ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে বড় দ্বীপ জাভায় শুক্রবার ৬ দশমিক ৬ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এসময় ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি এবং লোকজন ভয়ে রাস্তায় বের হয়ে আসে, তবে কোনো হতাহাতের খবর পাওয় যায়নি। ভূমিকম্পে ফলে সুনামির কোনো আশঙ্কা নেই বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি সমুদ্রের তলদেশে ৩৭ কিলোমিটার বা (২৩ মাইল) গভীরতায় আঘাত হানে এবং এর উৎপত্তিস্থল ছিল বানটেন প্রদেশের উপকূলীয় শহর লাবুয়ানের প্রায় ৮৮ কিলোমিটার (৫৪ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে ভারত মহাসাগরে।
ইন্দোনেশিয়ার মেটিওরোলজি, ক্লাইমাটোলজি এবং জিওফিজিক্যাল এজেন্সির প্রধান দ্বিকোরিতা কর্নাবতী বলেছেন, সুনামির কোনো আশঙ্কা নেই তবে সম্ভাব্য আফটারশকের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র তলদেশে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প: সুনামি সতর্কতা
ভূমিকম্পে রাজধানী জাকার্তায় উচ্চ দালানগুলো ১০ সেকেন্ডেরও বেশি সময় ধরে নড়াচড়া করে এবং কিছু লোক দ্রুত রাস্তায় নেমে আসে। এছাড়া স্যাটেলাইট শহর টাঙ্গেরং, বোগর এবং বেকাসিতেও দোতলা বাড়িগুলো প্রবলভাবে কেঁপে ওঠে।
জাকার্তার একটি ভবনের ১৯ তলা বাসিন্দা লায়লা আনজাসারি বলেন, ‘কম্পনটি ভয়ঙ্কর ছিল... আমার রুমের সবকিছু দুলছিল, আমরা আতঙ্কে সিঁড়ি বেয়ে দৌড়ে বেরিয়ে পড়ি।’
ন্যাশনাল ডিজাস্টার মিটিগেশন এজেন্সির মুখপাত্র আবদুল মুহারি বলেছেন, অন্তত ২৫৭টি বাড়ি এবং ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার বেশিরভাগই ভূমিকম্পের সবচেয়ে কাছের জেলা পান্ডেগ্লাংয়ে। এছাড়া অন্যত্র সামান্য ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে, তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ারের’ অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প হয়।