মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রোডমার্চ চলবে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে রংপুর থেকে শুরু হওয়া রোডমার্চ কর্মসূচি সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত চলবে।
তিনি বলেন, ‘রংপুরের কৃষক নেতা নূরলদীন বাংলাদেশের মানুষকে ব্রিটিশ শাসনামলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। আজ তরুণ সমাজ সেই রংপুর থেকে লুটেরা-ফ্যাসিবাদকে রুখে দেওয়ার ডাক দিচ্ছে।’
শনিবার রংপুরে তারণ্যের রোডমার্চ কর্মসূচির উদ্বোধন করতে গিয়ে এসব কথা বলেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: বিএনপির সহযোগী সংগঠনের রংপুর-দিনাজপুর রোডমার্চ শুরু হবে শনিবার দুপুরে
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের দাবি পরিষ্কার- পদত্যাগ করুন, আপনাকে (শেখ হাসিনা) দেশের মানুষ আর দেখতে চায় না। আপনি সংসদ বিলুপ্ত করুন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। সেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করবে। জনগণ অংশগ্রহণ করবে, যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়ে নতুন পার্লামেন্ট গঠন করবে।’
ফখরুল বলেন, বিএনপির কর্মসূচিতে আজ লাখ লাখ মানুষ অংশ নিচ্ছে। এই জনগণের উত্তাল তরঙ্গে এই সরকার ভেসে যাবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিয়ে তাদের নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। চাল, ডাল, লবণ, তেল, বিদ্যুতের দামসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। বিদ্যুৎও পায় না। দুর্নীতি করে সব কিছু বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। দেখবেন, রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। রিজার্ভ তো তারা চুরি করছে।’
ফখরুল বলেন, এই তরুণরা বাংলাদেশের সবচেয়ে সূর্য সন্তান, তাদের চাকরি নেই। তিনি আরও অভিযোগ করেন, তরুণরা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে গেলে বিএনপির নাম-গন্ধ থাকলেও সেটা করতে পারে না।
আরও পড়ুন: অধিকারের আদিলুর ও নাসিরউদ্দিনের মুক্তি দাবি ফখরুলের
১ বছর আগে
গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন খালেদা জিয়া: ফখরুল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন, যেখানে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী (খালেদা জিয়া) আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে রাত ৩টায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।’
মঙ্গলবার রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন যে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে 'মিথ্যা' মামলায় কারারুদ্ধ করেছে, কারণ তিনি মুক্ত থাকলে তারা কোনো নির্বাচনে বিএনপিকে পরাজিত করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগও ভালো করেই জানে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তারা ১০টি আসনও পাবে না।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বর্তমান সরকারের সকল অন্যায়ের জবাব দিতে দেশের জনগণ, সকল গণতান্ত্রিক দল ও সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সোমবার দিবাগত রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিএনপি চেয়ারপার্সনকে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোনো আপস নয়: ফখরুল
গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
১ বছর আগে
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে নির্বাচন ও প্রচারণা প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা বিএনপি মহাসচিবের
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাসায় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে যে তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, প্রচারণা প্রক্রিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের কিছু অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির মহাসচিবকে বহনকারী একটি প্রাইভেটকার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে প্রবেশ করে এবং দুপুর ২টা ২৪ মিনিটে গাড়িটি বের হয়।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নীতি ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে জনগণের দীর্ঘদিনের দাবিকে প্রতিফলিত করে: ফখরুল
তবে এ সাক্ষাৎ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বিএনপি।
এর আগে ১৬ এপ্রিল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদসহ তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার গুলশানের বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন।
বিএনপি ওই সাক্ষাতের বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এক ফেসবুক পোস্টে বলেছে, তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং অহিংস রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের অসম্মানজনক ভিসা নীতির জন্য সরকার দায়ী: ফখরুল
মার্কিন ভিসা নীতি: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা বিএনপির
১ বছর আগে
সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে আন্দোলনকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে: ফখরুল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে জনগণের চলমান আন্দোলনকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ১০ দফা দাবি আদায়ের জন্য উত্তাল আন্দোলনই একমাত্র বিকল্প,কারণ এই সরকারের কোনো রকমের শুভ বুদ্ধির উদয় হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
মঙ্গলবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলটির নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের সাজা বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন নিয়ে সংকট নিরসনে সরকারের সুর নেমে এসেছে: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘এই রায় থেকে বোঝা যায় যে এই সরকার বিচার বিভাগসহ সমগ্র রাষ্ট্রযন্ত্রকে দখল করে নিয়েছে। তারা ফরমায়েশি রায় দিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে।’
টুকু,আমান ও সাবেরার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা মনে করি, এগুলো ফরমায়েশি রায়। এ ধরনের রায় দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে কোনোদিন স্তব্ধ করা যাবে না। জনগণ তাদের অধিকার অবশ্যই আদায় করবে।’
দলের প্রতিষ্ঠাতার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়ার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ফখরুল।
এর আগে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ পৃথক দুর্নীতি মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের কারাদণ্ড বহাল রাখেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে আ. লীগ সরকার বাধা: বিএনপি নেতা মোশাররফ
১ বছর আগে
রাজধানীতে ৯ ও ১২ ফেব্রুয়ারি আরও দুটি পদযাত্রার ঘোষণা বিএনপির
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে আগামী ৯ ও ১২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে আরও দুটি পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া এবং ১০ দফা দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিট আবারও পদযাত্রার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ১১ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা গণতন্ত্র মঞ্চের
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ইউনিট ৯ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টায় গোপীবাগ ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব মাঠ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব অভিমুখে এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ইউনিট ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টায় শ্যামলী খেলার মাঠ থেকে বসিলা সাত রাস্তা মোড় অভিমুখে পদযাত্রা করবে।
এর আগে গত ২৮, ৩০, ৩১ জানুয়ারি এবং ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিটের নেতাকর্মীরা ১০ দফা দাবিতে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন।
পরে ১০ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ৪ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সারাদেশের সব ইউনিয়নে আরেকটি পদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা দেয় বিএনপি।
আরও পড়ুন: ১১ ফেব্রুয়ারি সব ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
১ বছর আগে
ফখরুল ও আব্বাস পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার: ডিবি প্রধান
বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার পল্টন থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।’
তিনি আরও বলেন যে আজ (শুক্রবার) তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
হারুন অর রশিদ জানান, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার প্ররোচণা, পরিকল্পনা ও নির্দেশনা, ককটেল বিস্ফোরণ, সরকারি সম্পত্তি ও জীবনমাল ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সংবাদ সম্মেলন বিকাল ৩টায়
বিএনপির কেন্দ্রীয় অন্য কোনো নেতা নজরদারিতে আছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অন্য কেউ এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা সবকিছুর ওপর নজর রাখছি।’
বিএনপির সমাবেশস্থল সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিএনপি এখন গোলাপবাগ মাঠের জন্য প্রস্তাব করছে, কিন্তু এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
শুক্রবার ভোররাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ছয় ঘণ্টা বৈঠক করে যেখানে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) কমলাপুর স্টেডিয়াম বা মিরপুর বাংলা কলেজ মাঠে সমাবেশ করার বিষয়ে কথা হয়।
পরে বিএনপির কয়েকজন নেতাকে নিয়ে আব্বাস দুটি স্থান পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ: বিএনপি
বুধবার, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন।
বুধবারের সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত বিএনপির ৪৪৫ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও প্রকাশনা সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ শীর্ষ নেতাদের পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফখরুলকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে যেতে বাধা
১ বছর আগে
বিএনপির কার্যালয়ে বোমাগুলো পুলিশ রেখেছিল: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন যে পুলিশ দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বোমাগুলো রেখেছিল।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব হয়েও আমাকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যেতে দেয়া হয়নি। এটা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। আমাদের অফিসে বোমা সম্পর্কে পুলিশ অফিসার যা বলেছেন তা নির্লজ্জ মিথ্যা। তারা (পুলিশ) নিজেরাই বোমাগুলো নিয়ে গিয়েছিল এবং সেখানে রেখেছিল।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যেতে বাধা দেয়া হয়।
সকালে ঢাকার একটি আদালতে হাজির হওয়ার পর ফখরুল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে বিজয়নগর মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাকে বাধা দেয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির সংবাদ সম্মেলন বিকালে
পুলিশ কর্মকর্তারা বিএনপির সিনিয়র এই নেতাকে বলেন যে নিরাপত্তার কারণে তাদের প্রয়োজনীয় কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হবে না, কারণ তারা সেখান থেকে বোমা উদ্ধার করেছে।
ফখরুল বলেন, ‘পুলিশ মিথ্যা বলছে... এটা আমাদের অফিস, আমি ভেতরে যাব। সেখানে যাওয়া আমার অধিকার।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব সরকার ফখরুলকে বলেন যে বিএনপি নেতারা গতকাল ওই এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়ে মারে এবং বিএনপির অফিস নিরাপদ নয়, যা এখন একটি ‘ক্রাইম সিন’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।’ ফখরুল উত্তেজিত হয়ে পড়লে বিপ্লব অনুরোধ করেন, ‘অনুগ্রহ করে রাগ করবেন না এবং আমাদের সহযোগিতা করুন।’
জবাবে ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতাদের মতো কথা বলবেন না।’
ফখরুল বলেন, বিএনপির কার্যালয় তাদের সম্পত্তি এবং তাদের ভেতরে যাওয়ার অধিকার রয়েছে।
তিনি সরকারের কাছে বিএনপির কার্যালয় খুলে দেয়ার ও গ্রেপ্তার সকল নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান। স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে পারে সেজন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
১০ ডিসেম্বর তাদের জনসভা কোথায় হবে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৩টায় সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
আরও পড়ুন: ফখরুলকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে যেতে বাধা
নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে যান চলাচল বন্ধ
১ বছর আগে
চিকিৎসার জন্য খালেদাকে বিদেশে নেয়ার অনুমতি দিন: ফখরুল
করোনা পরবর্তী জটিলতায় আক্রান্ত বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে মানবিক বিবেচনায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেয়ার অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘করোনা পরবর্তী সমস্যা বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। তিনি একজন বয়স্ক ব্যক্তি হওয়ায় অনেকগুলো স্বাস্থ্যগত জটিলতা রয়েছে ... এজন্য দেশের বেশিরভাগ মানুষ চান তিনি উন্নত হাসপাতালে চিকিত্সা সেবা গ্রহণ করুক।’
বিএনপি নেত্রীর গুলশান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে ফখরুল বলেন, তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আমরা আশা করি মানবিক কারণে সরকার তাকে দেশের বাইরে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নেয়ার ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
দেশব্যাপী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া বিএনপি কর্মী এবং নেতাদের ঈদ উপহার প্রদানের জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিএনপি নেতা বলেন, করোনাভাইরাসে দেশব্যাপী কমপক্ষে ৪২৫ জন নেতা-কর্মী মারা গেছেন।
ফখরুল বলেন, গত ২৭ এপ্রিল থেকে খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডাক্তাররা খুব আন্তরিকভাবে তাকে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। তবে তিনি যেরূপ স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তাকে দেশের বাইরে উন্নত হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: মৃদু জ্বরে ভুগছেন খালেদা, অবস্থা এখনও স্থিতিশীল: ডাক্তার
বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ধানমন্ডির বাসভবনে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার দেখা করেন এবং খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে অনুমতি চেয়ে আবেদনপত্র জমা দেন।
৭৬ বছর বয়সী বিএনপি নেত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৭ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গত সোমবার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় বিএনপি নেত্রীকে হাসপাতালের সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরে তার এ সমস্যা দূর হয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর: চিকিৎসক
ভর্তির একদিন পর ২৮ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
গত ১০ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা পজিটিভের ফল আসে। তিনি ছাড়াও তার বাসার আট সদস্য করোনায় আক্রান্ত। ২৪ এপ্রিল খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় দফা করোনা পরীক্ষাতেও ফলাফল পজিটিভ আসে।
দুর্নীতির মামলায় ২৫ মাস কারাভোগের পর করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে নির্বাহী আদেশে ছয় মাস দণ্ড স্থগিত হওয়ায় গত বছরের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি পান সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
একইদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পান তিনি এবং তখন থেকেই গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় অবস্থান করছেন।
গত বছরের ২৭ আগস্ট আরও ছয় মাস এবং এরপর গত ১৫ মার্চ আরও ছয় মাসের জন্য তার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠায় আদালত। পরে হাইকোর্ট তার সাজার মেয়াদ দ্বিগুণ করে। একই বছরে তিনি আরও একটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন। যদিও তার দল বলছে, দুটি মামলাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
খালেদার জন্য দোয়া
এদিকে, মির্জা ফখরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তাদের দলের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশব্যাপী শুক্রবার জুমার নামাজের পর মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ধর্মের পবিত্রস্থানে ও তার সুস্থতা কামনায় প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
৩ বছর আগে