তবে ক্ষতির পরিমাণ এখনও অস্পষ্ট কারণ শক্তিশালী এই ঝড়ের প্রভাবে অঞ্চলটির বেশিরভাগ বিদ্যুত, টেলিফোন এবং এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়া প্রবল বাতাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেতার সম্প্রচারও।
মঙ্গলবার আয়োটার প্রভাবে উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় নিকারাগুয়ায় উড়ে গেছে বাড়িঘরের ছাদ, উপড়ে গেছে বৈদ্যুতিক খুঁটি, পাম গাছ। সোমবার রাতে ঘণ্টায় ১৫৫ মাইল বাতাসের বেগ নিয়ে নিকারাগুয়ার ওপর দিয়ে বয়ে যায় আয়োটা। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭১ কিমি বা ১০৬ মাইলের বেশি হলে সেটা ‘সুপার সাইক্লোন’।
সকাল ৬ টার দিকে ঝড়ের শক্তি কমে বাতাসের বেগ নেমে আসে ঘণ্টায় ৮৫ মাইলে। এরপর ঝড়টি নিকারাগুয়ার উত্তরাঞ্চল পার হয় বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিকারাগুয়ার প্রায় ৪০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে এর প্রভাবে উপকূলীয় বহু এলাকা ২০ ফুট উচুঁ জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
আয়োটার প্রভাবে হন্ডুরাসেও প্রবল বৃষ্টিপাত এবং বন্যার আশংকায় ৮০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এর প্রভাবে হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া, গুয়েতেমালা ও বেলিজে প্রবল বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।