টাকা
জুলাই-সেপ্টেম্বরে ২০৯,৬২৬ মিলিয়ন টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বিডা
ত্রৈমাসিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে ২ লাখ ৯ হাজার ৬২৬ দশমিক ৪২৫ মিলিয়ন টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
গত ১৯ অক্টোবর গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় বিডা।
একই সময়ে বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠানসহ ২২৭টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত হয়েছে। এরমধ্যে ২০৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় ও ১২টি শিল্প প্রতিষ্ঠানে শতভাগ বিদেশি বিনিয়োগ রয়েছে। এছাড়া যৌথ বিনিয়োগ রয়েছে ১২টি শিল্প প্রতিষ্ঠান।
নিবন্ধিত এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্থানীয় বিনিয়োগ হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৬৯১ দশমিক ৯৯২ মিলিয়ন টাকা এবং বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে ১ লাখ ৯৩৪ দশমিক ৪৩৩মিলিয়ন টাকা।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংক ও বিডার সেবাচুক্তি স্বাক্ষর
২০২২ সালের একই সময়ে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বিনিয়োগের মোট প্রস্তাব ছিল ৩ লাখ ১৬ হাজার ১০৩ দশমিক ৩৯২ মিলিয়ন টাকা। সেই হিসাবে চলতি বছর একই সময়ে বিনিয়োগ প্রস্তাব কমেছে ১ লাখ ৬ হাজার ৪৭৬ দশমিক ৯৬৭ মিলিয়ন টাকা।
উল্লেখ্য যে, গত তিন মাসে সেবা খাতে সর্বাধিক বৈদেশিক বিনিয়োগের বিনিয়োগ প্রস্তাব পাওয়া গেছে। এছাড়া পর্যায়ক্রমিকভাবে রাসায়নিক শিল্প খাত, খাদ্য এবং এ সংক্রান্ত শিল্প খাত, প্রকৌশল শিল্প খাত এবং বস্ত্র শিল্প খাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ প্রস্তাব পাওয়া গেছে। এই তিন মাসে বিডা'য় (স্থানীয় ও বৈদেশিক) নিবন্ধিত সর্বমোট ২২৭টি শিল্প প্রতিষ্ঠানে মোট ৫৭ হাজার ৯৩৭টি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চলতি বছরে ৯০০ কোটি ডলার বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছে বাংলাদেশ: বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান
খুলনায় পৌনে ৩ লাখ টাকার জাল নোট জব্দ, গ্রেপ্তার ২
নগরীর মোহাম্মদ নগরে ২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার জাল জব্দ করা হয়েছে। এ সময় দুইজনকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান র্যাব- ৬।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার আলী খানের ছেলে আব্দুর রহিম খান (৪৭) এবং বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার আনোয়ার হোসেনের ছেলে রানা মজুমদার (৪৮)।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
সোমবার (২ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানিয়েছে, লবনচরা থানার মোহাম্মদ নগর এলাকার মেইন রোড সংলগ্ন একটি বাড়ির সামনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা জানায়, একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন যাবত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ও বিভিন্ন পেশার মানুষের মধ্যে জাল টাকা ছড়িয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি আভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ চক্রটিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে জাল টাকা, তিনটি মোবাইল ও সিম কার্ড জব্দ করা হয়েছে।
জব্দকৃত মালামালসহ আসামিদের লবনচরা থানায় হস্তান্তর করে মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ছিনতাইকারীর হামলায় আহত কলেজছাত্রের মৃত্যু, গ্রেপ্তার ১
কলেজছাত্র হৃদয় হত্যা: আরও ২ আদিবাসী যুবক গ্রেপ্তার
নতুন টাকা ছাপবেন না: বিবিকে ড. ওয়াহিদউদ্দিনের পরামর্শ
ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নতুন টাকা ছাপিয়ে রাষ্ট্রকে ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ও মার্কিন ডলারের দামের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণের উপায় খুঁজতে ড. ওয়াহিদউদ্দিনের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি এ পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াহিদউদ্দিন বর্তমান মুদ্রানীতির যথাযথ বাস্তবায়ন এবং নতুন টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিলেও আগস্টে খাদ্যমূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ: বিবিএস
মুখপাত্র বলেছেন, গভর্নর দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অন্যান্য সিনিয়র এবং অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে কথা বলবেন।
তিনি বলেন,‘দেশের অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই আমরা অর্থনীতির বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হবে।’
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও অন্যান্য দেশের তুলনায় মূল্যস্ফীতি ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মুখপাত্র বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমদানি নিয়ন্ত্রণ, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি ও সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশও এর প্রভাব পড়েছে।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপের আশ্বাস অর্থমন্ত্রীর
গোয়ালন্দে এক বাঘাইর বিক্রি হলো অর্ধলাখ টাকায়
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে ৩৭ কেজি ওজনের বিপন্ন প্রজাতির একটি বাঘাইর মাছ ৪৯ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ফেরি ঘাট থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার ভাটিতে বাহির চর কলার বাগান এলাকায় মাছটি ধরা পড়ে। পরে ঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মাসুদ মোল্যা বাঘাইরটি ৪৫ হাজার টাকায় কিনে ৪৯ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
যদিও বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০২২-এর তফসিল অনুযায়ী, বাঘাইর বিপন্ন প্রজাতির মাছ। তাই এর শিকার ও বেচাকেনা নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা বলেন, মঙ্গলবার সকালে জাল ফেলে মাছটি ধরেন বাহির চর এলাকার জেলে অচেল হালদার। পরে তিনি মাছটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া ঘাট মাছ বাজারের আসেন। সেখানে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মাছ ব্যবসায়ী মাসুদ মোল্যা ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বাঘাইর মাছটি কিনে নেন। পরে মাছটি ওজন দিয়ে দেখতে পান প্রায় ৩৭ কেজি ৬০০ গ্রাম হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র নদে বর্শিতে ধরা পড়লো ৬২ কেজির বাঘাইর মাছ!
মাছ ব্যবসায়ী মাসুদ মোল্যা বলেন, দুপুর ১২টার দিকে বড় বাঘাইর বিক্রির খবর পেয়ে নিলামে অংশ নেই। প্রায় সাড়ে ৩৭ কেজি ওজনের বাঘাইর মাছটি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৪৪ হাজার ৪০০ হাজার টাকায় কিনেন। মাছটি ফেরির পন্টুনের সঙ্গে রশি দিয়ে বেধে রাখেন। বাঘাইরটি বিক্রির জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন পরিচিত জনদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন।
মঙ্গলবার বিকালে কেজি প্রতি ১০০ টাকা করে লাভে ঢাকার এক পরিচিত ব্যবসায়ীর কাছে ১ হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে প্রায় ৪৯ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। মাছটি বুধবার সকালে ঢাকায় পাঠানোর কথা রয়েছে।
বন্য প্রাণী (সংলক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী বাঘাইর মাছ একটি সংরক্ষিত বন্য প্রাণী।
বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস বলেন, বাঘাইর মাছ তফসিলভুক্ত সংরক্ষিত বন্য প্রাণী। আইন অনুযায়ী বাঘাইর শিকার, ক্রয় এবং বিক্রয় দণ্ডনীয় অপরাধ। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) তালিকা অনুযায়ী বাঘাইর মাছ মহাবিপন্ন প্রাণী।
গোয়ালন্দ উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজবাড়ী সদর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল-রাজিব বলেন, বাঘাইর মাছ সংরক্ষিত বন্য প্রাণী আইনে চলে গেছে। মৎস্য সংরক্ষণ আইনে না থাকায় তাঁরা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। তাঁর জানা মতে বাঘাইর শিকার, ক্রয়-বিক্রয় বা খাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বিধি নিষেধ নেই।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মাছ ঘাটে ইলিশের আমদানি বেড়েছে, দাম কিছুটা নিম্নমুখী
মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু, জেলেদের মাঝে ফিরছে স্বস্তি
বন্যায় চট্টগ্রামের ১৩ উপজেলায় মৎস্যখাতে ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা
চট্টগ্রামে কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় জেলার ১৩ উপজেলা ও মহানগরীসহ মাছ চাষের ১৩ হাজার ৩৭৯টি পুকুর এবং ১২৬টি মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে। অবকাঠামোসহ সব মিলিয়ে বন্যায় মৎস্য খাতে ক্ষতি হয়েছে ৭০ কোটি টাকা।
বন্যার পানি নেমে যাবার পর ক্ষয়ক্ষতি অনুসন্ধান করে এ তথ্য জানায় জেলা মৎস্য অধিদপ্তর।
চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য অফিসের জরিপ কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বন্যায় প্লাবিত চট্টগ্রামের ১৩ হাজার ৩৭৯টি পুকুরের আয়তন ৩ হাজার ৭৪৬ হেক্টর। আর ভেসে যাওয়া ১২৬টি মাছের ঘেরের আয়তন ১৮৯ হেক্টর। এসব পুকুর ও ঘের থেকে মাছ ভেসে গেছে ৪ হাজার ১৫৪ টন। সেই হিসাবে এই বন্যায় শুধু মৎস্য খাতেই ৬৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
গত ১ আগস্ট থেকে চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। ৪ আগস্ট নগরী ও জেলায় বন্যা দেখা দেয়। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি অবনতি হতে থাকে। এরমধ্যে ৭ আগস্ট পর্যন্ত চার দিন টানা জলাবদ্ধতা ছিল নগরীতে।
অপরদিকে, জেলার ১৫ উপজেলার মধ্যে ১৪টি উপজেলায় এখনও কিছু কিছু এলাকায় বন্যায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৪ উপজেলা। সেগুলো হলো- সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, পটিয়া ও চন্দনাইশ।
চার উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে মৎস্য চাষ হয় প্রায় ১০ হাজার পুকুরে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা।
সাতকানিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. হাসান আহসানুল কবির বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার মৎস্য প্রজেক্ট ও পুকুর ভেসে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা। বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও এ ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যায় নিহত ১৬, ক্ষয়ক্ষতি ১৩৫ কোটি টাকার বেশি
সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প জনগণের টাকা চুরির আরেকটি কৌশল: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার জনগণের টাকা চুরি করে আগামী নির্বাচনে ব্যবহার করার কৌশলের অংশ হিসেবে সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প চালু করেছে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সম্পদ লুট করে ধ্বংস করেছে। পেনশন স্কিমের নামে জনগণের টাকা চুরির আরেকটি কৌশল নিয়েছে তারা। তারা সেই টাকা চুরি করে আগামী নির্বাচন করতে চায়।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, দেশের মানুষ আর সরকারকে তাদের টাকা লুট করতে দেবে না।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার আয়োজনে রাজধানীর দয়াগঞ্জ এলাকা থেকে গণমিছিল বের করার আগে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সরকারকে মর্যাদার সঙ্গে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ ভালো করেই জানে কীভাবে ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী সরকারকে নামাতে হয়। তারা ১৯৫২, ১৯৬৯, ১৯৭১ ও ১৯৯০ সালে এই কাজ করেছিল। তাই জনগণের দাবি মেনে নিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করুন।’
বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের উপর নিপীড়ন ও মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের জন্য সরকারের নিন্দা জানান এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘দেশ কার্যত জেলখানায় পরিণত হয়েছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তারা আমাদের অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।’
আরও পড়ুন: এক দফা আন্দোলন: বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর ইউনিটের গণমিছিল
বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সম্পদ অর্জনকারী ৯ জন পুলিশ কর্মকর্তা এখন সেখানে যেতে পারবেন না। ‘তারা এখন রাতে ঘুমাতে পারে না এই ভেবে যে তারা বিদেশে যে সম্পদ জমা করেছে তার কী হবে।’
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান মার্কিন সরকারকে আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে বলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যেরও সমালোচনা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, কিছু দেশ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান ও মানবাধিকার রক্ষার নামে ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগর নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য নিয়ে এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে আক্রমণ করে তাদের ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশকে চাপ দিচ্ছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগর নিয়ে কথা বলে কোনো লাভ নেই… (সরকারের) পালানোর কোনো উপায় নেই। কোনো দিকে পালানোর পথ নেই।’
পরে ফখরুল দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল বের করেন। হাজার হাজার দলীয় নেতা-কর্মী এতে অংশ নেন। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে খিলগাঁও মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
এদিকে রাজধানীর গুলশান-১ এলাকায় ডিএনসিসি মার্কেটের কাছে ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপির গণমিছিলের উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
মিছিল বের করার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, জনগণ আর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। কারণ তারা ১৫ বছরের দুঃশাসনে বিরক্ত হয়ে পড়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকায় জনগণকে বিভ্রান্ত করতে মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সব মহানগরে গণমিছিল করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
আব্বাস বলেন, সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য বিরোধীদের দমন করতে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করছে।
বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের হয়রানি ও নিপীড়ন বন্ধ করতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতেও তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
অন্যথায় কারাগার থেকে তার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে তার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে তুমুল আন্দোলন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বিএনপি নেতা।
পরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিলটি বের করে মহাখালী বাসস্টেশনে গিয়ে শেষ হয়।
দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্রতিকৃতি নিয়ে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী দুই মিছিলে যোগ দেন।
বিএনপি ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, ১২ দলীয় জোট, লেবার পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র সংসদ ও গণঅধিকার পরিষদের দুই অংশের নেতা-কর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথকভাবে মিছিল করেছে।
বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর আয়োজনে সব মহানগরেও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করা হয়।
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানোর লক্ষ্য নিয়ে বিরোধী দলের এক দফা আন্দোলনের এটি ছিল চতুর্থ কর্মসূচি।
গত ১২ জুলাই বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো দাবি আদায়ে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।
আরও পড়ুন: স্বৈরাচারী এ সরকারের আমলে কেউই নিরাপদ নয়: রিজভী
চুয়াডাঙ্গায় ‘মাদকের টাকা না পেয়ে’ যুবকের আত্মহত্যা
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মাদক সেবনের টাকা না পেয়ে এক যুবকের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (৩ জুলাই) পৌর শহরের এরশাদপুরে নিজ বসতঘর থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আমিনুল হক মুক্ত (৩৪) আলমডাঙ্গা পৌর শহরের এরশাদপুর গ্রামের মৃত শমসের মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: খিলগাঁওয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে ৭০ বছরের বৃদ্ধের আত্মহত্যা
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ শ্বশুরবাড়ি এরশাদপুর গ্রামে বসবাস করে আসছিল মুক্ত। তিনি কিছুটা মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিলেন এবং প্রায়ই মাদক সেবনের জন্য শাশুড়ি ও স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিতেন।
সোমবারও মুক্ত তার স্ত্রীর কাছে টাকা চান। স্ত্রীর কাছে টাকা না পেয়ে তিনি সোমবার সকালে নিজ ঘরের আড়ায় গামছা বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ ও ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিকলীতে গলায় রশি দিয়ে ৬৫ বছর বৃদ্ধের আত্মহত্যা
কুমিল্লায় প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে প্রেমিকার আত্মহত্যা!
জুন মাসে ১৮৪.৩৬ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ করা হয়েছে: বিজিবি
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১৮৪ কোটি ৩৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে।
গত ১ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব চোলাচালান জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: চামড়া পাচার ঠেকাতে হিলি সীমান্তে কঠোর নজরদারি বিজিবির
জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে-
১১ কেজি ২২৮ গ্রাম স্বর্ণ, ১৪ কেজি ২০০ গ্রাম রূপা, ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৭ হাজার ১৬৮টি ইমিটেশন গহনা, ২২ হাজার ৩২০টি শাড়ি, ২ হাজার ৬৫৮টি থ্রিপিস/লেহেঙ্গা/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ১ হাজার ৭৯৩টি তৈরী পোশাক, ২ হাজার ৫২৬ ঘনফুট কাঠ, ৮ হাজার ৮২৯ কেজি চা পাতা, ২২ হাজার ৫০ কেজি কয়লা, ১ হাজার ৯১৭ কেজি কারেন্ট/সুতার জাল, ২টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৬০ কেজি কচ্ছপের হাড়, ৭২৫ কেজি গ্যামাক্সিন পাউডার, ৬টি ট্রাক, ১৪টি পিকআপ/ট্রাক্টর/ট্রলি, ২টি বাস, ৩টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ১৮টি সিএনজি/ইজিবাইক এবং ৮৬টি মোটরসাইকেল।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে-
১টি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ১টি মর্টার শেল, ১৬ রাউন্ড গুলি এবং ১০ কেজি পেট্রোল বোমা তৈরীর পাউডার।
এছাড়াও গত মাসে বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাটখোলা সীমান্তে সম্প্রীতির বন্ধনে বিজিবি-বিএসএফ
জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে-
১৪ লাখ ৬১ হাজার ১৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৭ কেজি ৩৯০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ২৬ কেজি ০৩ গ্রাম হেরোইন, ১৫ হাজার ৩৭৪ বোতল ফেনসিডিল, ১৬ হাজার ৭৯৩ বোতল বিদেশি মদ, ৩ হাজার ৫৩৯ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৭৫৮ কেজি গাঁজা, ৮ লাখ ৫ হাজার ৫৩৬ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৪ বোতল লাইসার্জিক এসিড ডাইইথাইলঅ্যামাইড (এলএসডি), ৪৯ হাজার ৯১৭টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন/ট্যাবলেট, ২ হাজার ৫৪৬টি এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ২ হাজার ১০২টি ইস্কাফ সিরাপ, ১ হাজার ৫১০ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৯ পিস বিভিন্ন প্রকার ঔষধ এবং ১ লাখ ২৯ হাজার ৪১৭টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৮৩ জন চোরাচালানীকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৮৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক, ৫ জন ভারতীয় নাগরিক এবং ৩৭ জন মিয়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি সীমান্তের শূন্যরেখায় ঈদ সম্প্রীতির বন্ধনে বিজিবি-বিএসএফ
ভোলায় বিয়ের অনুষ্ঠানে বরের কাছে টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষ, কনেসহ আহত ১৫
ভোলায় বিয়ে বাড়িতে গেটে অভ্যর্থনা জানাতে গিয়ে বরযাত্রীদের কাছে ৫ হাজার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে কনে, তার বাবা ও শ্বশুরসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটির ফলে পন্ড হয়ে গেছে আয়োজনটি।
শুক্রবার (৩০ জুন) দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার জামিরালতা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ভোলায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
স্থানীয়রা জানান, ভোলার মুসলিম পাড়া এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে শরিফের সঙ্গে জামিরালতা এলাকার হারুন মিয়ার মেয়ে নুপুরের দু’মাস আগে বিয়ে হয়। শুক্রবার দুপুরে জামিরালতায় মেয়ের বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বরকে অভ্যর্থনা জানাতে গেটে লাল ফিতা কেটে ভেতরে বরসহ অতিথিদের প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় বরের কাছে ৫ হাজার টাকা চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটিসহ হট্টগোল বাধে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংর্ঘষ, মারধরসহ চেয়ার-টেবিল, আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
অতিথি আপ্যায়নের জন্য দুপুরের খাবার ফেলে দেয়া হয়। এতে করে নুপুর, তার বাবা হারুন, বরের বাবা জাকির হোসেনসহ দুই পক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।
এদের মধ্যে কনেসহ গুরুতর ৯ জনকে ভোলা ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন ফকির জানান, বিয়ে বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি।
আরও পড়ুন: ভোলায় ধান রোপন নিয়ে দুই পক্ষের সংর্ঘষে নিহত ১
চট্টগ্রামে পুলিশের সাথে বিএনপি সংর্ঘষ, আটক ৪৪
পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যয় বাড়ল ১১১৭ কোটি টাকা
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল সেতুর ব্যয় আরও ১ হাজার ১১৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে সেতু বিভাগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
অনলাইনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৈঠকের ফলাফল নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল হোসেন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, ‘ ব্যয় বৃদ্ধির ফলে মূল সেতুর নির্মাণ ব্যয় ১৩ হাজার ৬৫৮ কোটি ৯৯ লাখ কোটি টাকা হবে যা চীনা ঠিকাদার চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডকে পরিশোধ করা হবে।’
আরও পড়ুন: ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে টোল আদায় ৬৬০.২৪ কোটি টাকা: কাদের
সূত্র জানায়, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০২৩ সালের জুন মাসে। তবে সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) বর্ধিত ব্যয় ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা পর্যন্ত অনুমোদন করেছে। এবং প্রকল্পের সময়সীমা ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি উদ্বোধন করেন এবং পরের দিন থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
সরকার সম্প্রতি ঠিকাদারদের পরিশোধের ওপর মূল্য সংযোজন কর ১০ দশমকি ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করেছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পয়েন্ট এবং শরীয়তপুরের জাঞ্জিরা পয়েন্টের মধ্যে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সড়ক-রেল সেতু নির্মাণের প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে, যা রাজধানী, ঢাকা এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করেছে।
মূল পরিকল্পনা অনুসারে, ২০১৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদে প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ছিল ১০ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: বহিরাগত চাপে পদ্মা সেতু থেকে সরে গেছে বিশ্বব্যাংক: ভবিষ্যতের দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রথম সংশোধনীর পর প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা হয় এবং সময়সীমা ধরা হয় ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবং দ্বিতীয় সংশোধনীর পরে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা হয় এবং সময়সীমা ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
ভূমি অধিগ্রহণের বিশেষ অনুমোদনে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।
সমস্ত প্রকল্পের ব্যয় না বাড়িয়েই প্রকল্পের সময়সীমা প্রথমে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল, তারপরে আবার ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং সবশেষে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।
২০০১ সালের জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু ঋণ: ২ কিস্তির ৩১৬.০২ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে সেতু বিভাগ