চেয়ারম্যান প্রার্থী
চেয়ারম্যান প্রার্থীর হুমকি: চাম্বল ইউপি নির্বাচন স্থগিত করল ইসি
চট্টগ্রামের বাশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ১৫ জুনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চাম্বল ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী ঘোষণা দেন যে, ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের বোতাম টিপতে না পারলে টিপ দেয়ার জন্য নিজের লোক রাখবেন এবং ইভিএমকে তার ইচ্ছানুযায়ী ব্যবহার করে নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে আনার হুমকি দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ইভিএম না থাকলে রাতের মধ্যেই সব ভোট সংগ্রহ করতে পারতেন যা বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশনে প্রকাশিত হয়েছে। পরে তদন্তে স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তা বক্তব্যের প্রমাণ পান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউনিয়ন পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এবং স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী এই ধরনের কাজ ফৌজদারি অপরাধ। কমিশন চাম্বল ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
পড়ুন: পেশি শক্তি ব্যবহার করে ভোটে জেতার সুযোগ নেই: সিইসি
২ বছর আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সহযোগীকে গুলি করে হত্যা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার ঘনিষ্ঠ এক সহযোগীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের নাটঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নাটঘর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছেলে এরশাদ (৩০) ও একই গ্রামের সন্তোষ সরকারের ছেলে বাদল সরকার (২৫)। স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে এরশাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন শনিবার ইউএনবিকে বলেন, শুক্রবার রাতে এক অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাদের পথরোধ করেন।
তিনি বলেন, ‘উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা তাদের গুলি করে। এতে বাদল ঘটনাস্থলে মারা যায় এবং এরশাদ গুরুতর আহত হয়। পরে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পথে এরশাদও মারা যান।’
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। হত্যার উদ্দেশ্য এখনও পরিষ্কার না।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: ভোলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত ১০
কেন্দুয়ায় ইউপি নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী তৃতীয় লিঙ্গের সবুজা
৩ বছর আগে
পাবনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহতের ঘটনায় ভোট স্থগিত
নির্বাচনী সহিংসতায় এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
পাবনা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নির্বাচনকেন্দ্রিক ঘটনায় বৈধ প্রার্থী নিহত হলে নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট পদের নির্বাচন স্থগিতের বিধান রয়েছে।
পাবনা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার কাওছার মোহাম্মদ বলেন, স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১০-এর বিধি ২০(১) (২) অনুযায়ী ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় নির্বাচনী সংঘর্ষে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহত, আহত ২৫
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে ভাড়ারা ইউনিয়নের চারা বটতলার ইন্দারা মোড় কালুরপাড়া এলাকায় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু সাঈদ খান ও তাঁর লোকজন প্রচারণায় বের হন। এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের সুলতান মাহমুদের লোকজনও বের হন। এ সময় আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের ইয়াছিন আলম (ঘোড়া প্রতীক প্রার্থীর চাচাতো ভাই) জড়ো হলে তাঁদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় ইয়াছিন আলমসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন। তাদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহীতে স্থানান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াছিন আলম নাটোরের বনপাড়ায় পৌঁছানোর পর মারা যান।
এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, কোনো পক্ষ অভিযোগ না দিলেও পুলিশ ঘটনা তদন্তে করছে। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পড়ুন: ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় শার্শায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু
৩ বছর আগে
কাপ্তাইয়ে আ’লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৩ নং চিৎমরম ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়নের আগাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নেথোয়াই মারমা (৫৬) চিৎমরম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অংসুইছাইন চৌধুরী জানান, নিহত নেথোয়াই মারমার ছেলে রাতে তাকে খবর দিয়ে জানান যে, সবুজ গেঞ্জি পরিহিত ১০ থেকে ১২ জন অস্ত্রধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসী রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাদের ঘরের সামনে দরজা ভাঙার চেষ্টা করে। দরজা না খুলায় সন্ত্রাসীরা পেছনের রান্না ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে তার বাবাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষ হতে এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
পড়ুন: ঢাকায় সংঘর্ষ: ৩ মামলায় আসামি ৪ হাজারের বেশি
চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নেথোয়াই মারমাকে তার নিজ বাড়ি একই ইউনিয়নের আগাপাড়া এলাকায় শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সশস্ত্র অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে এলোপাতারি গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
রবিবার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে ওসি জানান।
পড়ুন: রাঙামাটি-বান্দরবান সড়কে পর্যটকবাহী গাড়িতে গুলি, আহত ২
কোরআন অবমাননা: বায়তুল মোকাররম এলাকায় মুসল্লি-পুলিশ সংঘর্ষ
৩ বছর আগে