লোকগানের শিল্পী মমতাজ বেগম
মমতাজের তাজে যুক্ত হল ‘ডক্টরেট ডিগ্রি’
বাংলাদেশের এক পরিচিত নাম মমতাজ বেগম। লোকগানের এই শিল্পীর গান শুনেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না বললেই চলে। কিন্তু বৃহৎ পরিসরে তার পরিচয় হল তিনি শিল্পী, সমাজসেবী এবং সাংসদ। নানাবিধ সম্মানের পর, এবার তার মুকুটে যুক্ত হল সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি।
মমতাজ দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনকে করেছেন সমৃদ্ধ। এই অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারতের তামিলনাড়ুর গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটি মমতাজ বেগমকে প্রদান করেন সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি। গত শনিবার তার হাতে ‘ডক্টর অব মিউজিক’পদক তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান পি ম্যানুয়েল।
সোমবার রাতে নিজের ফেসবুক পেজে মমতাজ তার ডিগ্রি লাভের খবরটি ভক্তদের জানান।
আরও পড়ুন: মমতাজ চক্ষু হাসপাতালে পিপিই দিলেন গাজীপুরের মেয়র
ফেসবুক পোস্টে থেকে জানা যায়, একক ৮০০ গানের অ্যালবামের রেকর্ড, গত তিন দশকে বাংলা লোকসঙ্গীতকে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা, মানুষেরর মাঝে লোক গানের জনপ্রিয়তা তৈরি এবং বিশ্ব দরবারে বাংলা গানকে তুলে ধরার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবেই তাকে এই সম্মান জানায় তামিলনাড়ুর গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটি।
মমতাজ বর্তমানে মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবেও দেশের সেবায় নিয়োজিত আছেন। সরকারি দল আওয়ামী লীগের হয়ে পর পর তিনবার সাংসদ নির্বাচিত হন এই শিল্পী।
মমতাজ দর্শক শ্রোতাদের নজরে আসেন ২০০১ সালে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদির’মাধ্যমে। গীতিকার মোহাম্মদ রফিকুজ্জামানের লেখা গান ও সোহেল আজিজের সুরে ‘রিটার্ন টিকেট’ গানের মাধ্যমেই ভক্তদের মন জয় করেন।
সমাজ সেবার অংশ হিসেবে এই শিল্পী নিজ এলাকা সিঙ্গাইর উপজেলায় তৈরি করেছেন চক্ষু হাসপাতাল। বাংলাদেশ বধির ক্রিড়া ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
এছাড়াও মমতাজ বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার শুভেচ্ছাদূত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
৩ বছর আগে