আওয়ামী লীগে
বগুড়ায় হাসিনা-কাদেরসহ আওয়ামী লীগের ১০১ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বগুড়ায় স্কুলশিক্ষক সেলিম হোসেন (৪০) নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১০১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহত সেলিম হোসেনের বাবা সেকেন্দার আলী বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় মামলাটি করেন। মামলায় শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: জবির সমন্বয়ক পদ থেকে সরে গেলেন নূর নবী
মামলার বাঁকি ৯৯ জন আসামির মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য আসামিরা হলেন- বগুড়া-৫ (ধুনট-শেরপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মজনু, বগুড়া-৬ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি টি জামান নিকেতা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন, সাগর কুমার রায়, এ কে এম আসাদুর রহমান দুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদৎ আলম ঝুনু, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হাসান, বগুড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান শাহীন ওরফে ভিপি শাহীন, সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্ত, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা, সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক দুই সভাপতি আল রাজি জুয়েল ও নাঈমুর রাজ্জাক তিতাস, সাবেক দুই সাধারণ সম্পাদক মাশরাফি হিরো ও অসীম কুমার রায়, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মান্নান আকন্দ, বগুড়া চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান মিলন, চেম্বারের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাফুজুল ইসলাম রাজ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান শফিক।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের দিন বগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকায় শিক্ষক সেলিম হোসেনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত সেলিম হোসেনের বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পীরব ইউনিয়নের পালিকান্দা গ্রামে। তিনি বগুড়া সদরের ইসলামপুর হরিগাড়ীতে বসবাস করতেন। তিনি কাহালু উপজেলার মুরইল লাইট হাউস স্কুলের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের হুকুমে সেদিন বগুড়া শহরের সাতমাথা স্টেশন সড়কে জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামনে আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ সাত নেতার নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালিয়ে ককটেল ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় সেলিম হোসেন রক্তাক্ত হন। বগুড়া পৌরসভার কাউন্সিলর আবদুল মতিন সরকার ও আমিনুল ইসলাম রামদা দিয়ে কুপিয়ে এবং কাউন্সিলর আরিফুর রহমান হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে তাকে জখম করেন। পরে অন্য হামলাকারীরা অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে।
এ বিষয়ে মামলার আইনজীবী ও বগুড়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুল বাসেদ বলেন, ‘ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ায় শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে সেলিম হোসেনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ কারণে ওই দুজনকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে আসামি করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিস্ফোরক আইনে সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ কারাগারে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার উপজেলা চেয়ারম্যান
৩ মাস আগে
বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দি তাদের নেতারা: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির মূল নেতৃত্ব তাদের দলের নেতাদের বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দি করে রেখেছে। যেখান থেকে বের হয়ে কেউ নির্বাচন করতে পারবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি করলে এখন কোনো নির্বাচন করা যায় না। সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন; এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনও করা যায় না। আর তাদের সিদ্ধান্ত হয় সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপার থেকে; যার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, তবে বিএনপি নামক এই কারাগার থেকে অনেকেই বের হয়ে এসেছেন।
মন্ত্রী বলেন,‘আজকে অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিএনপির অনেক নেতাই স্বীকার করেন, আসলে এই সিদ্ধান্তগুলো বিএনপিকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে আসার জন্য সরকার কাউকে চাপ সৃষ্টি করছে না: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি এখন আকাশের দিকে আর পশ্চিমের দিকে তাকিয়ে থাকে, যদি কিছু হয়। এভাবে একটি দল টিকে থাকতে পারে না। বিএনপি আজকে আবার হরতাল ডেকেছে এবং আরও না কি কর্মসূচি দেবে। কিন্তু এই হরতালে জনগণের কোনো সাড়া নেই এবং মূল নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কেউ একমত নয়। নির্বাচনী আমেজ ও ডামাডোলে বিএনপির সব কর্মসূচি হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। তারা একটি হাস্যকর দলে পরিণত হয়েছে। আমি আশা করব বিএনপি এই অপরাজনীতির পথ থেকে বের হয়ে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন টিআইবি নির্বাচনের দিন দেখতে পাবে। টিআইবির প্রতি প্রশ্ন, ২৮ অক্টোবর থেকে দেশে সহিংসতা হচ্ছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে, জাজেস কমপ্লেক্সে এমন কি পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালানো হলো, নার্সদের অপদস্ত করা হলো, অ্যাম্বুলেন্সসহ ১৯টি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হলো, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালানো হলো, জীবন্ত মানুষকে বাসের মধ্যে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো, এ নিয়ে টিআইবির কী বিবৃতি, কী বক্তব্য?
হাছান মাহমুদ বলেন, কাউকে ঘুষি মারলে, ধাওয়া করলে টিআইবি বিবৃতি দেয়; আর এত চোরাগোপ্তা হামলা, অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে সে নিয়ে আপনাদের জোরালো কোনো বক্তব্য দেখতে পাচ্ছি না। এভাবে টিআইবি আসলে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে।
তিনি বলেন, টিআইবি যদি মনে করে একটি দল অংশগ্রহণ না করলে সেটি অংশগ্রহণমূলক নয়, তাহলে সেটি টিআইবির চিন্তার বা বোঝার দৈন্য। আজকে দেশে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে, ইনশাআল্লাহ নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে। আর গণতন্ত্রে দল নয়, গণতন্ত্রে জনগণের অংশগ্রহণ হচ্ছে মুখ্য।
এ সময় সাংবাদিকরা ‘পোশাক শ্রমিক নেতা কল্পনা আক্তার কার এজেন্ট’- প্রশ্ন করলে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, তিনি কার এজেন্ট আমি জানি না, আপনারা খুঁজে বের করুন। তবে এক বছরে যতবার তিনি বিদেশ গেছেন এবং বিদেশ যাত্রায় ১৪-১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, তা থেকে প্রশ্ন আসে একজন শ্রমিক নেতার এত টাকা কোথা থেকে আসে, এতবার বিদেশ যাত্রারই বা কেন প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দেশে মামলা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচনী আমেজে ঢাকা পড়ে গেছে বিএনপির বর্জনের ডাক: তথ্যমন্ত্রী
১১ মাস আগে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন বুধবার
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন পালিত হবে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর)।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে বড় শেখ হাসিনা। তিনি ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। সেখানে তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার পাশাপাশি অন্যান্য অনুষ্ঠানে যোগদান করেছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির শাসনামলে প্রতিটি ধাপে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও সমমনা সংগঠনগুলো তার জীবন ও অর্জনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করবে।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আলোচনা, দোয়া ও মিলাদ-মাহফিল এবং বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে জন্মদিন উদযাপন করা হবে।
তিনি ১৯৯৬-২০০১ সালে প্রথমবার, ২০০৯-২০১৩ সালে দ্বিতীয়বার এবং ২০১৪-২০১৮ সালে তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর-এ অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার দলের নেতৃত্বাধীন মহাজোট জয়ী হওয়ার পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এছাড়াও তিনি তিনবার বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেন।
শেখ হাসিনার শৈশবের অনেকটা সময় কেটেছে তার জন্মস্থান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায়। বঙ্গবন্ধু মন্ত্রী নির্বাচিত হলে, তার পরিবার ১৯৫৪ সালে ঢাকায় চলে আসে। তিনি ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে স্নাতক হন।
তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৎকালীন সরকারি ইন্টামেডিয়েট গার্লস কলেজের ছাত্রী সংসদের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি এই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরের বছর সভাপতি ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর অসাধারণ নেতৃত্বের প্রশংসা করে বিশেষ প্রকাশনা উন্মোচন
শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের একজন সদস্য এবং ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই শেখ হাসিনা সকল গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা সেই সময় জার্মানিতে থাকায় হত্যাকাণ্ড থেকে বেঁচে যান।
শেখ হাসিনা নির্বাসনে থাকাকালীন তার অনুপস্থিতিতে ১৯৮১ সালে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। অবশেষে তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন। এরমধ্যে দিয়ে তার ছয় বছরের নির্বাসন শেষ হয়।
১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষ করে অবশেষে তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন।
১৯৮১ সালে দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে লিপ্ত হওয়ার পরপরই তিনি শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়েন। তাকে বারবার কারান্তরীণ করা হয়। তাঁকে হত্যার জন্য কমপক্ষে ২২ বার সশস্ত্র হামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক রণেশ মৈত্রের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
২ বছর আগে
নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি মেনে নিন নতুবা ক্ষমতা হারাবেন: আওয়ামী লীগের প্রতি ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি না মানলে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার ছাড়া অন্য কোনো ইস্যুতে তাদের দলের সঙ্গে সরকারের আলোচনায় জড়ানোর সুযোগ নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার যদি আমাদের দাবি (নির্বাচনকালীন সরকার) মেনে নেয়ার কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই সমাধান আসবে।
এবার জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন নিশ্চিত করতে সক্ষম হবেন বলে তিনি আস্থা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগের ‘মেগা দুর্নীতি’ দেশকে অন্ধকার খাদের প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে: ফখরুল
ওভারসিজ করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মিট দ্য ওকাব’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, দাবি আদায়ে আগামী দিনে অন্য সব বিরোধী দলের সঙ্গে একযোগে আন্দোলন শুরু করবেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অতীতে অনেক আন্দোলন করার অভিজ্ঞতা আছে। আপনারা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি যে আমরা ১৯৯০ সালে এমন একটি আন্দোলন করেছি..আমরা এখন সেই মডেল অনুসরণ করে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করছি।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্দোলন শুরু করবে। ‘আন্দোলন নিজেই পরে নির্ধারণ করবে এটি কোন পথে যাবে।’
তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন প্রশাসন সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে সরকার রাজনৈতিক সংকট সমাধান করতে পারে এবং শান্তিপূর্ণভাবে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করতে পারে।
আরও পড়ুন: সিইসির প্রশংসা করলেও বর্তমান ইসির সঙ্গে সংলাপে যোগ দেবে না বিএনপি
আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো ইসিই বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না: বিএনপি
২ বছর আগে
সরকারের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে সমন্বয়ের দায়িত্ব সচিবদের
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে সমন্বয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সচিবদের। দায়িত্বাধীন জেলায় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করেই কাজ করছেন তারা।
৩ বছর আগে