ফরিদপুর
ফরিদপুরে করোনায় ২ জনের মৃত্যু
মহামারি করোনা ভাইরাসে ফরিদপুরে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৪ জনের।
ফরিদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, তুলনামূলকভাবে গত এক সপ্তাহে করোনা রোগী শনাক্তের ও মৃত্যের হার কিছুটা কমেছে। তবে গত ২৪ ঘন্টায় আরও দুই ব্যক্তির কোভিড়ে মারা গেছেন।
তিনি জানান, এই পর্যন্ত জেলায় করোনায় প্রাণ হানি হয়েছে ১৭৬ জন। আর মোট আক্রান্ত হয়েছে দশ হাজার ২৯০ জন।এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৯৬৮ জন। এ জেলায় করোনা আক্রান্তের হার ২১দশমিক ২২ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭১ ।
ফরিদপুর ও মাদারীপুরের কয়েকটি গ্রামে ঈদুল ফিতরের জামায়াত অনুষ্ঠিত
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ১৩ গ্রামে ও মাদারীপুর জেলার ২০ টি গ্রামে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র রোজা পালন শেষে ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় মাইটকুমড়া জামে মসজিদ, ১০টায় রাখালতলী জামে মসজিদ ও সহস্রাইল দায়রা শরীফে পবিত্র ঈদুল ফিতরের তিনটি জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।
মাদারীপুরেও বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় মাদারীপুর সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউিয়নের তাল্লুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটের কয়েকটি গ্রামে আজ ঈদ উদযাপন
জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের ১৩টি গ্রামের মানুষ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে পবিত্র রোজা পালন শুরু করে। তাই অন্য এলাকার একদিন আগে ওই ১৩ গ্রামের মানুষ আজ ঈদ উদযাপন করেছেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরার কয়েকটি গ্রাম আজ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে
বোয়ালমারীর শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইস্রাফিল মোল্যা জানান, উপজেলার শেখর ও রূপাপাত ইউনিয়নের ১৩ গ্রামের মানুষ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ও ১০টায় ঈদুল ফিতরের নামায আদায় করেছেন।
আরও পড়ুন: শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি, শুক্রবার ঈদুল ফিতর
তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ এই গ্রামগুলোর মানুষ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও দুইটি ঈদ উৎসব পালন করে আসছেন।
এদিকে সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যর সাথে মিল রেখে মাদারীপুর জেলার ২০ টি গ্রাম সুরেশ্বরের পীরের নির্দেশে ঈদ পালন করছে।
ফরিদপুরে ঘরে ঘরে পৌঁছে গেল প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার
মহামারী করোনার সংক্রমণ ও জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে অনেক মানুষকে এক জায়গায় জড়ো না করে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নিয়েছেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। তিনি ফরিদপুর সদর উপজেলা ও পৌরসভার চার হাজার মানুষের মাঝে তাদের ঘরে ঘরে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পৌঁছে দিতে শুরু করেছে।
জেলা প্রশাসনের ব্যতিক্রমী এই কাজে পৌরসভার মেয়র, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলররা, এনজিও কর্মী, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও সরকারি কর্মকর্তারা এগিয়ে এসেছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়ের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান
এব্যাপারে ফরিদপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দীপক কুমার রায় জানান, বর্ধিত পৌরসভার ২৭টি ওয়ার্ড থেকে সর্বাধিক দুস্থ ও অসহায় এবং কর্মহীন ২ হাজার ৮০০ জন এবং সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১ হাজার ২০০ জনসহ মোট ৪ হাজার জনের মাঝে এই ঈদ উপহার " প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত মানবিক সহায়তা কার্ড" এর মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণের সরাসরি তত্ত্বাবধানে উপকারভোগীদের নিকট পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, এই ঈদ উপহার এর প্রতিটি বস্তায় রয়েছে চাল ১০ কেজি, আলু পাঁচ কেজি, চিনি এক কেজি, সেমাই আধা কেজি, ডাল এক কেজি, এক লিটার দুধ।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসহায়দের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিলেন ইউএনও
অতুল সরকার বলেন, করোনায় এই দুর্যোগে শুধু ঈদ উপহারই নয়, আমরা রমজানে মাসব্যাপী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রতিদিন দুস্থদের মাঝে ইফতার বিতরণ, নির্বাচিত দুস্থ ও হতদরিদ্রদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মোট ৪৩ হাজার মানুষের মাঝে প্রতিজনকে ২,৫০০ টাকা। ভিজিএফ হিসেবে সমগ্র ফরিদপুর জেলায় ১ লাখ ৬ হাজার ৮৮১ জনের প্রতি জনকে ৪৫০ টাকা করে প্রদান, ৫০০ টাকা করে জেলার ৮১ টি ইউনিয়নে প্রতিটিতে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করে মোট ২ কোটি ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে এবং ৩৩৩ বা জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের হট লাইন নাম্বারের মাধ্যমে যখনই কোনো দুস্থ ও অসহায় মানুষের সহযোগিতার আবেদন পাওয়া যাচ্ছে তখনই জেলা প্রশাসনের কুইক রেসপন্স টিম এর মাধ্যমে তড়িৎ পদক্ষেপ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য সহায়তা দিল মালয়েশিয়া কমিউনিটি
সানজিদার স্বপ্নপূরণে সারথি মানবিক জেলা প্রশাসক অতুল সরকার
সানজিদা আক্তার দিনা ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। পরিবারে অসুস্থ মা আর বাবা রয়েছে। দুই বোনের মধ্যে সে ছোট। বড় বোনের বিয়ে হয়েছে কয়েক বছর আগে। পিতা গিয়াসউদ্দিন কর্মহীন গত ৯ মাস যাবৎ। এছাড়া পিতার বয়সও হয়েছে।
কর্মহীন পিতার পরিবারে অন্যকোনও উপার্জনক্ষম ব্যক্তি না থাকায় আত্মীয় স্বজনের সহায়তা আর মানুষের কাছ থেকে চেয়ে কোনও রকমে সংসার চলছিল। এরই মাঝে বহুকষ্টে সানজিদা আক্তার তার পড়ালেখা টিকিয়ে রেখেছিল। অসুস্থ মায়ের সেবা করতে করতে তার মনে একসময় একটা স্বপ্ন জাগে বড় হয়ে ডাক্তার হবার। পরিবারের অর্থনৈতিক দুরাবস্থার কথা চিন্তা করে, মনের ভেতরেই সে স্বপ্ন রেখে দেয় সানজিদা।
আরও পড়ুন: গণপরিবহন চলাচলে ফরিদপুরে পরিবহন শ্রমিকদের স্বস্তি
ছাত্রী হিসেবে মেধাবী সানজিদা আক্তার ফরিদপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। এরপর ২০২০ সালে সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পায়। পাশ করার পর শুরু হয় নতুন বিড়ম্বনার। সংসারই যেখানে চলে না, সেখানে তার উচ্চশিক্ষা দুঃসাধ্য।
তবুও থেমে থাকেনি সানজিদা। ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার জন্য বাড়িতে বসেই প্রস্তুতি নিতে থাকে। বহুকষ্টে কিছু অর্থ সংস্থান করে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দেয়। মনের সুপ্ত স্বপ্ন আর অর্থনৈতিক টানাপোড়েন, এরই মাঝে অসম্ভব সম্ভাবনার স্বপ্ন বাস্তব হিসেবে দেখা দেয় মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে। সানজিদা ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে চান্স পায়। কিন্তু বিধি বাম, ভর্তি এবং বইপুস্তক কেনার মত টাকা তার পরিবারের দেয়ার উপায় নাই।
আরও পড়ুন: করোনার মধ্যে ফরিদপুরে মার্কেটগুলোতে উপচে পড়া ভিড়
চরম দুচিন্তায় সময় যাচ্ছিল সানজিদার পরিবারের। এরই মাঝে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করতে বলেন এক পরিচিত ব্যক্তি। তার কথামত রবিবার (৯ মে) অসুস্থ্য বাবাকে নিয়ে জেলা প্রশাসকের বাসায় যায় সানজিদা। ভর্তি ও বই কেনার জন্য সাহায্যে আবেদন করে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার তার কথা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে ভর্তি, বই কেনা ও প্রাথমিক খরচের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা করেন। একই সাথে তার ভবিষ্যতে তাকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় সাংবাদিক গুরুতর আহত, ঢামেকে স্থানান্তর
জেলা প্রশাসকের তাৎক্ষণিক এই সেবায় আবেগ আপ্লুত সানজিদার বাবা গিয়াসউদ্দিন বলেন, কোন উপায় ছিল না। ভর্তির সময়ও খুব নেই। এই উপকার পেয়ে আমার মেয়ের জীবনটাই পাল্টে যাবে। ওর স্বপ্নপূরণে ডিসি স্যার যে সহযোগিতা করলেন, তার ঋণ কোন দিন শোধ হওয়ার নয়। ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে আমার মেয়েও প্রকৃত মেধাবীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সানজিদা বলেন, আমার স্বপ্নপূরণে সারথি হয়েছে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন। অতুল স্যার (জেলা প্রশাসক) যেভাবে আমাকে দ্রুততার সাথে সহায়তা করলেন আমি কোনদিন কল্পনাও করিনি কেউ এভাবে সাহায্য করবে।
তিনি বলেন, আমি ভর্তি হওয়ার চিন্তায় দুদিন যাবত অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। আজ থেকে আমার চিন্তা দূর হলো। আমি চেষ্টা করবো ডাক্তার হয়ে নিজেকে পরিপূর্ণভাবে মানুষের সেবায় নিয়োজিত করতে। আর আমার পথ প্রদর্শক হয়ে থাকবেন আজকের ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার স্যার।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, অর্থের অভাবে একটি মেধাবী শিক্ষার্থীর পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাবে এটা কখনো কাম্য নয়। সানজিদার ভর্তির জন্য আপাতত যে পরিমাণ অর্থের দরকার ছিল, তার বাবার হাতে তা তুলে দিয়েছি। প্রয়োজনে আরও সহায়তা দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো মেধাবী মুখ যেনও ঝরে পড়তে না পারে তার জন্য সবসময় প্রস্তুত রয়েছি। শিক্ষা প্রসারসহ যে কোনো মানবিক সহায়তা প্রদানে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন প্রস্তুত আছে এবং আগামীতেও থাকবে।’
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘সুশাসনে গড়ি, সোনার বাংলা’ এই স্লোগানকে সামনে রেখেই আমরা কাজ করছি। চেষ্টা করছি অসহায় মানুষের কথা শুনে তাদের সেবা দিতে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।’
ফরিদপুরে পুকুর খননের সময় বেরিয়ে এলো মানুষের কঙ্কাল
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় পুকুর খনন করতে গিয়ে মানুষের কঙ্কাল সন্ধানের খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার দুপুরে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে হোসেন শিকদার নামে এক ব্যক্তির পুকুর খনন করতে গিয়ে ওই কঙ্কালের সন্ধান পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে মানব কঙ্কাল উদ্ধার
আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. মোকাদ্দেছ হোসেন জানান, বোয়ালিয়া গ্রামের হোসেন শিকদার বাড়ির পাশে একটি পুকুর খননের কাজ শুরু করে। খননকালে সেখানে মানুষের হাত-পায়ের হাড় ও একটি খুলি পাওয়া যায়। সেগুলো অন্যত্র মাটি চাপা দেয়া হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি থেকে কঙ্কালগুলো তুলে থানায় নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: যুবকের কঙ্কালসহ সাভারে ২ লাশ উদ্ধার
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসিকুজ্জামান জানান, পুকুর খননকালে ১৫ ফিট মাটির নিচে একটি মাথার খুলি পাওয়া যায়। গভীর মাটির নিচে থেকে খুলিটি পাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে ওই জায়গাটি কবরস্থান ছিল।
গোসল করতে গিয়ে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার, যুবক গ্রেপ্তার
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় পুকুরে গোসল করতে গিয়ে সপ্তম শ্রেণির স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তকে যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার মো. সুমন মোল্যা (২৫) উপজেলা সদর ইউনিয়নের জাটি গ্রামের মো. শের আলী মোল্যার ছেলে ও দুই সন্তানের জনক।
রবিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামালা পাশা।
আরও পড়ুন: সুন্দরগঞ্জে হাত-পা বেঁধে গৃহবধূকে গণধর্ষণ
তিনি জানান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ও গুপ্তচর নিয়োগ করে আলফাডাঙ্গা উপজেলার সীমান্তবর্তী বেজিডাঙ্গা ব্রিজের উপর থেকে শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে সুমন মোল্যাকে গ্রেপ্তার করে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ওয়াহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই দিলীপ কুমার বিশ্বাস সঙ্গীয় ফোর্স।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থীকে ‘ধর্ষণের পর হত্যার’ অভিযোগ
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গত ১ এপ্রিল ওই ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে সুমন মোল্যাকে আসামি করে আলফাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকেই সুমন মোল্যা পলাতক ছিল।
জানা গেছে, মামা বাড়ি থেকে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ালেখা করে এক কিশোরী। শুক্রবার বিকালে বাড়ির পাশে প্রতিদিনের ন্যায় সে একটি পুকুরে গোসল করতে যায়। এসময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সুমন মোল্যা পুকুরের দক্ষিণ পাশ থেকে ওই ছাত্রীকে পিছন থেকে গামছা দিয়ে মুখ চেপে ধরে পাশের একটি ঘাস খেতে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। পরে ওই ছাত্রী কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি পৌঁছে মামা-মামীর কাছে বিষয়টি খুলে বলে।
আরও পড়ুন: কম্বল দেয়ার কথা বলে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
পরিবারের লোকজন তাকে আহত অবস্থায় দ্রুত আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থার অবনতি দেখতে পেয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে ওই ছাত্রী বর্তমানে বাড়িতেই রয়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণ চেষ্টা: প্রধান আসামি ৩ দিনের রিমান্ডে
বীরাঙ্গনার স্বীকৃতির পর মাথা গোজার ঠাঁই পেলেন মায়া রানী
বীরাঙ্গনার স্বীকৃতির পর এবার মাথা গোজার ঠাঁই পেলেন অসহায় বীরাঙ্গনা মায়া রানী সাহা (৭০)।
ফরিদপুর বর্ধিত পৌরসভার শোভারামপুর এলাকার বাসিন্দা নিঃসন্তান মায়া রানীর বসবাসের কোন ঘর না থাকায় খুব কষ্টে দিনপাত করছিলেন তিনি। মায়া রানীর দুরাবস্থার কথা জানতে পেরে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার তার থাকার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন।
শনিবার দুপুরে বীরাঙ্গনা মায়া রানী সাহার ঘরের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম রেজা। এ সময় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, মহান মুক্তিযুদ্ধে নিজ বাড়িতে ১৬ বছর বয়সে হানাদার বাহিনী ও স্থানীয় দোসরদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছিলেন মায়া রানী সাহা। স্বীকৃতি কিংবা ভরসার জায়গা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে অসহায়ভাবে জীবন যাপন করছিলেন তিনি। খবর পেয়ে গণশুনানির সময় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের সাথে সাক্ষাত করেন তিনি। তখনি তার অসহায়ত্বতার কথা জানান জেলা প্রশাসককে।
তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসক মায়া রাণী সাহার বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে সুস্পষ্ট মতামতসহ জামুকায় প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম রেজাকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
সেই নির্দেশনার আলোকে গত বছরের ১৪ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে উপজেলা বীরাঙ্গনা যাচাই বাছাই সংক্রান্ত গঠিত বিশেষ কমিটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করে জামুকা বরাবর প্রেরণ করেন। তারই প্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে মায়া রাণী সাহাকে ৩৮০ নং গেজেটে বীরাঙ্গনা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
এদিকে বীরাঙ্গনা হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও তার ছিল না কোনো থাকার ঘর। মায়া রানী সাহার জরাজীর্ণ আবাসস্থল সেমি পাকা ভবনে রূপান্তরে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে একটি সেমি পাকা ঘর নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে মায়া রানী সাহার জরাজীর্ণ বসত ভিটায়।
ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম রেজা বলেন, 'ফরিদপুরে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত পাঁচজন বীরাঙ্গনা রয়েছেন। এদের প্রত্যেককে একটি করে ঘর নির্মাণ করে দেবে সরকার। মায়া রানীর থাকার জায়গা না থাকায় একটু আগে ভাগেই আমরা ডিজাইন ঠিক রেখে তাকে একটি ঘর তৈরি করে দিচ্ছি জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে।'
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরো জানান, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত সকল গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য আবাসস্থল নির্মাণ করে দিয়েছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসন বীরাঙ্গনা মায়া রানী সাহাকে এই ঘরটি মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে প্রদানের ব্যবস্থা নিয়েছে।
মাসুম রেজা জানান, জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনা রয়েছে, 'জেলার যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা আবাসস্থলের কষ্টে আছেন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে তাদের অনুকুলে ঘর বরাদ্দের পূর্ব পর্যন্ত তারা সম্মত থাকলে তাদেরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পে পূনর্বাসন করতে । আমরা সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।'
মাথা গোজার ঠাঁই পেয়ে খুশি বীরাঙ্গনা মায়া রানী সাহা। তিনি জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, 'এমন ভালো মানুষ আর হয় না। তার কারণে আমার নাম তালিকায় উঠেছে। বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি পেয়েছি। এবার ঘর পেলাম।'
তিনি বলেন, 'আমি বাড়ি বাড়ি গিয়ে রান্না করে জীবিকা নির্বাহ করতাম। সামনের দিনে আর হয়তো এই কাজ করতে হবে না। জীবনের শেষ বয়সে এই স্বীকৃতি আমাকে অনেক বেশি শক্তি জোগাবে বাচাঁর'।
পরে মায়া রানীর হাতে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ২ কেজি তেল, লবন সহ নানা ধরনের খাদ্য সামগ্রী হাতে তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
এর আগে করোনাকালীন সময়ে জেলার মধুখালীতে দু’জন ও ভাঙ্গা উপজেলায় একজন বীরাঙ্গনার অসুবিধার কথা জানতে পেরে তাদের পাশে দাড়ান জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ওই দুই উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বীরাঙ্গনাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় খাদ্য সামগ্রী।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন ও ভাঙ্গা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজীব আহমেদ সহ কর্মকর্তারা বীরাঙ্গনা দেবী আরতি রানী ঘোষের গ্রামের বাড়ি চান্দ্রা ইউনিয়নের মালিগ্রামে যান। এ সময় তার হাতে উপহার ও খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন ইউএনও।
এদিকে মধুখালীতেও করোনাকালীন সময়ে বীরাঙ্গনা আম্বিয়া বেগম ও মোছা. ফুলজান বেগমের দুরাবস্থার কথা জানতে পেরে তাদেরকেও সহায়তা প্রদান করেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। তার নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তফা মনোয়ার তাদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন।
অপরদিকে ১৯৭১ সালের ৭ মে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে অবর্নণীয় শারিরীক ও মানসিক অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন চারুবালা বিশ্বাস। হানাদার বাহিনী চারুবালার স্বামী ও দুই মাসের কোলের সন্তানকে হত্যা করে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিল।
বিষয়টি জানতে পেরে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার তাৎক্ষনিকভাবে চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সরেজমিন গিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেন। ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয় ইউএনও এর পক্ষ থেকে। সেই প্রতিবেদন সহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রাদি নিয়ে চারুবালা বিশ্বাসকে নারী মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা) হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠিয়েছেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ফরিদপুর বর্ধিত পৌরসভার শোভারামপুর এলাকার বাসিন্দা নিঃসন্তান মায়া রানীকে বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি প্রদানে সহায়তা করা হয়েছে। বসবাসের কোন ঘর না থাকায় খুব কষ্টে দিনযাপন করছিলেন তিনি। মায়া রানীর দুরাবস্থার কথা জানতে পেরে তার থাকার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'করোনাকালীন সময়ে জেলার আরো তিনজন বীরাঙ্গনা অসহায়ভাবে জীবনযাপন করছিলেন এমন খবর পেয়ে তাদের পাশে দাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে খাদ্যসামগ্রী। জেলা প্রশাসন সব সময় অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছে, ভবিষ্যতেও পাশে থাকবে।'
ফরিদপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় সাংবাদিক গুরুতর আহত, ঢামেকে স্থানান্তর
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় দুর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলায় সাংবাদিক সেকেন্দার আলম (৪২) মারাত্মক আহত হয়েছেন। রাতেই তাকে ফরিদপুর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পবনবেগ পূর্বপাড়া নতুন মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
সেকেন্দার আলম উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মোসলেম শেখের ছেলে। তিনি আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, সাপ্তাহিক আমাদের আলফাডাঙ্গা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং দৈনিক ভোরের পাতার আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রতিনিধি।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক সেকেন্দার আলম নিজবাড়ি থেকে ইফতার শেষে মোটরসাইকেল যোগে পবনবেগ বাজারে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তার মোবাইলফোনে কল আসলে তিনি মোটরসাইকেলটি থামিয়ে কলটি রিসিভ করে কথা বলতে থাকেন। এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই পেছন থেকে দুর্বৃত্তের দল তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুই নারীসহ ৪ ভুয়া সাংবাদিক আটক
পরে পথচারীরা তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় সাংবাদিক সেকেন্দার আলমকে হাসপাতালে আনা হয়। তার মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ও প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে দ্রুত ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছিলে। সেখানেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।’
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হামলার সাথে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ফরিদপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
জিয়াউল হাসান মিঠুকে আহ্বায়ক ও মেহেদি হাসান শামীম তালুকদার ও খান মো. শাহ সুলতান রাহাতকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ফরিদপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও মাইনুল হাসান খান নিখিল বুধবার রাতে এই কমিটির অনুমোদন দেন।
২১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটিতে ১৮ জন সদস্য রয়েছেন।
তারা হলেন-যথাক্রমে মো. তওফিক হাসান পুচ্চি, লাভলু মুন্সি, সৈয়দ আলি আশরাফ পিয়ার, মাহফুজ আহমেদ হিমেল, মাহমুদ রাজু খান, গোবিন্দ চন্দ্র বিশ্বাস, আলী আজগর মানিক, খন্দকার ওবায়দুর রহমান মামুন, শওকত হোসেন মুকুল, মো. সেলিম উজ জামান লিটু, তানভির কামাল সাব্বির, খায়রুল বাসার, শরিফুল হাসান প্লাবন, দাউদ উজ জামান, জুয়েল খান, মো. শফিকুল ইসলাম আজাদ, ইতমাম হাসিন চৌধুরী,মো. শাহিদুল ইসলাম আজাদ।
এর আগে ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট ফরিদপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।
গণপরিবহন চলাচলে ফরিদপুরে পরিবহন শ্রমিকদের স্বস্তি
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর স্বল্প পরিসরে জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন চলাচলে স্বস্তি ফিরেছে ফরিদপুরের পরিবহন শ্রমিকদের।
তবে সরকারি আদেশ বাস্তবায়নে সড়কের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ট্রাফিক পুলিশের নজরদারি বাসানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় সড়কে গণপরিবহনের যাত্রা শুরু
সকাল ১০টার দিকে ফরিদপুর পৌরবাস বাসস্ট্যান্ডে ইউএনবির এই প্রতিনিধি গিয়ে বাসস্ট্যান্ড সরব দেখতে পান। শ্রমিকদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। অনেকেই যাত্রীবাহী গাড়ি ধুয়ে মুছে নিচ্ছে। তবে জেলার বাইরে জেলা শহরের যাত্রী নিয়ে যেতে না পারায় ক্ষোভ শ্রমিক ও যাত্রীদের।
শহরের পৌর বাসস্ট্যান্ডের কয়েকজন পরিবহন শ্রমিক অল্প পরিসরে হলেও রাস্তায় গাড়ি নিয়ে নামতে পেরে খুশি বলে জানান। তবে অন্য জেলায় যেতে দিলে আরও বেশি ভালো হত বলে দাবি করেন তারা।
তারা বলেন, করোনার দীর্ঘ সময় বাস বন্ধ থাকায় তারা একেবারেই কর্মহীন ছিলেন। সংসার চালাতে বেশ কষ্ট হয়েছে। এখন অল্প হলেও কিছুটা স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে।
আরও পড়ুন: দোকান খোলা রাখার দাবিতে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
ফরিদপুর থেকে মাগুরাগামী হাবিবুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী জানান, এখান থেকে কোনো গাড়ি মাগুরা যাচ্ছে না। ফরিদপুরের বাস মধুখালীর কামারখালী পর্যন্ত যাবে, কিন্তু তার পরে কীভাবে যাবেন।
ফরিদপুর ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর মো. তুহিন লস্কর বলেন, ‘সরকারি নির্দেশ বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। আমরা দেখছি কোনো বাস অতিরিক্ত যাত্রী তুলছে কি না।’
আরও পড়ুন: গণপরিবহন চালুর দাবিতে মাগুরায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ
তিনি বলেন, ‘জেলার ৯ থানার ওসি এ বিষয়ে তদারকি করছেন।’