কলাপাতা
শিক্ষা উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কলাপাতা ও কচুপাতায় বিক্ষোভ
শিক্ষা উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, কুড়িগ্রাম জেলা সংসদ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।
শুক্রবার ২ ডিসেম্বর সকালে কলেজ মোড়স্থ জেলা সরকারি গ্রন্থাগারের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা এই ছাত্র সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: চবির মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবিতে ফটকে তালা লাগিয়ে চারুকলার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
এসময় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের অর্ধশত শিক্ষার্থীদের কলা পাতা ও কচু পাতায় লিখে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়।
সংগঠনটির জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক রিদওয়ানের সঞ্চালনায় ও সভাপতি অনিরুদ্ধ প্রণয় প্রান্তিক এর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, রংপুর জেলা সংসদের সহ সাধারণ সম্পাদক আবির ইয়ামান, রাজারহাট থানা শাখার অন্যতম সংগঠক ও সাকোয়া হাই স্কুলের আহ্বায়ক রতন চন্দ্র অধিকারী, জেলা সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মোহন্তসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থার মান দিন দিন কমে যাচ্ছে। আগামী বাজেটে শিক্ষাখাতে ২৫ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে। পাশাপাশি কলেজগুলোতে গবেষণার কাজ সক্রিয় করতে হবে এবং খাতার কাগজের দাম ও কলমের দাম কমাতে হবে।
এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন নেতারা।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ইন্টার্ন চিকিৎসককে ছুরিকাঘাতের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
২ বছর আগে
প্লাস্টিক তৈজসপত্রের দৌরাত্ম্যে মাগুরায় কলাপাতার ব্যবহার বিলুপ্তির পথে
গ্রাম বাংলায় নানা উৎসব-পার্বণসহ নানাবিধ কর্মকাণ্ডে মেজমানি খাওয়াতে কলাপাতার ব্যবহার দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।
কিন্তু প্লাস্টিকের তৈজসপত্র যেমন, প্লেট, বাটি ও অন্যান্য সামগ্রীর ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় কলাপাতার ব্যবহার বিলীন হতে চলেছে। গ্রামীণ জনপদে আবহমান কাল ধরে চর্চিত হয়ে আসছে বিভিন্ন আচার, রীতি-রেওয়াজ। সেসব ঐতিহ্যবাহী চিরচেনা কৃষ্টি-কালচারগুলোর অন্যতম হলো অতিথি পরায়ণতা।
গ্রামীণ সমাজের জিয়াফত-মেজবানি, চেহলাম, আকিকা, মুসলমানি, পংক্তিভোজ, বিয়ে-শাদী, হরিবাসর, পূজা, হালখাতা, বনভোজন, মেলা, উৎসব-পার্বণ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানাদি হতো। এইসব অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে শিরনি, তবারক, খাবার বিতরণ করা হতো কলাপাতায়।
আরও পড়ুন: যশোরে ৫৯টি বিষধর গোখরা সাপের ডিম উদ্ধার
এসব অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত লোকজনদেরকে লম্বা লাইন করে মাটিতে বা টেবিলে আসন পেতে বসিয়ে কলাপাতার মধ্যে খাবার পরিবেশন করার রীতি ছিল।
মাগুরা শহরের পুরনো অধীবাসিরা জানান, একসময় কলাপাতার পাশাপাশি পদ্মপাতা বা শালপাতাতেও খাবার পরিবেশন করা হতো। কিন্তু পদ্মপাতা বা শালপাতা এখন আর মোটেও চোখে পড়েনা। পদ্মপাতা বা শালপাতায় খাবার পরিবেশনের রেওয়াজ কয়েক যুগ আগেই হারিয়ে গেছে। কলাপাতায় খাওয়া শুধু বাঙালি সমাজের রীতিই নয়, দক্ষিণ ভারতেও কলাপাতায় খাওয়ার প্রচলন আছে। এখনও অনেক অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হয় কলাপাতা।
আরও পড়ুন: মনপুরায় জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা দুটি হরিণ শাবক অবমুক্ত
মাগুরায় উৎসব-পার্বণ পাগল বাঙালি তার আচার-অনুষ্ঠানাদিতে বাড়ির আঙিনা, স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগাহ, মন্দির বা খোলা কোনও প্রাঙ্গণে আমন্ত্রিত লোকজনদের কলাপাতায় খাবার পরিবেশন ছিলো কৃষিজীবী সমাজের চিরায়ত ঐতিহ্য। কালের পরিবর্তনে প্লাস্টিক, মেলামাইন, কাঁচ ও স্টিলের প্লেট-গ্লাসে পানি ও খাবার পরিবেশন করা হয়ে থাকে।
তবে এ ব্যবস্থাও এখন পুরনো হয়ে গেছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন চলছে ওয়ানটাইম গ্লাস-প্লেটে খাবার পরিবেশন। তাই চিরায়ত ঐতিহ্য ও পরিবেশের কথা চিন্তা করে সাধারণ মানুষ কলাপাতা ব্যবহারে উৎসাহিত হবে আশাব্যক্ত করেন মাগুরার সচেতন সমাজ।
৩ বছর আগে