চিকিৎসা
সিলেটে প্রথম স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট সম্পন্ন
ঢাকার পর সিলেটে প্রথমবারের মতো লিভার সিরোসিস রোগীর শরীরে 'অটোলগাস হেমোলাইটিক স্টেম সেল' সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সার্জনদের একটি দল এই সফল অস্ত্রপচার করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি ডিভিশনের ডিভিশন প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের নেতৃত্বে একদল লিভার বিশেষজ্ঞ এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেন।
স্টেম সেল থেরাপি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি উন্নত দিক যা অনেক চিকিৎসায় বিপ্লব ঘটাতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে।
যদিও স্টেম সেল থেরাপি এখনও লিভার সিরোসিসের বিকল্প নয়, তবে যারা লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে অক্ষম তাদের জন্য এটি অবশ্যই একটি প্রতিশ্রুতিশীল চিকিৎসা।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যার ৮ দিন
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ভোগান্তিতে বানভাসিরা
চুয়াডাঙ্গায় আলমসাধু খাদে পড়ে চালক নিহত
চুয়াডাঙ্গায় আলমসাধু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে চালক নিহত এবং আরেক যাত্রী আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের জাফরপুর জোয়ার্দ্দারপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আলমসাধু চালক নাজমুল (৩৫) আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদি ইউনিয়নের নতিডাঙ্গা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। আহত ভুট্টা ব্যবসায়ী রিপন আলী (৩৫) একই গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. খালিদ হাসান বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই নাজমুলের মৃত্যু হয়। আহত রিপনের বাম হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ডিঙ্গেদহ বাজারে ভুট্টা বিক্রয় শেষে আলমসাধুয় করে ফেরার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে উল্টে যায় আলমসাধুটি। এতে ঘটনাস্থলেই চালক নাজমুল নিহত হয়।
এ ঘটনায় আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাভারে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু
ব্রুনাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত
ডায়রিয়া: শয্যা সংকট, মানিকগঞ্জে মেঝেতে চলছে চিকিৎসা
মানিকগঞ্জে জেলা হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে অনেক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন মেঝেতে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবাও ব্যাহত হচ্ছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, রোগী বেশি হওয়ার কারণে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিমে খাচ্ছেন তারা। আবার জায়গা না পেয়ে অনেক রোগী অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। বাড়তি চাপ সামলাতে অন্য ওয়ার্ডে ডায়রিয়া রোগী সরানোর পরিকল্পনার কথা বলছেন হাসপাতাল তত্ত্বাবাধয়ক।
জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. একেএম রাসেল জানান, মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালের আলাদা ডায়রিয়া ইউনিটে বিছানা রয়েছে ১০ টি। কিন্তু প্রতিদিন ডায়রিয়া রোগীর ভর্তি থাকছে ২৫ থেকে ৩০জন। এতে ডায়রিয়ার ইউনিট ছাপিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে সাধারন ওয়ার্ডের মেঝেতে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের পরিবেশও নোংরা হয়ে পড়ছে। একটি মাত্র টয়লেট ব্যবহার করতে হয় এতগুলো রোগীকে।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া ও কলেরার প্রকোপ: সচেতন থাকার পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
এদিকে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করছেন, ডায়রিয়া ইউনিটে নোংরা ও অস্বাস্থ্য পরিবেশ। তাছাড়া পুরো ইউনিটে রয়েছে মাত্র একটি টয়লেট। তাও নোংরা, অপরিচ্ছন্ন। এতে করে রোগীর সঙ্গে আসা স্বজনরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এছাড়া প্রয়োজনীয় সকল ঔষধও মিলছে না। বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে ঔষধ কিনতে হচ্ছে।
তবে ডায়রিয়া ইউনিটে কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসকরা জানায়, তারা সাধ্যমত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ডায়রিয়া রোগীদের জন্য খাবার স্যালাইন, প্যারাসিটামল ঔষধ পর্যাপ্ত রয়েছে। তবে কলেরা স্যালাইনসহ সিপ্রোসিন জাতের ঔষধের সাপ্লাই না থাকায় রোগীদের সেগুলো বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশাদ উল্লাহ জানালেন, গত শনিবার স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন কমিটির সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ৫০ শয্যার আলাদা ডায়রিয়া ওয়ার্ড স্থাপনের পরিকল্পনার কথা বলেছেন। আগামী অর্থবছরে সেটি স্থাপনের কাজ শুরু হবে। তবে এখন জায়গা স্বল্পতার কারণে অতিরিক্ত রোগীদের মেঝেতে চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে রোগীর চাপ সামলাতে অন্য ওয়ার্ডে ডায়রিয়ার রোগী স্থানান্তর করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে দু’শোর ওপরে ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় শিশুরোগ ও ডায়রিয়া বেড়েছে
গজারিয়ায় ট্রলারডুবি: দুজনের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ৩
বরিশালের গজারিয়া নদীতে একটি যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় মেহেন্দিগঞ্জের গজারিয়া নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও এখনও আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- মাহিনূর বেগম (৫৫) ও নাছরিন বেগম (২৫)। তারা সম্পর্কে মা-মেয়ে এবং ওই এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: কীর্তনখোলা নদীতে গ্রীনলাইনের ঢেউয়ে যাত্রীবাহী ট্রলারডুবি
মেহেন্দিগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তৌহিদ জামান জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আটজন যাত্রী নিয়ে একটি খোলা বডির ট্রলার মেহেন্দিগঞ্জ মাঝেরচর থেকে দলিল খাজুরিয়া যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে গজারিয়া পৌঁছালে প্রচণ্ড ঢেউয়ের কারণে ট্রলারটি ডুবে যায়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, ট্রলারডুবিতে নিহত মা ও মেয়ের লাশ মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। এছাড়াও জীবিত উদ্ধার করা ব্যক্তিদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় কোস্ট গার্ডের উদ্ধার অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বরিশালে ট্রলারডুবি: আরও একজনের লাশ উদ্ধার, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪
মায়ের চিকিৎসায় গিয়েছিলেন হাসপাতালে, লিফটের নিচে মিলল লাশ
মায়ের চিকিৎসা করাতে যশোর শহরের মুজিব সড়ক রেলগেট এলাকার পঙ্গু হাসপাতালে গিয়ে নিখোঁজ ছিলেন মফিজুর রহমান (৬৫)। তিনদিন পর শনিবার হাসপাতালের লিফটের নিচের গ্রাউন্ডফ্লোর থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় হাসপাতালের ম্যানেজারসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহতের গলার নিচে ও বুকের উপরের দিকে উপুর্যপরি কোপানো হয়েছে বলে পুলিশ ও পরিবার সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মফিজুর রহমান ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ মার্চ মফিজুর রহমানের মা আছিয়া বেগম পড়ে গেলে তার পা ভেঙে যায়। তাকে চিকিৎসার জন্য যশোর পঙ্গু হাসাপতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন দুপুরে মফিজুর নিখোঁজ হন। এরপর থেকে তাকে আর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় নিখোঁজ মফিজুরের ছেলে সোয়েব উদ্দিন (১৮) ওইদিন (৩১ মার্চ) বৃহস্পতিবার কোতয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এই জিডির সূত্র ধরে মফিজুরের সন্ধানে শনিবার (০২ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতালে তল্লাশিকালে লিফটের নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: নিখোঁজ দর্জির লাশ বাবার কবরের পাশে ধানখেত থেকে উদ্ধার, চোখে ক্ষত চিহ্ন
ধারণা করা হচ্ছে, মফিজুরকে হত্যার পর লাশ লিফটের তালা খুলে নিচে ফেলে দেয়া হয়।
যশোর চাঁচড়া ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ আকিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এই ঘটনায় হাসপাতালের ম্যানেজার আতিয়ার রহমান এবং দুই লিফটম্যান জাহিদ গাজী ও আব্দুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
এদিকে লাশ উদ্ধারের পর নিহত মফিজুর রহমানের শ্যালকের ছেলে শেখ সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, নিখোঁজের পর থেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। ফুপার সন্ধানে কোনো ধরনের সহযোগিতা করেনি। উল্টো বলেছে, নিখোঁজের একদিন আগে থেকে তাদের হাসপাতালের সিসিটিভির হার্ডডিস্ক নষ্ট হয়ে গেছে। হত্যাকাণ্ডের পেছনে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জড়িত।
এ বিষয়ে পঙ্গু হাসপাতালের সত্ত্বাধিকারী ডা. আব্দুর রউফ সাংবাদিকদের বলেছেন, ওই ব্যক্তি কীভাবে মারা গেছেন তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। পুরো ঘটনাটি প্রশাসনের তদন্তাধীন। তদন্ত শেষ হলে সব কিছু জানা যাবে।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ি চ্যানেলে টাগশীপ ডুবি, চীনা নাগরিকের লাশ উদ্ধার
নিখোঁজের তিনদিন পর নদী থেকে কৃষকের লাশ উদ্ধার
উপজেলায় দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার গ্রামীণ জনগণের সুবিধার্থে উপজেলায় অগ্নিদগ্ধ রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা চালু করার পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, আমরা দগ্ধ রোগীদের জন্য এই সেবাটি উপজেলা পর্যায়ে চালু করতে চাই। যাতে গ্রামের মানুষ সেখানে দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা পেতে পারে।
মঙ্গলবার শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি (এসএইচএনআইবিপিএস) এ সোসাইটি অব প্লাস্টিক সার্জনস অব বাংলাদেশের (এসপিএসবি) ‘প্লাস্টিকন ২০২২’ শীর্ষক ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সরকার উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা চালু করার কথা ভাবছে।
আরও পড়ুন: শত্রুর আক্রমণ থেকে দেশ রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা দাহ্য পদার্থের ব্যবহার এবং আগুনে পোড়ার দুর্ঘটনার প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচারণার ওপর জোর দেন।
এসপিএসবি সভাপতি ও এসএইচএনআইবিপিএস পরিচালক ডা. আব্দুল কালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এসপিএসবি-এর সাবেক সভাপতি এবং সকল বার্ন প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন এবং এসপিএসবি মহাসচিব (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. হেদায়েত আলী খান।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে ইনস্টিটিউটে স্থাপিত মুজিব কর্নার ও বঙ্গবন্ধু গ্যালারিও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা ‘জঘন্য পদক্ষেপ’: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের সঙ্গে কেউ ফাউল করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী
সাত বছর ধরে বাঁধা জান্নাতুলের শৈশব !
যে বয়সে অন্য শিশুদের মতো প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া, দুষ্টুমি আর নানা খেলায় মত্ত থাকার কথা সেই বয়সে শিশু জান্নাতুল বৃষ্টি বন্দি জীবন কাটাচ্ছে। গত সাত বছর ধরে তার শৈশব বাঁধা। পরিবার জানায়, সে মানসিক ভারসাম্যহীন শিশু। তাই তার দুই হাত সব সময় বেঁধে রাখা হয়।
বৃষ্টি নেত্রকোণার দুর্গাপুর পৌরসভার দশাল এলাকার দিনমজুর শাহজাহান মিয়ার মেয়ে। অর্থ ও সু-চিকিৎসা করাতে না পেরে এভাবে হাত বেঁধে রাখেন তার বাবা-মা। দিনে বাড়ির পাশে স্বজনের বারান্দায় আর রাতে নিজ ঘরের বাঁশের সঙ্গে দুই হাত বাঁধা অবস্থায় দিন-রাত কাটছে শিশু বৃষ্টির।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৬ জুন একজন ধাত্রীর মাধ্যমে বৃষ্টির জন্ম হয়। এরপর সাড়াশব্দ না থাকায় তাকে দুর্গাপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা নেয়ার দুইদিন পর সে সাড়া দেয়। এরপর এক বছর বয়স থেকেই তার অস্বাভাবিক আচরণ শুরু হয়। তাকে ছেড়ে দিলে নিজেই নিজের মাথায় আঘাত করা শুরু করে বা হাত কামড়াতে থাকে। যেদিকে খুশি চলে যেতে চায় কিংবা অন্যকে মারধর করে।
আরও পড়ুন: প্রতিকূলতার মাঝেও শিক্ষা গ্রহণে সাফল্যের পথে উপকূলের নারীরা
পরে প্রতিবেশীদের কথা শুনে বৃষ্টিকে কবিরাজের কাছে নিয়ে যায় তার পরিবার। কিন্ত সেখানে গিয়েও কেনো লাভ হয়নি।
সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে বৃষ্টির নামে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড হয়েছে। কিন্তু জোটেনি অন্য কোনো সহায়তা।
বৃষ্টির মা আয়েশা খাতুন বলেন, ‘আমি এই মেয়েটাকে নিয়ে অনেক কষ্টে আছি। প্রায় রাতেই মেয়ের জন্য জেগে থাকি। মা হিসেবে নিজের মেয়েকে এভাবে বেঁধে রাখতে কষ্ট হয়। যদি সমাজের বিত্তবানরা আমার মেয়েটার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিতেন তাহলে সে সুস্থ হয়ে যেতো।’
বৃষ্টির বাবা দিনমজুর শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘আমার দুই মেয়ের মধ্যে বৃষ্টি বড়। ছোট একটি টিনের ঘরে থাকি। সারাদিন রাজমিস্ত্রি কাজ করে যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসার চালাতেই হিমশিম খাই। তাকে ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করাতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করানো আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। মেয়েটিকে নিয়ে অনেক কষ্টে দিন পার করছি। যদি সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরা আমাদের সহযোগিতা করতেন তাহলে হয়তো মেয়েটি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতো। ’
দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তানজিরুল ইসলাম রায়হান বলেন, শিশুটির বাসায় গিয়ে আমি তাকে দেখেছি। তার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ব্যাহত হচ্ছে। আমাদের এখানে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে সেটি দিয়ে এ ধরনের পরীক্ষা করানো সম্ভব না। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউটে নিয়ে গেয়ে মস্তিষ্ক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করালে হয়তো প্রকৃত কারণটা জানা যাবে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এএসআইসহ নিহত ২
বিচ্ছিন্ন হাত জোড়া লাগিয়ে অসাধারণ সাফল্য খুলনার চিকিৎসকদের
দুর্ঘটনায় কবজি থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হাত জোড়া লাগিয়ে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছেন খুলনার চিকিৎসকরা। গত ৬ ফেব্রুয়ারি খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘ আট ঘণ্টার অপারেশন শেষে এক ভারতীয় নাগরিকের বিচ্ছিন্ন হাত প্রতিস্থাপন করে এ সফলতা দেখান ডা. ওয়াইএম শহীদুল্লাহ’র নেতৃত্বে ৯ সদস্যের সার্জন টিম।
এখন তার কেটে যাওয়া হাতের আঙুল নড়াচড়া করতে পারছেন। চিকিৎসকদের দাবি, খুলনায় এ ধরনের সফলতা এই প্রথম, দেশেও এমন সফলতা বিরল।
আরও পড়ুন: বরিশালে বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ: ‘কারিগরের’ দুই হাত বিচ্ছিন্ন
জানা গেছে, বাগেরহাটের রামপালে নির্মাণাধীন তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ক্রেন অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন ভারতীয় নাগরিক মুন্না মাহোত। অন্য দিনের মতো গত ৬ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) কাজে যোগ দেন তিনি। দুপুর ১২টার দিকে ক্রেনে মাল পরিবহনের সময় ক্রেনের গ্লাস ডোর ভেঙে তার বাম হাতের কবজি বরাবর পরায় শরীর থেকে হাতটি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। হাতের দিকে তাকিয়ে দেখেন ফিনকি দিয়ে বেরোচ্ছে। চোখের সামনে পড়ে আছে বিচ্ছিন্ন হাত।
এরপরপরই তার সহকর্মীরা স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে বিচ্ছিন্ন হাতটি একটি পলিব্যাগে বরফ দিয়ে ডুবিয়ে এক ঘণ্টা পর খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর অপারেশন শুরু করেন চিকিৎসকরা। দুপুর ২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা অপারেশন শেষে সফল হন চিকিৎসকরা। এমন চিকিৎসায় তার সহকর্মীরাও স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: লোহাগড়ায় বোমা বিস্ফোরণে যুবকের হাত বিচ্ছিন্ন
চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মুন্না মাহোত।
অপারেশনে সফলতা পেয়ে খুশি চিকিৎসক এ ওয়াই এম শহীদুল্লাহ। তিনি জানান, শিগগিরই মুন্না মাহোতের হাতের পুরো কার্যক্ষমতা ফিরে আসবে।
মুন্না মাহোত বর্তমানে সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিউইতে ভর্তি আছেন।
বাগেরহাটে করোনা শনাক্তের হার ৫৪.৬৮ শতাংশ!
বাগেরহাটে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭০ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় এপর্যন্ত করোনা শনাক্তের সংখ্যা সাত হাজার ৩৬২ জন। এসময় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার শতকরা ৫৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
বর্তমানে বাগেরহাটে করোনা আক্রান্ত ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকিরা বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়।
এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলায় মারা গেছেন ১৪৪ জন।
আরও পড়ুন: করোনা: চট্টগ্রামে মৃত্যু ৪, শনাক্ত ১১৬৭
বাগেরহাটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় বাগেরহাটে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার শতকরা ৫৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ। একারণে জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ১৩৫টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে চিকিৎসক এবং নার্সরা প্রস্তুত রয়েছে।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শেখ আদনান হোসেন জানান, বাগেরহাটে প্রতিদিন করোনা রোগী বাড়ছে। এই মুহুর্তে সদর হাসপাতালে সাতজন করোনা রোগী ভর্তি রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে একদিনে করোনায় আক্রান্ত ৫১, শনাক্তের হার প্রায় ৫২.৫৮
করোনায় মৃত্যু বেড়েই চলছে
নতুন বছরে দেশে ৪ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে
দেশে নতুন বছরে সকাল ৮টা থেকে এখন পর্যন্ত চারজন নতুন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। নতুন রোগীদের মধ্যে দুইজন ঢাকার এবং বাকি দুই জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন বিভাগের বলে শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে।
কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৫২ জন ডেঙ্গু রোগী সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ২৪ জন রোগীকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নতুন বছরে এখন পর্যন্ত চারজন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: করোনায় বেড়েছে মৃত্যু, কমেছে শনাক্ত
করোনায় জনগণের কল্যাণে সব করেছে পুলিশ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী