টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার ১৫ ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং পানিবন্দি রয়েছেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। এদিকে ঝিনাইগাতী মডেল পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া পানিবন্দিদের উদ্ধারে দমকল বিভাগ ও স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করছেন।
উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে শেরপুরে ঝিনাইগাতীর মহরশি, নালিতাবাড়ীর ভোগাই ও চেল্লাখালি এবং শ্রীবরদীর সোমেশ্বরি নদীর পানি বাড়তে থাকে। রাতে বিভিন্ন স্থানে নদীগুলোর বাঁধ ভেঙে ও বাঁধ উপচে প্রবল বেগে ঢলের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে থাকে।
আরও পড়ুন: বসনিয়ায় ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় ১৪ জনের মৃত্যু
ভোগাই নদীর তীরবর্তী নয়াবিল শিমুলতলা, ঘাকপাড়া, মন্ডালিয়াপাড়া, ভজপাড়া ও পৌরসভার গড়কান্দা এবং নিচপাড়াসংলগ্ন বাঁধে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। নালিতাবাড়ী পৌর শহর থেকে নয়াবিল, নালিতাবাড়ী বাজার থেকে ঘাকপাড়া যাতায়াতের সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে চেল্লাখালী নদীতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে বারমারি, বাতকুচি, সন্ন্যাসীভিটা এলাকায় বাঁধ ভেঙেছে। পানিতে তলিয়ে গেছে শেরপুর-নালিতাবাড়ী ভায়া গাজিরখামার সড়ক। বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে বাতকুচি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসময় গ্রামটির অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ওই গ্রামের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দিতে কাজ করছে দমকল কর্মীরা।
নন্নী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো. আবদুল্লাহ বলেন, টানা বর্ষণ ও চেল্লাখালী নদীতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে নন্নী ও পোড়াগাঁও ইউনিয়নের সড়ক ডুবে আছে। এছাড়া নদীপাড়ের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মাটি সংকটের কারণে ঘর নির্মাণ হচ্ছে না বন্যার্ত শতাধিক পরিবারের