আক্রমণ
রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরুর পর ৩১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে: জেলেনস্কি
রাশিয়া পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করার পর থেকে গত দুই বছরে ৩১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
রবিবার(২৬ ফেব্রুয়ারি) কিয়েভ ফোরামে ‘ইউক্রেন ইয়ার-২০২৪’ -এ এই তথ্য জানান প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
জেলেনস্কি বলেন, এই সংখ্যা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারের দেওয়া অনুমানের চেয়ে অনেক কম।
তিনি বলেন, ‘এই যুদ্ধে ৩১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। তিন লাখ বা দেড় লাখ নয়, বরং পুতিন ও তার প্রতারক চক্র যা বলছে তা মিথ্যা। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমাদের এই প্রতিটি ক্ষতি একটি মহান ত্যাগ।’আরও পড়ুন: রুশ অধিকৃত ইউক্রেনের বাজারে গোলাবর্ষণে নিহত ১৩
ইউক্রেনের এই নেতা বলেন, কতজন সেনা আহত বা নিখোঁজ হয়েছেন তা তিনি প্রকাশ করবেন না। তিনি আরও বলেছিলেন যে ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে ‘কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিক’ নিহত হয়েছে, তবে যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সঠিক কোনও পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি না তারা আমাদের কতজন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। আমরা জানি না।’
আরও পড়ুন: রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমর্থন দিতে ইউক্রেনে ৮০০টিরও বেশি ড্রোন পাঠাবে কানাডা
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম কিয়েভ ইউক্রেনের ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা নিশ্চিত করল।
তবে হতাহতের আনুষ্ঠানিক কয়েকটি পরিসংখ্যান জানিয়েছে রাশিয়া। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিকতম তথ্যে ৬ হাজারের বেশি মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তাদের প্রতিবেদনে এই সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে প্রকাশিত মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ধারণা করা হয়েছিল যে ইউক্রেনে ৩ লাখ ১৫ হাজার রুশ সেনা নিহত বা আহত হয়েছে। যদি এই সংখ্যা সঠিক হয়, তাহলে যুদ্ধের আগে রাশিয়ার কাছে থাকা ৩ লাখ ৬০ হাজার সেনার ৮৭ শতাংশই হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
রাশিয়ার স্বাধীন সংবাদমাধ্যম মিডিয়াজোনা শনিবার জানিয়েছে, ২০২২ ও ২০২৩ সালে যুদ্ধে প্রায় ৭৫ হাজার রুশ পুরুষ নিহত হয়েছেন।
রাশিয়ার আরেক স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম মিডিয়াজোনা ও মেদুজা প্রকাশিত এক যৌথ তদন্তে দেখা গেছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষয়ক্ষতির হার কমছে না এবং মস্কো দৈনিক প্রায় ১২০ জন করে সেনাকে হারাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী আজ রাতে ঢাকায় যাত্রাবিরতি করবেন
হামাসকে 'ধ্বংস' করার অঙ্গীকার নেতানিয়াহুর : গাজা আক্রমণ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে
গাজা উপত্যকায় প্রত্যাশিত স্থল আক্রমণের জন্য সেনাবাহিনী প্রস্তুত করার সময় হামাসকে ধ্বংস করার অঙ্গীকার করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
নেতানিয়াহু শুক্রবার(১৩ অক্টোবর) রাতে জাতীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে এই হুমকি দেন।
গত শনিবার হামাস জঙ্গিরা নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলা চালিয়ে নৃশংস তাণ্ডবে এক হাজার ৩০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলিকে হত্যা করার পর থেকে গাজায় বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। শুক্রবার ভোরে ইসরায়েল গাজার অর্ধেক জনসংখ্যাকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমানবন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
নেতানিয়াহু বলেন, 'এটা শুরু মাত্র। 'আমরা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে এই যুদ্ধের অবসান ঘটাব'
‘আমরা হামাসকে ধ্বংস করব’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই অভিযানের জন্য ইসরায়েলের প্রতি ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমর্থন রয়েছে।
আরও পড়ুন: হামাসের আকস্মিক হামলা-ইসরায়েলি প্রতিক্রিয়ায় নিহত ১০০০ ছাড়িয়েছে
ময়মনসিংহে বন্য হাতির আক্রমণে গ্রাম্য চিকিৎসকের মৃত্যু
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্তে বন্য হাতির আক্রমণে এক গ্রাম্য চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার গাবরাখালী সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. ইদ্দিস মিয়া (৫০) একই উপজেলার গাজিরভিটা ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের তৈমুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাত দশটার দিকে উপজেলার গাবরাখালী সীমান্তবর্তী এলাকায় ৩০-৩৫টি হাতি দল বেঁধে ধানখেতে নেমে আসে। ফসল রক্ষায় কান্দাপাড়া গ্রামের মানুষ হাতি তাড়াতে লাঠি নিয়ে ধাওয়া করেন। এ সময় গ্রাম্য ডাক্তার ইদ্দিস মিয়া হাতির খুব কাছাকাছি চলে যান। তখন একটি হাতি তাকে ধাওয়া দিয়ে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে পদদলিত করে। পরে লোকজনের ধাওয়া দিলে হাতির দল সরে যায়।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষকের মৃত্যু
এ সময় স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় ইদ্রিস মিয়াকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
গাজিরভিটা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আবদুল মান্নান বলেন, গ্রাম্য চিকিৎসকের ইদ্রিস মিয়া হাতি দেখতে যান। কাছাকাছি চলে গেলে একটি হাতি তাকে ধাওয়া দিয়ে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে পদদলিত করে। গুরুতর অবস্থায় নিজ বাড়িতে নিয়ে আসলে সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় তার।
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান খান বলেন, হাতির আক্রমণে একজন নিহতের কথা আমি শুনেছি। এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে যুবক নিহত
সত্য ও সত্য বলা মানুষগুলোকে আক্রমণ করা বন্ধ করতে হবে: বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে জাতিসংঘের মহাসচিব
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস (৩ মে) উপলক্ষে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাণী দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘তিন দশক ধরে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের কার্যক্রমের কথা স্মরণ করে আসছে। এই দিবসটি একটি সহজ সত্যকে তুলে ধরে যা হলো - আমাদের সার্বিক স্বাধীনতা নির্ভর করে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর।’
তিনি আরও বলেন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হলো গণতন্ত্র ও ন্যয়বিচারের ভিত্তি। স্বাধীন সংবাদমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ তথ্য উপস্থাপন করে আমাদের মতামত গঠনে এবং ক্ষমতায় থেকে সত্য বলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা মানবাধিকারেরই প্রাণশক্তি।
মহাসচিব বলেন, ‘কিন্তু বিশ্বের প্রতি প্রান্তে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা আজ আক্রান্ত। মিথ্যা তথ্য দ্বারা সত্য হুমকির সম্মুখীন এবং বিদ্বেষপ্রসূত বক্তব্য সত্য ও অলীক কাহিনীর মধ্যেকার ফারাক, বিজ্ঞান ও ষড়যন্ত্রের মধ্যেকার ফারাককে ম্লান করে দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: প্রফেসর ইউনূসকে ‘জিরো ওয়েস্ট অ্যাডভাইজরি বোর্ড’-এর সদস্য নিযুক্ত জাতিসংঘের মহাসচিবের
তিনি বলেন, ক্রমান্বয়ে গুটি কয়েক মানুষের হাতে সংবাদমাধ্যম শিল্পের নিয়ন্ত্রণ চলে যাচ্ছে। বহু স্বাধীন সংবাদ সংস্থা আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে, পড়ছে। সাংবাদিকের কণ্ঠরোধে দেশে দেশে আইন প্রণয়ন হচ্ছে। এতে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধের সুযোগ যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা আরও বেশি হুমকিতে পড়ছে।
মহাসচিব আরও বলেন, এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ইন্টারনেটে এবং প্রাত্যহিক জীবনে সরাসরি আক্রমণের শিকার হচ্ছেন সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমকর্মীরা। হয়রানি, ভয়ভীতি প্রদর্শন, আটক ও কারাবন্দী হওয়া যেন তাদের জীবনের নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠছে।
বিশ্বে ২০২২ সালে অন্তত ৬৭ জন সংবাদমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা অবিশ্বাস্যভাবে ৫০ শতাংশ বেশি। নারী সাংবাদিকদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অনলাইনে সহিংসতার শিকার হয়েছেন এবং এক-চতুর্থাংশকে সরাসরি হুমকি দেওয়া হয়েছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, সংবাদমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষায় এবং তাদের ওপর হওয়া অন্যায়ের দায়মুক্তির প্রবণতার ইতি টানতে ১০ বছর আগে জাতিসংঘ প্ল্যান অব অ্যাকশন অন দ্য সেফটি অব জার্নালিস্ট বা সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় কর্মপরিল্পনা প্রণয়ন করে।
তিনি আহ্বান জানান, আজ এবং প্রতিটা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম স্বাধীনতা দিবসে সারা বিশ্বকে অবশ্যই একসুরে কথা বলতে হবে। হুমকি ও আক্রমণ বন্ধ করতে হবে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিকদের আটক ও কারাবন্দী করা বন্ধ করতে হবে। মিথ্যা ও গুজব রুখে হবে। সত্য ও সত্য বলা মানুষগুলোকে আক্রমণ করা বন্ধ করতে হবে।
মহাসচিব বলেন, সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো সাংবাদিকের পাশে সারা বিশ্ব দাঁড়িয়ে আছে।
আরও পড়ুন: আল জাজিরার সাংবাদিক হত্যায় শোকাহত জাতিসংঘের মহাসচিব, নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি
শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষকের মৃত্যু
খেতের ফসল রক্ষা করতে গিয়ে শেরপুরের শ্রীবরদীতে বন্য হাতির আক্রমণে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার হাতিবর টিলাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল হামিদ (৫০) ওই এলাকার ছামেদ আলীর ছেলে।
এ নিয়ে গত ১৫ দিনের ব্যবধানে শেরপুরের পাহাড়ি জনপদে বন্য হাতির আক্রমণে তিন কৃষক নিহত হলেন।
এর আগে হাতির আক্রমনে গত ১৪ এপ্রিল শ্রীবরদীর জুলগাঁও এলাকায় আব্দুল করিম (৩৫) এবং ২৬ এপ্রিল নালিতাবাড়ি উপজেলার পুর্ব সমশ্চুড়া গ্রামের বিজয় সাংমা (৫২) নামে আরও দুই কৃষক প্রাণ হারান।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে যুবক নিহত
এই কৃষকরা সবাই বন্য হাতির কবল থেকে আধপাকা বোরো ধানখেত পাহারা দেওয়ার সময় উন্মত্ত হাতির কবলে পড়ে নিহত হন।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় শ্রীবরদী সীমান্তে বন্যহাতির ৪০/৫০ টির একটি দল শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুড়ী রেঞ্জ এলাকার হালুয়াহাটি গ্রামের বোরো ধানখেতে নেমে আসে এবং পাকা ধান বিনষ্ট করে।
এ সময় ধানখেত বাঁচাতে এলাকাবাসী হাতি তাড়াতে লাঠি-মশাল নিয়ে হাতির দলকে ধাওয়া করে। এতে ক্ষুব্ধ হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে হাতিবর টিলাপাড়া গ্রামের কৃষক আবদুল হামিদ গুরুতর আহত হন।
এলাকাবাসী আশঙ্কাজনক অবস্থায় হামিদকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. নোমান।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নুর হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ধানখেতে বন্যহাতির দল নেমে এলে হাতি তাড়াতে গিয়ে হাতির আক্রমণে কৃষক আব্দুল হামিদের মৃত্যু ঘটেছে।
বন বিভাগের বালিজুড়ীর রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বন বিভাগের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু হাতির দলকে তাড়াতে গিয়ে মানুষ মৃত্যুর মতো দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে পাহাড়ি জনপদে বনবিভাগের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। যাতে হাতির দলকে উত্যক্ত করা না হয়। এজন্য এলাকায় এলাকায় এলিফেন্ট রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বনবিভাগের পক্ষ থেকে নিহত ব্যক্তির পরিবারকে সরকারি নিয়মানুযায়ী আবেদনের মাধ্যমে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে আহত কৃষকের মৃত্যু
শেরপুর সীমান্তে বন্যহাতির আক্রমণে কৃষক নিহত, আহত ১
শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে আহত কৃষকের মৃত্যু
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বন্যহাতির লাথির আঘাতে আহত এক গারো কৃষকের মৃত্যু ঘটেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শেরপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে।
নিহত বিজয় সাংমা (৫২) নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পুর্ব সমশ্চুড়া গ্রামের স্টীপেন মারাকের ছেলে।
জানা যায়, শুক্রবার দুপুরের পর পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এসময় নিহত কৃষক বিজয় সাংমার বাড়িতে হাজির হয়ে নালিতাবাড়ীর ইউএনও খ্রস্টফার হিমেল রিছিল উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা নগদ আর্থিক সহায়তা পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন। এসময় গারো নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এলাকার কৃষকেরা ফসল রক্ষা করতে রাত জেগে ধানখেত পাহারা দিয়ে থাকেন। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) গভীর রাতে বন্যহাতির দলটি পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পুর্ব সমশ্চুড়া গ্রামের কৃষক বিজয় সাংমার আবাদকৃত বোরো ধানখেতে হানা দেয়।
আরও পড়ুন: শেরপুর সীমান্তে বন্যহাতির আক্রমণে কৃষক নিহত, আহত ১
এসময় বিজয় সাংমা ফসল রক্ষা করতে হাতির দলটিকে তাড়া করেন। তাড়া খেয়ে এক পর্যায়ে বন্যহাতির দলটি উন্মত্ত হয়ে বিজয় সাংমার ওপর পাল্টা আক্রমণ করে। এসময় হাতির দলের একটি হাতি বিজয় সাংমার বুকে ও পেটে পা দিয়ে লাথি মারে এবং তলপেটে চাপা দেয়।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত মঙ্গলবার রাতে নালিতাবাড়ীর মধুটিলা ইকোপার্ক সংলগ্ন কালাপানি এলাকার সীমান্ত সড়কের পাশে নিজ আবাদি বোরো ধানখেত পাহারা দেওয়ার সময় বিজয় সাংমা বন্যহাতির আক্রমণে গুরুতর আহত হন।
ওসি আরও বলেন, স্বজনেরা হাতির দলটিকে তাড়িয়ে দিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় বিজয় সাংমাকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা বিজয়কে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কৃষক বিজয় সাংমার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে যুবক নিহত
শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
আমরা শান্তি চাই, তবে বহিঃশক্তির আক্রমণ প্রতিহত করতে প্রস্তুত: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বলেছেন, দেশে কোনো বহিঃশক্তির আক্রমণ হলে উপযুক্ত জবাব দিতে সশস্ত্র বাহিনীকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু বহি:শক্তির যে কোন আক্রমণ মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনীকে পর্যাপ্ত সক্ষম করে তুলতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি’
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দশম টাইগারস রিইউনিয়নে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ কারও সঙ্গে যুদ্ধ চাই না।
তিনি বলেন যে আমরা বঙ্গবন্ধুর ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ পররাষ্ট্র নীতিতে বিশ্বাসী।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়নে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, সম্প্রতি মাওয়া-জাজিরায় শেখ রাসেল সেনানিবাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং মিঠামইন, রাজবাড়ী ও ত্রিশালে নতুন সেনানিবাস নির্মাণের কাজ চলছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে আর্মি এভিয়েশন ফরওয়ার্ড ঘাঁটি এবং লালমনিরহাটে এভিয়েশন স্কুল নির্মাণের কাজও চলছে।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, সরকার সেনাবাহিনীতে নতুন কম্পোজিট ব্রিগেড ও প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড যুক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে দক্ষিণ কোরিয়াকে আহ্বান জানাল প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রতিটি বাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক ও যুগোপযোগী অস্ত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার বাংলাদেশকে শান্তির দেশে রূপান্তর করতে চায়।
তিনি বলেন, এ জন্য আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সফলভাবে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা করেছে।
তবে তিনি উল্লেখ করেছেন যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পরবর্তী নিষেধাজ্ঞাগুলো বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার কারণ হয়েছে, যাতে উন্নত দেশগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে খাবারের দাম অত্যধিক বেড়েছে এবং খাবার পেতেও সমস্যা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, তবে বাংলাদেশের ভূমি উর্বর এবং মানুষও অনেক দক্ষ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই দেশের প্রত্যেক নাগরিকের কাছে যে জমি আছে, তারা তাতে ফসল ফলাক; যাতে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার আঘাত বাংলাদেশে না লাগতে পারে।’
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘এটি সত্য কিন্তু এর পাশাপাশি আমাদের এটা (খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি) ততদিন অব্যাহত রাখতে হবে যতদিন না এই (রাশিয়া-ইউক্রেন) যুদ্ধ থামে এবং এই মন্দার কবল থেকে বিশ্ব মুক্তি পায়।’
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা যাতে বাংলাদেশে প্রভাব না ফেলতে পারে সেজন্য কঠোর পরিশ্রম করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। প্রধানমন্ত্রী সালাম গ্রহণ করেন এবং খোলা জীপে চড়ে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।
তিনি একটি মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও প্রত্যক্ষ করেন।
আরও পড়ুন: আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: মার্কিন কর্মকর্তাকে প্রধানমন্ত্রী
হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে ভারতের ওপর আক্রমণের অভিযোগ আদানির
এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ভারতের আদানি গ্রুপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনিয়োগ গবেষণা ও শর্ট-বিক্রেতা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের একটি প্রতিবেদনকে প্রত্যাখান করেছে। তারা প্রতিবেদনটিকে ‘বিদ্বেষপূর্ণ’, ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘নির্দিষ্ট কিছু ভুল তথ্য’ এ পূর্ণ বলেও অভিহিত করেছে।
হিন্ডেনবার্গ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে জালিয়াতি এবং অন্যান্য অপকর্মের অভিযোগ এনে প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর থেকে গ্রুপের শেয়ার ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
যদিও সোমবার আদানি গ্রুপ কিছু হারানো শেয়ার পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এদিন গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজ ৩.২ শতাংশ লাভ করেছে এবং আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড ৩.৩ শতাংশ লাভ করেছে। এছাড়া আদানির অন্যান্য তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন: সাইকেলে হজযাত্রায় বেনাপোল হয়ে ভারত গেলেন থাই নাগরিক সালাম
রবিবার আদানি গ্রুপের প্রকাশিত ৪০০ পৃষ্ঠার প্রতিক্রিয়ায় তারা হিন্ডেনবার্গকে ভারত ও দেশটির প্রতিষ্ঠানগুলোকে আক্রমণ করার এবং সিকিউরিটিজ ও বৈদেশিক মুদ্রার আইন ভঙ্গ করার জন্য অভিযুক্ত করেছে।
এছাড়া হিন্ডেনবার্গকে অভিযুক্ত করে বলেছে যে এটি আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে এবং এর শেয়ার বিক্রিতে ধস নামানোর চেষ্টা করছে।
আদানির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এটি নিছক কোনো নির্দিষ্ট কোম্পানির ওপর কোনো অযৌক্তিক আক্রমণ নয়, বরং ভারতের ওপর একটি পরিকল্পিত আক্রমণ। কেননা ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা, অখণ্ডতা ও গুণমান হলো ভারতের প্রবৃদ্ধির ঐতিহ্য ও ভবিষ্যত উন্নয়নের প্রত্যাশা।’
জবাবে হিন্ডেনবার্গ ফার্ম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে যে আদানির প্রতিক্রিয়া মূলত তার ত্রুটিগুলোকে নিশ্চিত করেছে এবং তারা তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
হিন্ডেনবার্গ আরও বলেছে, আদানি গ্রুপ তার উন্নয়নকে ভারতের সাফল্যের সঙ্গে মেলানোর চেষ্টা করছে।
হিন্ডেনবার্গ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি ভারত একটি প্রতিনিধিত্বকারী গণতন্ত্র এবং একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত সমৃদ্ধ একটি উদীয়মান পরাশক্তি। আমরা এটাও বিশ্বাস করি যে ভারতের ভবিষ্যত আদানি গোষ্ঠীর মাধ্যমে আটকে রাখা হয়েছে।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা এটাও বিশ্বাস করি যে জালিয়াতি মানে জালিয়াতি। বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি তা করলেও, তা জালিয়াতিই থাকে।’
আরও পড়ুন: দুই ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, ১ পাইলট নিহত
কয়লা খনির মাধ্যমে গৌতম আদানি এবং তার পরিবার ভারতের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। এছাড়াও তাদের রয়েছে অবকাঠামো, বন্দর, ডেটা ট্রান্সমিশন, মিডিয়া, নবায়নযোগ্য শক্তি, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন এবং কৃষিসহ বিভিন্ন শিল্পের ব্যবসা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আদানির নিজস্ব সম্পদের পরিমাণ প্রায় দুই হাজার শতাংশ বেড়েছে।
ব্লুমবার্গের বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স অনুসারে, গত বছরের শেষের দিকে প্রায় ১২৫ বিলিয়ন ডলার সম্পদ নিয়ে আদানি অ্যামাজনের প্রধান জেফ বেজোসকে ছাড়িয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তির খেতাব পেয়েছেন।
গত সপ্তাহের লোকসানের পর, ব্লুমবার্গের সূচকে তিনি ৯২.৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে বিশ্বের সপ্তম ধনীর স্থানে রয়েছেন।
হিন্ডেনবার্গ তার প্রতিবেদনে বলেছে দুই বছরের তদন্তের ভিত্তিতে তারা ‘আদানি গ্রুপ: কিভাবে বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি কর্পোরেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কলকাঠি নাড়ছে’-শিরোনামের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।
হিন্ডেনবার্গ তার প্রতিবেদনে ৮৮টি প্রশ্ন তালিকাভুক্ত করেছে এবং তারা এসব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য আদানিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
এরমধ্যে বেশিরভাগ অভিযোগই গ্রুপের ঋণের মাত্রা, এর শীর্ষ কর্মকর্তাদের কার্যকলাপ, অফশোর শেল কোম্পানির ব্যবহার এবং জালিয়াতির অতীত তদন্ত বিষয়ে।
বিনিয়োগকারীরা বুধবার আদানি-সংযুক্ত শেয়ারগুলো ডাম্প করা শুরু করে এবং আদানি গ্রুপ প্রায় ৪৮ বিলিয়ন ডলার বাজার মূল্য হারায়।
প্রতিক্রিয়ায় আদানি গ্রুপ বলেছে যে হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনের ৮৮টি প্রশ্নের একটিও ‘স্বাধীন বা সাংবাদিকতাগত তথ্য অনুসন্ধানের ওপর ভিত্তি করে করা হয়নি।’ এগুলোর অধিকাংশই ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর বা পক্ষপাতদুষ্ট।
সোমবার সিএনবিসি টিভি ১৮-এর সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে আদানির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা জুগেশিন্দর সিং বলেছেন, গ্রুপের মোট ঋণ ছিল ৩০ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ৯ বিলিয়ন ডলার ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলোর থেকে নেয়া।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ভারতের ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত
হিন্ডেনবার্গ বলেছিল যে আদানি তাদের উত্থাপিত ৮৮টি প্রশ্নের মধ্যে ৬২টির উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আদানির প্রতিক্রিয়ার মাত্র ৩০ পৃষ্ঠা প্রাসঙ্গিক; বাকি পৃষ্ঠাগুলোয় আদালতের রেকর্ড, সাধারণ তথ্য, কোম্পানির আর্থিক ও ‘অপ্রাসঙ্গিক কর্পোরেট উদ্যোগ’ সম্পর্কে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আদানি গ্রুপের আইনি বিভাগের প্রধান যতীন জলন্ধওয়ালা বলেছিলেন যে গ্রুপটি হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে।
হিন্ডেনবার্গ বলেছে যে তারা তাদের প্রতিবেদনে অটল এবং তারা আদানি গ্রুপের আইনি পদক্ষেপকে স্বাগত জানাবে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘মায়ের ডাক’ -এর সমন্বয়কের বাসা থেকে ফেরার পর নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
বুধবার তিনি জরুরি ভিত্তিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একথা বলেছেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস জরুরি ভিত্তিতে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেন, তিনি এক বাসায় গিয়েছিলেন সেখানে অনেক লোক ছিল, বাসার বাইরেও অনেক লোক ছিল। তারা ওনাকে কিছু একটা বলতে চাচ্ছে। এসময় তার সিকিউরিটির লোকেরা ওনাকে বলেছে আপনি তাড়াতাড়ি এখান থেকে চলে যান। কারণ ওরা আপনার গাড়ি ব্লক করে দেবে। সেই নিরাপত্তা অনিশ্চয়তায় তিনি তাড়াতাড়ি চলে আসেন। এতে তিনি খুবই অসন্তুষ্ট হয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই অবস্থা জেনে তাকে বলেছেন, আপনার নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব আমাদের।
পিটার হাস ও তার লোকদের ওপর কেউ আক্রমণ করেছে কি না পররাষ্ট্রমন্ত্রী তা জানতে চাইলে জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেছেন, না হামলা হয়নি। তবে গাড়িতে হয়তো দাগ লেগেছে। তাও সেটি নিশ্চিত নয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে আবারও আশ্বস্থ করে বলেন, আমরা আপনাকে ও আপনার লোকদের নিরাপত্তা দেবো। আপনি অধিকতর নিরাপত্তা চাইলে আমরা দিবো। তবে আপনি ওখানে গেছেন এই খবরটা কে প্রচার করলেন? আমি তো জানি না। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাননি। আমরা কিছুই জানি না। আপনি যাবেন আপনি এই তথ্য উল্লেখ করলো কে? ওইটার উত্তর তিনি দিতে পারেননি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে আরও বলেছেন যে আপনি ওখানে গেছেন এটা কেমন করে প্রচার হলো। আপনি এটা বের করেন। আপনার লোকেই তো প্রকাশ করতে পারে। তিনি একটু দুশ্চিন্তায় আছেন বলেও জানান মন্ত্রী।
মোমেন বলেন, আমাদের দেশের মিডিয়াকে আটকাতে পারবেন না, তারা খুব সোচ্চার। আপনারা যদিও বলেন বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতা নেই। আমাদের মিডিয়া খুব সোচ্চার। যখনি যা হয় তারা এইটার পিছনে লেগে থাকে।
নিরাপত্তা দেয়ার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে মন্ত্রী বলেন, আপনি যদি চান আমি তাদের ১০ ফুট বা ১৫ ফুট দূরে রাখতে পারি। কিন্তু আমি তাদের কোথাও বাধা দিতে পারবো না। আর ওখানে লোকজন গেছে সে লোকজনকেও বাধা দিতে পারবো না। আপনার নিরাপত্তার জন্য আমরা তাদের দূরে রাখবো। আপনি জানেন এটি বাকস্বাধীনতার দেশ। তারা তাদের বক্তব্য দিবে, কর্মসূচি করবে আমি তাদের গ্রেপ্তার করতে পারবো না। আর যদি আপনি বা আপনার লোকের ওপর কোনো আক্রমণ হয়ে থাকে, জনগণের জানমাল ধ্বংস করে থাকে আমি তাকে গ্রেপ্তার করতে পারবো। এছাড়া আমি তাদের কিছু করতে পারবো না। তবে আপনার নিরাপত্তা আমরা দিবো।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিডিয়াতে অনেক বানানো বানোয়াট তথ্য বিভিন্ন মিডিয়াতে আসে, ইউটিউবে আসে, আর বিদেশিরাও ওইসব দেখে ওখান থেকে রিপোর্ট করে ফেলে।
আরও পড়ুন: আত্মস্বীকৃত খুনিদের যেন কোন দেশ আশ্রয় না দেয় সে জন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব তোলা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এটি লজ্জার বিষয় যে জাতিসংঘের মতো একটা সংস্থা, যাদেরকে আমরা অত্যন্ত বিশ্বাস করি, তারাও আমাদের একটা খবর দিলো যে বাংলাদেশ থেকে ৭৬ জন লোক নিখোঁজ হয়ে গেছে। ওই ৭৬ জনের নামের তালিকা দেখে ১০জনকে পাওয়া যায়। তারা বেশ শান্তিতে আছে। আর ইন্ডিয়ানরা বললো তাদের দেশের দুই নাগরিক আমাদের লিস্টে ঢুকতে দেখেছে। ওরা খারাপ কাজ করেছিল তারা এখন দেশে আছে।
‘যারা অপকর্ম করে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জাতিসংঘের মতো একটি সম্ভ্রান্ত সংস্থা আমাদের প্রশ্ন করে, তখন আমার দুঃখ লাগে এই জন্য যে জাতিসংঘকে পয়সা আমরা দেই, তারা যাচাই বাছাই না করেই কেমন করে এরকম অভিযোগ করে। যারা এ ধরনের কাজটা করেছে ওদের চাকরি চলে যাওয়া উচিৎ। কারণ অনেকে অনেক কিছু বলবে। তাদের দায়দায়িত্ব তারা তথ্যটা যাচাই বাছাই করে আমাদের কাছে পেশ করবে। আমাদের যদি কোনো অসুবিধা থাকে, আমরা তা গ্রহণ করবো। সংশোধনমূলক কিছু বললে আমরা সেটা চেষ্টা করবো।
গুমের বিষয়ে তিনি বলেন, দুনিয়ার সব দেশে কিছু লোক গুম হয়, কিছু লোক হারিয়ে যায়, তার চেয়ে বাংলাদেশ ভালো, আমেরিকায় তো অনেক বেশি লোক গুম হয়।
মোমেন বলেন, আমেরিকার তথ্যানুযায়ী প্রতিবছর কোনো আইনি প্রক্রিয়া না মেনেই আমেরিকান পুলিশ এক হাজার লোককে মেরে ফেলে। কত লোক মলে যায়, স্কুলে যায়, তাদের মেরে ফেলে। আমরা চাই না আমাদের দেশে একটা লোকও মারা যাক। বিনা বিচারে লোক মারা যাক। দুর্ঘটনা হলে আমরা তার বিচার করি। এবং যদি আমাদের সিকিউরিটির কেউ মারে অবশ্যই তার দায়ভার নিতে বাধ্য হবে। কোনো উপায় নেই। আমাদের দেশের মানুষ খুব সাবধান। ইউটিউবে অকামা বক্তব্য দিলে কেউ বিশ্বাস করবে না। দিন শেষে ওরাই হবে ক্ষতিগ্রস্ত। আর মিথ্যাবাদী হিসেবে পরিচিত হবে।
আরও পড়ুন: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে ডিক্যাব সদস্যদের সংবর্ধনা
শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় বন্য হাতির আক্রমণে শনিবার রাতে এক কৃষক নিহত হয়েছেন।
নিহত রবিজল মিয়া (৬১) টিলাপাড়া গ্রামের সমর শেখের ছেলে।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল আলম ভূঁইয়া বলেন, রাত ৮টার দিকে উপজেলার তাওয়াকুচা এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
ওসি বলেন, রবিজল গ্রামবাসীদের সঙ্গে হাতির পাল তাড়াতে গেলে বন্য হাতি আক্রমণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে।
মনিরুল আলম ভূঁইয়া বলেন, লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে কি না তা নির্ভর করবে নিহতের পরিবারের ওপর।
আরও পড়ুন: শেরপুরে লোকালয়ে ফের বন্যহাতির তাণ্ডব
খরায় কেনিয়ায় কয়েকশ’ হাতি ও জেব্রার মৃত্যু
বান্দরবানে বুনো হাতির আক্রমণে নিহত ২, আহত ১