শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নে মুগ্ধ সিঙ্গাপুর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় মুগ্ধ সিঙ্গাপুর।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি ভবন ইস্তানায় সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি হালিমাহ্ ইয়াকুবের সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সৌজন্য সাক্ষাতকালে সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
সাক্ষাতকালে সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি মিয়ানমারের বাস্তুচ্যূত দশ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে দেশটির সরকারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন এবং সিঙ্গাপুর সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
এছাড়া সেক্টোরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবটি আসিয়ান-এর শীর্ষ পর্যায়ের সভায় উপস্থাপনসহ ইতিবাচকভাবে বিবেচনার জন্যে তিনি সিঙ্গাপুর সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান। উভয় ক্ষেত্রেই সিঙ্গাপুর সরকারের সম্ভাব্য সকল সহযোগিতার বিষয়ে রাষ্ট্রপতি হালিমাহ্ ইয়াকুব বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।
পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় ঢাকা-দিল্লি সহযোগিতার প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীতে বন্ধুপ্রতীম দু'দেশের সহযোগিতা ও যোগাযোগ আরও গভীর হবে বলে সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।
দু'দেশের মধ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ে একটি দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্তকরণ ও স্বাক্ষর, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের শ্রমবাজার সম্প্রসারণ, প্রবাসী শ্রমজীবীদের স্বার্থসংরক্ষণ, কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, চিকিৎসা, জ্বালানি ও আইসিটিসহ বিভিন্ন খাতে প্রশিক্ষণের সুযোগ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে ড. মোমেন বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
সাক্ষাতকালে ড. মোমেন সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান এবং সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানান।
উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুর সরকারের আমন্ত্রণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন তিন দিনের সরকারি সফরে বর্তমানে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন।
পড়ুন: মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না: সালমান এফ রহমান
শেখ হাসিনা নকশিপল্লী প্রকল্পের কাজ ত্বরান্বিত করার সুপারিশ
‘শেখ হাসিনা নকশিপল্লী, জামালপুর (প্রথম পর্যায়)’ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
রবিবার সংসদ ভবনে কমিটির সভাপতি সাংসদ মির্জা আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির দ্বাদশ সভায় এ সুপারিশ করা হয়।
সংসদীয় ওয়াচডগ ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মূল সময়সীমা শেষ হওয়ায় একটি যৌক্তিক সময়সীমা পুনর্নির্ধারণ করে শিগগির প্রকল্পের বাস্তবায়ন শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য মন্ত্রণালয়কে বলেছে।
আরও পড়ুন: থমকে আছে দর্শনা-দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দর প্রকল্প
এর আগে ২০১৯ সালের মার্চে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) নকশি উদ্যোক্তা, তাঁত ও হস্তশিল্প শ্রমিকদের সুবিধা বৃদ্ধি, নকশি ও তাঁত শ্রমিকদের দারিদ্র্য বিমোচন এবং তাদের জীবিকার অবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে ৭২২ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয়ে প্রকল্পটি অনুমোদন করে।
জামালপুরে ৩০০ একর জমিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড।
এছাড়া সংসদীয় কমিটি ‘শেখ হাসিনা সোনালি আঁশ ভবন’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: মেগা প্রকল্পে বদলে যাবে দেশের অর্থনীতি: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) জনবল সংক্রান্ত সমস্যা, কৃষিপণ্য হিসেবে পাটজাত পণ্য তালিকাভুক্তির অগ্রগতি, বেসরকারি পাটকলের ব্যাংক ঋণ মওকুফসহ পাট খাতের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ এবং বাধ্যতামূলক পাট প্যাকেজিং আইন-২০১০ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে গৃহীত ব্যবস্থা নিয়ে সভায় আলোচনা হয়।
সভায় কমিটির সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, রণজিৎ কুমার রায়, নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও শাহিন আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে: নিখিল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে নব দিগন্তে, দুর্বার গতিতে, এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।’
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে শ্রবন প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে ইফতার মাহফিল ও ঈদবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আগামী জাতীয় নির্বাচনে শ্রবন প্রতিবন্ধীদের নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থা ঢাকা মহানগর উত্তরের সহসভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস খান রিপনসহ প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: বিরোধীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে: বিএনপি
পুলিশ হেফাজতে রবিউলের মৃত্যুর তদন্ত করতে হবে: জিএম কাদের
শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকায় প্রধানমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া সামরিক শাসকদের দ্বারা গঠিত দুটি প্রধান বিরোধী দলের জনগণের মধ্যে ভিত্তি নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা শক্তিশালী বিরোধী দল পাচ্ছি না। দেশের মানুষের মধ্যে তাদের অবস্থান নেই।’
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জনগণের কল্যাণে কাজ করুন: পুলিশ বাহিনীকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিরোধী দল বিএনপি ও জাতীয় পার্টি সম্পর্কে তিনি বলেন, দুটিই সামরিক স্বৈরশাসকদের তৈরি যারা সংবিধানকে অবজ্ঞা করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে।
তিনি বলেন, ‘দেশ ও জনগণের প্রতি তাদের কোনো আগ্রহ নেই।’
আরও পড়ুন: সব দেশে টিকা দেয়ার লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করুন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রধানমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা জোরদারের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
দেশের প্রতিটি খাতে ডিজিটাল নিরাপত্তায় আরও নজর দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে, প্রযুক্তি যেমন আমাদের জন্য সুযোগ তৈরি করে তেমনি এটি অনেক ক্ষেত্রে সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। এই দিক থেকে, আমাদের নিরাপত্তার বিষয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকটের সম্ভাবনা নাকচ প্রধানমন্ত্রীর
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ এর তৃতীয় সভায় দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
ব্যাংকে জমা হওয়া টাকা থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে (ডিজিটাল) নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে ভাবতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকটের সম্ভাবনা নাকচ প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার মতো সংকটের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অর্থনীতি খুবই শক্তিশালী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি খুবই শক্তিশালী। আমরা এটি সম্পর্কে অত্যন্ত সতর্ক আছি।’
বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের মন্তব্যের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখনও বিশ্বের ৩১তম বৃহত্তম অর্থনীতি।
আরও পড়ুন: ‘জয় বাংলা’ কে জাতীয় স্লোগান করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাল সংসদ
বাংলাদেশের কোনো ঋণের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন,আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর দেশ সময় মতো ঋণ পরিশোধ করে আসছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেটি ঋণ পরিশোধে কখনোই খেলাপি হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবে না।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমগ্র ইউরোপে মুদ্রাস্ফীতির হার সাড়ে সাত শতাংশের ওপরে চলে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতি এখনও ছয় শতাংশের কম।’
আরও পড়ুন: সরকার ২৯ কোটির বেশি কোভিড ভ্যাকসিন ডোজ সংগ্রহ করেছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, দেশে মাথাপিছু আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে।
বুধবার স্থানীয় বাজারে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
‘জয় বাংলা’ কে জাতীয় স্লোগান করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাল সংসদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের চেতনায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘আজ জয় বাংলা স্লোগান আমাদের জাতীয় স্লোগান হিসেবে স্বীকৃতি ও মর্যাদা পেয়েছে... এই চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’
‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করায় সোমবার প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভাকে অভিনন্দন জানিয়ে জাতীয় সংসদে আনা প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: বাঙালি জাতির মাথা উঁচু করে চলার স্লোগান ‘জয় বাংলা’: প্রধানমন্ত্রী
সাধারণ আলোচনার পর সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে কণ্ঠভোটে অভিনন্দন প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।
জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে প্রতিষ্ঠায় জনগণের সমর্থনের জন্য তাদেরও ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমাকে ধন্যবাদ দেয়ার প্রয়োজন নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছু চাই না। আমি একটাই চাই যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরে আসুক।’
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর লাখো শহীদ যারা মুক্তিযুদ্ধে রক্ত দিয়েছেন তাদের ইতিহাস মুছে যায়।
আরও পড়ুন: ‘জয় বাংলা’ হলো জাতীয় স্লোগান
তখন বাংলাদেশের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়েছিল যে মুক্তিযোদ্ধাদের দমন এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আমাদের ‘জয় বাংলা’ স্লোগান ধ্বংস হয়েছিল। জাতির পিতার নাম নেয়া নিষিদ্ধ ছিল। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু আজ তা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে।”
এর আগে ট্রেজারি বেঞ্চের সংসদ সদস্য শাজাহান খান (মাদারীপুর-২) কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ ধারায় সংসদে এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
গত ২ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান করে সরকার।
চলতি বছরের শেষে যান চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকারের স্বপ্নের প্রকল্প পদ্মা সেতু চলতি বছরের শেষ নাগাদ যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য (নওগাঁ-২) শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প। বাংলাদেশের কেন্দ্রের সঙ্গে দক্ষিণের জেলাগুলোর মধ্যে সংযোগকারী ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণ তার সরকারের একটি সাহসী পদক্ষেপ যা অনেক বাধা অতিক্রম করেছে।
তিনি বলেন, প্রকল্পের দুই প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোড ও সার্ভিস এরিয়া নির্মাণের শতভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, মূল সেতুর ভৌত কাজ ৯৬ দশমিক ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: পানি সংরক্ষণে সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে কার্পেটিং, ভায়াডাক্ট কার্পেটিং, ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন, মূল সেতু ও ভায়াডাক্টের মুভমেন্ট জয়েন্ট, ল্যাম্পপোস্ট, অ্যালুমিনিয়াম রেলিং, গ্যাস পাইপলাইন, ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ ও রেললাইনের কাজ চলছে।
তিনি সংসদকে বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের সংশোধিত বাজেট দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
এর আগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের জুনে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
এদিন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আরও বলেন, দেশের উন্নয়নে সরকারের নেয়া ১৭টি উল্লেখযোগ্য মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে।
মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল), ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, এলএনজি টার্মিনাল ও গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প, পায়রা সমুদ্র বন্দর, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প এবং আশ্রয়ণ প্রকল্প।
আরও পড়ুন: বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা বোঝা নয়: প্রধানমন্ত্রী
জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বেড়ে উঠুক অটিজম শিশুরা: প্রধানমন্ত্রী
সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত করার সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে অটিজমে আক্রান্ত শিশুসহ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সব শিশুকে সমাজের মূল ধারায় নিয়ে আসার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং আমাদের (সরকারের) বহুমুখী প্রচেষ্টায় আমরা অটিজম সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জাতীয় জীবনের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হব।’
শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ১৫তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস- ২০২২ এর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো-‘এমন বিশ্ব গড়ি অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তির প্রতিভা বিকশিত করি’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অটিজম সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুদের বিভিন্ন ধরনের সুপ্ত প্রতিভা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস শনিবার
তিনি বলেন, তাদের সুযোগ দেয়ার মাধ্যমে সেই প্রতিভাগুলো বিকশিত করতে হবে।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সহযোগিতা করতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান যাতে তারা তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত করতে পারে এবং সমাজে অবদান রাখতে পারে।
বাবা-মা ও অভিভাবকদের মৃত্যুর পর অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য প্রশিক্ষণ সুবিধাসহ বাসস্থানের ব্যবস্থা করার দাবি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার তা করবে।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা বিভাগীয় সদরদপ্তরে প্রশিক্ষণ সুবিধাসহ আবাসনের ব্যবস্থা করবো এবং ধীরে ধীরে নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের মাধ্যমে তা সব জেলায় করা হবে।’
তিনি এ লক্ষ্যে সমাজকল্যাণমন্ত্রীকে একটি প্রকল্প নিতে বলেছেন।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু ও সচিব মাহফুজা আক্তার এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: অটিজমবান্ধব সমাজ বিনির্মাণে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অটিজম সিনড্রোমে আক্রান্ত বিশেষ শিশুদের পক্ষে বিশেষ শিশু ইসাবা হাফিজ সুষমি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুদের পরিবেশিত বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ সফল অটিজম আক্রান্ত শিশুদের এবং এ ধরনের শিশুদের উন্নয়নে কাজ করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে অটিজমের ওপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
শেখ হাসিনা ‘বলতে চাই’ ও ‘স্মার্ট অটিজম বার্তা’ নামে দুটি অ্যাপসেরও উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে বলেছেন, উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জন করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি। এই মর্যাদা ধরে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে যাতে আমরা একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি যা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল।’
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের উত্তরণ উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
মূল অনুষ্ঠানটি হয়েছে কক্সবাজারের লাবনী পয়েন্টে। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা বোঝা নয়: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন একটি মর্যাদাপূর্ণ জাতি হিসেবে বিশ্বে গর্বিতভাবে অবস্থান করছে। অগ্রগতির এই যাত্রা যেন থেমে না যায়; এটাই আমার ইচ্ছা।’
দেশকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার যে উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে তা নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত রাখতে তিনি সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে... এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে যাতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম সুন্দর জীবনযাপন করতে পারে।’
তিনি বলেন, সরকার বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে রূপকল্প-২০৪১ প্রণয়ন করেছে এবং সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী
‘তাই বাংলাদেশকে আর কেউ পিছিয়ে নিতে পারবে না। আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলব।’
আবেগ জড়িত কণ্ঠে শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তার বাবা ও পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যার কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার বাবার মতো আপনাদের জন্য আমার জীবন দিতে দ্বিধা করব না। যত বাধাই আসুক না কেন, আমরা অবশ্যই এই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করবো।’
তিনি বলেন, সবাই সুন্দর ও উন্নত জীবন পাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের আস্থা ও ভরসাই তাদের কল্যাণে সরকারের কাজ করার চালিকাশক্তি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বৃহত্তর সৌদি বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া এ অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে দেশের উন্নয়নের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।