলা
চুরি, মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তিলোত্তমা শিকদারসহ ৩৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মানসুরা আলম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
এর আগে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। শুনানি শেষে মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২৬ জুন শাহবাগ থানার ওসিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন-ছাত্রলীগের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক আল আমিন রহমান, সহ-সম্পাদক রাশেদ ফেরদৌস আকাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন, ঢাবির সামছুন নাহার হলের সভাপতি খাদিজা আক্তার উর্মি, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সামাদ আজাদ জুলফিকার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শামীম পারভেজ, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ হিল বারী, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. নাজির, খান মোহাম্মদ শিমুল, উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক শাহিন তালুকদার, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাবির জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের অভিজ্ঞান দাস অন্তু, অমর একুশে হলের সভাপতি এনায়েত এইচ মনন, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান সোহাগ, সহ-সভাপতি রাকিব হোসেন, বিজয় একাত্তর হলের মজিবুল বাশার, সলিমুল্লাহ হলের নাজিমুদ্দিন সাইমুন, চুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ ইমাম বাকের।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদলের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন: ফখরুল
ছাত্রলীগ কর্মী মাহমুদ চৌধুরী, শহিদুল্লাহ হলের সভাপতি শরীফ আহাম্মদ, এম রহমান হলের আব্দুর রাহিম, ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান পিকুল, এসএম হলের সায়েম, এফ রহমান হলের সভাপতি রিয়াজ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, ঢাবির সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ফারিয়াল, শহীদুল্লাহ্ হলের সাধারণ সম্পাদক মুনিম শাহরিয়ার, সূর্যসেন হলের নাহিদ সাদি, জগন্নাথ হলের ঐশিক শুভ্র ও সৌরভ চক্রবর্তীর নামও উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও মামলায় ছাত্রলীগের অজ্ঞাত ১০০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, পূর্বঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচি উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা দোয়েল চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে বের হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, বিভিন্ন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ এবং বিভিন্ন ইউনিটের সন্ত্রাসীরা ছাত্রদলের মিছিলে অতর্কিত হামলা শুরু করে। এক পর্যায়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে আশ্রয় নিলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। এ সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর তাদের হাতে থাকা লোহার রড, রাম দা, চাপাতি, বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করে এলোপাতাড়ি ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। হামলায় নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতারা। তাদের হামলায় প্রায় ৭০-৮০ নেতাকর্মী আহত হন।
উল্লেখ্য, গত রবিবার সন্ধ্যায় টিএসসির বাইরের চত্বরের পশ্চিম পাশে মানসুরা আলম ও জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রদলের কর্মী আতিক মুর্শেদসহ বেশ কয়েকজনকে পেটায় ছাত্রলীগ।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষে উত্তেজনা চরমে
জেসিডির নারী নেত্রীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা কাপুরুষোচিত: বিএনপি
ছাত্রলীগ উসকানি দেয়নি, দিয়েছে ছাত্রদল: তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে সম্প্রতি ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদল উসকানি দিয়েছে বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ উসকানি দেয়নি, দিয়েছে ছাত্রদল। যখন বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে চায় তখন তো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্ররা বাধা দেবে খুবই স্বাভাবিক।’
রবিবার দুপুর সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংকালে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক ও অপশক্তি দমনে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: তথ্যমন্ত্রী
গত ২৬ ও ২৪ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয় এবং সংঘর্ষকে ঘিরে ক্যাম্পাসে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ছাত্রদল যারা করে তাদের বয়স কত এখন। যারা ছাত্রদলের সভাপতি-সম্পাদক তারা কি ছাত্র? তাদের বয়স ৪০ এর কোঠায়। তারা তো ছাত্রের বাবা। ছাত্রের বাবারা যখন শিক্ষাঙ্গনে প্রবেশ করতে চায় তখন ছাত্ররা তো উত্তেজিত হবেই, সেটি খুব স্বাভাবিক। উসকানিটা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এসেছে। ছাত্রদের বাবা স্থানীয় যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের পক্ষ থেকে এসেছে।
খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেহেতু বেগম জিয়া মুক্ত আছেন, তিনি জেলখানায় থাকলে এই প্রশ্ন আসত না। তার দণ্ড স্থগিত করে যেহেতু বেগম জিয়াকে মুক্তভাবে জীবন যাপন করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। সুতরাং দেশে বিএনপির নেতৃত্বে বিশৃঙ্খলা তৈরি হলে এবং দেশে অগ্নিসন্ত্রাস নৈরাজ্যের মতো ঘটনা ঘটলে সেটার দায় দায়িত্ব বেগম জিয়ার ওপরও বর্তায়। তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর তো বর্তায় বটেই বেগম জিয়ার ওপরও বর্তায়। সেজন্যই প্রশ্ন এসেছে বেগম জিয়াকে এভাবে বাইরে রাখার প্রয়োজন আছে কি না। সেজন্যই অনেকে দাবি তুলেছে তাকে আবার কারাগারে পাঠানোর।
আরও পড়ুন: বিএনপির মুখে অর্থ পাচার নিয়ে কথা মানায় না: তথ্যমন্ত্রী
আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। সেতু আমরা করতে পারবো না বলে বিএনপির বেগম খালেদা জিয়া, ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আরও অনেকেই আস্ফালন করেছিল। এটির বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার বলতে দ্বিধা নেই এবং তার প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই ড. মোহ্ম্মদ ইউনূস সাহেব তিনিও পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছেন। সেখানে যাতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন না করে সেজন্য তার পক্ষ থেকে নানা অপতৎপরতা ছিল।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা চোর, যারা দেশকে পর পর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান বানিয়েছিল। তারা এসব কথা স্বাভাবিকভাবেই বলবে। কারণ তারা অন্যদেরও একই জায়গায় নেয়ার চেষ্টা করে।
সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে ছাত্রদলের ওপর হামলা হয়েছে: বিএনপি
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ ও যুবলীগের গুন্ডাদের দ্বারা ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে নির্মম হামলা এবং ছাত্রদলের নারী নেত্রীদের ওপর নিপীড়ন সম্বলিত ভিডিও ভাইরাল হয়েছে…আমরা বলতে চাই আওয়ামী লীগ এবং সরকারের সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশে অপরাধীরা এ ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে।’
ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে বক্তৃতায় বিএনপির এই নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের ‘নিষ্ঠুর’ হামলারও তীব্র নিন্দা জানান।
আরও পড়ুন: হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সহিংসতা: প্রধান বিচারপতি বিবৃতি না দেয়ায় ফখরুলের ক্ষোভ
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ ছাত্রলীগ নেতাদের সতর্ক করে বলেছেন, তাদের ঊর্ধ্বতনদের কু-পরামর্শে সহপাঠীদের ওপর হামলার অপকর্মে লিপ্ত হলে তাদের রেহাই দেয়া হবে না। আগামী দিনে জনগণের আদালতে আপনাদের অপকর্মের বিচার হবে।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের (ছাত্রলীগের সদস্যদের) সতর্ক করতে চাই যে আপনাদের সিনিয়র নেতাদের প্ররোচনায় নিজেদের জীবন নষ্ট করবেন না। জনসমর্থনের অভাবে সরকার ছাত্রদের সন্ত্রাসীতে পরিণত করছে এবং স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী স্টাইলে ক্ষমতায় আঁকড়ে ধরার জন্য তাদের ব্যবহার করছে।’
মোশাররফ বলেন, সরকারের নানা অপকর্মের জন্য দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ। ‘দেশে এখন গণতন্ত্রের অভাব রয়েছে; এখানে জনগণের ভোটাধিকার সহ কোনো অধিকার নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষও অসহায় হয়ে পড়েছে।’
ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, তাদের নানা অপকর্মের জন্য দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ‘দেশ ও বিদেশে সর্বত্র এই শাসকগোষ্ঠী সমর্থন শূন্য হয়ে গেছে। তাই এই সরকার ও শেখ হাসিনা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এটি একটি দুর্বল শাসন এবং এটি অপসারণের জন্য শুধুমাত্র একটি ধাক্কা প্রয়োজন।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল রাজপথে গণজাগরণ সৃষ্টি করে সরকারের পতন নিশ্চিত করবে। ‘আমাদের ছাত্রদল ঢাকায় রক্ত দিয়ে এই শাসকদলকে অপসারণের জন্য আন্দোলন শুরু করেছে।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর ৩০ হাজার কোটি টাকা কোথায়, প্রশ্ন আমীর খসরুর
ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ওপর হামলার পরিণতি শুভ হবে না: বিএনপি
ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ওপর হামলার পরিণতি শুভ হবে না: বিএনপি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার পরিণতি শুভ হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আজকে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের লাঠি দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে সমর্থন দিয়ে তাদের (ছাত্রলীগ) লেলিয়ে দিচ্ছেন, আপনারা (ক্ষমতাসীনরা) আপনাদের কথা চিন্তা করেন। যারা করছে তাদের পরিণতি কি হবে অতীতে আমাদেরকে কাছে বহু উদাহরণ রয়েছে। এর পরিণতি শুভ হবে না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর শাখা আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
সমাবেশে এই বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে তাদের কোনো সমর্থন নেই এবং দেশের জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। চারিদিকে তাদের পথ অবরুদ্ধ হওয়ায় এখন তাদের কোন উপায় নেই।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে সামনে রেখে যুবদলের নতুন কমিটি ঘোষণা বিএনপির
তিনি বলেন, জনসমর্থন ও পায়ের নিচের মাটি হারিয়ে গেলে কোনো দলই গুণ্ডামি ও সন্ত্রাসবাদের আশ্রয় নিয়ে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না।
খন্দকার মোশাররফ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিশ্বজিৎ ও আবরার ফাহাদের ওপর হামলার ঘটনায় তাদেরও একই পরিণতি ভোগ করতে হবে।
তিনি বলেন, ছাত্রদল ঢাবিতে তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচির মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য রাজপথে আন্দোলন করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘আমরা বলতে চাই ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা এদেশের জনগণের সন্তান। তাদের অভিভাবকরাও আপনাদের প্রতিরোধ করতে প্রস্তুত। যারা বিএনপি ও এর সকল সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত তারা সবাই ভাই বা অভিভাবক। সুতরাং, এই অভিভাবকদের কেউ অলস বসে থাকবে না।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, চলমান আন্দোলনকে সফল করতে সব গণতান্ত্রিক শক্তি ও দেশপ্রেমিক ঐক্যবদ্ধ হবে।
শ্রীলঙ্কার ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের পরিণতি এড়াতে তিনি অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানান।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। দেশের জনগণ নিজেদের হাতে (ব্যালট পেপারের মাধ্যমে) ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে।’
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদলের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন: ফখরুল
আ.লীগের `দুঃশাসন’ এর বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান ফখরুলের