শেরপুর
শেরপুরে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর
‘নিজের নামে জমি, নিজের ঘর। এ আনন্দ বলে বুঝানো যাবে না। আমরা আর ভিক্ষা করতে চাই না। কর্ম করে বাঁচতে চাই। ঘরতো হলো, মাথাগুজার ঠাঁই হলো। এখন আমরা যাতে আয়-উপার্জন করতে পারি, নিজেরা স্বাবলম্বী হতে পারি, সেই সুযোগ চাই।’ জমি সহ ঘর পেয়ে খুশিতে কথাগুলো বললেন তানিয়া হিজড়া।
শেরপুরে ৭ জুন সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের কবিরপুর মৌজার আন্ধারিয়া সুতিরপাড় এলাকায় ২ একর ওপর ওপর নির্মিত তৃতীয় লিঙ্গ হিজড়া জনগোষ্ঠীর ৪০ জনের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব প্রধান অতিথি হিসেবে এসব ঘর হস্তান্তর করেন। এসব হিজড়াদের জন্য ঘরের আসবাবপত্র, রান্নাবান্নার থালা-বাসন, খাদ্যসমাগ্রী সহ প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রদান করা হয়।
এছাড়া আবাসন প্রকল্পে সবজি আবাদের জন্য সবজি বীজ, পুকুরে মৎস্য অবমুক্ত করণ করা হয় এবং জাতীয় মহিলা সংস্থার পক্ষ থেকে প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা করে আয়বর্ধনমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য ঋণ প্রদান করা হয়।
ভিক্ষাবৃত্তি ও চাঁদাবাজি ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনের স্বপ্ন এখন শেরপুরে বসবাসরত তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মানুষের। কম্পিউটার, শেলাই, পার্লারের কাজসহ নানা প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে জীবিকা উপার্জন করতে চান তারা।
মূল জনশক্তিতে এগিয়ে আসার জন্য তাদের আগ্রহকে প্রাধান্য দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহায়তায় জন্য গড়ে তোলা হয়েছে ‘স্বপ্নের ঠিাকানা’ আবাসন প্রকল্প। এই আবাসন প্রকল্পে ৪০ জনের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে নতুন ঘরের চাবি। সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের কবিরপুর মৌজাধীন আন্ধারিয়া সুতিরপাড় এলাকায় ২ একর সরকারি খাসজমিতে নির্মিত হয়েছে এই স্বপ্নের ঠিকানা।
শেরপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, দুই একর জায়গায় ৬৯ লাখ ৪ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই আবাসন প্রকল্পে বসবাসকারি হিজড়াদের আয়বর্ধনমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য থাকছে প্রায় ৪০ শতক জমির ওপর একটি পুকুর, শাক-সবজি, ফসল আবাদের জন্য রাখা হয়েছে খোলা জায়গা, আত্মকর্ম প্রশিক্ষণের জন্য নির্মিত হয়েছে একটি মাল্টিপারপাস কক্ষ। গুচ্ছগ্রামের সাথেই রয়েছে ৮ একরের বড় একটি সরকারি খাস বিল। সেই বিলটিও খনন করে মৎস্য চাষের জন্য হিজড়াদের দেয়ার প্রক্রিয়া চলেছে। গুচ্ছগ্রামে নির্মিত প্রতিটি ঘরের সাথেই রয়েছে রান্নাঘর ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা।
শেরপুর জেলা হিজড়া কল্যাণ সংস্থার সভাপতি নিশি সরকার গুচ্ছগ্রামের মাধ্যমে তাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করায় জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। একইসাথে তারা হিজড়াদের বিষয়গুলো জনসম্মুখে তুলে ধরার জন্য জনউদ্যোগ শেরপুর কমিটির প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মাঝে যুবলীগের ঈদ উপহার
এসময় তিনি বলেন, গুচ্ছগ্রামের মাধ্যমে আমাদের বাসস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। এখন আমাদের কর্মসংস্থানের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা ভিক্ষাবৃত্তি চাই না, চাঁদাবাজি করে জীবন চালাতে চাই না। আমরা মানুষের মতো বাঁচতে চাই। কর্ম করে খেতে চাই।
দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় শেরপুরে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
দুর্নীতির অভিযোগে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ৫নং ঝিনাইগাতি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. আবু জাফর রিপন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বরখাস্তের বিষয়টি জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার শেরপুর কালেক্টরেটের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক এটিএম জিয়াউল ইসলাম ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁন বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম: আ’লীগ নেতা আটক
তিনি জানান, এ সংক্রান্ত ১ জুন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্থানীয় তদন্তে ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জাল হোসেন চাঁনের দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয়। তাই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এছাড়া সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁনকে কেন চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হবে না-সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে শোকজ করা হবে। তার জবাব সন্তোষজনক না হলে তাকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হবে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ৫নং ঝিনাইগাতী সদরইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোফাজ্জল হোসেন চাঁন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এসব অর্থ বিধি বহির্ভূতভাবে উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৪ (১) অনুযায়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁনকে তাঁর স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সত্য নয়। ঊর্ধ্বতন একটি মহলের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার মতবিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জেরেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের দিয়ে তদন্ত কমিটি করে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুুন: তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলছেন ইউপি চেয়ারম্যান!
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ জানান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁন সাময়িক বরখাস্ত হওয়ায় প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে।
শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে গারো অধিবাসী নিহত
শেরপুরে নালিতাবাড়ীর পানিহাতা মিশন এলাকায় বন্যহাতির আক্রমণে অপু মারাক (৪৮) এক গারো অধিবাসী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার প্রথম প্রহরে মধ্যরাত সোয়া ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নালিতাবাড়ী থানার ওসি বছির আহমেদ বাদল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যহাতির আক্রমণে বৃদ্ধা নিহত
তিনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বৈদুতিক ফাঁদে পড়ে বন্য হাতির মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে সীমান্তের ওপারে ভারতের মেঘালয়ের পাহাড় থেকে খাদ্যের সন্ধানে নেমে আসা ২০/২৫টির একদল বন্যহাতি নালিতাবাড়ীর সীমান্তবর্তী এলাকার লোকালয়ে হানা দিচ্ছিলো। কৃষকরা সীমান্ত সংলগ্ন ক্ষেতের আবাদ করা ধান কেটে ঘরে তোলায় বন্যহাতির দল লোকালয়ে প্রবেশ করে গাছের কাঁঠাল খেয়ে সাবাড় করেছে। হানা দিয়েছে বাড়ী ঘরে, কৃষকের গোলায়।
আরও পড়ুন: কাপ্তাইয়ে বন্য হাতির আক্রমণে পর্যটকের মৃত্যু
স্থানীয়রা আরও জানান, স্থানীয় অধিবাসীরা বন্যহাতি তাড়াতে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতেও লোকালয়ে নেমে আসা বন্যহাতির দল তাড়াতে গিয়ে গারো অধিবাসী অপু মারাক হাতির আক্রমণে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের নিহত ৩
শেরপুর-ঢাকা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় পিকআপ ভ্যানে থাকা শেরপুরের একই পরিবারের ৩ জন নিহত ও আরেকজন আহত হয়েছে।
রবিবার রাত ১১টার দিকে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রায়মনি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
হতাহতরা সবাই শেরপুর জেলা সদরের বাঘেরচর গ্রামের বাসিন্দা। তারা হলেন, ওই গ্রামের মৃত সেকান্দর আলীর ছেলে কাঁচামাল ব্যবসায়ী আমানুল্লাহ আমানু (২৮), তার বড় বোন নাজমা আক্তার (৩৬) ও নাজমার মেয়ে লালমনি (৭)। গুরুতর আহত অবস্থায় নিহত আমানুর চাচাতো ভাই আকরাম হোসেনকে (৩২) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাঘাইছড়িতে চাঁদের গাড়ি উল্টে নিহত ১, আহত ২
১৭ মে সোমবার দুপুরে হতাহতদের বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
নিহত আমানুল্লাহর চাচাতো ভাই ফারুক হোসেন বলেন, ১৬ দিন আগে আমাদের জ্যাঠা সেকান্দর আলী (আমানুল্লাহর বাবা) মারা গেছেন। এখন দুই জ্যাঠাতো ভাই-বোন, ভাগ্নি মারা গেলো। আমরা এ শোক কীভাবে সইবো।
তিনি জানান, আমানুল্লাহ ঢাকার মীরপুর এলাকার বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করতো। তার বোন নাজমা তাদের সাথে থেকে বাসাবাড়িতে কাজ করতেন। ঈদ শেষে রবিবার সন্ধ্যার পর কামারেরচর বাজার থেকে বেগুন ভর্তি পিকআপ ভাড়া নিয়ে ঢাকায় রওনা দেয়। ওই ট্রাকে তার বোন নাজমা ও ভাগ্নি লালমনি বনুয়ার চর থেকে এবং আরেক চাচাতো ভাই আকরামও একসাথে যায়। আমানুল্লাহ, নাজমা ও লালমনি পিকআপের ভেতরে ড্রাইভারের পাশে বসে ছিলো, আর আকরাম ছিলো বেগুনের ওপরে।
আরও পড়ুন: খুলনা-যশোর মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
ত্রিশালে একটি বালু বোঝাই ট্রাককে তাদের পিকআপটি সজোরে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই ভেতরে থাকা ৩ জন নিহত হয় এবং বেগুনের ওপর থেকে ছিটকে পড়ে আক্রাম গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাত এগারোটার দিকে ত্রিশাল থানার পুলিশের নিকট থেকে আমরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাটি জানতে পারি।
ত্রিশাল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো: তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘বেগুনবোঝাই পিকআপটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পথে রায়মনি এলাকায় অজ্ঞাত একটি গাড়ি পিকআপটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপে থাকা তিনজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আর গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর নিহতদের লাশ পরিবারের কাঝে হস্তান্তর করা হবে।’
জমি নিয়ে বিরোধ: শেরপুরে লাঠির আঘাতে গৃহবধূ নিহত, আটক ৩
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শেরপুরের নকলায় এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নকলা উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের বারারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শারমিন আক্তার (৪০) ওই গ্রামের জহিদুল ইসলাম স্ত্রী।
আরও পড়ুন: মাগুরায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে আহত ১২
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, একখণ্ড জমি নিয়ে নকলার বাবারচর গ্রামের জাহিদুল ইসলামের সাথে প্রতিপক্ষ বজলু, মিজান ও শোভা মিয়ার সাথে বিবাদ ও মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। প্রতিপক্ষরা জাহিদুলকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছিল। এর সূত্র ধরে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজনের মধ্যে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে লাঠির আঘাতে জাহিদুলের স্ত্রী শারমিন আক্তার মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন তাকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে জমি সংক্রান্ত বিরোধে নিহত ১
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুশফিকুর রহমান জানান, গৃহবধূ শারমিন আক্তার নিহতের ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বগুড়ায় দম্পতিসহ দগ্ধ ৪
বগুড়ার শেরপুরের একটি বসতবাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রীসহ চারজন দগ্ধ হয়েছেন।
শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের মহিপুর কলোনি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিক বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
বিস্ফোরণে দগ্ধরা হলেন, মহিপুর কলোনি গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৫৫), তার স্ত্রী হেলেনা বেগম (৪৮), ছেলে নুরুজ্জামান (৩১) ও প্রতিবেশী মোতাহার হোসেনের স্ত্রী আমেনা খাতুন (৪৬)।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা রতন হোসেন জানান, মহিপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন স্থানীয় বাজার থেকে একটি নতুন গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে বাড়িতে যান। এরপর রান্নাঘরে গিয়ে চুলার সঙ্গে গ্যাস সিলিন্ডারের সংযোগ দেয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তিনিসহ তার পরিবারের তিনজন দগ্ধ হন। আর তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে প্রতিবেশী এক নারী দগ্ধ হন।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
দগ্ধ আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি চুলার সঙ্গে গ্যাস সিলিন্ডারে সংযোগ দেয়া মাত্রই বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যেই পুরো রান্নাঘরে আগুন লেগে যায়।
শেরপুর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মামুনুর রশিদ বলেন, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানান এই চিকিৎসক।
অন্যত্র বিয়ে করায় প্রেমিকের পুরুষাঙ্গ কর্তন
প্রেম করে অন্যত্র বিয়ে করায় কৌশলে ডেকে নিয়ে প্রেমিকের পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে প্রেমিকা। এ ঘটনায় ওই প্রেমিকাকে আটক করেছে পুলিশ।
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার বকচর গ্রামে শুক্রবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে।
আহত জিহান মিয়া (২৭) শ্রীবরদীর ষাইটকাকড়া গ্রামের আবু বক্কর মিয়ার ছেলে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ চেষ্টাকারীর পুরুষাঙ্গ কেটে থানায় হাজির গৃহবধূ
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শ্রীবরদীর বকচর গ্রামের ফুফাত বোনের সাথে বেশ কিছুদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায় ষাইটকাকড়া গ্রামের জিহান মিয়া। সম্প্রতি জিহান পারিবারিকভাবে অন্যত্র বিয়ে করে। এতে প্রেমিকা ফুফাতো বোনের মনে ক্ষোভের জন্ম নেয়। এর জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রেমিক জিহানকে কৌশলে তাদের বাড়ি ডেকে নিয়ে ব্লেড দিয়ে আকস্মিক জিহানের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়। এ সময় জিহান চিৎকার শুরু করলে বাড়ির অন্যান্য লোকজন তাকে উদ্ধার করে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: ভর্তুকিতে কৃষি যন্ত্রপাতি পেলেন শেরপুরের কৃষকরা
এদিকে, ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে শ্রীবরদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ওই প্রেমিকাকে আটক করে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে মামা-ভাগ্নে নিখোঁজের একদিন পর ভাগ্নের লাশ উদ্ধার
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
শেরপুরে মামা-ভাগ্নে নিখোঁজের একদিন পর ভাগ্নের লাশ উদ্ধার
শেরপুর সদর উপজেলায় মামা-ভাগ্নে দুই শিশু নিখোঁজের একদিন পর এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার চরপক্ষীমারী এলাকায় শেরপুর-জামালপুর সড়কের ব্রহ্মপুত্র সেতুর নিচ থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আরাফাত (৮) নন্দীরজোত পোড়ার দোকান এলাকার আব্দুল মোতালেবের ছেলে ও স্থানীয় একটি মাদরাসার ছাত্র। তবে নিখোঁজ তার মামা সিয়াম মিয়ার (১০) কোনো খোঁজ মেলেনি। সিয়াম পার্শ্ববর্তী রামেরচর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে। তার সন্ধানে দমকল বিভাগের ডুবুরিরা পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে অনুসন্ধান শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শিশু আরাফাত নিজবাড়ী নন্দির জোত থেকে তার মামা সিয়ামের সাথে পার্শ্ববর্তী রামেরচর গ্রামের নানাবাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। কিন্তু রাতেও সে নানাবাড়ি না পৌঁছালে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের লোকজন। পরে শনিবার দুপুর ২টার দিকে চরপক্ষীমারী এলাকায় ব্রহ্মপুত্র সেতুর নিচে এক শিশুর লাশ দেখতে পেয়ে ৯৯৯-এ ফোন দেয় স্থানীয়রা। বিকাল ৩টার দিকে সদর থানা পুলিশ আরাফাতের লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে, আরাফাতের স্বজনরাও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ শনাক্ত করে। শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন সহ অন্যান্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: কানাইঘাটে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শিশু আরাফাতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় ভাবির গলাকাটা লাশ উদ্ধার, দেবর রক্তাক্ত
গরু ছিনতাই করতে না পেরে কৃষকের গলায় ছুরিকাঘাত !
শেরপুরের নকলা উপজেলায় কেনা গরু ছিনতাই করতে না পেরে ছুরিকাঘাতে এক কৃষককে গুরুতর আহত করেছে ছিনতাইকারীরা।
৯৯৯ এ ফোন কলে প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক
৯৯৯ নম্বরে এক কলারের ফোন পেয়ে এক প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে শেরপুরের শ্রীবর্দী থানা পুলিশ।