জাতীয় শিশু দিবস
শিশুদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে অভিভাবকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতির মতো অভিশাপ থেকে দূরে রাখতে শিশুদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, পিতা-মাতার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকতে হবে। এতে তারা (শিশুরা) বিপথগামী হতে পারবে না। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতি থেকে দূরে রাখতে তাদের ছোটবেলা থেকেই সততার শিক্ষা দিতে হবে।
রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুদের ক্লাসের পাশাপাশি খেলাধুলা, চিত্রাঙ্কন, সংগীত ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক চর্চা এবং ধর্মীয় শিক্ষার মতো পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কাজে নিয়োজিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি অভিভাবক ও শিক্ষকদের অনুরোধ জানাব, আপনারা খেয়াল রাখবেন যাতে শিশুরা একদিকে মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়, অন্যদিকে তারা তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পায়।’
শিক্ষা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উল্লেখ করে শিক্ষার নামে শিশুদের ওপর কোনো ধরনের অন্যায্য চাপ সৃষ্টি না করতে অভিভাবক ও শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষা নিতে হবে, যাতে তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি হয়। আমরা সে অনুযায়ী কারিকুলাম প্রণয়নে এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে শিশুরা এখন ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে বিশ্বকে দেখতে পারছে।
আরও পড়ুন: জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তিনি আরও বলেন, ‘তাই তারা শুধু পাঠ্যবই পড়ে নয়, চোখ দিয়ে দেখেও শিখতে পারে। আর তখন তারাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট সিটিজেন। আমরা এটাই চাই।’
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনব হাসি সবার ঘরে’।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক এবং শিশু তৈয়বা তাসমিন।
শিশু পিয়াশা জামিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন দুই শিশু আব্দুর রহমান ও লামিয়াতুল বারী।
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম ও গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
অনুষ্ঠানে‘বঙ্গবন্ধু ও শিশু অধিকার’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত কুইজ, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, দেশাত্মবোধক গান ও নৃত্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও শিশু দিবস উপলক্ষে ১০৪ জন অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান হিসেবে প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু চিরদিন আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস: কাদের
৯ মাস আগে
জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ রবিবার (১৭ মার্চ) সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী রবিবার
১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন নতুন দুই ডেপুটি গভর্নরের
এরপর প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন এবং বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও তার জন্য দোয়া করবেন।
জাতীয় শিশু দিবসের একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন তিনি।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকেসহ পরিবারের অধিকাংশ সদস্যদের হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ মুছে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
৯ মাস আগে
বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী শুক্রবার
দেশে আগামীকাল শুক্রবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।
এ উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটির দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও পালিত হবে।
বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
কারাগারে থেকে এবং কারাগারের বাইরেও বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি যখন ভাষা আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়, তখন বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন পালন করছিলেন।
ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির সব বড় আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন শেখ মুজিব।
বঙ্গবন্ধু তার গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে সংগঠিত করেছিলেন। ১৯৭১ সালে ৯মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
বঙ্গবন্ধু যখন সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন পরাজিত ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চক্র তাকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করে।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তা বাড়ানো হয়েছে।
দিবসটি পালনে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
সকাল ৭টায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এ সময় তিনি গার্ড অব অনার প্রদান করবেন এবং দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার পালিত হবে বঙ্গবন্ধুর ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’
১ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী বৃহস্পতিবার যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে। একই সঙ্গে দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
পরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রথমে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তারা জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।
দিনটি উপলক্ষে দুপুর আড়াইটায় বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা ‘টুঙ্গিপাড়া: হৃদয়ে পিতৃভূমি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে চাই। আমি এর জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাও প্রণয়ন করেছি।’
২ বছর আগে
শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে তার সরকারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে চাই। আমি এর জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাও প্রণয়ন করেছি।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে ‘টুঙ্গিপাড়া: হৃদয়ে পিতৃভূমি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
২ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মবার্ষিকী আজ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার। একই সঙ্গে দিনটি জাতীয় শিশু দিবসও।
বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে পড়ার সময় তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হন।
কারাগার ও কারাগারের বাইরে বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি যখন ভাষা আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয় তখন বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন পালন করছিলেন।
ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির সব বড় আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন শেখ মুজিব।
বঙ্গবন্ধু তার গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে সংগঠিত করেছিলেন। ১৯৭১ সালে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
বঙ্গবন্ধু যখন সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তখন পরাজিত ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চক্র পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ তাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তা বাড়ানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ও টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এছাড়া দেশের সব মসজিদ, মন্দির ও গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
পড়ুন: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছেলেবেলা কেমন ছিল?
জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সাত দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
সকালে দলটির সব কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও।
বিকাল ৩টায় দলের পক্ষ থেকে আলোচনা সভায় উপস্থিত থাকবেন শেখ হাসিনা।
টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলো দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীও পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এবারের জাতীয় শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অঙ্গীকার, সব শিশুর সমান অধিকার’।
পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আ.লীগের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি
২ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মবার্ষিকী বৃহস্পতিবার
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী বৃহস্পতিবার উদযাপন করতে যাচ্ছে জাতি। একই সঙ্গে দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও পালিত হবে।
বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে পড়ার সময় তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হন।
কারাগার ও কারাগারের বাইরে বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি যখন ভাষা আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয় তখন বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন পালন করছিলেন।
ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির সব বড় আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন শেখ মুজিব।
বঙ্গবন্ধু তার গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে সংগঠিত করেছিলেন। ১৯৭১ সালে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ: বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধু যখন সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তখন পরাজিত ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চক্র পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ তাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তা বাড়ানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ও টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এছাড়া দেশের সব মসজিদ, মন্দির ও গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সাত দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
সকালে দলটির সব কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর খুনি নূরকে ফেরত দিতে কানাডাকে আবারও অনুরোধ ঢাকার
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও।
বিকাল ৩টায় দলের পক্ষ থেকে আলোচনা সভায় উপস্থিত থাকবেন শেখ হাসিনা।
টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলো দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীও পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এবারের জাতীয় শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অঙ্গীকার, সব শিশুর সমান অধিকার’।
২ বছর আগে
‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনে নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোকে আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৩ বছর আগে
শিশুদের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
শিশুরা দেশের ভবিষ্যত হওয়ায় তাদের জীবন আরও উন্নত করার জন্য সরকার সব কিছু করছে বলে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন।
৩ বছর আগে