প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলামকে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করাকে, সত্য ও দুর্নীতি প্রকাশে সরকারের বাঁধার এক উদাহরণ বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে এই ঘটনায় নিন্দা জানান এবং ভুক্তভোগী রোজিনার তাৎক্ষণিক মুক্তি দাবি করেন তিনি।
বিবৃতিতে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নানের পদত্যাগের দাবিও করেন। তিনি মনে করেন, রোজিনাকে তাদের নির্দেশে দমন করার চেষ্ট চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা গ্রেপ্তার
ফখরুল বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণের দায় এড়াতে পারে না সরকার। যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য সচিব ঘটনাটি সম্পর্কে জানতেন, তারা রোজিনা ইসলামকে উদ্ধারে কোনও পদক্ষেপ নেননি। বরং তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটি তুচ্ছ বা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি কেবল কর্তৃত্ববাদী সরকারের দ্বারা সাংবাদিকদের দমন করার একটি উদাহরণ। এছাড়া ভিন্নমত পোষণ করা, সত্য উন্মোচন করা এবং দুর্নীতিবাজ ও দুর্নীতির বিষয়ে সরকারের বাঁধা দেওয়ার একটি উদাহরণ এই ঘটনা।’
তিনি আরও বলেন, সাহসী ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের এই ঘটনা দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে, যাতে তারা আর সরকারের ‘দুর্নীতি, চুরি, অনিয়ম’ নিয়ে রিপোর্ট করতে না পারে। সাংবাদিকদের মাঝে সরকার ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে নিজেদের দুর্নীতিকে ঢাকতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।