তাইওয়ান সরকার
তাইওয়ানে রেকর্ড সংখ্যক চীনা বিমানের অনুপ্রবেশ
তাইওয়ানের আকাশসীমায় ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক চীনের যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে তাইওয়ান সরকার।
বুধবার তাইওয়ান সরকার এমন তথ্য জানায়।
তাইওয়ান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মঙ্গলবার চীনের ২৮টি উড়োজাহাজ তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স আইডেনটিফিকেশন জোনে প্রবেশ করে।
তাইওয়ানে এমন সময়ে এই অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটলো, যেখানে গত রবিবার শিল্পোন্নত শীর্ষ সাত দেশের জোট জি-৭ চীনের সমালোচনা করে চলতি সপ্তাহে সম্মেলন শেষে বিবৃতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাইডেন-পুতিনের প্রথম ফোনালাপ: কী কথা হলো তাদের মধ্যে?
তারা বলেছে, তাইওয়ান প্রণালির শান্তি ও স্থিতিশীলতা উপেক্ষা করছে চীন। যদিও চীন জি-৭ এর এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে জি-৭ এর বক্তব্যের সাথে সামরিক তৎপরতা সম্পর্কিত কিনা তা জিজ্ঞেস করা হলে চীনের তাইওয়ান বিষয়ক দপ্তরের মুখপাত্র, মা জিয়াওগাং বলেন, বেইজিং বিশ্বাস করে যে দ্বীপটির সরকার আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা পেতে অন্যান্য দেশে সাথে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: গাজায় এপিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের ভবনে ইসরায়েলের বিমান হামলা
মা বলেন, ‘আমরা বিদেশী বাহিনী দ্বারা তাইওয়ান ইস্যুতে স্বাধীনতা বা হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টা কখনই সহ্য করবো না, সুতরাং আমাদের এই আচরণের বিষয়ে দৃঢ় প্রতিক্রিয়া দেখানো দরকার।’
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছর থেকে নিজেদের আকাশসীমায় চীনের অনুপ্রবেশের বিষয়টি নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন দিয়ে আসছে স্বশাসিত তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এই প্রতিবেদন দেওয়ার শুরুর পর থেকে এটাই সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশের ঘটনা। এই বিষয়ে চীন এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যম ব্যবহার করে হামাসকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা ইসরায়েলের
সম্প্রতি কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে চীনের যুদ্ধবিমান।
মঙ্গলবার চীনের যেসব যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের সীমান্তে প্রবেশ করেছে, তার মধ্যে রয়েছে জে-১৬, জে-১১ ও এইচ-৬ বোমারু বিমান।
এই যুদ্ধবিমানগুলো পারমাণবিক অস্ত্র, সাবমেরিন বিধ্বংসী ও ইলেকট্রনিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। এতগুলো যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় এর আগে কখনও প্রবেশ করেনি।
উল্লেখ্য, এর আগে চীনের সর্বোচ্চ ২৫টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল গত বছরের ১২ এপ্রিল।
৩ বছর আগে