গণহত্যা
১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড গণহত্যার শামিল: শেখ পরশ
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড গণহত্যার শামিল। কারণ সেদিন নারী-শিশু নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ড ছিল সুদূরপ্রসারী এক পরিকল্পিত।
সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবলীগ আয়োজিত কোরআন খতম, দোয়া ও অসহায়-দুঃস্থদের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে শেখ পরশ এসব কথা বলেন। শোকের মাস আগস্ট উপলক্ষে যুবলীগ ঘোষিত মাসব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে পরশ আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। কিন্তু তারা তার নাম বাঙালি জাতির অন্তর থেকে মুছে ফেলতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুই বলেছেন- ‘নেতার মৃত্যু হতে পারে, কিন্তু আদর্শের মৃত্যু নেই।’ বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও রাজনৈতিক দর্শন, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে চির অম্লান হয়ে থাকবেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, খালেদ শওকত আলী, সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মোয়াজ্জেম হোসেন, মৃনাল কান্তি জোয়াদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, বদিউল আলম, শেখ ফজলে নাঈম, কাজী মাজহারুল ইসলাম, সাইফুর রহমান সোহাগ, জহির উদ্দিন খসরু, মাইন উদ্দিন রানা, জয়দেব নন্দী, মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতরা।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু সকল যুগেই প্রাসঙ্গিক ও সমকালীন: শেখ পরশ
শেখ হাসিনার কারণে উত্তরবঙ্গে 'মঙ্গা' শব্দটি নিশ্চিহ্ন: পরশ
রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার এখতিয়ার নিয়ে রায় দেবেন জাতিসংঘের আদালত
মিয়ানমারের মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানো নিয়ে দেশটির শাসকদের অভিযুক্ত করে দায়ের করা মামলা অগ্রসর হওয়ার বিষয়ে শুক্রবার রায় দেবেন জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত।
মিয়ানমারের দাবি, ২০১৯ সালে আফ্রিকার ক্ষুদ্র দেশ গাম্বিয়ার করা মামলাটি অগ্রহণযোগ্য এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের এ ব্যাপারে এখতিয়ার নেই। হেগ ভিত্তিক আদালত এ বিষয়ের ওপর রায় দেবেন।
বিচারকরা মিয়ানমারের আপত্তি প্রত্যাখ্যান করলে তারা রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার প্রমাণ সম্প্রচার করে আদালতে শুনানির প্রক্রিয়া প্রণয়ন করবেন।
রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতাকে অধিকার সংগঠন ও জাতিসংঘের এক তদন্ত প্রতিবেদনে ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘনের সমতুল্য বলা হয়েছে। মার্চে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সহিংস দমন-পীড়ন গণহত্যার সমান।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে থাই রাষ্ট্রদূত
রোহিঙ্গাদের বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষোভের মধ্যে মিয়ানমার গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করছে বলে বিশ্ব আদালতে মামলা করে গাম্বিয়া। গাম্বিয়া ও মিয়ানমার উভয়ই কনভেনশনের পক্ষ এবং সব স্বাক্ষরকারীর এটি কার্যকর নিশ্চিত করার দায়িত্ব রয়েছে বলে যুক্তি দেখায় দেশটি।
মিয়ানমারের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবীরা ফেব্রুয়ারিতে যুক্তি দেন, বিশ্ব আদালত কেবল রাষ্ট্রের মধ্যে মামলার শুনানি করে এবং ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার পক্ষ থেকে গাম্বিয়া রোহিঙ্গাদের অভিযোগ আনায় মামলাটি বাতিল করা উচিত।
তারা আরও দাবি করে, গাম্বিয়া মামলাটি আদালতে আনতে পারে না কারণ এটি মিয়ানমারের ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত না এবং মামলা দায়েরের আগে দুই দেশের মধ্যে আইনি বিরোধ ছিল না।
গাম্বিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিচারমন্ত্রী দাউদা জালো ফেব্রুয়ারিতে বলেন, মামলাটি অগ্রসর হওয়া উচিত এবং এটি ওআইসি নয়, তার দেশই এনেছে।
জ্যালো আদালতকে বলেন, ‘আমরা কারও প্রক্সি নই।’
এ বিষয়ে নেদারল্যান্ডস ও কানাডা গাম্বিয়াকে সমর্থন করছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যকে এক লাখ রোহিঙ্গার পুনর্বাসনের অনুরোধ ঢাকার
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলার পর ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে একটি ক্লিয়ারেন্স অভিযান শুরু করে। এতে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসে এবং মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, হত্যা ও হাজার হাজার বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে।
তবে গত বছর মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে আইসিজের মামলাটি জটিল হয়ে পড়ে। ফেব্রুয়ারির শুনানিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির সামরিক বাহিনীর গঠিত সরকারকে দেশটির প্রতিনিধিত্ব করার অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়।
বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের পাক নৃশংসতা ছিল ‘ভয়ানক’: রাষ্ট্রদূত হাস
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস মঙ্গলবার বলেছেন, নিঃসন্দেহে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যা ঘটেছিল তা ছিল ভয়ানক নৃশংসতা। উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে মার্কিন আইনের অধীনে গণহত্যা নির্ধারণের প্রশ্নটি খুব কঠিন আইনি প্রশ্ন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেয়ার অবস্থানে আছে কি না জানতে চাইলে ‘ডিক্যাব টক’-এ তিনি এ মন্তব্য করেন।
মার্কিন সরকার সম্প্রতি নির্ধারণ করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধ গণহত্যা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার মতো সংকটের মুখোমুখি হবে না বাংলাদেশ: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে নির্বাসনের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রে অত্যন্ত জটিল আইনি প্রক্রিয়া এবং এটি এখনও পর্যালোচনাধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য তারা বাংলাদেশের আগ্রহ সম্পর্কে অনেক সচেতন কিন্তু বর্তমানে তা পর্যালোচনাধীন রয়েছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, মানবাধিকার ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ‘কোন ছাড় দেয় না’।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নে ‘বিশ্বস্ত অংশীদার’ থাকবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
পূর্বের বক্তব্যের বরাত দিয়ে তিনি আবারও বলেন,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার,সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সমস্যাগুলোকে দেশটির পররাষ্ট্র নীতির কেন্দ্রে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সে বিষয়ে কোনও ছাড় দেয়া হবে না।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) জাতীয় প্রেসক্লাবে এ ডিক্যাব টকের আয়োজন করে।
ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন।
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে দোয়া-মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন।
তাঁর বোন ও বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার সঙ্গে তিনি ফাতেহা পাঠ করেন এবং জাতির পিতা ও ১৫ আগস্টের গণহত্যায় নিহত অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার চির শান্তি কামনা করে মোনাজাত করেন।
এসময় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হয় এবং সেই সঙ্গে দেশের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু সাহসী জাতি হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে: প্রধানমন্ত্রী
একাত্তরের হত্যাযজ্ঞকে গণহত্যার স্বীকৃতি নিয়ে জাতিসংঘে আলোচনা
জাতিসংঘে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পশ্চিম পাকিস্তানের হত্যাযজ্ঞকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতির বিষয়ে এক আলোচনায় বাংলাদেশ জানায়, ১৯৭১ সালের গণহত্যার ঘটনাগুলো স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত, তবুও জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়নি।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি যে আমাদের মতো অতীতের ট্র্যাজেডিগুলো যদি অস্বীকৃত থেকে যায়, তাহলে গণহত্যা প্রতিরোধের জন্য জাতিসংঘের প্রচেষ্টা অসম্পূর্ণ থাকবে।
২০২২ সালের জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের অংশ হিসেবে শনিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন আয়োজিত ‘গণহত্যা প্রতিরোধ: অতীতের ট্র্যাজেডির স্বীকৃতি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের মর্যাদা পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আলোচনার মূল বক্তা ছিলেন কর্নেল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর জন হাবেল ওয়েইস এবং উপস্থিত ছিলেন বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত সোভেন আলকালাজ, কম্বোডিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত সোভানকে এবং ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বাউল, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল অব বাংলাদেশের প্রসিকিউটর প্যানেলিস্ট হিসেবে ছিলেন। প্রিভেনশন অব জেনোসাইড-এর মহাসচিবের বিশেষ উপদেষ্টা অ্যালিস ওয়াইরিমু এনদেরিতুও অনুষ্ঠানে একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা ১৯৭১ সালের গণহত্যার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করেন এবং ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ ‘অপারেশন সার্চলাইট’ এর মাধ্যমে ৩০ লাখ বেসামরিক মানুষ নিহত হয় এবং দুই লাখ নারী ধর্ষিত হয়; এক কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ২৫ মার্চের গণহত্যার উদ্দেশ্য ছিল আমাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও এর আকাঙ্ক্ষাকে চিরতরে শেষ করে দেয়া। আমাদের জাতির পিতার ডাকের মধ্য দিয়ে এ সংগ্রাম ধীরে ধীরে নয় মাসের দীর্ঘ মুক্তিযুদ্ধে পরিণত হয়েছিল, যার পরিসমাপ্তি ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের মধ্য দিয়ে।
আরও পড়ুন: গণহত্যাকারীদের বিচার না করা পাকিস্তানের জন্যও লজ্জাজনক: মোমেন
১৯৭১ এর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি আ’ লীগের
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের নিরস্ত্র বেসামরিক মানুষের ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নৃশংস হামলাকে 'গণহত্যা' হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আবারও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এই ‘ন্যায়বিচারের আহ্বান’ জানানো হয়েছে। ভিডিওটি আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়েছে।
পোস্টটিতে বলা হয়েছে, ‘বাঙালিরা পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের সমকক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে চেয়েছিল। পরিবর্তে, ঘুমের মধ্যে তাদের নির্দয়ভাবে হত্যা করা হয়েছিল।’
পোস্টটিতে আরও বলা হয়, ‘২৫ মার্চ ইয়াহিয়া খানের সহকর্মী টিক্কা খান অপারেশন সার্চলাইট শুরু করার জন্য ডেথ স্কোয়াডকে একত্র করে। তারা এক রাতে সাত হাজার বাঙালিকে হত্যা করে। সেই দিন থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি সেনারা দু’লাখেরও বেশি নারীকে ধর্ষণ এবং ৩০ লাখেরও বেশি মানুষকে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: ২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি সম্প্রীতি বাংলাদেশের
এই ব্যাপক গণহত্যার ফলে ৩০-৪০ মিলিয়ন বাঙালি বাস্তুচ্যুত হয় এবং এক কোটিরও বেশি মানুষ ভারতে আশ্রয় নেয়।
হামুদুর রহমান কমিশনের প্রতিবেদনটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে হওয়া গণহত্যার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য দলিল।
এই প্রতিবেদনে পূর্ব পাকিস্তানে নিয়োজিত পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীকে ব্যাপক নৃশংসতা, মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো অপরাধ এবং ক্ষমতা অপব্যবহারের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
ফেসবুক পোস্টটিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো এই প্রতিবেদনের প্রতিটি কপি পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই জঘন্য অপরাধগুলো এখনও গণহত্যা হিসেবে সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত হয়নি। ১৯৭১ সালের এই নারকীয় হামলাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি না দিলে শুধুমাত্র গণহত্যার ভুক্তভোগীদের ভয়াল অভিজ্ঞতার প্রতি চরম অবিচার করাই হবে না; এর ইতিহাসের প্রতিও অবিচার করা হবে।’
আরও পড়ুন: গণহত্যা দিবসে সারাদেশে এক মিনিটের প্রতীকী ব্ল্যাকআউট
জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত হবে শুক্রবার
২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি সম্প্রীতি বাংলাদেশের
একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাইলেন মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তানেরা। একই সঙ্গে এই নৃশংসতার জন্য পাকিস্তানের বিচার দাবি করেছেন তারা।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘৭১ এর গণহত্যা ও পাকিস্তানের বর্বরতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব দাবি জানান তারা।
অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল তার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে হবে। এর জন্য কোন রাখঢাক নাই। আজকে এটা স্বতঃসিদ্ধ, এখানে গণহত্যা হয়েছে, আমাদের ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন, অসংখ্য মা-বোন নির্যাতিত হয়েছেন এগুলো প্রমাণের আর অপেক্ষা রাখে না। ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করব।’
আরও পড়ুন: গণহত্যা দিবসে সারাদেশে এক মিনিটের প্রতীকী ব্ল্যাকআউট
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘২০১৭ সাল থেকে জাতীয়ভাবে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে আসছে যদিও দিবসটিকে এখনও আন্তজার্তিকভাবে কোথাও স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দিলেও ২৫ মার্চের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞকে কোন দেশই স্বীকৃতি দেয়নি। অথচ ২৫ মার্চের কালরাতে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যার স্বাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশ।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর ২৫ মার্চের ভয়াবহতার ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা হয়েছে যা এখনও চলমান। তাই ঘরে ঘরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ২৫ মার্চের গণহত্যার ঘটনাপ্রবাহ ছড়িয়ে দিতে নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর প্রয়াস ব্যক্ত করেন তারা।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, বীরপ্রতীক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ আলী জহির (অব.), কর্নেল তৌফিকুর রহমান (অব.), শহীদ সন্তান নট কিশোর আদিত্য।
আরও পড়ুন: ২৫ মার্চ, ১৯৭১: গণহত্যা দিবসে ফিরে দেখা ইতিহাসের এক ভয়াল কালরাত
রোহিঙ্গা নিপীড়নকে ‘গণহত্যা’ ঘোষণা: যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাবাসনে সহায়তা করবে প্রত্যাশা ঢাকার
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো দমন-পীড়নকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে ঘোষণা দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। কারণ মার্কিন এই পদক্ষেপ গণহত্যার বিষয়ে জবাবদিহিতা এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কার্যক্রমকে তরান্বিত করবে বলে প্রত্যাশা করছে ঢাকা।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘দেরিতে হলেও এটি একটি ভালো খবর। আমরা একে স্বাগত জানাই।’
তিনি বলেন, কোথাও গণহত্যা সংঘটিত হলে তা স্বীকার করতে হবে এবং অপরাধীদের শাস্তি থেকে মুক্তি দেয়া উচিত নয়।
মোমেন বলেন, আমরা বলি আমরা কোনো গণহত্যা দেখতে চাই না। দুর্ভাগ্যবশত, তবুও গণহত্যা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের ভালো বন্ধু উল্লেখ করে মোমেন আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এটি মিয়ানমারের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করবে। যার ফলে তারা রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে নেয়।
তিনি বলেন, ‘যদি এই মার্কিন ঘোষণার মাধ্যমে প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত হয়, তবে আমরা খুব খুশি হব।’
তিনি আরও বলেন, তারা দুটি লক্ষ্যের ওপর জোর দিচ্ছে - প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের কল্যাণ এবং গণহত্যার পুনরাবৃত্তি রোধ করা।
মোমেন বলেন, গণহত্যার শিকার ব্যক্তিরা অবশ্যই ন্যায়বিচার পাবেন এবং আশা করেন যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গাম্বিয়ার দায়ের করা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাটি গতি পাবে।
ফোরটিফাই রাইটসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাথিউ স্মিথ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের ঘোষণাকে রোহিঙ্গা এবং মিয়ানমারের সকল মানুষের জন্য এবং গণহত্যা প্রতিরোধ ও প্রতিকারের ব্যাপক প্রচেষ্টার জন্য ‘ঐতিহাসিক’ অর্জন বলে অভিহিত করেছেন।
ম্যাথিউ স্মিথ বলেন, ‘গণহত্যা প্রতিরোধ করার জন্য বিশ্বনেতাদের অবশ্যই তা স্বীকার করতে হবে। মার্কিন সরকার আজকে ঠিক তাই করেছে।’
সোমবার ফোরটিফাই রাইটস বলেছে, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর উচিত মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়টি প্রকাশ্যে স্বীকার করা এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) উত্থাপন করে তার নিষ্পত্তি নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: ওআইসির সিএফএম অধিবেশনে যোগ দিতে পাকিস্তান যাবেন না পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নকে ‘গণহত্যা’ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো দমন-পীড়নকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার ওয়াশিংটনের ইউএস হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে এক অনুষ্ঠানে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি এবং সম্ভাব্য আইনি পদক্ষেপের ভিত্তি স্থাপনের উদ্দেশ্যে এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
ব্লিঙ্কেন বলেন, জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ও নিয়মতান্ত্রিক প্রচারণায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ব্যাপক নৃশংসতার নিশ্চিত বিবরণের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা ইউক্রেনের জনগণের পাশে আছি, এবং আমাদের অবশ্যই এমন লোকদের পাশে দাঁড়াতে হবে যারা অন্যান্য জায়গায় নৃশংসতার শিকার হচ্ছে।’
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সেনাবাহিনী দেশটির নির্বাচিত নেতা অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে (এনএলডি) ক্ষমতাচ্যুত করার পর ইতোমধ্যে একাধিক ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
পড়ুন: মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নকে ‘গণহত্যা’ ঘোষণা করবে যুক্তরাষ্ট্র
এই ঘোষণা মিয়ানমারের বর্তমান সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে পারে। কারণ ইতোমধ্যে হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ‘গণহত্যা’র অভিযোগের মুখোমুখি হচ্ছে জান্তা সরকার।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমরা ভবিষ্যতের দায়বদ্ধতার ভিত্তি স্থাপন করছি, আমরা সামরিক বাহিনীর চলমান নৃশংসতা বন্ধ করার জন্যও কাজ করছি এবং বার্মার জনগণকে সমর্থন করছি কারণ তারা দেশকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।’
২০১৭ সালে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হওয়ার পর ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
বিলম্ব হওয়া সত্ত্বেও ‘গণহত্যার’ এই ঘোষণাকে বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং কংগ্রেস সদস্যরা স্বাগত জানিয়েছে।
পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট: বাংলাদেশ ও গাম্বিয়াকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে সৌদি আরব
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নকে ‘গণহত্যা’ ঘোষণা করবে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন এবার মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম জনসংখ্যার ওপর বহু বছর ধরে চালানো দমন-পীড়নকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে ঘোষণা করতে চলেছে।
সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মার্কিন হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়ামের একটি ইভেন্টে দীর্ঘ-প্রত্যাশিত এই ঘোষণা দেয়ার কথা রয়েছে।
রবিবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ইতোমধ্যেই একাধিক ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এবারের ঘোষণার মাধ্যমেও মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে কিনা তা জানা যায়নি।
তবে এতে মিয়ানমারের বর্তমান সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে পারে। কারণ ইতোমধ্যে হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ‘গণহত্যা’র অভিযোগের মুখোমুখি হচ্ছে জান্তা সরকার।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানো প্রয়োজন: জাতিসংঘ
বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং আইন প্রণেতারা মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো আগ্রাসনকে ‘গণহত্যার’ স্বীকৃতি দিতে ট্রাম্প ও বাইডেন প্রশাসনকে চাপ দিয়ে আসছে।
মার্কিন কংগ্রেস সদস্য সেন জেফ মার্কলে সাম্প্রতিক এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট ঘোষণা করার পরপরই প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন,রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতাকে অবশেষে ‘গণহত্যা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় বাইডেন প্রশাসনকে আমি সাধুবাদ জানাই
সোমবার ব্লিঙ্কেন হলোকাস্ট মিউজিয়ামে মিয়ানমার সম্পর্কে বক্তব্য দেবেন এবং বার্মার গণহত্যার ইতিহাস শিরোনামের একটি প্রদর্শনী পরিদর্শন করবেন।
উল্লেখ্য,মিয়ানমার বার্মা নামেও পরিচিত।
মার্কলে বলেছেন,‘যদিও এই পদক্ষেপ নিতে দেরি হয়েছে, তবুও এই নৃশংস কর্মকাণ্ডকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য এটি একটি শক্তিশালী এবং তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’
মানবিক সংগঠন রিফিউজিস ইন্টারন্যাশনালও এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে জান্তা অভ্যুত্থানের বছরপূর্তিতে আটক অর্ধশতাধিক
এক বিবৃতিতে বলেছেতারা বলেছে, মার্কিন প্রশাসনকে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অভিনন্দন। মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’ ঘোষণা একটি অর্থবহ পদক্ষেপ।
এতে আরও বলা হয়,এটি সেই সমস্ত লোকদের জন্য ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতিস্বরূপ, যারা আজও সামরিক জান্তার নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
মার্কলে মিয়ানমারের তেল ও গ্যাস খাতকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সরকারের ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে চাপের প্রচারণা চালিয়ে যেতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমেরিকাকে অবশ্যই বিশ্বকে এবিষয়ে একমত করার কাজে নেতৃত্ব দিতে হবে। যাই ঘটুক না কেন, এই ধরনের নৃশংসতাকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।
২০১৭ সালের আগস্ট মাসে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়। এসময় তারা মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, হত্যা এবং হাজার হাজার বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ জানায়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে সেনা অভুত্থানের ১ বছর: সেনাবাহিনীর ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জাতিসংঘের