ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় দুর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলায় সাংবাদিক সেকেন্দার আলম (৪২) মারাত্মক আহত হয়েছেন। রাতেই তাকে ফরিদপুর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পবনবেগ পূর্বপাড়া নতুন মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
সেকেন্দার আলম উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মোসলেম শেখের ছেলে। তিনি আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, সাপ্তাহিক আমাদের আলফাডাঙ্গা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং দৈনিক ভোরের পাতার আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রতিনিধি।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক সেকেন্দার আলম নিজবাড়ি থেকে ইফতার শেষে মোটরসাইকেল যোগে পবনবেগ বাজারে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তার মোবাইলফোনে কল আসলে তিনি মোটরসাইকেলটি থামিয়ে কলটি রিসিভ করে কথা বলতে থাকেন। এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই পেছন থেকে দুর্বৃত্তের দল তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুই নারীসহ ৪ ভুয়া সাংবাদিক আটক
পরে পথচারীরা তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় সাংবাদিক সেকেন্দার আলমকে হাসপাতালে আনা হয়। তার মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ও প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে দ্রুত ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছিলে। সেখানেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।’
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হামলার সাথে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’