বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস মঙ্গলবার বলেছেন, নিঃসন্দেহে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যা ঘটেছিল তা ছিল ভয়ানক নৃশংসতা। উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে মার্কিন আইনের অধীনে গণহত্যা নির্ধারণের প্রশ্নটি খুব কঠিন আইনি প্রশ্ন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেয়ার অবস্থানে আছে কি না জানতে চাইলে ‘ডিক্যাব টক’-এ তিনি এ মন্তব্য করেন।
মার্কিন সরকার সম্প্রতি নির্ধারণ করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধ গণহত্যা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার মতো সংকটের মুখোমুখি হবে না বাংলাদেশ: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে নির্বাসনের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রে অত্যন্ত জটিল আইনি প্রক্রিয়া এবং এটি এখনও পর্যালোচনাধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য তারা বাংলাদেশের আগ্রহ সম্পর্কে অনেক সচেতন কিন্তু বর্তমানে তা পর্যালোচনাধীন রয়েছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, মানবাধিকার ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ‘কোন ছাড় দেয় না’।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নে ‘বিশ্বস্ত অংশীদার’ থাকবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
পূর্বের বক্তব্যের বরাত দিয়ে তিনি আবারও বলেন,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার,সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সমস্যাগুলোকে দেশটির পররাষ্ট্র নীতির কেন্দ্রে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সে বিষয়ে কোনও ছাড় দেয়া হবে না।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) জাতীয় প্রেসক্লাবে এ ডিক্যাব টকের আয়োজন করে।
ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন।