ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁওয়ে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৩
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিকালে রাণীশংকৈল উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা বাজার এলাকা একটি আমবাগানে এ ঘটনা ঘটে।
আসামিরা হলেন- হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের হাটপুকুর গ্রামের সলেমান আলীর ছেলে ফজলুর রহমান (২২), চাপধা পিপলা গ্রামের করিমুল ইসলামের ছেলে রিসাদ (২১), একই এলাকার গুচ্ছগ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে আকাশ (২২) এবং রকিম ও লস্কর নামে অজ্ঞাত দু’জন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী গত ১৯ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তার সাত বছর বয়সী শিশুকে নিয়ে নিয়ে ভুক্তভোগী হরিপুর উপজেলার রুহিয়া এলাকায় স্বামীর বন্ধুর বাড়ি থেকে বোনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এসময় রাণীশংকৈল উপজেলার কামারপুকুর অটোবাইক স্ট্যান্ড থেকে তাকে (২৮) অটোবাইকে অপহরণ করে বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা বাজারের পাশে আনোয়ার মাস্টারের আম বাগানের ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানেই অপহরণকারীরা ওই গৃহবধূর ছেলে মাসুমের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে সামনেই মাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ৩০ মামলার আসামি রেজাউল গ্রেফতার
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী ওই নারী দুই সন্তানের জননী। কামারপুকুর বাসস্ট্যান্ডে কয়েক যুবক অটোবাইক চালকের যোগসাজশে ওই নারীকে কৌশলে তুলে নিয়ে যায়। পরে একটি আমবাগানের ভেতরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। রাত ১২টার সময় ধর্ষকরা ওই নারীকে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন ফজলুর রহমান নামে একজনকে আটক করে ৯৯৯-এ ফোন দেন। পরে পুলিশ গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে।
এরপর ধর্ষক ফজলুর রহমান ও ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে হরিপুর থানা পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে রিসাদ ও আকাশকে আটক করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে শনিবার হরিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন বলে জানায় পুলিশ।
নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে হরিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, অভিযুক্ত পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া অন্য দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পড়ুন: সিরাজগঞ্জে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে ২ ভাই গ্রেফতার
সন্তানের নাম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়েই আসামি গ্রেফতার
তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও শেকলে বাঁধা কামরুজ্জামানের স্বপ্ন!
তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের কামরুজ্জামান। যেখানে অনেকে ভর্তির সুযোগই পায়না, সেখানে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ থাকার পরও দুশ্চিন্তা আর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে না পারার শঙ্কায় দিন কাটছে তার। সামনে উচ্চ শিক্ষা আর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের হাতছানি থাকলেও পরিবারের অভাব-অনটন তাকে পেছন থেকে টেনে ধরেছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মাতৃগাঁও গ্রামের বর্গাচাষি মোখলেসুর রহমান ও কামরুন নাহারের ছেলে কামরুজ্জামান। স্কুলজীবন থেকেই মেধাবী ছাত্র কামরুজ্জামান এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় পেয়েছেন জিপিএ-৫। সংসারে চরম আর্থিক কষ্টের সঙ্গে লড়াই করে তাকে পড়াশোনা করতে হচ্ছে।
চলতি শিক্ষাবর্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ১৬৭তম স্থানে রয়েছেন তিনি।একই সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। তবে জাহাঙ্গীরনগরে পড়ার স্বপ্ন থাকলেও অনেকটাই দুঃস্বপ্ন দেখছেন এখন।
কামরুজ্জামান বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখি কোনো একটা ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ব। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছি। সাফল্যও এসেছে। কিন্তু এখন আর্থিক সমস্যার কারণে সে ইচ্ছে পূরণ হবে কি না, জানি না।
কামরুজ্জামানের বাবা মোখলেসুর রহমান ১০ বছর আগেই স্ট্রোক করে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন। চলাফেরা করতে অক্ষম মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘অভাবের সংসারে আমাদের কোনো রকমে খাবার জোটে। বাড়তি কোনো টাকা নেই যে সেই টাকা দিয়ে ছেলেকে ভর্তি করাব। নিজের জমিজমাও নেই যা বিক্রি করে টাকা জোগাড় করবো। ছেলের পড়াশোনার খরচ জোগান দিতে না পেরে খুবই কষ্ট লাগছে।’
মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও গিলাবাড়ি আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান হাবীব বলেন, ‘ছেলেটি অত্যন্ত মেধাবী, এখন তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিবারের দারিদ্র্য। সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে উচ্চশিক্ষা অর্জন করে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারতো সে।’
তবে আশার কথা শুনিয়েছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. শামসুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘ছেলেটির উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন সফল করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।’
পড়ুন: বাগেরহাটে অস্বাভাবিক হারে চালের দাম বৃদ্ধি, মিলমালিকদের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের অভিযোগ
ঠাকুরগাঁওয়ে অনাবৃষ্টিতে আমন চাষ নিয়ে শঙ্কায় কৃষক
ঠাকুরগাঁওয়ে অনাবৃষ্টিতে আমন চাষ নিয়ে শঙ্কায় কৃষক
আমনের ভরা মৌসুমে অনাবৃষ্টিতে ঠাকুরগাঁও জেলার কৃষকরা ধান রোপন করতে পারছেন না। এছাড়া ডিজেলসহ জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে কৃষকেরা পড়েছেন নতুন সমস্যায়। এ অবস্থায় জেলায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা উৎপাদন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান উৎপাদন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে জেলা কৃষি অফিস।
দেশের উত্তরের কৃষি নির্ভর একটি জেলা ঠাকুরগাঁও। বৃষ্টির পানির উপর নির্ভর করে আমন চাষ করে অধিকাংশ মানুষ। যেখানে সেচ সুবিধা রয়েছে সেখানে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দানারহাট, বরুনাগাঁও, শীবগঞ্জ, নারগুন, বেগুনবাড়ি, খোঁচাবাড়ি ও জেলার পীরগঞ্জ, হরিপুর, রানীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষক আমন চারা রোপন করছেন। সেচ এলাকায় কৃষক আমনের চারা তুলছেন, আবার কোথায় চারা রোপন করছেন। তবে বৃষ্টির পানির অভাবে উঁচু জমিতে লাগানো ধানের ক্ষেত শুকিয়ে গেছে। এখনো বৃষ্টির পানির অপেক্ষায় রয়েছেন এ জেলার কৃষক।
অপরদিকে ডিজেলসহ জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে কৃষকেরা পড়েছেন সমস্যায়। আমনের ক্ষেতে পানি নিতে শ্যালো মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছু কিছু স্থানে বিদ্যুতচালিত পাম্প ব্যবহার করে সেচ কাজ করার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ না থাকায় তাও ব্যাহত হচ্ছে। বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকূপগুলিও বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের ফলে ঠিকমত চলতে পারছে না। ফলে নানামুখী সমস্যায় রয়েছেন কৃষকেরা।
সদর উপজেলার ভেলজান গ্রামের কৃষক আবুল কালাম আজাদ জানান, তিনি এ বছর আড়াই একর জমিতে আমন ধান লাগানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড রোদ ও তাপদাহে এবং বৃষ্টি না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তিনি।
সদর উপজেলার পারপুগী এলাকার কৃষক গিয়াস উদ্দিন জানান, প্রত্যেক বছরের মত এ বছর তিনি ৩ একর জমিতে আমন চারা লাগাবেন। জমি প্রস্তুতও করেছেন, কিন্তু বৃষ্টির পানির অভাবে শ্রমিক নিয়োগ করতে ভয় পাচ্ছেন। এ অবস্থায় আমন লাগানোর সময় পার হয়ে যেতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর। এর মধ্যে এ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে মাত্র ১৮ হাজার ৬৪০ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ২৯ হাজার ৭১৬ মেট্রিক টন।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানান, অন্যান্য ফসলের মতো ধানের জন্যও বিখ্যাত এ জেলা। প্রচুর পরিমাণে ধান উৎপাদন হয় এ জেলায়। প্রত্যেক বছরের ন্যায় এ বছরও কৃষকদের যাবতীয় কৃষি সেবা প্রদান করা হচ্ছে। বৃষ্টির পানির অভাবে একটু সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে উচু জমিগুলোতে পানি থাকছে না।
তিনি বলেন, বৃষ্টির পানি না হওয়া পর্যন্ত সম্পূরক সেচ ব্যবস্থা চালু রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সেচ পাম্পগুলোও সচল রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে লক্ষ্যমাত্রার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান উৎপাদন হবে। কৃষকেরা এ বছরও ধানের ন্যায্য দাম পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পড়ুন: ফরিদপুর জেলা কারাগার: ৯১৪ বন্দির জন্য একজন ফার্মাসিস্ট, নেই চিকিৎসক
চলাচলের অনুপযোগী ফরিদপুর পৌরসভার শতাধিক কিলোমিটার সড়ক
রশিক রায় জিউ মন্দিরে ফের ১৪৪ ধারা জারি
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর এলাকায় শ্রীশ্রী রশিক রায় জিউ মন্দিরে আবারও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের শ্রীশ্রী রশিক রায় জিউ মন্দিরের জমির দখল নিয়ে হিন্দুধর্মের সনাতন ও ইসকন অনুসারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছে। ২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রশিক রায় জিউ মন্দিরে দুর্গাপূজা নিয়ে অনুসারীদের সঙ্গে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় ধরনের সংঘর্ষ হয়। এ সময় ইসকনভক্তদের হামলায় ফুলবাবু নামের একজন সনাতন ধর্ম অনুসারী নিহত হন। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা প্রশাসন মন্দির সিলগালা করে কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। বৃহস্পতিবার শ্রীশ্রী রশিক রায় জিউ মন্দিরের সনাতন ও ইসকন ধর্মাবলম্বীরা মণ্ডপে জন্মাষ্টমী পূজার প্রস্তুতি চলাকালে আগের মতো উত্তেজনা দেখা দেয়। ফলে ১৮ আগস্ট ভোর ৬টা থেকে ২০ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত মন্দির ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির আদেশ দেন ইউএনও।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান বলেন, ওই মন্দিরের জমি নিয়ে স্থানীয় সনাতন ও ইসকন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। ২০০৯ সালে এখানে হতাহতের ঘটনাও ঘটে। জন্মাষ্টমী পূজা উদযাপনে আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবং আইন শৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এ সমস্যা সমাধানে জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভায় একাধিকবার বিষয়টি উত্থাপন করা হলেও কোন সমাধান হয়নি।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর, আটক ৩
ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির এবং হিন্দু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুনঃনির্মাণে শিগগিরই তহবিল বিতরণ করবে সরকার
ঠাকুরগাঁওয়ে নারী নির্যাতন মামলায় সাবেক কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি আইনে করা এক মামলায় সাবেক কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার পীরগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত মো. জাফরুল পীরগঞ্জ শহরের ভেলাতৈড় মহল্লার শাহ্ আলমের ছেলে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘গত ১৪ জুন বিয়ের আশ্বাসে ভুক্তভোগী ওই নারীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত জাফরুল। এসময় অপর দুই অভিযুক্ত একই মহল্লার নজমুল হকের ছেলে রুমন ও ‘রনি রাইস মিলে’র মালিক শাহজাহানের ছেলে রনি একাজে জাফরুলকে সহযোগিতা করে।’
এতে আরও বলা হয়, অভিযুক্ত রুমন ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও করে এবং গত ১৭ জুন ওই ভিডিও দেখিয়ে ভুক্তভোগী ওই নারীকে ব্ল্যাকমেইল করে।
পুলিশ জানায়, রুমন ও রনি দুজনেই পরে ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে ধর্ষণ করে।
এরপর তাদের হুমকি মেনে নেয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত তিনজন ভিডিওটি ভাইরাল করে দেয়। নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী গত ৩ আগস্ট তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে।
জাফরুলকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাকী দুই আসামি গা ঢাকা দিয়েছে। তবে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তাদের খুঁজছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে সিটি মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামে ১৬ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
ঠাকুরগাঁওয়ে নদীতে নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর শিশুর লাশ উদ্ধার
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরের নাগর নদীতে নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার নাগর নদীর কাঠালডাঙ্গী ঘাট এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মাহামুদা (৪) উপজেলার গেদুড়া ইউনিয়নের মরাধর দক্ষিণপাড়া গ্রামের কামাল হোসেনের মেয়ে।
আরও পড়ুন: যশোরে মাছের ঘের থেকে কন্যাশিশুর লাশ উদ্ধার
হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে মাহমুদার বাবা বাড়ির পাশে নাগর নদীর ঘাটে গরু গোসল করাচ্ছিলেন। এ সময় মেয়েটিও তার সঙ্গে ছিল। একপর্যায়ে মাহমুদা নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়।
এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
পঞ্চম শ্রেণি পাশ না করেই তিনি ডাক্তার!
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেহন বাজারের নুরুজ্জামান বাবুল ওরফে বাবুল। তিনি একজন কথিত চিকিৎসক।
জানা গেছে, সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে একটি ওষুধের দোকানের সঙ্গেই ডাক্তার, চেম্বারের পাশে ঝুলানো একটি সাইনবোর্ড। সেখানে লেখা, ডাক্তার নুরুজ্জামান বাবুল, ডিএমএফ ঢাকা, মেডিসিন চিকিৎসক। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এবং বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রোগী দেখা হয়। এসব বলে এলাকায় মাইকিং চলে। তবে এই ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে এলাকাবাসী।
বাবুলের কাছে চিকিৎসা নেয়া ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমার জ্বর হয়েছিল। আমি তার কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে তিনি আমাকে কিছু হাই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দিয়ে দেয়। তবে আমার এক পরিচিত বড় ভাই ওষুধগুলো দেখেই খেতে বারণ করেন এবং আমাকে অন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। সেই ডাক্তারের দেয়া প্যারাসিটামল খেয়ে আমি সুস্থ হই।
আরও পড়ুন: ডাক্তার দেখানোর কথা বলে রাস্তায় ফেলে গেলেন মাকে
আরেক ভুক্তভোগী রাবেয়া খাতুন বলেন, আমি মাথা ব্যথার কথা জানিয়ে তার কাছে ওষুধের পরামর্শ চাই। তিনি অনেকগুলো ওষুধ লিখে দেয়। তবে সুস্থতার বদলে আমি আরও অসুস্থ হয়ে পড়ি। পরে শহরের এক মেডিসিন ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। সেই ডাক্তার পূর্বের খাওয়া সব ওষুধ ভুল ছিল জানায়।
ওই এলাকার ব্যবসায়ী আলতাফুর জানান, বাবুল আমাদের সামনেই বড় হয়েছে। আমরা জানি ও প্রাইমারি স্কুলের গণ্ডি পার হয়নি। তাই আমরা তার কাছে চিকিৎসা নেই না। তবে অনেকে অজান্তে চিকিৎসা নিতে এসে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। চিকিৎসার মত এরকম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সাবধান থাকা উচিত। দ্রুত এই ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে যেকোন বড় বিপদ হতে পারে।
এই বিষয়ে ডাক্তার পরিচয়দাতা বাবুলকে ডাক্তারি পড়ালেখা বা কোন প্রকার প্রশিক্ষণের কাগজ দেখতে চাইলে নেই বলে অকপটে স্বীকার করেন বাবুল। সেই সঙ্গে চেম্বারের পাশে থাকা ওষুধের দোকানের লাইসেন্সও নেই বলে স্বীকার করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ডাক্তার দেখানোর কথা বলে রাস্তায় ফেলে গেলেন মাকে
অভিযুক্ত বাবুল বলেন, যেখানে ব্যানার করছি সেখানে তারা ভুল করে ডাক্তার লিখে ফেলছে। তাছাড়া এই এলাকার আশেপাশে কোনেরা ডাক্তারও নেই। তাই আমি যা চিকিৎসা দিচ্ছি তাতে মানুষের উপকার হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মোহাম্মদ সামসুজ্জামান জানান, চিকিৎসার মত স্পর্শকাতর বিষয়ে কোনো সমঝোতার সুযোগ নেই। বিষয়টি জানা ছিল না। দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টাঙ্গন নদীতে ডুবে নিহত ১
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় টাঙ্গন নদীতে ডুবে নিখোঁজের একদিন পর একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে নিখোঁজের স্থান থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে টাঙ্গন নদীর কাজিরঘাট থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
নিহত তৈলক্ষ্য বর্মণ (৪৫) সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের ঘুরবসু বর্মণের ছেলে এবং দক্ষিণ বঠিনা ইসলাম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মো. সারোয়ার হোসাইন বলেন, সকালে রংপুর থেকে আসা ডুবুরি দল নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিকে উদ্ধারের জন্য অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালীন দুপুরে ঘটনার স্থান থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে কাজিরঘাট এলাকায় টাঙ্গন নদীর পানিতে তার লাশ ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়রা। পরে সেখান থেকে ওই শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এর আগে বুধবার স্কুল ছুটির পরে বাড়ি আসার সময় সাঁতরে নদী পার হতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে পুকুরে ডুবে মাদরাসাছাত্রের মৃত্যু
বরিশালে পানিতে ডুবে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ে পুকুরে ডুবে কিশোরের মৃত্যু
ঠাকুরগাঁও সদরে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে ১৫ বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার গড়েয়া মিলনপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
নিহত সাকিব ইসলাম ওই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: যশোরে গর্তের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের অয়ারহাউস ইন্সপেক্টর মো. সারোয়ার হোসাইন জানান, সাকিব ইসলাম তার বন্ধুদের সাথে পুকুরে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম গিয়ে ওই পুকুরের গভীর পানি থেকে সাকিবের লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বিয়ের ৩ মাসের মাথায় নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তবর্তী উপজেলা বালিয়াডাঙ্গীয় বিয়ের তিন মাসের মাথায় এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার বিকালে উপজেলার মাহাতবস্তি গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত কলেজছাত্রী তাজমীন আক্তার বিথি পাড়িয়া ইউনিয়নের রায়মহল গ্রামের মৃত তোজাম্মেল হকের মেয়ে এবং একই এলাকার মামুনের স্ত্রী।
আর পড়ুন: শ্বশুরবাড়ির টয়লেট থেকে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর যুবকের লাশ উদ্ধার
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম জানান, উপজেলার মাহাতবস্তি গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে মামুনের (২৪) সঙ্গে একই উপজেলার রায়মহল গ্রামের মৃত তোজাম্মেল হকের কলেজপড়ুয়া মেয়ে তাজমীন আক্তার বিথির পারিবারিকভাবে তিন মাস আগে বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই মামুনের পরিবারের সঙ্গে বিথির বাকবিতণ্ডা লেগেই থাকতো।
সোমবার বিকালে মামুনের শয়নঘরের সিলিংয়েরে সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় বিথীকে উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী থানার পুলিশ।
ওসি জানান, লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়া গেলে ও তদন্তের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।