রোহিঙ্গা শিবির
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেলের
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল উনাইসি লুতু ভুনিওয়াকা।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তিনি উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২ নম্বর শরনার্থী শিবির, বালুখালী ৮ নম্বর শরনার্থী শিবির এবং ২০ নম্বর শরনার্থী শিবিরের বর্ধিত অংশ পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শিবির এলাকায় প্রথমবারের মতো করোনায় আক্রান্ত ২
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, সফরকালে ভুনিওয়াকা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর), জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং ক্যাম্পের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে জড়িত অন্যান্য মানবিক সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এর আগে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব বাংলাদেশ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং শরণার্থী শিবিরের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন।
রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে বেশ কিছুদিন ধরেই নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের দেখভালের জন্য গঠিত জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠকে একাধিকবার এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এর আগে এ পর্যন্ত কক্সবাজারের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য এর আগে পর্যন্ত জাতিসংঘের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের কোনো প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফরে আসেননি।
জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব সোমবার সকালে কক্সবাজারে আসেন। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি।
জানা গেছে, উনাইসি লুতু ভুনিওয়াকা রোহিঙ্গা শিবিরের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে ও করণীয় নিয়ে আলোচনার জন্য কক্সবাজার সফর করছেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে
ডব্লিউএফপি’র সহায়তা হ্রাসে রোহিঙ্গা শিবিরে বাড়তে পারে অপরাধ, উগ্রপন্থা: এআরএসপিএইচ
১ বছর আগে
ক্ষতি নয়, বরং পরিবেশ রক্ষা করে সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে: ড. হোসেন জিল্লুর রহমান
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও ব্র্যাকের চেয়ারপার্সন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, পরিবেশের ক্ষতি করে উন্নয়ন নয়, বরং পরিবেশ রক্ষা করে সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। এই প্রেক্ষাপটে পাহাড় ও সমুদ্রবেষ্টিত কক্সবাজারে পরিবেশ রক্ষার দিকটি আরও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত: রোহিঙ্গারা এখানে আশ্রয় নেওয়ার ফলে পরিবেশে সুরক্ষায় ক্ষেত্রে যে ঝুঁকি দেখা দিয়েছে, তা নিরসনে উদ্যোগ নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় আগা খান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচারের এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো রোহিঙ্গা শিবিরেও পরিবেশবান্ধব স্থাপনা গড়ার ক্ষেত্রে বড় অণুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
স্থাপত্যে দুনিয়া-বিখ্যাত পুরস্কার ‘আগা খান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার’ জয়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার পরিদর্শনে মঙ্গলবার গিয়েছেন আগা খান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার কমিটির ৫ সদস্য এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও ব্র্যাকের চেয়ারপার্সন ড. হোসেন জিল্লুর রহমানসহ সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কমিউনিটি স্পেস মর্যাদাপূর্ণ আগা খান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার পুরস্কার লাভ করে ২০২২ সালে। এর মাধ্যমে স্বীকৃতি দেওয়া হয় রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও হোস্ট কমিউনিটিতে থাকা ৬টি কমিউনিটি স্পেসকে। এর মধ্যে ক্যাম্পে থাকা ৪টি এবং হোস্ট কমিউনিতে থাকা একটি স্থাপনা তৈরি করেছে ব্র্যাক। অন্য স্থাপনাটি তৈরিতে ছিল অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবদানের জন্য প্রিন্স রহিম ও আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ককে প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ
১ বছর আগে
মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে গিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল।
সোমবার (১৪ আগস্ট) সকালে তারা কক্সবাজার বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান এবং সেখান থেকে সরাসরি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যান।
আরও পড়ুন: মিনায় ও আরাফাতে বাংলাদেশি হাজীদের তাবু পরিদর্শন করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
কংগ্রেসম্যানদের মধ্যে একজন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির কংগ্রেস সদস্য এড কেস এবং অপরজন রিপাবলিকান পার্টির রিচার্ড ম্যাককরমিক।
তারা মোট ১১ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার সামছু-দৌজা নয়ন জানিয়েছেন, সকাল ৯টায় কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সমন্বয় সংস্থা ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের অফিসে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএমসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
পরে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কংগ্রেস প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে পরিদর্শনে যান। সেখানে তারা ১২ নম্বর ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম, ১১ নম্বর ক্যাম্পে শরণার্থীদের লার্নিং সেন্টার, জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি পরিচালিত ই-ভাউচার সেন্টার পরিদর্শন করেন।
বিকালে কংগ্রেস প্রতিনিধি দলের কুতুপালং ক্যাম্পে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করার কথা রয়েছে।
এ ছাড়া বিকালে কক্সবাজার শহরে অবস্থিত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন অফিসে সরকারি কর্মকর্তাদের বৈঠক করবেন।
কংগ্রেস প্রতিনিধিদল কক্সবাজার সফরকালে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প সফর করে রোহিঙ্গাদের আর্থিক অবস্থাসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন।
আরও পড়ুন: যশোরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিশোধন কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন এডিবি’র নির্বাহী পরিচালক
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন মার্কিন প্রতিনিধিদল
১ বছর আগে
উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবির থেকে ৬ আরসা সদস্য আটক
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে অভিযান চালিয়ে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’র (আরসা) ছয় সদস্যকে আটকের দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহষ্পতিবার রাতে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ময়নার ঘোনা শিবির থেকে তাদের আটক করা হয়।
কক্সবাজারের র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘ময়নার ঘোনা শিবিরের রোহিঙ্গা আবুল ফয়েজ-এর দোকানের সামনে সিঁড়ির ওপর অস্ত্র-গুলিসহ আরসা সদস্যদের অবস্থানের খবর পেয়ে যৌথ অভিযানটি চালানো হয়। অভিযানের সময় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরসা’র সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া করে আটক করা হয়।’
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৫ আরসা সদস্য গ্রেপ্তার
আটক আরসা সদস্যরা হলেন- মোহাম্মদ আরব (২৪), মোহাম্মদ নূর (৩১), মোহাম্মদ ইউনুছ (৩৩), হারুন (২৮), হাফিজুল আমিন (২৫) ও হামিদ হোসেন (২২)।
তিনি আরও বলেন যে তাদের মধ্যে মোহাম্মদ আরবের কাছ থেকে দেশীয় বন্দুক ও অন্য দুই জনের কাছ থেকে তিনটি গুলি উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তারা অবৈধ দেশীয় অস্ত্র-গুলি দিয়ে শিবির এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং বিভিন্ন সুবিধাদি আদায়ের লক্ষ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার জন্য ওই স্থানে অবস্থান করছিল বলে স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় আরাকান আর্মি ও আরসার ওপর দায় চাপাল মিয়ানমার
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ড: আইওএমকে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিচ্ছে কোরিয়া
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মানবিক সহায়তা হিসেবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরুরি সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রজাতন্ত্র কোরিয়া সরকার।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির মতে, ২২ মার্চ অগ্নিকাণ্ডের কারণে কক্সবাজারের কুতুপালং বালুখালী এলাকায় অবস্থিত ক্যাম্প নং ৯, ক্যাম্প নং ৮ই এবং ক্যাম্প নং ৮ ডাব্লিউ-তে প্রায় ১০,১০০টি বাসস্থান ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং এর ফলে প্রায় ৪৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১
কোরিয়ান সরকারের এই সহযোগিতা সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ এবং এলপিজি বিতরণ, ল্যাট্রিন এবং স্নান ব্যবস্থাসহ ক্ষতিগ্রস্ত শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্র ও বাসস্থান পুনঃনির্মাণে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোর পুনরুদ্ধার কার্যক্রমকে সহায়তা করবে।
২০১৩ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কটের প্রাদুর্ভাবের পরে, মানবিক সহায়তাস্বরূপ রোহিঙ্গা ও স্থানীয় কমিউনিটির জন্য প্রজাতন্ত্র কোরিয়া ইউএনএইচসিআর, ইউনিসেফ, আইওএম, ডব্লিউএফপিএবং আইএফআরসি-র মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বার্ষিক চার থেকে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সরবরাহ করে আসছে।
আরও পড়ুন: আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের জন্য ১ কোটি ডলার দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া
প্রজাতন্ত্রের কোরিয়া দূতাবাস বাংলাদেশ সরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে নিবিড় সহযোগিতার মাধ্যমে মানবিক সঙ্কট এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চূড়ান্ত প্রত্যাবাসন মোকাবিলায় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
৩ বছর আগে
রোহিঙ্গা শিবির এলাকায় প্রথমবারের মতো করোনায় আক্রান্ত ২
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা শিবির এলাকায় বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো দুজন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
৪ বছর আগে
রোহিঙ্গা শিবিরে আগুনে পুড়ল ৬০ দোকান ও ৩৬২ বসতঘর
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে মঙ্গলবার সকালে আগুন লেগে ৩৬২ বসতঘর ও ৬০ দোকান পুড়ে গেছে।
৪ বছর আগে
রোহিঙ্গা শিবিরে মাদকবিরোধী অভিযানে ২ র্যাব সদস্য গুলিবিদ্ধ
কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা শিবিরে মাদকবিরোধী অভিযানে দুই র্যাব সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
৪ বছর আগে