মায়ের চিকিৎসা করাতে যশোর শহরের মুজিব সড়ক রেলগেট এলাকার পঙ্গু হাসপাতালে গিয়ে নিখোঁজ ছিলেন মফিজুর রহমান (৬৫)। তিনদিন পর শনিবার হাসপাতালের লিফটের নিচের গ্রাউন্ডফ্লোর থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় হাসপাতালের ম্যানেজারসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহতের গলার নিচে ও বুকের উপরের দিকে উপুর্যপরি কোপানো হয়েছে বলে পুলিশ ও পরিবার সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মফিজুর রহমান ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ মার্চ মফিজুর রহমানের মা আছিয়া বেগম পড়ে গেলে তার পা ভেঙে যায়। তাকে চিকিৎসার জন্য যশোর পঙ্গু হাসাপতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন দুপুরে মফিজুর নিখোঁজ হন। এরপর থেকে তাকে আর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় নিখোঁজ মফিজুরের ছেলে সোয়েব উদ্দিন (১৮) ওইদিন (৩১ মার্চ) বৃহস্পতিবার কোতয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এই জিডির সূত্র ধরে মফিজুরের সন্ধানে শনিবার (০২ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতালে তল্লাশিকালে লিফটের নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: নিখোঁজ দর্জির লাশ বাবার কবরের পাশে ধানখেত থেকে উদ্ধার, চোখে ক্ষত চিহ্ন
ধারণা করা হচ্ছে, মফিজুরকে হত্যার পর লাশ লিফটের তালা খুলে নিচে ফেলে দেয়া হয়।
যশোর চাঁচড়া ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ আকিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এই ঘটনায় হাসপাতালের ম্যানেজার আতিয়ার রহমান এবং দুই লিফটম্যান জাহিদ গাজী ও আব্দুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
এদিকে লাশ উদ্ধারের পর নিহত মফিজুর রহমানের শ্যালকের ছেলে শেখ সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, নিখোঁজের পর থেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। ফুপার সন্ধানে কোনো ধরনের সহযোগিতা করেনি। উল্টো বলেছে, নিখোঁজের একদিন আগে থেকে তাদের হাসপাতালের সিসিটিভির হার্ডডিস্ক নষ্ট হয়ে গেছে। হত্যাকাণ্ডের পেছনে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জড়িত।
এ বিষয়ে পঙ্গু হাসপাতালের সত্ত্বাধিকারী ডা. আব্দুর রউফ সাংবাদিকদের বলেছেন, ওই ব্যক্তি কীভাবে মারা গেছেন তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। পুরো ঘটনাটি প্রশাসনের তদন্তাধীন। তদন্ত শেষ হলে সব কিছু জানা যাবে।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ি চ্যানেলে টাগশীপ ডুবি, চীনা নাগরিকের লাশ উদ্ধার