বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে জনগণের চলমান আন্দোলনকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ১০ দফা দাবি আদায়ের জন্য উত্তাল আন্দোলনই একমাত্র বিকল্প,কারণ এই সরকারের কোনো রকমের শুভ বুদ্ধির উদয় হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
মঙ্গলবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলটির নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের সাজা বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন নিয়ে সংকট নিরসনে সরকারের সুর নেমে এসেছে: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘এই রায় থেকে বোঝা যায় যে এই সরকার বিচার বিভাগসহ সমগ্র রাষ্ট্রযন্ত্রকে দখল করে নিয়েছে। তারা ফরমায়েশি রায় দিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে।’
টুকু,আমান ও সাবেরার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা মনে করি, এগুলো ফরমায়েশি রায়। এ ধরনের রায় দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে কোনোদিন স্তব্ধ করা যাবে না। জনগণ তাদের অধিকার অবশ্যই আদায় করবে।’
দলের প্রতিষ্ঠাতার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়ার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ফখরুল।
এর আগে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ পৃথক দুর্নীতি মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের কারাদণ্ড বহাল রাখেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে আ. লীগ সরকার বাধা: বিএনপি নেতা মোশাররফ