৫০ হাজার
ময়মনসিংহে পানিবন্দি ৫০ হাজার পরিবার
ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলায় ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ১৫ ইউনিয়নের ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫০ হাজার পরিবার। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার রাস্তা ঘাট, শত শত একর কৃষি জমি ও মাছের খামার।
হালুয়াঘাটের পানি নামতে শুরু করলেও ১২টি ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকার ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে রয়েছে। তারা ঠাঁই নিয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ৫০ হাজারের বেশি
সরকারিভাবে যে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। পর্যাপ্ত ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা না থাকায় চরম দুর্ভোগে পানিবন্দিরা।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলায় সাড়ে ১১ হাজার হেক্টর আমন ধানের খেত এবং ৮ হাজার হেক্টর ফসলের খেত নষ্ট হয়েছে। এছাড়া আরও নষ্ট হয়েছে ৭০ হেক্টর সবজির খেত।
স্থানীয় বাসিন্দা মোবারক আলী বলেন, ঘরে পানি ওঠায় বেশিরভাগ পরিবারে রান্নাবান্না বন্ধ রয়েছে। শুকনা খাবার খেয়ে দিন পার করছি। সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছি গরু ছাগলকে নিয়ে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপরে, পানিবন্দি ২৫০০০ পরিবার
ধোবাউড়ার বাসিন্দা মজিবুর রহমান বলেন, হঠাৎ করে পানি চলে আসায় কোনো প্রস্তুতি নিতে পারিনি। অনেকের ঘর ভেঙে গেছে। তারা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। খাবার ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, এ পর্যন্ত দুই উপজেলায় ৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রশাসনের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। চাহিদা মোতাবেক ত্রাণ সামগ্রীও রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ৩৪ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি, তলিয়ে গেছে ফসলের খেত
২ মাস আগে
শেরপুরে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ৫০ হাজারের বেশি
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার ১৫ ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং পানিবন্দি রয়েছেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। এদিকে ঝিনাইগাতী মডেল পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া পানিবন্দিদের উদ্ধারে দমকল বিভাগ ও স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করছেন।
উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে শেরপুরে ঝিনাইগাতীর মহরশি, নালিতাবাড়ীর ভোগাই ও চেল্লাখালি এবং শ্রীবরদীর সোমেশ্বরি নদীর পানি বাড়তে থাকে। রাতে বিভিন্ন স্থানে নদীগুলোর বাঁধ ভেঙে ও বাঁধ উপচে প্রবল বেগে ঢলের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে থাকে।
আরও পড়ুন: বসনিয়ায় ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় ১৪ জনের মৃত্যু
ভোগাই নদীর তীরবর্তী নয়াবিল শিমুলতলা, ঘাকপাড়া, মন্ডালিয়াপাড়া, ভজপাড়া ও পৌরসভার গড়কান্দা এবং নিচপাড়াসংলগ্ন বাঁধে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। নালিতাবাড়ী পৌর শহর থেকে নয়াবিল, নালিতাবাড়ী বাজার থেকে ঘাকপাড়া যাতায়াতের সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে চেল্লাখালী নদীতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে বারমারি, বাতকুচি, সন্ন্যাসীভিটা এলাকায় বাঁধ ভেঙেছে। পানিতে তলিয়ে গেছে শেরপুর-নালিতাবাড়ী ভায়া গাজিরখামার সড়ক। বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে বাতকুচি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসময় গ্রামটির অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ওই গ্রামের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দিতে কাজ করছে দমকল কর্মীরা।
নন্নী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো. আবদুল্লাহ বলেন, টানা বর্ষণ ও চেল্লাখালী নদীতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে নন্নী ও পোড়াগাঁও ইউনিয়নের সড়ক ডুবে আছে। এছাড়া নদীপাড়ের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মাটি সংকটের কারণে ঘর নির্মাণ হচ্ছে না বন্যার্ত শতাধিক পরিবারের
২ মাস আগে
টেকনাফে ভারী বৃষ্টিতে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
কক্সবাজারের টেকনাফে ভারী বৃষ্টিতে চারটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে করে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে ভুক্তভোগীরা দাবি করছে খাল দখলের কারণে বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় তাদের বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির পূর্বাভাস
মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি বুধবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকায় চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, ভারী বৃষ্টিতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজর পাড়া, উলুবুনিয়া, উংচিপ্রাং, সাতঘড়িয়া পাড়া, হারাংখালী হ্নীলা ইউনিয়নের ছৈয়দ নুর পাড়া, সুলিশ পাড়া, পূর্ব সিকদার পাড়া, মৌলভী বাজার, ওয়াব্রাং, চৌধুরী পাড়া, রঙ্গিখালী লামার পাড়া, বাহারছড়া শামলাপুর ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী, নতুন বাজার, পশ্চিম পাড়া, টেকনাফ পৌরসভার এলাকার বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকেছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের উনছিপ্রাং, রইক্ষং, কানজর পাড়া, উলুবুনিয়া, সাতঘড়িয়া পাড়া ও হারাংখালী এলাকা ভারী বৃষ্টির ফলে পানিতে তলিয়ে গেছে। এ সময় অনেক বাড়ি-ঘর ভেঙে গেছে। আমি এসব এলাকা পরিদর্শন করেছি।’
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, ভারী বৃষ্টিতে আমার ইউনিয়নের ছৈয়দ নুর পাড়া, সুলিশ পাড়া, পূর্ব সিকদার পাড়া, মৌলভীবাজার, ওয়াব্রাং, চৌধুরী পাড়া, রঙ্গিখালী লামার পাড়া প্লাবিত হয়েছে। এতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। খাল দখলের কারণে বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় তাদের বাড়ি-ঘরে পানি আটকে গেছে। এছাড়া পানি নিষ্কাশনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৭ লাখ
৬ মাস আগে
ফিলিস্তিনকে ৪০ লাখ টাকার ওষুধ ও ৫০ হাজার ডলার দিল বাংলাদেশ
ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য বেকন ফার্মাসিটিকলস লিমিটেডের প্রায় ৪০ লাখ টাকার ওষধসামগ্রী গ্রহণ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
বুধবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বেকন ফার্মসিটিকলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম এ ঔষধসামগ্রী হস্তান্তর করেন। জর্ডানের মাধ্যমে এ মানবিক সহায়তা ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য পাঠানো হবে।
এ সময় ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের জনগণকে মানবিক সহায়তা হিসেবে ৫০ হাজার ডলার প্রদান করবেন। বাংলাদেশ এ সহায়তা অব্যাহত রাখবে। এছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থা সরাসরি ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য সহায়তা প্রদান করছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল ভ্রমণের চেষ্টা করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত দৃঢ় সমর্থন ছিলো। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ফিলিস্তিনের জন্য সহায়তা করে আসছে। ১৯৬৭ সালের পূর্বের সীমানা অনুসারে দ্বিরাষ্ট্রের ভিত্তিতে ফিলিস্তিন সমস্যার স্থায়ী সমাধান চায় বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি, একদিন স্বাধীন, সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ফিলিস্তিনের সমস্যা বারবার তুলে ধরেছে।'
এ সময় পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তেনে রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে