মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের মেনতাওয়াই দ্বীপের উপকূলীয় শহর সাইবারুতে সোমবার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে গুরুতর ক্ষতি বা হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ছিল ৫ দশমিক ৯ মাত্রার। এটি ১৮ কিলোমিটার (১১ মাইল) গভীরতায় পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের উপকূলীয় শহর প্যারিয়ামনের প্রায় ১৭০ কিলোমিটার (১০৫ দশমিক ৬ মাইল) পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে কেন্দ্রীভূত ছিল।
২৭ কোটি জনসংখ্যার দেশ ইন্দোনেশিয়া প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। দেশটি প্রায়শই ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং সুনামি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে একটি ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত এবং ৪৬০ জনেরও বেশি আহত হয়। এছাড়া গত বছরের জানুয়ারিতে পশ্চিম সুলাওয়েসি প্রদেশে ৬ দশমিক ২ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ৬ হাজার ৫০০ জন আহত হয়।
পড়ুন: আফগানিস্তানে ভূমিকম্প: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৫০
২ বছর আগে
আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত ২২
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় তুর্কমেনিস্তান সীমান্তে বাডঘিস প্রদেশে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে অন্তত ২২ জন মারা গেছেন বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রদেশের সংস্কৃতি ও তথ্য বিভাগের প্রধান বাজ মোহাম্মদ সারওয়ারি বলেছেন, ভূমিকম্পে বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় ৫ দশমিক ৩ মাত্রায় এবং বিকাল ৪টায় ৪ দশমিক ৯ মাত্রায় যথাক্রমে প্রাদেশিক রাজধানী কালা-ই-নাউ থেকে ৪১ কিলোমিটার (২৫ মাইল) পূর্ব এবং ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে ভূমিকম্প আঘাত হানে।
আরও পড়ুন: শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী, সুনামির আশঙ্কা নেই
সারওয়ারি বলেন, প্রদেশের দক্ষিণ প্রান্তের কাডিস জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি ও মৃত্যু হয়েছে। খুব দ্রুত উদ্ধারকারী দল পাঠানোর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাদেশিক রাজধানী কালা-ই-নাউতে কিছু বাড়িতে ফাটল ধরেছে তবে বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত
২ বছর আগে
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী, সুনামির আশঙ্কা নেই
ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে বড় দ্বীপ জাভায় শুক্রবার ৬ দশমিক ৬ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এসময় ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি এবং লোকজন ভয়ে রাস্তায় বের হয়ে আসে, তবে কোনো হতাহাতের খবর পাওয় যায়নি। ভূমিকম্পে ফলে সুনামির কোনো আশঙ্কা নেই বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি সমুদ্রের তলদেশে ৩৭ কিলোমিটার বা (২৩ মাইল) গভীরতায় আঘাত হানে এবং এর উৎপত্তিস্থল ছিল বানটেন প্রদেশের উপকূলীয় শহর লাবুয়ানের প্রায় ৮৮ কিলোমিটার (৫৪ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে ভারত মহাসাগরে।
ইন্দোনেশিয়ার মেটিওরোলজি, ক্লাইমাটোলজি এবং জিওফিজিক্যাল এজেন্সির প্রধান দ্বিকোরিতা কর্নাবতী বলেছেন, সুনামির কোনো আশঙ্কা নেই তবে সম্ভাব্য আফটারশকের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র তলদেশে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প: সুনামি সতর্কতা
ভূমিকম্পে রাজধানী জাকার্তায় উচ্চ দালানগুলো ১০ সেকেন্ডেরও বেশি সময় ধরে নড়াচড়া করে এবং কিছু লোক দ্রুত রাস্তায় নেমে আসে। এছাড়া স্যাটেলাইট শহর টাঙ্গেরং, বোগর এবং বেকাসিতেও দোতলা বাড়িগুলো প্রবলভাবে কেঁপে ওঠে।
জাকার্তার একটি ভবনের ১৯ তলা বাসিন্দা লায়লা আনজাসারি বলেন, ‘কম্পনটি ভয়ঙ্কর ছিল... আমার রুমের সবকিছু দুলছিল, আমরা আতঙ্কে সিঁড়ি বেয়ে দৌড়ে বেরিয়ে পড়ি।’
ন্যাশনাল ডিজাস্টার মিটিগেশন এজেন্সির মুখপাত্র আবদুল মুহারি বলেছেন, অন্তত ২৫৭টি বাড়ি এবং ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার বেশিরভাগই ভূমিকম্পের সবচেয়ে কাছের জেলা পান্ডেগ্লাংয়ে। এছাড়া অন্যত্র সামান্য ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে, তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ারের’ অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প হয়।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত
২ বছর আগে