ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)
ইবিতে ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিলুপ্তপ্রায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আধুনিক সভ্যতার আড়ালে হারিয়ে যাওয়া বাংলার ঐতিহ্যকে বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ খেলার আয়োজন করে।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যান্ডবল ও ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনী কুষ্টিয়া দপ্তরের লাঠি কৌশলীরা এ খেলায় অংশ নেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ইবিতে পিলারের আঘাতে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু!
ঐতিহ্যবাহী এ খেলা দেখতে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী দুই জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভীড় জমায়।
ঢোলের তালে তালে নেচে প্রতিপক্ষের আঘাত পাল্টা আঘাত মোকাবিলা আর টানটান উত্তেজনা ছিল খেলার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। লাঠি খেলায় উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যায়।
মাঠে উপস্থিত থেকে পুরো খেলা উপভোগ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এ এইচ এম আলী হাসান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন, শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহেল প্রমুখ।
বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনী কুষ্টিয়া দপ্তরের টিম পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ঐতিহ্যবাহী এ খেলাটি দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এ ঐতিহ্যটি ফিরিয়ে আনতে আমরা লাঠিয়াল বাহিনী গড়ে তুলেছি। সরকারি অনুদান ও পৃষ্ঠপোষকতা পেলে খেলাটি আরও জনপ্রিয়তা করে তুলতাম। খেলাটি জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি।
উল্লেখ্য, এর আগে বেলুন উড়িয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ইবি উপাচার্য। অনুষ্ঠান শেষে প্রথম খেলায় হ্যান্ডবল (ছাত্র)-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২৪-১৪ গোলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে পরাজিত করে। সাতটি পুরুষ দল ও ছয়টি নারীদল প্রতিযোগিতার হ্যান্ডবল ক্যাটাগরিতে অংশ নিচ্ছে। এছাড়া ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভলিবল প্রতিযোগিতা শুরু হবে।
আরও পড়ুন: প্রথম মেধাতালিকার ভর্তি শেষে ইবির ১৪৩৭ আসন খালি
ইবিতে ছাত্রী হেনস্তা, বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
২ বছর আগে
হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত মীর মো. রাফিন বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী, তার বাড়ি রাজবাড়ী জেলার ভবানীপুর গ্রামে।
বিভাগ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, কিছুদিন ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন রাফিন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সকালের খাবার খাওয়ার পর নিজ বাড়িতে স্ট্রোক করেন তিনি। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ইবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান বলেন, রাফিনের মৃত্যুতে লোকপ্রশাসন পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
২ বছর আগে
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ইবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থী শুক্রবার রাতে ঢাকার নিউরোসাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
নিহত তাহসিব হুসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী, তার বাড়ি বরগুনার বামনা উপজেলায়।
শনিবার বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. ইয়াকুব আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-আড়াইহাজার সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ বন্ধু নিহত
বিভাগ ও সহপাঠীরা জানায়, গত ১ মে সকালে ঝিনাইদহের ভাটই বাজার এলাকায় সাইকেলে করে যাচ্ছিলেন তাহসিব। এসময় একটি বাসের ধাক্কায় তিনি সড়কে পড়ে যান এবং মাথার পেছনের হাড় ভেঙে যায়। তাৎক্ষণিক তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল থেকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাহসিবকে গত ৪ মে ঢাকার নিউরোসাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: বাস-ট্রাক সংঘর্ষে বাগেরহাটে নিহত ৩
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী বলেন, শিক্ষার্থীকে হারানো খুব বেদনাদায়ক। শনিবার বাদ জোহর তার নিজ বাড়িতে জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তীতে আমরা বিভাগের পক্ষ থেকে একটি দোয়ার আয়োজন করবো।
২ বছর আগে
প্রতিষ্ঠার ৪৩ বছরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ সীমান্তে শান্তিডাঙা-দুলালপুরে নিভৃত জনপদে ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীন বাংলায় এটিই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। হাঁটি হাঁটি পা পা করে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়টি ৪২ বছর পূর্ণ করবে।
কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কের পাশে দৃষ্টিনন্দন ও সুবৃহৎ প্রধান ফটক হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’। সেখানে দাঁড়িয়ে ডানে তাকালেই মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘মুক্ত বাংলা’। আর বাঁয়ে সততার স্মারক ‘সততা ফোয়ারা’। পাশেই রয়েছে ভাষা শহীদদের স্মৃতিতে তৈরি ক্যাম্পাস ভিত্তিক বৃহৎ শহীদ মিনার এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত শহীদদের স্মরণে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যের ‘স্মৃতিসৌধ’।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসের বাসে বাড়ি ফিরছে ইবি শিক্ষার্থীরা
আছে বিস্তৃত সবুজে ঘেরা ‘ডায়না চত্বর’ যা ক্যাম্পাসের প্রাণ। শিক্ষার্থীদের আড্ডায় সব সময় মুখরিত থাকে। ডায়না চত্বরের বা দিকে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল আর ডানে শিক্ষক- কর্মকর্তাদের ডরমিটরি। এই দুয়ের মাঝে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনগুলো। পশ্চিমে ছাত্রীদের হল ঘেষে উত্তর দিকে বয়ে গেছে মনোরম লেক। সকাল থেকে দুপুর শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখর একাডেমিক এলাকা আর বিকালে কোলাহল বাড়ে লেক আর হল এলাকা।
৩ বছর আগে
ইবিতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত 'সি' ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে 'সি' ইউনিটে মোট ১৩৯৯ জন পরীক্ষার্থীর প্রায় শতভাগ অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম পরীক্ষা হলগুলো পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: ইবিতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
এই সময় তিনি পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিবেশ, পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
হল পরিদর্শনকালে উপাচার্যের সাথে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মু. আতাউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এবারই প্রথমবারের মতো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা গুচ্ছ পদ্ধতিতে একযোগে সম্পন্ন হলো।
৩ বছর আগে
ইবির ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২ নভেম্বর
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) 'ডি’ ইউনিটের অধীনে ধর্মতত্ত্ব ও ইসলাম শিক্ষা অনুষদের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে কৃর্তপক্ষ।
রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত দাবি টিআইবির
তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি অনুষদগুলোর ভর্তি পরীক্ষা গুচ্ছ পদ্ধতিতে হলেও ধর্মতত্ত্ব অনুষদের পরীক্ষা স্বতন্ত্রভাবে 'ডি’ ইউনিটের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে।
এ ব্যাপারে ধর্মতত্ত্ব ও ইসলাম শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আগের নিয়মে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার আবেদন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দুই-এক দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। সম্ভাব্য ৭ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ভর্তিচ্ছুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারবে।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত ‘ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন’ নিয়ে টিআইবির উদ্বেগ
ধর্মতত্ত্ব অনুষদভুক্ত তিনটি বিভাগ আল-কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ ও দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে ৮০টি করে আসন রয়েছে। এ অনুষদে মোট ২৪০টি আসনের বিপরীতে ভর্তিচ্ছুরা লড়বেন। পরীক্ষা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (www.iu.ac.bd) থেকে জানা যাবে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে নারী নির্যাতন কমেছে:পিআইবি মহাপরিচালক
৩ বছর আগে
করোনার ছুটির মধ্যে পরীক্ষা নেবে ইবি
কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব বিভাগের মান উন্নয়ন পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্তৃপক্ষ।
৪ বছর আগে