চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে আসুন একসঙ্গে কাজ করি: চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ-চীন কৌশলগত সহযোগিতা অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করতে বাংলাদেশের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একত্রে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির পলিটিক্যাল ব্যুরোর সদস্য ওয়াং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে চীনের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
দুই দেশের নেতাদের মধ্যে যে গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য হয়েছে তা আরও বাস্তবায়নে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
১৫ জানুয়ারি দেওয়া বার্তায় ওয়াং বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের প্রতিবেশী এবং বন্ধুত্বের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে রূপরেখা দিলেন চীনা রাষ্ট্রদূত
কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৪৯ বছরে দুই দেশ সবসময় একে অপরকে সম্মান করেছে, একে অপরের সঙ্গে সমান আচরণ করেছে এবং পারস্পরিক সুবিধা ও সমতা বজায় রেখেছে।
তিনি বলেন, চীন ও বাংলাদেশ পরস্পরের মূল স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে দৃঢ়ভাবে একে অপরকে সমর্থন করেছে। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়ানের অভিনন্দন
১০ মাস আগে
হস্তক্ষেপ না করার নীতিতে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় বেইজিং
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই জোর দিয়ে বলেছেন, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি হল রাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রের সম্পর্কের জন্য ‘সুবর্ণ সুযোগ’এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য ‘যাদু হাতিয়ার’।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘চীনের অবস্থানের প্রতি তাদের বোঝাপড়া এবং সমর্থনের জন্য আমরা সেই দেশগুলোর প্রশংসা করি।’
সোমবার ঢাকার চীনা দূতাবাস জানিয়েছে, যেহেতু আজকের বিশ্বে সময়ে সময়ে একতরফা গুন্ডামিমূলক কর্মকাণ্ড ঘটছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত আরও স্পষ্ট ঐকমত্যে পৌঁছানো এবং আরও জোর দিয়ে কথা বলা, যাতে যৌথভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক আইন নিয়ন্ত্রণকারী মৌলিক নিয়মগুলোকে সমুন্নত রাখতে এবং বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা করা যায়।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনার কথা তুলে ধরে চীন বলছে, বিশ্বে চীনের শক্তি ও কণ্ঠস্বর প্রয়োজন এবং বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে চীনের পাশে দাঁড়াবে।
রবিবার অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের মধ্যে বৈঠকের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কিছু দেশ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বড় হতে এবং শক্তিশালী হতে দেখতে চায় না এবং বিভিন্ন বাধা সৃষ্টির জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করে।
দুই পক্ষ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সাংস্কৃতিক বিনিময় (নবায়ন) এবং সামুদ্রিক বিজ্ঞান বিষয়ক সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে একমত হয়েছে।
পড়ুন: চীনে ৯৯ শতাংশ পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর: ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ৪ চুক্তি-সমঝোতা সই
২ বছর আগে
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর: ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ৪ চুক্তি-সমঝোতা সই
দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে রবিবার বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে চারটি চুক্তি ও সমঝোতা সই হয়েছে।
রাজধানীর একটি হোটেলে চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের মধ্যে এক ঘণ্টাব্যাপী দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এসব চুক্তি সই হয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, চুক্তির বিস্তারিত পরে গণমাধ্যমে ব্রিফ করা হবে।
এর মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সাংস্কৃতিক বিনিময় (নবায়ন) এবং সামুদ্রিক বিজ্ঞান বিষয়ক চুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি দেখে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খুশি।
পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি: মন্ত্রী ওয়াং
২ বছর আগে
৬ আগস্ট ঢাকায় আসবেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বাংলাদেশ সফর করবেন বলে সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে।
আগামী ৬-৭ আগস্ট এই সফরের কথা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সফরকালে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ও যুদ্ধের মধ্যেই এই সফর হচ্ছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাবিত সফরসহ পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
সফর চূড়ান্ত হয়েছে উল্লেখ করে মোমেন শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াংকে আসলে তিনি খুশি হবেন।
পড়ুন: বাংলাদেশে ভারতের পরবর্তী হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা
২ বছর আগে
বাংলাদেশকে আরও ৬ লাখ টিকা উপহার দেবে চীন
বাংলাদেশকে আরও ছয় লাখ করোনার টিকা উপহার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন।
ঢাকায় চীনা দূতবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সাথে ফোনে আলাপকালে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ প্রতিশ্রুতির কথা জানান।
ইতোমধ্যে চীন বাংলাদেশকে পাঁচ লাখ টিকা উপহার হিসেবে দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে চীনের করোনাভাইরাসের টিকার নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ অব্যাহত রাখতে সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
আরও পড়ুন: টিকা উপহার: বন্ধু চীনের প্রতি বাংলাদেশের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাংলাদেশের সাথে চীনের করোনা টিকার যৌথ উৎপাদনের অনুরোধ করেন।
এ সময় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে ঘনিষ্ট বন্ধু রাষ্ট্র উল্লেখ করে বলেন, চীন বাংলাদেশে করোনার টিকার যৌথ উৎপাদনে সেদেশের কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করবে।
ওয়াং ই জানান, চীন বাংলাদেশ ছাড়াও মালয়েশিয়া, তুরস্ক, ব্রাজিল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে টিকার যৌথ উৎপাদনে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে ।
এ সময় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে চীনের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তাছাড়া চীন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ত্রিপাক্ষীয় বৈঠক চালু করার উদ্যোগ নেবে বলে জানিয়েছেন ওয়াং ই।
এদিকে, বাংলাদেশ জরুরি ভিত্তিতে করোনার টিকা খুঁজছে জানিয়ে শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ যে কোনো দেশ থেকে ভ্যাকসিনের চালান নিতে সরকার প্রস্তুত রয়েছে।
সিএনএনকে দেয়া এক লাইভ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'জরুরি ভিত্তিতে আমাদের এটি দরকার, কোনো চালান এলে আমরা তা সাথে সাথে গ্রহণ করব।’
আরও পড়ুন: যে কোন দেশ থেকে টিকার চালান এলে গ্রহণ করা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. মোমেন বলেন, সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বাংলাদেশের অনেক জনগণ যারা অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ নিয়েছে, তারা এখনও দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারেনি।
'যেহেতু আমাদের কাছে আর টিকা নেই তাই আমরা দ্বিতীয় ডোজ দিতে পারছি না, এটা আমাদের জন্য বড় সমস্যা তৈরি করছে,’ বলেন তিনি।
সরকার বিভিন্ন জায়গা থেকে ভ্যাকসিন পাওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্ত্রী জানান।
৩ বছর আগে
ভ্যাকসিন সহযোগিতা: চীন নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভ্যাকসিন সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে মঙ্গলবার বিকালে চীন নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই দক্ষিণ এশিয়ার আরও চারটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
তারা জরুরি অবস্থার সময় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে সহায়তা করার জন্য ‘ইমার্জেন্সি স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি’ সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।
জরুরি অবস্থার সময় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্রুত ভ্যাকসিন সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য ‘ইমার্জেন্সি ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি’ তৈরিতে চীনা প্রস্তাবের সাথে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে একমত হয়েছে।
আফগানিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানও চীন থেকে অনুরূপ প্রস্তাব পেয়েছে এবং সম্মতি দিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ এই প্রস্তাব পেয়েছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ এই প্রস্তাবের আরও বিস্তারিত জানতে চাইবেন। এ বিষয়ে সচিব পর্যায়ে একটি বৈঠক হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এক লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার প্রস্তাব চীনের
ড. মোমেন বলেন, চীন উপহার হিসেবে ৬ লাখ ভ্যাকসিনের ডোজ দেবে এবং আশা করি শিগগিরই বাণিজ্যিক ক্রয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাবে।
বাংলাদেশ চুক্তির মাধ্যমে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) দ্বারা উত্পাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯ টিকার ৭০ লাখ ডোজ পেয়েছে। দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের উপহার হিসেবেও বাংলাদেশ টিকার ৩৩ লাখ ডোজ পেয়েছে।
৩ বছর আগে