মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো দমন-পীড়নকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার ওয়াশিংটনের ইউএস হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে এক অনুষ্ঠানে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি এবং সম্ভাব্য আইনি পদক্ষেপের ভিত্তি স্থাপনের উদ্দেশ্যে এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
ব্লিঙ্কেন বলেন, জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ও নিয়মতান্ত্রিক প্রচারণায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ব্যাপক নৃশংসতার নিশ্চিত বিবরণের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা ইউক্রেনের জনগণের পাশে আছি, এবং আমাদের অবশ্যই এমন লোকদের পাশে দাঁড়াতে হবে যারা অন্যান্য জায়গায় নৃশংসতার শিকার হচ্ছে।’
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সেনাবাহিনী দেশটির নির্বাচিত নেতা অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে (এনএলডি) ক্ষমতাচ্যুত করার পর ইতোমধ্যে একাধিক ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
পড়ুন: মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নকে ‘গণহত্যা’ ঘোষণা করবে যুক্তরাষ্ট্র
এই ঘোষণা মিয়ানমারের বর্তমান সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে পারে। কারণ ইতোমধ্যে হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ‘গণহত্যা’র অভিযোগের মুখোমুখি হচ্ছে জান্তা সরকার।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমরা ভবিষ্যতের দায়বদ্ধতার ভিত্তি স্থাপন করছি, আমরা সামরিক বাহিনীর চলমান নৃশংসতা বন্ধ করার জন্যও কাজ করছি এবং বার্মার জনগণকে সমর্থন করছি কারণ তারা দেশকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।’
২০১৭ সালে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হওয়ার পর ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
বিলম্ব হওয়া সত্ত্বেও ‘গণহত্যার’ এই ঘোষণাকে বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং কংগ্রেস সদস্যরা স্বাগত জানিয়েছে।
পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট: বাংলাদেশ ও গাম্বিয়াকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে সৌদি আরব