সাংবাদিক রোজিনা
খোলা চিঠিতে সাংবাদিক রোজিনার ‘হয়রানি’ বন্ধের আহ্বান জানাল সিপিজে ও মানবাধির গোষ্ঠীগুলো
কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে ‘হয়রানি বন্ধ’ করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
রবিবার পাঠানো একটি খোলা চিঠিতে এই আহ্বান জানায় সংগঠনগুলো।
চিঠিটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া সিসি তালিকায় রাখা হয়েছে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে আর্টিকেল ১৯
চিঠিটি সিপিজে-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছিল এবং এতে লেখা আছে: আমরা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীর পক্ষে নিম্নসাক্ষকারীরা। বাংলাদেশি সাংবাদিক ও মানবাধিকার রক্ষক রোজিনা ইসলামের হয়রানির অবিলম্বে অবসান নিশ্চিত করার জন্য আপনার ভূমিকা কামনা করছি।
রোজিনা ইসলামের কাজের জন্য তিনি ২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের দুর্নীতিবিরোধী চ্যাম্পিয়নস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন। এটি একটি জনসেবা, অপরাধ নয় এবং জনস্বার্থ তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা) আইনের ধারা ৪ এবং ৫ এর অধীনে সুরক্ষিত হওয়া উচিত।
বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে সাংবাদিকের মানবাধিকারের প্রতি সম্মান ও সুরক্ষার আহ্বান জানিয়ে খোলা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা সাংবাদিক ও মানবাধিকার রক্ষক রোজিনা ইসলামের সুষ্ঠু বিচারের অধিকারসহ তার মানবাধিকারকে পূর্ণ সম্মান ও সুরক্ষা দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে সব ধরনের বিচার বিভাগীয় হয়রানি বন্ধ করতে, বিচার বিভাগীয় হেফাজত থেকে তার পাসপোর্ট ফেরত দেয়ার সুবিধার্থে এবং তার কাজের জন্য তাকে আরও প্রতিশোধের শিকার হতে হবে না তা নিশ্চিত করা।
খোলা চিঠিতে সই করা সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, অ্যান্টি-ডেথ পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্ক, ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রজেক্ট, কোয়ালিশন ফর উইমেন ইন জার্নালিজম, কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট, সিভিকস: ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর সিটিজেন পার্টিসিপেশন, ডার্ট সেন্টার ফর জার্নালিজম অ্যান্ড ট্রমা ফ্রি মিডিয়া মুভমেন্ট, ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্ডারস, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস (এফআইডিএইচ), ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্ট, ইন্টারন্যাশনাল উইমেনস মিডিয়া ফাউন্ডেশন, ওভারসিজ প্রেস ক্লাব অব আমেরিকা, পাকিস্তান প্রেস ফাউন্ডেশন, পেন আমেরিকা, পেন বাংলাদেশ, পেন ইন্টারন্যাশনাল, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস, রবার্ট এফ. কেনেডি হিউম্যান রাইটস, সাউথ এশিয়ান জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অ্যাগেইনস্ট টর্চার (ওএমসিটি)।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে পিবিআইকে মামলা তদন্তের নির্দেশ
সাংবাদিক রোজিনার মামলায় ডিবির প্রতিবেদনে শুনানি ১৫ জানুয়ারি
১ বছর আগে
সাংবাদিক রোজিনার মামলায় ডিবির প্রতিবেদনে শুনানি ১৫ জানুয়ারি
দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের মামলায় অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য তদন্ত সংস্থার সুপারিশের শুনানির জন্য মঙ্গলবার ঢাকার একটি আদালত আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।
অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর রোজিনার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির তারিখ পিছিয়ে দেন।
মঙ্গলবার ডিবি পুলিশের প্রতিবেদনের শুনানির কথা ছিল।
১১ অক্টোবর রোজিনাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিবি।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে আর্টিকেল ১৯
স্বাস্থ্য সাংবাদিকতার জন্য পরিচিত রোজিনাকে গত বছরের ১৭ মে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের আগে পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় সচিবালয়ে আটকে রাখা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, তিনি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কেনার জন্য ফার্মা ফার্মগুলোর সঙ্গে সরকারি আলোচনার সম্পর্কিত নথির ছবি তুলেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
শাহবাগ থানায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অভিযোগের ভিত্তিতে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট এবং দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় রোজিনার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।
পরে পুলিশের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে গত বছরের ১৮ মে রোজিনাকে কারাগারে পাঠান ঢাকার আদালত। ওই দিনই রোজিনাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
২৩ মে ঢাকার একটি আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়ে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
আরও পড়ুন: কারাগার থেকে মুক্ত হলেন সাংবাদিক রোজিনা
জামিনে মুক্তি পেলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইমলাম
১ বছর আগে
কারাগার থেকে মুক্ত হলেন সাংবাদিক রোজিনা
অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনের মামলায় ঢাকার একটি আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হলেন প্রথম আলো পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলাম।
রবিবার বিকালে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্ত হন।
রোজিনা বিকাল সোয়া ৪টার দিকে কারাগার থেকে বের হয়েছেন বলে কারা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সাংবাদিক ও বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ রোজিনাকে ফুলের তোড়া দিয়ে কারাগারের গেটে গ্রহণ করেন।
এর আগে বোন ও ভগ্নিপতিসহ ১৩ আত্মীয় স্বজন রোজিনাকে গ্রহণের জন্য দুটি মাইক্রোবাসে কারাগারের গেটে পৌঁছে।
আরও পড়ুন: মন্ত্রী, সচিব বা রোজিনা ইসলাম কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন: তথ্যমন্ত্রী
জামিন সংক্রান্ত নথিগুলো অনলাইনে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হয় এবং সেগুলো পরীক্ষা করার পর তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
এর আগে রবিবার সকালে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চূড়ান্ত জামিন শুনানি শেষে রোজিনাকে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত জামিন প্রদানের আদেশ দেয় আদালত।
তবে তাকে ৫ হাজার টাকা মুচলেকা ও পাসপোর্ট জমা দেয়ার শর্তে জামিন প্রদান করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবর তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হলেও, তাকে তাৎক্ষণিকভাবে জামিন না দিয়ে রবিবার রায় প্রদানের দিন ধার্য করা হয়।
৪২ বছর বয়সী এই নারী সাংবাদিক অত্যন্ত সুপরিচিত তার অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য। সোমবার দুপুর থেকে প্রায় ৫ ঘণ্টা তাকে সচিবালয়ে আটকে রাখার পর গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে করোনা টিকা ক্রয় সংক্রান্ত নথিপত্রের অবৈধভাবে ছবি তোলার অভিযোগ করা হয়েছে।
গত সোমবার রাতেই রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৭৯, ৪১১ ধারা এবং অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট এর আওতায় মামলা দায়ের করে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
আরও পড়ুন: জামিনে মুক্তি পেলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইমলাম
সাংবাদিক রোজিনা অবশ্যই ন্যায়বিচার পাবেন: সিএনএনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মঙ্গলবার অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টের মামলায় অভিযুক্ত রোজিনা ইসলামকে কারাগারে পাঠায় আদালত। অপরদিকে পুলিশের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনও বাতিল করে দেয়া হয়। ওইদিন ই তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের নারী সেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে আটকে রাখা এবং ৫ ঘণ্টা পর তাকে পুলিশে সোপর্দ করার বিষয়টি তদন্ত করতে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।
তবে বুধবার রোজিনার বিরুদ্ধে করা মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশের ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সাংবাদিক রোজিনাকে হেনস্তার প্রতিবাদ, তার বিরুদ্ধে করা মামলা বাতিল এবং তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সারাদেশের সাংবাদিকরা মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করে আসছিল। এরমধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলন বয়কটের ঘটানও ঘটে।
এদিকে এই ঘটনায় জাতিসংঘ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, টিআইব, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করে।
৩ বছর আগে
সাংবাদিক রোজিনা অবশ্যই ন্যায়বিচার পাবেন: সিএনএনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন এবং সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম অবশ্যই ন্যায়বিচার পাবেন।
শুক্রবার বার্তা সংস্থা সিএনএনকে দেয়া এক লাইভ সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা অত্যন্ত স্বাধীন। তিনি (রোজিনা) অবশ্যই ন্যায়বিচার পাবেন। আমরা চাই না কেউ বিনা কারণে শাস্তি পাক।’
এ সময় ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশে আইন আছে এবং বর্তমানে এটা একটি আইনি বিষয়। তাই এ বিষয়ে আমরা এ বিষয়ে বেশি কথা বলতে চাই না।
এর আগে বৃহস্পতিবার তিনি জানান, প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা অত্যন্ত হতাশাজনক এবং সরকার কোনও কিছুই লুকাতে চায় না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অত্যন্ত গণমাধ্যম বান্ধব। আমাদের কিছুই লুকানোর নেই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমি জানি, এই ঘটানার কারণে আমাদের অনেকের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। আমরা আর এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার জামিন শুনানির আদেশ রবিবার
গণমাধ্যমের কারণে বালিশ কান্ড, শাহেদ করিমসহ বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয় উঠে আসার ঘটনাকে সাধুবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতির খবর প্রকাশ হবার পরপরই সরকার সেসকল বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। আপনারা (গণমাধ্যম) সরকারের কাজে সাহায্য করেছেন। আপনারা সরকারের অংশ। আমরা আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।’
গত সোমবার সচিবালয় থেকে সরকারি গোপন নথি চুরি এবং অবৈধভাবে নথির ছবি তোলার অভিযোগে প্রথম আলো পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনের আওতায় ৩ ও ৫ ধারায় এবং প্যানাল কোডের ৩৭৯ এবং ৪১১ ধারায় মামলা করে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
মঙ্গলবার অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টের মামলায় অভিযুক্ত রোজিনা ইসলামকে কারাগারে পাঠায় আদালত।
অভিযোগ আছে সচিবালয়ে সাংবাদিক রোজিনাকে ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনা যাতে ন্যায় বিচার পান তার চেষ্টা থাকবে: তথ্যমন্ত্রী
এদিকে, বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগকে ‘নিপীড়নমূলক’ উল্লেখ করে মামলা বাতিলে আহ্বান জানিয়েছে।
৩ বছর আগে
সাংবাদিক রোজিনার মুক্তির দাবিতে বিএসআরএফ’র মানববন্ধন
দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও দোষী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ)।
বুধবার সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে এই মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে বিএসআরএফ’র সভাপতি তপন বিশ্বাস বলেন, ‘প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, তাকে ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে-এর বিরুদ্ধে আমরা আজকে মানববন্ধনে দাড়িয়েছি। আমরা তার মুক্তি চাই, তার সঙ্গে যারা অন্যায় কাজগুলো করেছেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার মুক্তির দাবিতে সাংবাদিকদের মানবন্ধন
তিনি বলেন, ‘রোজিনা ইসলামকে ডেকে নিয়ে কাগজ ধরিয়ে নাটকের মতো করে অভিযোগ দাড় করানো হয়েছে। আমার দুটি প্রশ্ন-একটি অভিযোগ দিতে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছে। ৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করার কারণটা কী? কী এমন অপরাধ করেছে সে?’
বিএসআরএফ’র সভাপতি বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, রাষ্ট্রীয় গোপন নথি সে চুরি করেছে। কি এমন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূ্র্ণ এমন ফাইল সেটা? বলা হচ্ছে, রাশিয়ার সঙ্গে ভ্যাকসিনের জন্য একটা চুক্তি হয়েছে, সেই চুক্তি হয়েছে ২২ এপ্রিল। কিন্তু ঘটনাটা ঘটেছে ১৭ মে। এত গুরুত্বপূর্ণ ফাইল সচিবের পিএসের টেবিলে পড়ে আছে? এটা আমরা কোনভাবেই বিশ্বাস করতে পারি না। এটা রোজিনাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র। রোজিনা ইসলাম নির্দোষ বলে মনে করি।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার মুক্তি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে টিআইবি
তিনি বলেন, ‘আমরা তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছি, চালিয়ে যাব। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেব। তাকে আমরা মুক্ত করবোই।’
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত
মানববন্ধনে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, অর্থ সম্পাদক মাসউদুল হক, সহ-সভাপতি সাজেদা পারভীন সাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মাসউদুল হক, দপ্তর সম্পাদক মাসুদ রানা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুর রহমান (পঞ্চায়েত হাবিব) সহ অন্যান্য নেতারা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
সাংবাদিক রোজিনার অবিলম্বে মুক্তি এবং হেনস্তার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি ডিইউজের
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ও অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু।
মঙ্গলবার ডিইউজের এক বিবৃতিতে নেতারা এই দাবি জানান।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা গ্রেপ্তার
ডিইউজের বিবৃতিতে নেতারা বলেন, সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘন্টা আটকে রেখে যেভাবে মানসিক ও শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে অফিসিয়াল সিক্রেক্টস অ্যাক্টে মামলা দায়েরের ঘটনাটি নজীরবিহীন। রোজিনা ইসলামের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালেয়র কর্মকর্তারা যে আশোভন আচরণ করেছে তার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্ত প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত
স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায় হিসেবে জড়িত গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নেতারা মনে করেন, অফিসিয়াল সিক্রেক্টস অ্যাক্ট হচ্ছে অনুসন্ধানী ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার সামনে ভয়াবহ কালা কানুন। এই আইনের অপপ্রয়োগে অনেক সময় সরকার ও জনসাধারণের তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বড় ধরণের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টেও বেশ কিছু ধারা রয়েছে, যা পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাঁধার সৃষ্টি ও সাংবাদিকদের মনস্ততাত্বিক চাপের সৃষ্টি করেন বলে তারা মনে করেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার তাৎক্ষণিক মুক্তি দাবি করেছেন ফখরুল
ডিইউজের নেতারা স্পষ্টভাবে বলেন, গণতন্ত্র ও জনগণের তথ্য প্রাপ্তির স্বার্থে স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক সকল কালাকানুন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের কঠোরতা প্রয়োজনীয় হলেও সংবাদমাধ্যমের ক্ষেত্রে এর কয়েকটি ধারা অন্তরায় বলে মনে করে ডিইউজে।
৩ বছর আগে
সাংবাদিক রোজিনার তাৎক্ষণিক মুক্তি দাবি করেছেন ফখরুল
প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলামকে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করাকে, সত্য ও দুর্নীতি প্রকাশে সরকারের বাঁধার এক উদাহরণ বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে এই ঘটনায় নিন্দা জানান এবং ভুক্তভোগী রোজিনার তাৎক্ষণিক মুক্তি দাবি করেন তিনি।
বিবৃতিতে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নানের পদত্যাগের দাবিও করেন। তিনি মনে করেন, রোজিনাকে তাদের নির্দেশে দমন করার চেষ্ট চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা গ্রেপ্তার
ফখরুল বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণের দায় এড়াতে পারে না সরকার। যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য সচিব ঘটনাটি সম্পর্কে জানতেন, তারা রোজিনা ইসলামকে উদ্ধারে কোনও পদক্ষেপ নেননি। বরং তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটি তুচ্ছ বা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি কেবল কর্তৃত্ববাদী সরকারের দ্বারা সাংবাদিকদের দমন করার একটি উদাহরণ। এছাড়া ভিন্নমত পোষণ করা, সত্য উন্মোচন করা এবং দুর্নীতিবাজ ও দুর্নীতির বিষয়ে সরকারের বাঁধা দেওয়ার একটি উদাহরণ এই ঘটনা।’
তিনি আরও বলেন, সাহসী ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের এই ঘটনা দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে, যাতে তারা আর সরকারের ‘দুর্নীতি, চুরি, অনিয়ম’ নিয়ে রিপোর্ট করতে না পারে। সাংবাদিকদের মাঝে সরকার ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে নিজেদের দুর্নীতিকে ঢাকতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
৩ বছর আগে