বড়পুকুরিয়া
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে তৃতীয় ইউনিট সচল, গ্রিডে যোগ হচ্ছে ২৮৫ মেগাওয়াট
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে তৃতীয় ইউনিটটি বন্ধের ৬ দিনের মাথায় রবিবার দুপুরে আবার সচল হয়েছে। সেই সঙ্গে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে তৃতীয় ইউনিটে উৎপাদিত ২২০ মেগাওয়াটসহ ২৮৫ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ। ফলে ভোগান্তির লোডশেডিং কমে উৎপাদন বেড়েছে শিল্পকারখানায়। কৃষিক্ষেত্রে সেচ সুবিধায় ফিরেছেন কৃষকরা।
এর আগে ওভারহোলিং এর কারণে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি সার্ভিসের কারণে বন্ধ ছিল। অন্যদিকে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২ নম্বর ইউনিটটি চলতি বছরের শুরু থেকে অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। কেন্দ্রের ৩টি ইউনিটই অচল থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ ছিল। তবে সার্ভিস শেষে ৩ দিনের মধ্যে ১ নম্বর ইউনিটটি গত ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় সচল হয়। এরপর রাত ৮টা থেকে জাতীয় গ্রিডে ৬০ থেকে ৬৫ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ১ ও ৩ নম্বর ইউনিটে উৎপাদিত ২৮৫ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। ২ নম্বর ইউনিটটি সচল করা গেলে জাতীয় গ্রিডে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: বড়পুকুরিয়ায় ৯০ শ্রমিকের করোনা শনাক্ত, কয়লা উত্তোলন সাময়িক বন্ধ
জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ যোগ হওয়ায় লোডশেডিং কমেছে দিনাজপুরসহ উত্তরের জেলায়। কৃষিক্ষেত্রে চাষাবাদে বিদ্যুৎ নির্ভর সেচযন্ত্রের পাশাপাশি ভোগান্তি কমেছে অন্যান্য সেক্টরে। উৎপাদনে প্রাণচাঞ্চল্য বেড়েছে চালকলসহ শিল্প কারখানায়।
তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক জানান, কয়লাচালিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২টি ইউনিটে ২৫০ মেগাওয়াট এবং তৃতীয় ইউনিটে ২৭৫ মেগাওয়াটসহ ৩টি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৫২৫ মেগাওয়াট। তৃতীয় ইউনিটটি গেল ৬ সেপ্টেম্বর চালু হয়। এরপর ৩ দিনের মধ্যে ওয়াটার পাম্পে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় ৯ সেপ্টেম্বর বন্ধ হয়ে যায়। যন্ত্রাংশ সরবরাহ করতে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হারবিন ইন্টারন্যাশনালকে তাগাদা দেওয়া হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যন্ত্রাংশ সরবরাহ করতে পারেনি চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানটি। বিকল্প উপায়ে ওই প্রতিষ্ঠানের কাছে একটি যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করে আজ রবিবার দুইটা বাজার ১ মিনিট আগে ইউনিটটি সচল করতে সক্ষম হয়েছেন তারা। তবে আরও একটি যন্ত্রাংশ চেয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: উৎপাদনে ফিরেছে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সরবরাহ হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে
২ মাস আগে
বড়পুকুরিয়ায় ৯০ শ্রমিকের করোনা শনাক্ত, কয়লা উত্তোলন সাময়িক বন্ধ
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কর্মরত ৯০ জন শ্রমিকের করোনা শনাক্ত হওয়ায় শুক্রবার থেকে সাময়িকভাবে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম সরকার শনিবার ইউএনবিকে বলেন, ‘দুই দফা নমুনা পরীক্ষায় ৫০ জন চীনা ও ৪০ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের করোনা পজিটিভ হয়। এতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় চীনা শ্রমিকদের সংস্পর্শে থাকা ৪৫০ বাংলাদেশি শ্রমিককে শুক্রবার খনি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।’
এছাড়া ৩০২ জন চীনা ও ৬০ জন বাংলাদেশি শ্রমিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এ জন্য কয়লা উত্তোলন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বড়পুকুরিয়ায় কয়লা চুরি: ৬ সাবেক এমডিসহ ২২ জন জামিনে মুক্ত
নতুন ফেইজের (১৩০৬) মেশিন এ্যাডজাস্টের কারণে কমপক্ষে ১০ দিন কয়লা উত্তোলন করাও সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। এরপর থেকে কয়লা উত্তোলনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহের জন্য কমপক্ষে ৪০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খনির ইয়ার্ড মজুত রয়েছে। এতে কয়লা ভিত্তিক ওই কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন সচল রাখা যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
সাইফুল বলেন, ‘বাংলাদেশি শ্রমিকদের মধ্যে যাদের নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসবে তারা কাজে যোগদান করতে পারবেন।’
২ বছর আগে
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে সমঝোতা, কাজে যোগ দেয়ার সুযোগ পাচ্ছে শ্রমিকেরা
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতিতে চলমান আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেছে শ্রমিকেরা। পর্যায়ক্রমে কাজে যোগদানের সুযোগ পাবে তারা। শ্রমিকদের কাজে যোগ দেয়ার অংশ হিসেবে শনিবার ২১২ জন শ্রমিকের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
জানা গেছে, খনিতে কয়লা উত্তোলনে নিয়োজিত তিনটি চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি এবং জেএসএমসি কনসোর্টিয়াম। এই তিন প্রতিষ্ঠানের অধীনে খনিতে কয়লা তোলার কাজ করছে স্হানীয় প্রায় ১১শ’ দেশি শ্রমিক। অতিমারি করোনার কারণে টানা দু’বছর ধরে চারশ’ শ্রমিককে খনিতে আটক রেখে কয়লা তোলা হলেও কাজ বঞ্চিত রাখা হয়েছিল সাতশ’ শ্রমিককে। এসময় ছুটিতে থাকা শ্রমিকদের সাড়ে চার হাজার করে কয়েক দফায় ভাতা পরিশোধ করা হলেও আট মাস ধরে ভাতা না পেয়ে মার্চ মাস থেকে আন্দোলনে নামে সুবিধা বঞ্চিতরা।
বড় পুকুরিয়া শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম জানান, গেল শুক্রবার রাতে খনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শ্রমিক নেতাদের মধ্যে ফলপ্রসু আলোচনা সাপেক্ষে ধাপে ধাপে শ্রমিকদের কাজে যোগদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শর্ত অনুযায়ী শনিবার সকালে প্রথম দফায় ২১২ জন শ্রমিকের করোনা নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে যেসব শ্রমিকের নেগেটিভ আসবে তারাই শুধু খনিতে প্রবেশ করে এক সপ্তাহের কোয়ারেন্টিন শেষে কাজে যোগদানের সুযোগ পাবে।
আরও পড়ুন: বকেয়া বেতনের দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিকদের বিক্ষোভ অব্যাহত
ধাপে ধাপে সপ্তাহে ২০০ জন করে মোট ৮৫০ জন শ্রমিককে পর্যায়ক্রমে খনিতে প্রবেশের অনুমতি দেবেন কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে করোনাকালিনে আট মাসের বকেয়া বেতন ভাতার দাবির বিষয়টি ঢাকায় পেট্রোবাংলায় শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান জানান, শুক্রবার রাতের বৈঠকে আংশিক দাবি মেনে নিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এদিকে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী কামরুজ্জামান খান বলেন, ‘শুক্রবার রাতে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে শনিবার ২১২ জন শ্রমিকের করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। নেগেটিভ ফলাফলের ভিত্তিতে খনির অভ্যন্তরে প্রবেশ করে সাত থেকে ১০ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার পর কাজে যোগদান করানো হবে।
অন্যদিকে পুরাতন ফেজের কয়লা ফুরিয়ে যাওয়ায় ‘বর্তমানে খনিতে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করে নতুন ফেজের উন্নয়ন কাজ চলছে।’
উল্লেখ্য, খনির প্রবেশ পথ উন্মুক্ত করে সকল শ্রমিককে কাজে যোগদান এবং আট মাসের বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে গত দুমাস ধরে খনি এলকায় বিক্ষোভ সমাবেশ এবং খনির প্রবেশপথে অবস্থান গ্রহণসহ ধারাবাহিকভাবে নানান কর্মসূচি পালন করে আসছিল তারা।
আরও পড়ুন: বড়পুকুরিয়ায় কয়লা চুরি: ৬ সাবেক এমডিসহ ২২ জন জামিনে মুক্ত
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে বিদ্যুতের সাবস্টেশনের ছাদ ধসে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
২ বছর আগে
বড়পুকুরিয়ায় কয়লা চুরি: ৬ সাবেক এমডিসহ ২২ জন জামিনে মুক্ত
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হজার ৫০১ টাকার কয়লা চুরির অভিযোগে জেলা কারাগারে এক রাত আটক থাকার পর খনির সাবেক ছয় ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ২২ জনকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
৩ বছর আগে