মা ইলিশ রক্ষায় দেশ্যাপী সরকার কর্তৃক আরোপ করা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সোমবার মধ্যরাতে শেষ হবে। এদিকে দীর্ঘদিন পর জেলেরা মাছ শিকারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করতে এ সময়ে ইলিশ ধরার পাশাপাশি এ মাছ বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল পরিমাণ মা ইলিশ ও মাছ ধরার জাল, ট্রলার জব্দ করেছে।
কঠোরভাবে এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে মৎস অধিদপ্তর, উপজেলা ও জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করেছেন।
এর আগে সেপ্টেম্বরে মৎস ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এসএম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে জাতীয় টাস্ক ফোর্সের এক সভায় এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভা চলাকালে দেশের জাতীয় স্বার্থের যারা ক্ষতি করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছন মন্ত্রী।
মা ইলিশকে রক্ষা করাই এ নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্যে ছিল। সাধারণত বর্ষাকালের আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরই ইলিশের প্রজননের প্রধান মৌসুম।
মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮-০৯ সালে ইলিশ উৎপাদন ছিল তিন লাখ মেট্রিক টন যা বেড়ে ২০১৭-১৮ তে হয় পাঁচ লাখ মেট্রিক টন। ২০১৯ সালে ইলিশ উৎপাদন হয় পাঁচ দশমিক ৩৩ লাখ মেট্রিক টন। চলতি অর্থ বছরে ইলিশ উৎপাদন ছয় লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করতে মন্ত্রণালয় বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে।
আরও পড়ুন: যমুনায় মা ইলিশ ধরার দায়ে ১২ জেলের কারাদণ্ড