ইলিশ
চাঁদপুরে ১০ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ
জাটকা রক্ষায় চাঁদপুর মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় কোস্টগার্ডের অভিযানে জব্দ করা প্রায় ১০ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্টেট্রের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করেন কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনের সদস্যরা।অভিযানে অংশগ্রহণকারী মৎস্য কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান,পদ্মা-মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় জেলেদের গোপনে পেতে রাখা প্রায় ১০ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। অভিযান টের পেয়ে জেলেরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: ইলিশ ধরা ও বিক্রির ওপর ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরুতিনি আরও বলেন, জব্দ করা জালগুলো কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে এনে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেশমা খাতুনের উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
জাটকা রক্ষায় মেঘনা-পদ্মায় ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকায় দিন ও রাতে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্সের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ও মজুদ সরকারি নির্দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে এক থেকে দুই বছর সর্বোচ্চ কারাদণ্ড, পাঁচহাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে বলে মৎস্য ও জেলা প্রশাসনের কমর্কর্তারা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিন ভোলায় ১৫ জেলে আটক, ১২ জনের অর্থদণ্ড
ইলিশ ধরা ও বিক্রির ওপর ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু
ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে আজ মঙ্গলবার (১ মার্চ) থেকে ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুদ ও পরিবহনের ওপর দুই মাসের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে।
এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালী জেলার ইলিশ অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট নদ-নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।আগামী দু’মাস চাঁদপুর জেলার ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর নিম্ন অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার এলাকা; ভোলা জেলার মদনপুর/চর ইলিশা হতে চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর শাহবাজপুর শাখা নদীর ৯০ কিলোমিটার এলাকা; ভোলা জেলার ভেদুরিয়া হতে পটুয়াখালী জেলার চর রুস্তম পর্যন্ত তেতুলিয়া নদীর প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা; শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা এবং চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার মধ্যে অবস্থিত পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকা এবং বরিশাল জেলার হিজলা, মেদেন্দীগঞ্জ ও বরিশাল সদর উপজেলার কালাবদর, গজারিয়া ও মেঘনা নদীর প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: ইলিশ ধরা ও বিক্রির ওপর ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু মঙ্গলবার
এ পাঁচটি অভয়াশ্রমে প্রতিবছর মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশ, জাটকাসহ সব ধরনের মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে।
আইন অমান্যকারীর জন্য কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট জেলায় এ সময় মৎস্য আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত জেলেদের ইতোমধ্যে ৮০ কেজি হারে ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: ইলিশ আহরণ বন্ধের সময় মৎস্যজীবীদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থা
ইলিশ ধরা ও বিক্রির ওপর ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু মঙ্গলবার
দেশে ইলিশ মাছের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে দুই মাসব্যাপী মাছটি ধরা, বিক্রি ও পরিবহনের ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞা ১ মার্চ থেকে শুরু হবে।
সোমবার এক হ্যান্ডআউটে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞা ১ মে থেকে তুলে দেয়া হবে।
এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালী জেলার ইলিশ অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট নদ-নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।পাঁচটি অভয়াশ্রম হচ্ছে- চাঁদপুর জেলার ষাটনল হতে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর নিম্ন অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার এলাকা; ভোলা জেলার মদনপুর/চর ইলিশা হতে চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর শাহবাজপুর শাখা নদীর ৯০ কিলোমিটার এলাকা; ভোলা জেলার ভেদুরিয়া হতে পটুয়াখালী জেলার চর রুস্তম পর্যন্ত তেতুলিয়া নদীর প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা; শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা এবং চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার মধ্যে অবস্থিত পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকা এবং বরিশাল জেলার হিজলা, মেদেন্দীগঞ্জ ও বরিশাল সদর উপজেলার কালাবদর, গজারিয়া ও মেঘনা নদীর প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকা।
আরও পড়ুন: ইলিশ আহরণ বন্ধের সময় মৎস্যজীবীদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান
এ পাঁচটি অভয়াশ্রমে প্রতিবছর মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশ, জাটকাসহ সব ধরনের মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে।
আইন অমান্যকারীর জন্য কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট জেলায় এ সময় মৎস্য আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত জেলেদের ইতোমধ্যে ৮০ কেজি হারে ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: ইলিশ খেতে মধ্যরাতে মাওয়ায় গেলেন পরীমণি
নিষিদ্ধ সময়ে মা ইলিশ রেকর্ড সংখ্যক ডিম ছেড়েছে
‘নিরাপদে ইলিশের প্রজননের’ সুবিধার্থে সরকার গত ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন নদীর অভয়াশ্রমে ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।
চাঁদপুরের ৭০ কিলোমিটার মেঘনা-পদ্মা নদী এলাকায় এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ ছিল। এসময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ২১৮ জন জেলেকে শাস্তিসহ জেলে পাঠানো হয়।
এদিকে এক গবেষণায় দেখা যায়, এ প্রজনন সময়ে অমাবস্যা ও পূণির্মার প্রভাবে ইলিশ মিঠা পানিতে চলে আসে এবং এসময় বেশি ডিম পাড়ে।
চাঁদপুর ফিশারিজ ইনস্টিটিউটের প্রখ্যাত ইলিশ গবেষক ও বিশেষজ্ঞ ড.মো আনিসুর রহমান জানান,ইলিশ সারা বছরই ডিম পাড়ে। এ নিষিদ্ধ সময়ে সাগর থেকে মা ইলিশ পরিভ্রমণ করে মিঠা পানিতে আসে এবং বেশি ডিম পাড়ে,আবার ফিরে যায়। মা ইলিশের এই আসা-যাওয়াটা খুবই গুরুত্বপুর্ণ। এ চলাচলটা নির্বিঘ্ন হতে হবে। এ প্রজনন সময়ে একটি মা ইলিশ গড়ে প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ ডিম পাড়ে।
তিনি আরও বলেন,এবার ৬ অক্টোবর ছিল অমাবস্যা আর ২০ অক্টোবর ছিল পূর্ণিমা। সময়টা যথাযথ ও উপযুক্ত ছিল বলেই মা ইলিশ এ সময়ে প্রচুর ডিম ছেড়েছে। আর এর ফল আমরা এখন পাচ্ছি। নিরাপদে সাগর থেকে মিঠা পানিতে আসা-যাওয়া ও কোন ডিস্টার্ব বা ট্রাফিক জ্যাম ছাড়া মা ইলিশের নির্বিঘ্নে প্রজনন ও ডিম ছাড়ার জন্য আমাদের নদীগুলোর অভয়াশ্রমে কোনও রকম বালু উত্তোলন বা মাছ ধরা মোটেও উচিৎ না। জনস্বার্থে,দেশের স্বার্থে সবাইকে এটা খেয়াল রাখতে হবে।
আরও পড়ুন:যমুনায় মা ইলিশ ধরার দায়ে ১২ জেলের কারাদণ্ড
এ বছর প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দেখা যায়,দেশের বিভিন্ন নদীতে এ বছর বেকর্ড ৫১ দশমিক ৭ শতাংশ ডিম ছেড়েছে মা ইলিশ।অর্থাৎ,গত বছরের চেয়ে এবার দশমিক ৫ শতাংশ বেশি ডিম পেয়েছি আমরা।এর ১০ ভাগ টিকিয়ে রাখতে পারলেই আগামী মৌসুমে আরও ৩৯ হাজার কোটি ইলিশের পোনা নদীতে যুক্ত হবে বলে আশা করা যায়। সেই লক্ষ্যে সরকার চলতি মাসের ১লা নভেম্বর থেকে আগামী জুন মাস (২০২২)পর্যন্ত ৮ মাস নদীতে জাটকা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে।এজন্য নদীতে প্রচার-প্রচারণাও চলছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে,জাটকা রক্ষা করতে পারলে আগামী মৌসুমে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে পৌনে ৬ লাখ মেট্রিক টনে পৌঁছাবে।
আরও পড়ুন:মধ্যরাতে থেকে মেঘনায় ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ
ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে: মন্ত্রী
চাঁদপুরে ৮ মাসব্যাপী জাটকা রক্ষা অভিযান শুরু
দেশের জাতীয় সম্পদ ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ৮ মাসব্যাপী জাটকা রক্ষা অভিযান শুরু হয়েছে। মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার শেষ সীমানার ৭০ কিলোমিটার এলাকায় এ অভিযান চলবে। এসময় জেলেরা নদীতে সব মাছ ধরলেও জাটকা আহরণ করবে না।
সোমবার (১ নভেম্বর) থেকে শুরু করে আগামী ৩০ জুন অর্থাৎ আগামী ৮ মাসব্যাপী এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এ সময় ১০ ইঞ্চির ( ইলিশের পোনা) জাটকা ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, বিনিময় ও মজুত আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
জাটকা রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন, ভ্রাম্যমাণ আদালত, টাস্কফোর্স, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও মৎস্য বিভাগের সমন্বয়ে চালানো হবে সমন্বিত এ অভিযান।সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে জাটকা রক্ষা অভিযান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা মৎস্য অফিসার গোলাম মেহেদী হাসান। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা টাস্কফোর্সের উদ্যোগে সদর উপজেলার পদ্মা-মেঘনার নদী তীরবর্তী বিভিন্ন জেলে এলাকায় মাইকিং করে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, ব্যাপক প্রচার প্রচারণা ও জেলেদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়।প্রচারণা কাজে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুদীপ ভট্টাচার্য, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রশিদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বিষাক্ত জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় চাঁদপুরে ১০ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের প্রাণহানি
মধ্যরাত থেকে ধরা যাবে ইলিশ
মা ইলিশ রক্ষায় দেশ্যাপী সরকার কর্তৃক আরোপ করা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সোমবার মধ্যরাতে শেষ হবে। এদিকে দীর্ঘদিন পর জেলেরা মাছ শিকারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করতে এ সময়ে ইলিশ ধরার পাশাপাশি এ মাছ বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল পরিমাণ মা ইলিশ ও মাছ ধরার জাল, ট্রলার জব্দ করেছে।
কঠোরভাবে এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে মৎস অধিদপ্তর, উপজেলা ও জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করেছেন।
এর আগে সেপ্টেম্বরে মৎস ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এসএম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে জাতীয় টাস্ক ফোর্সের এক সভায় এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভা চলাকালে দেশের জাতীয় স্বার্থের যারা ক্ষতি করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছন মন্ত্রী।
মা ইলিশকে রক্ষা করাই এ নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্যে ছিল। সাধারণত বর্ষাকালের আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরই ইলিশের প্রজননের প্রধান মৌসুম।
মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮-০৯ সালে ইলিশ উৎপাদন ছিল তিন লাখ মেট্রিক টন যা বেড়ে ২০১৭-১৮ তে হয় পাঁচ লাখ মেট্রিক টন। ২০১৯ সালে ইলিশ উৎপাদন হয় পাঁচ দশমিক ৩৩ লাখ মেট্রিক টন। চলতি অর্থ বছরে ইলিশ উৎপাদন ছয় লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করতে মন্ত্রণালয় বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে।
আরও পড়ুন: যমুনায় মা ইলিশ ধরার দায়ে ১২ জেলের কারাদণ্ড
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ শিকার: আটক ৩
মধ্যরাতে থেকে মেঘনায় ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ
যমুনায় মা ইলিশ ধরার দায়ে ১২ জেলের কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মা ইলিশ ধরার দায়ে ১২ জেলেকে ১০ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেইসাথে অভিযানে উদ্ধার হওয়া ১৫ হাজার মিটার কারেন্টজাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান এ কারাদণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা বেলকুচি ও চৌহালী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ভোলায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ শিকার: আটক ৩
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বেলকুচি ও চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে মা ইলিশ ধরার অপরাধে ১২ জেলেকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং উদ্ধারকৃত মাছ স্থানীয় মাদরাসা ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
এ অভিযানে উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল দিয়ে ভারতে গেলো ২০৯ মেট্রিক টন ইলিশ
উল্লেখ্য, ইলিশ মাছের প্রজনন বৃদ্ধিতে গত ৪ অক্টোবর থেকে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন দেশের নদী-সমুদ্রে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মৎস্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় চাঁদপুরে ১০ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুর মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় ১০ জেলেকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার সকালে এ সময় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও এক লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করে টাস্কফোর্স।
আরও পড়ুন: বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৭ জেলের কারাদণ্ড
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন চৌধুরী জেলেদের এই দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন, চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের লালপুর ও খেরুদিয়া এলাকার নাছির হোসেন (৩০), সফিকুল ইসলাম (২০), আব্দুস সুক্কুর গাজী (২০), খোকন বেপারী (২৩), ফারুক দর্জি (৩০), মনির হাওলাদার (২০), মো. ফারুক খান (৩২), মো. নাছির (২৯), আউয়াল হাওলাদার (৬৩) ও গোলাম মো. রাসেল (২৩)।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মা ইলিশ ধরায় ১৩ জেলের কারাদণ্ড
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় জানায়, মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম অভিযানে মেঘনা নদী থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে দুটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও এক লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। ওই সময় ইলিশ ধরার অপরাধে ১০ জেলেকে আটক করা হয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুদীপ ভট্টচার্য বলেন, আটক জেলেদের প্রত্যেককে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়ার পর জেল হাজতে পাঠানো হয়। জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং নৌকা দুটি কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ভোলায় ১১ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাতীয় সম্পদ ইলিশ প্রজনন রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ শিকার: আটক ৩
মা ইলিশ রক্ষায় সরকার ঘোষিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভোলার মেঘনা নদীতে মাছ ধরার অভিযোগে তিনজনকে আটক করে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার বিকাল থেকে আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত মৎস্য বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটক তিনজনকে জেল ও জরিমানা করেন। এছাড়া এ সময় প্রায় ২৭ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, এক টন মাছ ও দুইটি নৌকা জব্ধ করা হয়।
দৌলতখান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহাফুজুল হাসনাইন জানান, মঙ্গলবার বিকালে দৌলতখানের মেঘনা নদী থেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ শিকারের অপরাধে দুই জেলেকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জালও জব্দ করা হয়। পরে আটক জেলে ইউছুফকে এক বছর কারাদণ্ড ও নয়ন নামে আরেক জেলেকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া আফরোজ।
আরও পড়ুন: ভোলায় নদীতে ডুবে জেলের মৃত্যু
এদিকে তজুমদ্দিন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন জানান, বুধবার সকালে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের শশীগঞ্জ মাছ বাজারে অভিযান চালিয়ে হারুন নামে এক মাছ বিক্রেতাকে আইন অমান্য করে নদীর মাছ বিক্রি করায় দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তজুমদ্দিন উজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মরিয়ম বেগম ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই অর্থদণ্ড প্রদান করেন। পরে জব্দকৃত মাছ এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়। এছাড়া এ সময় জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এছাড়া ভোলা সদরে আড়াই হাজার মিটার, তজুমদ্দিনে পাঁচ হাজার মিটার, মনপুরায় পাঁচ হাজার মিটার, ও একটি মাছ ধরার নৌকা, চরফ্যাশন উপজেলায় ২৭ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, এক টন মাছ ও একটি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। পরে জব্দকৃত অবৈধ জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং মাছ দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: আসামি ভোলার জামিন
ভোলায় নসিমনচাপায় এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল দিয়ে ভারতে গেলো ২০৯ মেট্রিক টন ইলিশ
বাংলাদেশ থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২০৯ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ভারতে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছায় এই চালান।
বেনাপোল মৎস্য অধিদপ্তরের মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মাছের নমুনা পরীক্ষা করে রপ্তানির অনুমতি দেন।
১৭টি ইলিশ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছ রপ্তানি করে ভারতে। যার রপ্তানি মূল্য প্রতি কেজি ১০ মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে: মন্ত্রী
ভারতে দুই হাজার ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির জন্য দেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে সরকার। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ৪০ টন করে ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে।
বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক আসওয়াদুল ইসলাম বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকার গত ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ৫২ রপ্তানিকারকের প্রত্যেককে ৪০ টন করে দুই হাজার ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জানান, আজ দ্বিতীয় দিনের মত বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ২০৯ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ভারতে। ইলিশ রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুত করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইলিশ নিয়ে কথকতা