কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় চাচাকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে ভাতিজার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ায় পারিবারিক বিরোধের জেরে চাচাকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে ভাতিজাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. তাজুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসাদুল হক কবিরাজকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে ভাতিজা জাহিদুল হক কবিরাজকে (২০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পর আসামি জাহিদুলকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছেলের বউকে ধর্ষণ: শ্বশুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
অন্যদিকে একই মামলায় অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত জাহিদুল হক কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের মুরাদ করিবাজের ছেলে।
কুষ্টিয়া জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে এবং এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাড়ির সীমানা এবং বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের আসাদুল কবিরাজের সঙ্গে তার ভাই মুরাদ করিবাজের বিরোধ চলে আসছিল।
২০১৯ সালের ৭ জুলাই দুপুরে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন নিয়ে আসাদুলের স্ত্রী নাজমার সঙ্গে মুরাদ কবিরাজের স্ত্রী রহিমা খাতুনের ঝগড়া শুরু হয়। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে রহিমার স্বামী মুরাদ এবং ছেলে জাহিদুল ইট এবং বাশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আসাদুলকে জখম করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার দুই দিন পর আসাদুলের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় আসাদুলের স্ত্রী নাজমা খাতুন বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই মুরাদ কবিরাজ তার ছেলে জাহিদুল কবিরাজসহ পাঁচজনকে আসামি করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন কুষ্টিয়ার সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক সুজিত কুমার কর।
এই মামলার ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: অস্ত্র মামলায় জিকে শামীমসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
হত্যা মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ায় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী-শ্বশুর আটক
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার এবং এ ঘটনার অভিযোগে নিহতের স্বামী ও শ্বশুরকে আটক করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের নগরকয়া গ্রাম থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
নিহত ইতি খাতুন (৩০) একই গ্রামের ভ্যানচালক আশরাফ হোসেনের স্ত্রী ও বড় ভালুকা গ্রামের ভ্যানচালক সামছুল মন্ডলের মেয়ে।
আটকরা হলেন-নিহতের স্বামী আশরাফ হোসেন ও শ্বশুর শুকুর আলী।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বামীর হাতে নারী খুনের অভিযোগ
নিহতের স্বজনরা জানায়, আশরাফ হেসেন ও ইতি খাতুনের ৩ বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। তবে পারিবারিক কলহের জেরে আশরাফ প্রায়ই ইতিকে মারধর করতেন। মারধরের শিকার হয়ে ইতি খাতুন প্রায় বাবার বাড়ি চলে যেতেন। কিন্তু গত ১৫ দিন ধরে ইতির সঙ্গে তার বাবার কোনো যোগাযোগ হয়নি।
তারা জানায়, গত শনিবার রাতে হঠাৎ ইতির মৃত্যুর খবর শুনে শ্বশুর বাড়িতে ছুটে যান তার বাবা ও অন্যান্য স্বজনরা। গিয়ে দেখেন ইতির বাম হাতভাঙা, মাথায় আঘাতে ফুলা, গলায় দাগসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহৃ।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসিন হোসাইন বলেন, 'রাতে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে রবিবার সকালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের একটি হাত ও মাথায় আঘাতের চিহৃ রয়েছে। গলায় শ্বাসরোধের দাগ রয়েছে। তাকে দিনের কোনো একভাগে শ্বাসরোধ ও পিটিয়ে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।
আরও পড়ুন: জমি সংক্রান্ত বিরোধে কুষ্টিয়ায় নারীকে পিটিয়ে হত্যা
ওসি জানান, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ায় ডাকাত দলের ৭ সদস্য গ্রেপ্তারের অভিযোগ
কুষ্টিয়ায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সাত সদস্যকে আটক করার দাবি করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার সময় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আটক ব্যক্তিরা হচ্ছেন- মাগুরার আজমপুর গ্রামের লোকমান মুন্সীর ছেলে মো. কাজল হোসেন (২৭), ফরিদপুরের সালথার ভর কামদিয়া গ্রামের মৃত সাদেক খানের তিন ছেলে মো. মাসুদ খান (৩৪), মো. মাসুম খান (৩২) ও মো. বাচ্চু খান (৩০), ফরিদপুরের নগরকান্দার ছাগলদিঘী গ্রামের মো.মজিবর রহমানের ছেলে মো. শাহিন শেখ ওরফে রাকিব (২৫) এবং ফরিদপুরের বোয়ালমারীর হরিহরনগর গ্রামের মো. সিদ্দিক মোল্লার দুই ছেলে সবুজ মোল্লা (২৪) ও সিদ্দিক মোল্লা (৬৫)।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ইজিবাইক চালক হত্যা: ৩ আসামি গ্রেপ্তার
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান,২৩ আগস্ট দিবাগত রাত অনুমানিক পৌনে একটার দিকে বগুড়ার বুড়িগঞ্জ হাট থেকে বিভিন্ন রং ও আকৃতির সর্বমোট সাত লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্য মানের আটটি গরু কিনে কয়েকজন বেপারী তাদের ভাড়া করা একটি ট্রাকে করে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে রওনা হন। পথিমধ্যে রাত অনুমানিক পৌনে একটার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের আলামপুর বালিয়াপাড়া ব্রিজ পার হয়ে পাকা রাস্তার ওপর পৌঁছালে অজ্ঞাত ১৪-১৫ জনের একটি ডাকাত দল এসে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে গরুবোঝাই ট্রাক থামিয়ে স্লাইরেঞ্চ ও এসএস পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে চোখ-মুখ ও হাত বেঁধে ফেলে তাদের কাছে থেকে সর্বমোট ৭টি মোবাইল ফোন,নগদ ৭৯ হাজার টাকা,একটি ট্রাক ও সাত লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের আটটি গরু ডাকাতি করে পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, ডাকাতরা গরু নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর ব্যাপারীরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে ডাকাতির বিষয়টি জানালে স্থানীয় হাইওয়ে পুলিশ ও কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ওই দিনই কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান,আটক হওয়া ডাকাত দলের সদস্যরা সবাই আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। মামলাটির প্রাথমিক তদন্তকালে তথ্য-প্রযুক্তি বিশ্লেষণে বর্ণিত আসামিদের মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে মর্মে প্রাথমিকভাবে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ১৩
বগুড়ায় জাল নোট জব্দ, গ্রেপ্তার ১
কুষ্টিয়ায় মাদক মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার মাদক মামলায় ছয় মাদক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রবিবার কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-০১ এর বিচারক মো. তাজুল ইসলাম তিন আসামির উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের দবির কশাইয়ের ছেলে বাবুল (৩৫), রমজান আলীর ছেলে মুসলাম আলী (৩২), লিয়াকত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলী (৩২), সিরাজ মন্ডলের ছেলে বকুল মন্ডল (৩০), মমিনের ছেলে জাহিদুল (২৫) এবং একই উপজেলার ডাংমড়কা গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে হাবু মন্ডল (৩০)।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড,১ জনের যাবজ্জীবন
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার তিন আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীর, জাহিদুল এবং হাবু মন্ডল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিন আসামি পলাতক আছে।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০১৪ সালের ২৪ মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের একটি মাঠের মধ্যে পান বরজের পাশে অভিযান চালিয়ে ৪৬ কেজি গাঁজা এবং ৬৭১ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় জব্দকৃত মাদক ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা করে মাদক ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে কিশোর হত্যার অভিযোগে ২ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) খাদেমুল ইসলাম বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন ৯ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক এস এম জাহিদ বিন আলম।
এই মামলায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রবিবার আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় জোড়া খুন: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৭ আসামির যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার ৩ আসামি গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ভূমি অফিসের এক কর্মচারী হত্যা মামলার পলাতক তিন আসামিকে রাজধানীর দক্ষিণখান থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ইলিয়াস খান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
নিহত আব্দুর রাজ্জাক (৫৫) কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শেরকান্দি গ্রামের ভূমি অফিসের কর্মচারী ছিলেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- কুষ্টিয়ার কুমরাখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কোমরকান্দী গ্রামের মৃত আকরাম বিশ্বাসের ছেলে শহিদুল বিশ্বাস(৪৭), মৃত আকবর শেখের ছেলে ছদ্দিন শেখ(৪০) ও লাচেন জোয়াদ্দারের ছেলে রাশেদ জোয়াদ্দার (৩৫)।
লিখিত বক্তব্যে ইলিয়াস খান জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আব্দুর রাজ্জাককে কুপিয়ে হত্যা করে অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় নিহত রাজ্জাকের স্ত্রী রেবেকা খাতুন বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর থেকেই মামলার আসামিরা সবাই পালিয়ে ছিল। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য মেহেরপুর ও পাবনাসহ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালায় র্যাব-১৩ ।
কুষ্টিয়া ইউনিটের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি পলাতক কয়েকজন আসামি ঢাকায় পালিয়ে আছেন। এরপর র্যাব সদর দপ্তরের সহোযোগীতায় শনিবার রাতে রাজধানীর দক্ষিণখান থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদে তারা হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়ার কথা স্বীকার করেছে বলে জানায় র্যাব।
র্যাব আরও জানায়, রবিবার দুপুরে প্রেপ্তার আসামিদের কুমরাখালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে পুলিশ তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ৫ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার১
ডাকাতি মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে মাটি খুঁড়ে ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে বউ-শাশুড়ির মৃত্যু
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় একই রাতে সাপের কামড়ে নববধূ ও তার শাশুড়ির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-উপজেলার জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের হাবিবুল বাহাররের স্ত্রী কামরুন্নাহার (১৭) ও হাবিবুল বাহাররের মা জয়নব বেগম (৪৮)।
আরও পড়ুন:সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু
জয়নব বেগমের ছেলে জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মুন্নাফ হোসেন জানান, রাতে প্রায় একই সময়ে তার মা জয়নব ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী কামরুন্নাহারের হাতে ও মাজায় পোকায় কামড় দেয়ার কথা জানান। ভোরে তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসার এক পর্যায়ে আগে কামরন্নাহার ও পরে মা জয়নব বেগমের মৃত্যু হয়।
জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সকিব খান টিপু মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার কামরুজ্জামান সোহেল জানান, দু'জনকেই একেবারে মুমূর্ষু অবস্থায় ভোরে হাসপাতলে নিয়ে আসেন স্বজনরা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় তাদের সাপে কেটেছে।
আরও পড়ুন:সাজেকে সাপের কামড়ে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী যুবকের মৃত্যু
মাগুরায় সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে নিহত ২, আহত ৫
কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে দু’জন নিহত এবং পাঁচ নারী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে কুষ্টিয়ার মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলায় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের আটিগ্রাম এলাকার জাবেদ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) ও ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মসলেমপুর গ্রামের ফজলু মাতবরের ছেলে আশরাফুল (৪০)।
আরও পড়ুন: ঈদের সকালে বজ্রপাতে টাঙ্গাইলে ৩ কিশোরের মৃত্যু
আহতরা হলেন-শিলা (১৮), মেঘলা খাতুন (৫০), রুমি (২৩) ও বন্যা (২৫) । তারা সবাই মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নে বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে জাহাঙ্গীর আলম বাড়ির পাশে নিজের জমিতে মেয়ে জুলিয়াকে (১৫) নিয়ে কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে তারা দু’জনই আহত হন। স্থানীয়রা দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে মিরপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলমকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বজ্রপাতে শিশুসহ নিহত ৩
হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. ইমরান আহমেদ জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
একই সময় ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মসলেমপুরে জিকে খালে মাছ ধরতে গেলে বজ্রপাতে আশরাফুল ইসলাম (৪০) ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান বজ্রপাতে একজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে স্কুলছাত্র নিহত
এদিকে মঙ্গলবার সকালে মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নে বজ্রপাতে পাঁচ নারী আহত হয়েছেন। আহতদের মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ায় ২ দিনব্যাপী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা শুরু
কুষ্টিয়ার গড়াই নদে শুক্রবার থেকে দুই দিনব্যাপী গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে কুমারখালী উপজেলার কয়া এবং শহরের ঘোড়া ঘাট এলাকায় গড়াই নদে এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগীতার উদ্বোধন করেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রশাসক হাজী রবিউল ইসলাম। কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মাঝিসহ ১২টি দল অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে পুরস্কার হিসেবে তিনটি আলাদা আলাদা ব্রান্ডের মোটরসাইকেল দেয়া হবে।
পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ছেলের হাতে বাবা খুন
কুষ্টিয়ায় বয়লার মেশিন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
কুষ্টিয়ার কবুরহাটে রাইস মিলের বয়লার মেশিনের ওপর থেকে নিচে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে কবুরহাট ব্যাপারী এগ্রোফুড অটো রাইস মিলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নাইম হোসেন (১৮) নামে রাজশাহী জেলার পুটিয়া উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের শহিদ ফকিরের ছেলে নাইম হোসেন। তিনি কবুরহাট বাজার এলাকায় ভাড়া থেকে ওই রাইচ মিলের হেলপার হিসেবে কাজ করতেন।
স্থানীয়রা জানান, কবুরহাট এলাকার ব্যাপারী এগ্রোফুড অটো রাইস মিলে রাতে নাইট ডিউটিতে হেলপারের কাজ করছিলেন নাইম। সকালের দিকে রাইস মিলের বয়লার মেশিনে পানি শেষ হলে পানি চালু করতে সিঁড়ি দিয়ে দ্বিতীয় তলায় উঠতে গিয়ে পা পিছলে নিচে পড়ে যেয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে শ্রমিকরা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান জানান, রাইস মিলের বয়লার মেশিনের পানি শেষ হওয়ায় পানি চালু করতে গেলে নিচে পড়ে মারা যায়। তবে এ বিষয়ে স্বজনদের কোন অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ায় প্রকৌশলীর বাসা থেকে গৃহপরিচারিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ার মিরপুরে ডলি খাতুন নামের এক নারীকে গলাটিপে হত্যার ঘটনায় তার স্বামী আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজকে (৪২) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.তাজুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজ মিরপুর উপজেলার শামুখিয়া গ্রামের হান্নান ওরফে সন্টু কবিরাজের ছেলে। আর নিহত ডলি খাতুন মিরপুর উপজেলার পশ্চিম চুনিয়াপাড়া গ্রামে বাহারুল ইসলামের মেয়ে।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কড়া পুলিশ পাহারায় জেলা করাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়া জজ কোটের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী রায় এই বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মিরপুর উপজেলার পশ্চিম চুনিয়াপাড়া গ্রামে বাহারুল ইসলামের মেয়ে ডলি খাতুনের সাথে ১৪ বছর আগে পারিবারিকভাব বিয়ে হয় একই উপজেলার শামুখিয়া গ্রামের হান্নান ওরফে সন্টু কবিরাজের ছেলে আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজের। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ডলির সঙ্গে কামালের পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এর মধ্যেই ডলি মিরপুর থানার তালবাড়ীয়া পরিবার পরিকল্পনা অফিসে স্বাস্থ্য সহকারী পদে চাকুরী পান। চাকুরি পাওয়ার পর থেকে ডলি খাতুনের ওপর তার স্বামী কামাল নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল সকালে আসাদুজ্জামান কামালের সঙ্গে তার স্ত্রী ডলির কথা কাটাকাটি এবং ধস্তাধস্তি হয়। এর এক পর্যায়ে কামাল তার স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত ডলির পিতা বাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে একই দিনে মিরপুর থানায় ডলির স্বামী আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজ, তার পিতা সন্টু কবিরাজ এবং মা আমেনা খাতুনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারের পর স্ত্রী ডলিকে গলা টিপে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেন আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজ। দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসাদুজ্জামান কামালকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালে ২৬ জুন মামলার চুড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবু বক্কার।
পরে দীর্ঘ শুনানী শেষে ১৪ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় আ.লীগ নেতা হত্যা: ৫ জনের যাবজ্জীবন
শিক্ষক হত্যা মামলা: খুলনায় ১৭ বছর পর ২ জনের যাবজ্জীবন