ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন পালিত হবে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর)।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে বড় শেখ হাসিনা। তিনি ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। সেখানে তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার পাশাপাশি অন্যান্য অনুষ্ঠানে যোগদান করেছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির শাসনামলে প্রতিটি ধাপে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও সমমনা সংগঠনগুলো তার জীবন ও অর্জনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করবে।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আলোচনা, দোয়া ও মিলাদ-মাহফিল এবং বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে জন্মদিন উদযাপন করা হবে।
তিনি ১৯৯৬-২০০১ সালে প্রথমবার, ২০০৯-২০১৩ সালে দ্বিতীয়বার এবং ২০১৪-২০১৮ সালে তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর-এ অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার দলের নেতৃত্বাধীন মহাজোট জয়ী হওয়ার পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এছাড়াও তিনি তিনবার বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেন।
শেখ হাসিনার শৈশবের অনেকটা সময় কেটেছে তার জন্মস্থান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায়। বঙ্গবন্ধু মন্ত্রী নির্বাচিত হলে, তার পরিবার ১৯৫৪ সালে ঢাকায় চলে আসে। তিনি ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে স্নাতক হন।
তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৎকালীন সরকারি ইন্টামেডিয়েট গার্লস কলেজের ছাত্রী সংসদের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি এই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরের বছর সভাপতি ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর অসাধারণ নেতৃত্বের প্রশংসা করে বিশেষ প্রকাশনা উন্মোচন
শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের একজন সদস্য এবং ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই শেখ হাসিনা সকল গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা সেই সময় জার্মানিতে থাকায় হত্যাকাণ্ড থেকে বেঁচে যান।
শেখ হাসিনা নির্বাসনে থাকাকালীন তার অনুপস্থিতিতে ১৯৮১ সালে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। অবশেষে তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন। এরমধ্যে দিয়ে তার ছয় বছরের নির্বাসন শেষ হয়।
১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষ করে অবশেষে তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন।
১৯৮১ সালে দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে লিপ্ত হওয়ার পরপরই তিনি শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়েন। তাকে বারবার কারান্তরীণ করা হয়। তাঁকে হত্যার জন্য কমপক্ষে ২২ বার সশস্ত্র হামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক রণেশ মৈত্রের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক