ভ্যালেন্টাইন ডে
ভ্যালেন্টাইন’স ডে উদযাপনের সেরা গন্তব্য: ঢাকার কাছেই ১০ রিসোর্ট
হোক সে আপন নিবাস কিংবা ভিনদেশী অচেনা জায়গা, সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত মানুষটি পাশে থাকাটা আশেপাশের সবকিছুকেই যেন ঝাপসা করে দেয়। এরপরেও প্রত্যেকেই তার ভ্যালেন্টাইনের সঙ্গে কাটানো সময়টাকে ভালো লাগা দিয়ে ভরিয়ে তোলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। পরিণয়টা নিরঙ্কুশ সিদ্ধি লাভ করে যখন তাতে যোগ হয় প্রকৃতিপ্রেম, রোমাঞ্চ ও মুক্তির উচ্ছ্বাস। কিন্তু ব্যস্ত জীবনে ফিরে আসার শাসনটা এই স্বাধীনতাকে বাধ ভেঙে যেতে দেয় না। তখনি আসে কাছে কোথাও নিরিবিলিতে ঘুরতে যাওয়ার পায়তারা। আর ঠিক এই চাহিদাটিকে পূরণ করতেই ঢাকার অদূরে গড়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন রিসোর্টগুলো। শহুরে যুগলবন্দিদের প্রতি এক অভূতপূর্ব ভালবাসা দিবসের অভিজ্ঞতার নিবেদন করে এই নৈসর্গিক স্থানগুলো। চলুন, সেগুলোর মধ্যে থেকে ঢাকার নিকটবর্তী মনোরম ১০টি রিসোর্টের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ভ্যালেন্টাইন’স ডে উদযাপনের জন্য ঢাকার কাছেই ১০টি রিসোর্ট
জলেশ্বরী রিসোর্ট, গাজীপুর
সবুজ গাছ-গাছালি ঘেরা প্রায় ১০০ বিঘা জায়গার জলেশ্বরী রিসোর্টের অবস্থান গাজীপুর জেলার রাজেন্দ্রপুরের ফাউগান গ্রামে। অতিথিদের জন্য এখানে রয়েছে তিনটি সুসজ্জিত ভবন, সুইমিংপুল, রেস্টুরেন্ট এবং বিশাল খেলার মাঠ।
সাপ্তাহিক ছুটিসহ অন্যান্য সরকারি ছুটি দিন বাদে সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে কাপল ডে লং প্যাকেজের মূল্য ৬ হাজার টাকা। ছুটির দিনগুলোতে এর দাম রাখা হয় ৬ হাজার ৫০০ টাকা। এর বাইরে মান ভেদে রাত্রিযাপনের জন্য রুম ভাড়া নেওয়া হয় ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা।
রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা দিয়ে রাজেন্দ্রপুর বাজারে তারপর ফাউগান বাজার পার হয়ে একটু সামনে গেলেই জলেশ্বরী রিসোর্ট।
আরও পড়ুন: স্বল্প বাজেটে ভ্যালেন্টাইন’স ডে উপহার: অনুপম নিবেদনে প্রিয়জনের মুগ্ধতা
ছুটি রিসোর্ট, গাজীপুর
গাজীপুরের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান ঘেঁষা জনপ্রিয় ছুটি রিসোর্টের জায়গা প্রায় ৫০ বিঘা। যেখানে রয়েছে স্পোর্টস জোন, সুইমিংপুল, রেস্তোরাঁ এবং ক্যাম্পিংয়ের জায়গা। ২১টি কটেজের পাশাপাশি এখানকার ছনের ঘর, মাছ ধরার সুযোগ, নৌকা ভ্রমণ, পিঠাপুলী এবং সবজি ও ফুল-ফলের বাগান আকৃষ্ট করে দর্শনার্থীদের। তবে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে পাখির কলকাকলী, বাঁদুড় ও শিয়ালের হাঁক, ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক এবং জোনাকি আলো।
১০ মাস আগে
সিঙ্গেলদের ভ্যালেন্টাইন ডে কেমন হতে পারে
শুরু হয়ে গেছে ২০২২ এর ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহ! এখনো যারা ‘দ্যা রাইট ওয়ান’-এর জন্য অপেক্ষা করছেন এমন সিঙ্গেলদের ভ্যালেন্টাইন ডে ক্যামন হতে পারে! অবশ্য যেখানে দ্বিতীয় কোন পক্ষের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করতে হয় না, সেখানে দিন রচনার ব্যাপারটি সম্পূর্ণ নিজের খেয়াল-খুশির ওপরই বর্তায়। এর সঙ্গে একীভূত হয় সবার নিকট নিজেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মেলে ধরা অথবা নিজের তৈরি আলাদা জগতটাকে আরও কারুকার্যমন্ডিত করার বিষয়টি। চলুন জেনে নিই এমন কিছু উদযাপন, যা যে কোন ধরনের সিঙ্গেলদের ভ্যালেন্টাইন্স ডে কে বিশেষ দিনে পরিণত করতে পারে।
শহরের বাইরে ঘুরতে যাওয়া
প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহটি ঘুরাঘুরির জন্য শুধুমাত্র একটি ভনিতা হতে পারে। সঙ্গী হিসেবে বন্ধু-বান্ধব, পরিবার বা আত্মীয়-স্বজন যে কেউ হতে পারে। অবশ্য এক্ষেত্রে সিঙ্গেলদেরই খুঁজে বের করতে হতে পারে। তবে সবকিছুকে উপেক্ষা করে ভ্যালেন্টাইন ডে’র ভোরবেলা একা একাই বেরিয়ে যাওয়া যায় ট্রাভেল ব্যাগ কাঁধে করে। দূর পাল্লার বাসে উঠে ফোনে প্রিয় গানগুলো নিয়ে তৈরি প্লেলিস্টটা ছেড়ে দিয়ে কানে এয়ারফোন লাগিয়ে দৃষ্টি রাখা যায় জানালার ওপাশে ছুটতে থাকা শহরে। দূরের কোন অজ-পাড়া গাঁ, বিলের বুকে নৌকায় ভেসে থাকা অথবা পাহাড় চূড়া থেকে পাখির চোখে নিচের লোকালয় দেখা নিমেষেই ভুলিয়ে দিতে পারে দিনক্ষণ।
আরও পড়ুন: ভ্যালেন্টাইন ডে ২০২২: কয়েকটি সেরা ডিজিটাল উপহার
বন্ধুদের সাথে জম্পেশ আড্ডা
সিঙ্গেলদের ভ্যালেন্টাইন ডে মানেই প্রিয় কোন জায়গায় বসে বন্ধুদের সাথে জমিয়ে আড্ডা। হতে পারে সেটা পাড়ার টঙের দোকান অথবা বাসার ছাদে বা টিএসসির মোড়ে কিংবা চিত্রশালার খোলা উদ্যানে। ঝালমুড়ি, চা খাওয়ার ছুতোয় বেহিসাবি ঘণ্টাগুলো ভুলিয়ে দিতে পারে চারপাশের সবকিছুকে। যারা ইতোমধ্যে পড়াশোনার জীবন পার করে কর্মজীবনে প্রবেশ করে ফেলেছেন তারা প্রায়ই দুঃখ করেন ফেলে আসা বন্ধু-আড্ডার দিনগুলোর জন্য। কেননা বন্ধুরা সব কাছাকাছি থাকলেও ব্যস্ততার জন্য সবাইকে একই সময় পাওয়া যায় না। আর যারা দূরে চলে গেছে তাদের অবস্থা তো আরো করূণ। তাই সিঙ্গেল বন্ধুদের একত্রিত হওয়ার জন্য ভ্যালেন্টাইন ডে টা হতে পারে সেরা উপলক্ষ।
আরও পড়ুন: কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
নতুন বা প্রিয় কোন মুভি বা টিভি সিরিজ অথবা কমেডি শো দেখা
পরিবার বা আত্মীয়-স্বজন অথবা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে মুভি দেখার সময়টি হতে পারে শ্রেষ্ঠ একটি কোয়ালিটি টাইম। আর ব্যস্ততার জন্য কাউকেই পাওয়া না গেলে নতুন বা প্রিয় কোন মুভি ছেড়ে দিয়ে একা একাই বসে যাওয়া যেতে পারে কফি ভর্তি মগ হাতে নিয়ে। গত কয়েক যুগ ধরে চলচ্চিত্রগুলোর পাশাপাশি টিভি সিরিজগুলো বিভিন্ন ধরনের দর্শকদের চাহিদার ভিত্তিতে কন্টেন্ট তৈরি করে আসছে। সব মুভি বা টিভি সিরিজের পটভূমিতেই রোমান্টিক আবহ থাকে না। আর কমেডি শো হলে ভ্যালেন্টাইনের মত হাজারো সপ্তাহ অকপটেই কাটিয়ে দেয়া যায়। এই মাধ্যমটি বিশেষত অফিস পাড়ার সিঙ্গেলদের জন্য ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপনের সেরা উপায় হতে পারে।
আরও পড়ুন: মুকেশ আম্বানিকে হারিয়ে এশিয়ার শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি
পরিবারের সাথে সময় কাটানো
ভ্যালেন্টাইন ডে’কে কেন্দ্র করে বাবা-মা, ভাইবোনদের জন্য গিফ্ট কিনে সেগুলো দেয়ার জন্য ছোট্ট করে মজার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে বাসার মধ্যেই। এখানে পরিবারের সদস্যদের প্রত্যেকে তাদের নিজ নিজ প্রিয় গান গাইতে পারে বা কবিতা আবৃত্তি করতে পারে অথবা শেয়ার করতে পারে নিজের জীবনে প্রিয় কোন মূহুর্ত। বড় পরিবারের ক্ষেত্রে এই আনন্দগুলো আরো বড় হতে পারে। চাচাতো ভাইবোনরা সব একসাথে হয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলা করা, বাড়ি সাজানো, রান্না-বান্না সব মিলিয়ে ক্রিস্টমাস বা ঈদের মতই এক দারুণ সময়ের অবতারণা করা যেতে পারে।
পড়ুন: বিদেশি ভাষা শিক্ষা: যে ভাষাগুলো উন্নত ক্যারিয়ারে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে
নতুন কোন খাবার রান্না করা
যারা রাধতে ভালবাসেন তাদের জন্য ভ্যালেন্টাইন ডে নিঃসন্দেহে একটি চমৎকার দিন। শুধু পরিবারের লোকদেরই নয়; বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-পড়শি অথবা আত্মীয়-স্বজনদের ডেকে ছোট-খাট একটা পার্টির আয়োজন করে পরিবেশন করা যেতে পারে নিজের সেরা রান্নাটা। তাছাড়া নতুন কোন সময়সাধ্য রান্নার জন্য কাজের পর বাকি পুরো দিনটিই নিজের জন্য রেখে দেয়া যেতে পারে। ভ্যালেন্টাইনের আগের দিনেই পরিকল্পনার করে পরের দিন কাজ শেষে বাসায় ফেরার সময় মনের মত বাজার করে নেয়া যেতে পারে। অতঃপর সন্ধ্যার পর থেকে নিজের বিশাল সাম্রাজ্যটাতে যথারীতি আয়োজন করে শুরু করা যেতে পারে প্রিয় রান্নাটি।
পড়ুন: রাজু ভাস্কর্যের সামনে নৃত্যরত ইরা: সপ্রতিভ উত্থানে এক বাংলাদেশি ব্যালেরিনা
নতুন ব্লগ তৈরি
যারা নিজের কাজটি করতে প্রচন্ড ভালবাসেন তাদের আসল ভ্যালেন্টাইন তো সেই কাজটিই। তাই যে কাজে পারদর্শিতা আছে সেরকম কোন কাজ করে তা রেকর্ড করার জন্য ভ্যালেন্টাইন ডে’টা সেরা। হতে পারে সেটা গিটার বাজানো, গান গাওয়া, রান্না, প্রযুক্তি বিষয়ক কোন ভিডিও, এমনকি ঘুরতে যেয়েও ভ্রমণটাকে ভিডিও করে আনা যেতে পারে। অতঃপর ফুটেজগুলোকে মনের মত করে সম্পাদনা করে আপলোড করা যেতে পারে ইউটিউব ও ফেসবুকে। এটি শুধু তৃপ্তির কাজ-ই করা হবে না; পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়ার জন্যও একটি সুদূরপ্রসারি ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: মধু কি সত্যি অমৃত?
সিঙ্গেল নামের স্টেরিওটাইপটি ম্লান হয়ে যেতে পারে বছরের অন্যান্য বিশেষ দিনগুলোর মত ভ্যালেন্টাইন্স ডে’টাও শুরু করলে। মুলত মানসিক প্রশান্তি দিনের ধরনের ওপর নির্ভর করে না। যে কোন অর্জন অথবা নিছক ভালো লাগার উদয় বিশেষায়িত করতে পারে যে কোন সাধারণ দিনকে। শুধু ভ্যালেন্টাইন ডে নয়, এটি যে কোন তথাকথিত বিশেষ দিন এমনকি সপ্তাহের শেষ দিনটির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
আরও পড়ুন: ফের বিয়ে করলেন অভিনেত্রী সারিকা
২ বছর আগে
ভ্যালেন্টাইন ডে ২০২২: কয়েকটি সেরা ডিজিটাল উপহার
প্রাণবন্ত প্রকৃতির এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক আছে ভ্যালেন্টাইন ডে’র সাথে। তা না হলে কেনই বা বসন্ত বরণের সাথেই সময়রেখায় পদচিহ্ন রাখতে হবে! ঝরা পাতার ধুসর বিসর্জনের মুক্তি মেলে গাছে গাছে সবুজ পাতার হৈচৈ-এ। যেন দুঃখময় স্মৃতিগুলোকে চোখ রাঙিয়ে নতুন এক ভালবাসার দিন শুরুতে তৃপ্ত বাতাসে নৌকার পাল ছেড়ে দেয়া। তাতে বৈঠা হাতে হাজারো মানব-মানবীর পরিণয়ের উপাখ্যান। এমনি বিশেষ দিনটিকে চির স্মরণীয় করে রাখতে পারে প্রাণখোলা হাসি, শুভকামনা আর উপহার। ভাবনার রাজপথ জুড়ে প্রিয় মানুষটির অবিরাম পদচারণার টোটেম হিসেবে কাজ করা সেরকমি কয়েকটি ডিজিটাল উপহার নিয়ে আজকের ফিচার।
ডিজিটাল ভ্যালেন্টাইন ডে উপহার ২০২২
ডিজিটাল সাবস্ক্রিপশন
ইন্টারনেটের বদৌলতে টিভি-রেডিওর জায়গাটি এখন দখল করে নিয়েছে অনলাইন স্ট্রিমিং সাইটগুলো। এখন নিজের পছন্দ মতই বেছে বেছে উপভোগ করা যাচ্ছে সাম্প্রতিক মুভি ও সিরিজগুলো।
মুভি ও নাটক পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। নিদেনপক্ষে প্রতিটি স্ট্রিমিং সাইট এখন সব ধরনের দর্শকদের কথা মাথায় রেখেই সম্প্রচার করছে তাদের নিজ নিজ অরিজিনাল কন্টেন্টগুলো।
আরও পড়ুন: লিটল ম্যাগাজিন প্রদর্শনীর সময় বাড়ল
বিশ্ববিখ্যাত ওটিটি (ওভার-দ্যা-টপ) সাইট নেটফ্লিক্সের কন্টেন্টগুলোর জন্য প্রত্যেকেই মুখিয়ে থাকে। এর ৭.৯৯ মার্কিন ডলার বা ৬৮৭ টাকার বেসিক প্যাকেজটি এক মাসের জন্য একটি যুগোপযোগী উপহার হতে পারে। আর ৯.৯৯ মার্কিন ডলার বা ৮৫৯ টাকার স্ট্যান্ডার্ড প্ল্যানটিতে পুরো মাস জুড়ে এমনকি অনেক দূরে থাকলেও দুজনেই উপভোগ করা যাবে নিজ নিজ কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে।
এছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের কন্টেন্ট-এর জন্য হৈচৈ-এর গিফ্ট কার্ড দেয়া যেতে পারে। এর ৬ মাসের প্যাকেজটি ৩১৭ টাকা।
ভার্চুয়াল স্ক্র্যাপবুক
বিভিন্ন উপলক্ষে কার্ড পেতে সবাই ভালবাসে। ভ্যালেন্টাইন ডে তে নানা গিফ্ট শপগুলো আকর্ষণীয় নকশায় তৈরি করে থাকে কার্ডগুলো। কিন্তু স্ক্র্যাপবুক এই কার্ডের ধারণাকে দিয়েছে এক অভাবনীয় মাত্রা। কার্ডের নকশা ছাড়াও এখানে জুড়ে দেয়া যায় ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে তোলা বিভিন্ন আকারের ছবি। আর এর ডিজিটাল ভার্সনটির নয়নাভিরাম কন্টেন্টগুলো গ্রাহকদের মধ্যে রীতিমত মন্ত্রমুগ্ধতা সৃষ্টি করে। ফটোশপ সহ ইন্টারনেট জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফটো ইডিটরগুলোর জন্য দারুণ স্ক্র্যাপবুকগুলো এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ব্যবহারকারিদের অনেকেই সেই গ্রাফিক্যাল কন্টেন্টগুলো রীতিমত নিয়ম করে কালেকশানে রাখে। তাই ভ্যালেন্টাইন ডে’র উপহার হিসেবে এটি একটি সেরা উপায় হতে পারে।
আরও পড়ুন: সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর: ভারতীয় সংগীতের জগতে অবিস্মরণীয় উজ্জ্বল নক্ষত্র
এগুলো কেনা যেতে পারে বিশ্বখ্যাত ই-কমার্স সাইট অ্যামাজন থেকে। তবে একটু সৃজনশীলতা খাটালে নিজে নিজেই বানিয়ে নেয়া যায় মনোমুগ্ধকর কিছু স্ক্র্যাপবুক। ইন্টারনেটের যে কোন একটি ইমেজ ইডিটর দিয়ে খুব সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় ভার্চুয়াল স্ক্র্যাপবুক। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় একটি সাইট হচ্ছে ক্যানভা। এর স্যাম্পল টেমপ্লেটগুলো ইডিট করে প্রিয় মানুষটির সাথে কাটানো সেরা মুহুর্তের ছবিগুলো একত্রিত করে অনায়াসেই বানিয়ে ফেলা যায় স্ক্র্যাপবুক। সাথে সাথে শেয়ারও করে দেয়া যায় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
অনলাইন জুকবক্স
শুধুমাত্র একটি স্থির চিত্র দিয়ে পটভূমিতে একসাথে অনেক গুলো গান বাজতে দেখা যায় জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সামাজিক মাধ্যম ইউটিউবে। এটি ক্যাসেট প্লেয়ারের যুগের এ্যালবামে গান শোনার নস্টালজিয়া দেয়। মূলত অনলাইনে বিভিন্ন সাইট বা ইউটিউবেরই বিভিন্ন চ্যানেল থেকে সংগৃহীত গানের প্লেলিস্ট দিয়ে সাজানো হয় এই ডিজিটাল জুকবক্সগুলো।
ইউটিউবে এরকম প্লেলিস্ট তৈরি করা খুবই সহজ। যে কোন ভিডিও দেখার সময় ভিডিও ঠিক নিচেই সেভ বাটনে ক্লিক করে নতুন প্রদর্শিত ছোট্ট স্ক্রিণটি থেকে ক্রিয়েট নিউ প্লেলিস্টে ক্লিক করলেই তৈরি হয়ে যাবে প্লেলিস্ট। অতঃপর একে একে প্রিয় গানগুলোর ভিডিওতে যেয়ে সেগুলোকে এই প্লেলিস্টে অন্তর্ভূক্ত করা যাবে। তারপর ইউটিউবের হোম পেজ থেকে বা দিকে প্রদর্শিত সদ্য তৈরিকৃত প্লেলিস্টে ক্লিক করলে প্লেলিস্টটির নিজস্ব পেজ প্রদর্শিত হবে। আর ব্রাউজারের একদম উপর থেকে এই পেজটির ঠিকানা কপি করে নিয়ে শেয়ার করা যাবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: রাজু ভাস্কর্যের সামনে নৃত্যরত ইরা: সপ্রতিভ উত্থানে এক বাংলাদেশি ব্যালেরিনা
ভিডিও ডায়েরি
এটাকে বলা যেতে পারে ভার্চুয়াল স্ক্র্যাপবুকের ভিডিও ভার্সন। প্রিয় মানুষটির সাথে কাটানো সেরা মুহূর্তগুলোর ফুটেজ নিয়ে বানানো যেতে পারে এই ভিডিও ডায়েরি। ছোট-খাট একটা ফিল্মে পরিণত হবে ভিডিও ডায়েরিটা। ভিডিও ইডিটিং-এর মত বড় কাজ মনে হলেও এই ভিডিও তৈরি মোটেই তা নয়। ভিডিও বানানোর কারিগরি জ্ঞান থাকলে ভালো, তবে না থাকলেও তৈরি করা যাবে একদম নিখুঁত মানের ভিডিও। অনলাইনে খুঁজলে এমন অনেক ভিডিও ইডিটর পাওয়া যাবে, যেখানে ক্যামেরা দিয়ে তোলা ফুটেজগুলো পরপর বসিয়ে বানানো যাবে দারুণ একটি ভিডিও। জলছাপকে ঝামেলা মনে হলে কিনে ফেলতে হবে সেই ভিডিও ইডিটরটির সাবস্ক্রিপশন। তবে এক্ষেত্রে জলছাপ উপেক্ষা করে কন্টেন্টে জোর দেয়াটাই উত্তম। এই ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ভিডিও টেমপ্লেট পাওয়া যায় রেন্ডারফরেস্ট-এ। এত উন্নত মানের, প্রোফেশনাল এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ টেমপ্লেট অনলাইনে নেই বললেই চলে। এখানকার স্লাইডশোগুলোও বেশ চমৎকার। এর প্রোফেশনাল ইন্ট্রো ও ইন্ডিং ভিডিও সংযোজন করার পর তৈরিকৃত ভিডিও ডায়েরিটিকে মনে হতে পারে পরিপূর্ণ একটি শর্টফিল্ম।
পরিশেষে
প্রযুক্তির ক্রমবিকাশে সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়েছে মানুষের মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম। একই পাত্রে রঙ বদলেছে প্রয়োজনীয়তাগুলো। এর মাঝেও মানুষ আগলে রেখেছে তাদের আদিম ও অকৃত্রিম অনুভূতিগুলোকে। ডিজিটাল ভ্যালেন্টাইন ডে উপহার দেয়ার মাধ্যমগুলো যেন তারই জানান দিচ্ছে। হাত দ্বারা স্পর্শনীয় বস্তুগুলো বর্তমানে শুধু দর্শনেন্দ্রিয় ও শ্রবণেন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করা বস্তুতে রূপান্তর হলেও, শুভকামনা দেয়ার ছলে অটুট রয়েছে যত্ন নেয়ার ভনিতাটি।
২ বছর আগে