সাইক্লোন
সাইক্লোন মোকাবিলায় কক্সবাজারে এডুকোর মহড়া সম্পন্ন
কক্সবাজারে সংঘটিত ঘন ঘন সাইক্লোন, অগ্নিকাণ্ড ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এই অঞ্চলের মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি ও বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্পেনভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা এডুকো কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলা ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ পর্যন্ত ৪টি মহড়া (মক ড্রিল)সম্পন্ন করেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় উখিয়া উপজেলা প্রশাসন, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতিমূলক কর্মসূচি (সিপিপি), ফায়ার সার্ভিস ইউনিট এবং সহযোগী সংস্থা স্কাসের সহযোগিতায় এডুকোর তত্ত্বাবধানে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা সংলগ্ন মাঠে একটি মহড়া সম্পন্ন হয়।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন সজীব, সিপিপি’র ডেপুটি ডিরেক্টর হসানুল আমিন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
তাছাড়া, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিপুল জনগোষ্ঠী এ মহড়াগুলো প্রত্যক্ষ করেছেন।
এই মহড়ায় সাইক্লোন ও অগ্নিকাণ্ডের সময় সাড়াদান ও আত্মরক্ষার জন্য করণীয়সমূহ অভিনয়ের মাধ্যমে দেখানো হয়।
উপস্থিত কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বাসিন্দা সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র আহনাফুল কবীর হামীম বলেন, এরূপ মহড়া দেখালে আমরা ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপারে আরও বেশি সচেতন হতে পারব। বিপর্যয়ের সময় আমাদের কি করণীয় সে সম্পর্কে পরিবারকে জানাতে পারব।
আরও পড়ুন: এডুকো বাংলাদেশের ২৫ বছরপূর্তি উদযাপিত
উচ্চ ঘনবসতিপূর্ণ রোহিঙ্গা ক্যাম্পসমূহে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শিশু, কিশোর-কিশোরীসহ সব মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিতে এবং সাইক্লোন ভূমিধসসহ সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় ক্যাম্প ও হোস্ট কমিউনিটির মাঝে প্রতিরোধ ও সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই আয়োজন বলে জানিয়েছে এডুকো কর্তৃপক্ষ।
প্রোগ্রামে উপস্থিত উখিয়া উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন সজীব বলেন, যেহেতু কক্সবাজারে সাইক্লোন বা ভূমিধসের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। সেক্ষেত্রে এ ধরনের উদ্যোগ সচেতনতা সৃষ্টিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা রাখি।
ভৌগলিক অবস্থান ও পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারণে কক্সবাজার এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো প্রায়ই সাইক্লোন ও অগ্নি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর তিনটি সাইক্লোন, বেশ কয়েকটি নিম্নচাপ সংগঠিত হয়েছে এ এলাকায়। এছাড়া ছোট-বড় ১৫টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ক্যাম্পে।
উল্লেখ্য, এডুকো বাংলাদেশে কক্সবাজারসহ ১০টি জেলায় শিক্ষা, সুরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাসহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে করণীয় সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে শিশু-কিশোর ও তরুণ- তরুণীদের জীবন মান উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আস্থা ও নির্ভরতায় শীপ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালের প্রথম বছরপূর্তি
১০ মাস আগে
সাইক্লোন ইয়াস: উপকূলবর্তী বন্দরসমূহকে ২ নম্বর বিশেষ সংকেত জারি
চট্টগ্রাম,কক্সবাজার,মংলা এবং পায়রা উপকূলবর্তী সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেতের বদলে ২ নম্বর বিশেষ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সোমবার বঙ্গপোসগারের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এবং আন্দামান সাগর সংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট নিম্নচাপটির তীব্রতার ফলে ধীরে ধীরে সাইক্লোন ইয়াশে ঘণীভূত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ নিয়ে সতর্ক থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
নিম্নচাপটি সাগরের পূর্ব-মধ্য এবং ততসংলগ্ন এলাকা দিয়ে এসে উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে একই এলাকায় তীব্র ঘূর্ণিঝড় ইয়াশে পরিণত হয়েছে।
এক বিশেষ বুলেটিনে বলা হয় আজ সকাল ৬ টার দিকে এটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৭৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বদিকে, কক্সবাজার বন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে, মংলা বন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা বন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
এটি পরবর্তীতে তীব্র হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে সরে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ সর্বোচ্চ ৫৪ কিলোমিটার যা প্রতি ঘন্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার দমকা বা মাঝারি হাওয়া আকারে বয়ে যেতে পারে বলে বুলেটিনে বলা হয়। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকট সাগর উত্তাল থাকবে বলে জানা গেছে।
এছাড়া সকল মাছ ধরার নৌকা এবং ভ্রমণকারীদের সতর্কতা অবলম্বনসহ উপকূলের নিকটে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। তাছাড়া তদেরকে গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩ বছর আগে
সুপার সাইক্লোন ‘আয়োটা’র আঘাতে বিধ্বস্ত নিকারাগুয়া
ঘূর্ণিঝড় ‘ইটা’র প্রভাব না কাটতেই মাত্র দু’সপ্তাহের ব্যবধানে ভয়াবহ সুপার সাইক্লোন ‘আয়োটা’র আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়া। ভয়াবহ এই ঘূর্ণিঝড়ে ঘর-বাড়ি হারিয়েছেন হাজারো মানুষ।
৩ বছর আগে