বরখাস্ত
যশোরে শিক্ষিকার নাক ফাটানো সেই ট্রেনপরিচালক বরখাস্ত
যশোরে লাথি মেরে শিক্ষিকার নাক ফাটানো সেই ট্রেনপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার মো. মাসুদ রানা।
তিনি জানান, একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের পর রেলওয়ে পাকশী কর্তৃপক্ষ ভুক্তভোগী শিক্ষিকার অভিযোগ পেয়ে ট্রেনের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। তাছাড়া তাকে ট্রেনের সব প্রকার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। শিক্ষিকার অভিযোগ আমলে নিয়ে অচিরেই বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: খুলনায় বগী লাইনচ্যুত, ২ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে নওয়াপাড়া রেলস্টেশনে বেনাপোলগামী ট্রেনপরিচালকের লাথিতে নাক ফেটে আহত হন স্কাউটে অংশ নিতে যাওয়া এক স্কুলশিক্ষিকা। তাছাড়া ওই পরিচালকের লাঠির আঘাতে ইরিন জাহান লিজা নামে এক স্কুলছাত্রীও আহত হয়।
এ দৃশ্য দেখে ট্রেনযাত্রীরা হতভম্ব ও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
জানা যায়, ঝিকরগাছায় অনুষ্ঠেয় স্কাউটের পুষ্প ক্যাম্পে অংশ নিতে যাওয়া এক স্কুলশিক্ষিকা তার স্কুলের দুই শিক্ষার্থীকে নিয়ে বেনাপোলগামী ট্রেনে যেতে চান। প্রচণ্ড ভিড়ে ট্রেনে উঠতে না পেরে ওই স্কুলশিক্ষিকা শিক্ষার্থী দুজনকে ট্রেনের মাঝ বরাবর থাকা ট্রেনপরিচালকের (গার্ড) রুমের সামনে গিয়ে তাদের উঠাতে অনুরোধ করেন। ট্রেন ছাড়ার মুহূর্তে বারবার অনুরোধের একপর্যায়ে ট্রেনের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন ক্ষিপ্ত হয়ে ওই স্কুলশিক্ষিকার মুখে লাথি মারেন এবং লাঠি দিয়ে এক ছাত্রীকে বেধড়ক পেটান। ট্রেনপরিচালকের লাথিতে শিক্ষিকার নাক দিয়ে রক্ত বের হয়। তা ছাড়া লাঠির আঘাতে স্কুলছাত্রী ইরিন জামান লিজাও আহত হয়।
বিষয়টি সম্পর্কে নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার মো. মাসুদ রানা জানান, ঘটনার দিনে তিনি স্টেশনে ছিলেন না। শনিবার তিনি ভুক্তভোগী শিক্ষিকাকে ফোন করে দুঃখ প্রকাশ করেন।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অচিরেই বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে যমুনা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল, ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের ট্রেন চলাচল বন্ধ
ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে রিকশাচালকের মৃত্যু
বরিশালে নার্সিং শিক্ষার্থীকে শ্লীলতহানির চেষ্টা, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী বরখাস্ত
বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং কলেজের এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পড়ে ওই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। পাশাপাশি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৪ এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ইফাত সনত হাসপাতালের ৪ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।
বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা জানায়, ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী সকালে মেডিসিন ওয়ার্ডে ডাক্তার দেখাতে গেলে ডাক্তারের সহকারি চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইফাত সনত ওই ছাত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। পরে ওই ছাত্রীর আইডি কার্ডের ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেয় এবং দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এই ঘটনার বিচার দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেডিকেল কলেজ হাপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ছাত্রীকে শারীরিকভাবে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, চিকিৎসা নিতে মেডিসিন বিভাগে গেলে সেখানে থাকা চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইফাত সনত আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে এবং গায়ে হাত দেয়। এ ছাড়াও ওই ব্যক্তি আমার আইডি কার্ডের ছবি তুলে সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে। এমনকি এই ঘটনার পরে আমি ক্যান্টিনের সামনে দিয়ে আসার সময় বাজে মন্তব্য করে। আজ আমার সঙ্গে ঘটেছে, পরবর্তীতে যে এমনটা হবে না অন্য কারো সঙ্গে তার নিশ্চয়তা কে দিবে? আমি এর সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাই।
এই বিষয়ে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত ইফাত সন্যামতকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তকে স্থায়ী বহিস্কার করা হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত, পুলিশে সোপর্দ
যৌন হয়রানির অভিযোগে খুবির আরেক শিক্ষক বরখাস্ত
কুষ্টিয়ায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত, পুলিশে সোপর্দ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পঞ্চম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানির মামলায় বরখাস্ত প্রধান শিক্ষককে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় পুলিশে সোপার্দ করেছেন এলাকাবাসী।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. আব্দুল হালিম (৪০)। তিনি উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের কাশিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং কয়া ইউনিয়নের খলিশাদহ গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে।
জানা যায়, বরখাস্ত হওয়ার পরও অভিযুক্ত ওই শিক্ষক নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসছেন। এমনকি আইন অমান্য করেই চালিয়ে যাচ্ছেন উপবৃত্তি, মাসিক রিটার্নসহ কার্যালয়ের নানা কার্যক্রম। বৃহস্পতিবারও বিদ্যালয়ে মাসিক রিটার্ন তৈরির কাজে আসেন ওই শিক্ষক। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন বিদ্যালয়ের মাঠে ভিড় জমাতে থাকেন। লোকজন দেখে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন শিক্ষককে ধরে বিদ্যালয়ের কক্ষে আটক করে পুলিশ ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের খবর দেন।
পরে খবর পেয়ে দুপুর দেড়টার দিকে ওই শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এসময় উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা. জিন্নাত আরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চলন্ত বাসে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি: গ্রেপ্তার চালকের রিমান্ড মঞ্জুর
পুলিশ, শিক্ষা কার্যালয় ও মামলার বাদী সূত্রে জানা গেছে, ‘টিসি দেয়ার ভয় দেখিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি একাধিকবার ভুক্তভোগীর শ্লীলতাহানি করেছে। সর্বশেষ গত ২৩ আগস্ট দুপুরে ভুক্তভোগী তার পরিবারের সদস্যদের শ্লীলতাহানির কথা জানায়। পরে গত ২ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কুমারখালী থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর মা।
এরপর অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক গত ২০ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোয় বিভাগীয় উপপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা খুলনা বিভাগ অভিযুক্ত শিক্ষককে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
এসময় বিভাগীয় উপপরিচালক জানান, যতদিন মামলা চলমান থাকবে, ততদিন ওই শিক্ষক বরখাস্ত থাকবেন। বিদ্যালয়ে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন না।
এবিষয়ে স্থানীয় একজন বলেন, ‘অভিযুক্ত মাস্টারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বরখাস্ত হয়েও বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করতেছে। আজ আমরা আটক করে রেখেছি। এর একটা বিচার হওয়া দরকার।'
গরিবুল্লাহ নামের আরেকজন বলেন, 'বহিস্কৃত হয়ে কিভাবে স্কুলে আসে তিনি। তার (শিক্ষক) জন্য মেয়েরা স্কুলে আসা বন্ধ করে দিছে। এমন শিক্ষকের ফাঁসি হওয়া উচিত।'
এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক বলেন, 'অন্যান্য শিক্ষকেরা অফিসের কাজ বুঝতে পারছিলোনা। তাই সহযোগিতা করার জন্য বিদ্যালয়ে এসেছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাসানুজ্জামান বলেন, 'স্যারের কোনো দোষ নেই। আমরা বিদ্যালয়ের সব কাজ বুঝিনা। তাই স্যারকে ডেকেছিলাম। ভুল হয়েছে। আর এমন হবেনা।'
উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা. জিন্নাত আরা বলেন, 'প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত রয়েছেন। উপজেলা অফিসে হাজিরা দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার সকালেও হাজিরা দিয়েছেন। কাউকে না জানিয়েই তিনি বিদ্যালয়ে গেছেন। কিন্তু তিনি বিদ্যালয়ে যেতে পারবেন না, কোনো কাজও করতে পারবেন না। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।'
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, 'খবর পেয়ে অবরুদ্ধ শিক্ষককে উদ্ধার করে থানা আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরে বিস্তারিত বলা যাবে।'
আরও পড়ুন: জিন তাড়ানোর নামে কিশোরীর শ্লীলতাহানি, গ্রেপ্তার ১
খুলনায় কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ
গাজীপুরে পরীক্ষার হল থেকে উত্তরপত্র নিখোঁজ, দুই পরিদর্শক সাময়িক বরখাস্ত
গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র নিখোঁজ হওয়ায় দুই পরিদর্শককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
পরীক্ষাকেন্দ্রের সূত্র থেকে জানা গেছে যে বৃহস্পতিবার টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজ কেন্দ্রে রসায়ন বিভাগের দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় অংশ নেয়ায় টঙ্গীর সাহাজ উদ্দিন সরকার স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রকে এ ঘটনায় জড়ানো হয়।
আরও পড়ুন: পেপার স্প্রে করে জঙ্গি ছিনতাই: আদালতের ৫ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
পরীক্ষাকেন্দ্র সচিব ও টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ মো. আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘যদিও আমার কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭৮০ জন, আমরা গণনার সময় ৭৭৯টি উত্তরপত্র পেয়েছি। আমরা ওই পরীক্ষার্থীকে ডেকে তাকে অনুপস্থিত উত্তরপত্র সম্পর্কে প্রশ্ন করি, যার উত্তরে সে বলে যে তার কক্ষের পরিদর্শকদের কাছে উত্তরপত্র জমা দেয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কর্মকর্তাদের ঘটনাটি জানিয়েছি।’
গাজীপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা জানান, দুই পরিদর্শক আতিউর রহমান ও মনিরা খানমকে তাদের দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে।
রেবেকা বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। তারা নিখোঁজ উত্তরপত্র ও পরিদর্শকদের ক্ষেত্রে কী করা যায় তা নির্ধারণ করবেন।’
আরও পড়ুন: খুবির ৩ শিক্ষকের বরখাস্ত-অপসারণ অবৈধ: হাইকোর্ট
বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা স্থগিত
পেপার স্প্রে করে জঙ্গি ছিনতাই: আদালতের ৫ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
রাজধানীর মূখ্য বিচারিক হাকিম আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের ওপর পেপার স্প্রে করে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় আদালতের পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন-সিএমএম আদালতের হাজতখানার কোর্ট ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান, হাজতখানার ইনর্চাজ (এসআই) নাহিদুর রহমান ভুইয়া, আসামিদের আদালতে নেয়ার দায়িত্বরত পুলিশের এটিএসআই মহিউদ্দিন, কনেস্টেবল শরিফ হাসান ও আব্দুস সাত্তার।
সোমবার (২১ নভেম্বর) ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে।
আরও পড়ুন: আদালত থেকে জঙ্গির পলায়ন: রেড অ্যালার্ট জারি
এর আগে রবিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা।
এসময় আসামি আরাফাত ও সবুরকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে জঙ্গিরা। পরে ঘটনাস্থল থেকে আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞানামা আসামি করা হয় আরও সাত থেকে আটজনকে।
কোতোয়ালি থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ।
শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে সাগর ওরফে বড় ভাই ওরফে মেজর জিয়ার (চাকরিচ্যুত মেজর) পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় আয়মান ওরফে মশিউর রহমান (৩৭), সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক (২৪), তানভীর ওরফে সামশেদ মিয়া ওরফে সাইফুল ওরফে তুষার বিশ্বাস (২৬), রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ওরফে সুমন (২৬) ও মো. ওমর ফারুক ওরফে নোমান ওরফে আলী ওরফে সাদ (২৮) পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে।
এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুটি মোটরসাইকেলযোগে আনসার আল ইসলামের অজ্ঞাতনামা পাঁচ থেকে ছয়জন সদস্য অবস্থান নেয়। এছাড়াও আদালতের আশপাশে অবস্থান করা অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জন আনসার আল ইসলামের সদস্য আদালতের মূল ফটকের সামনে অবস্থান করে।
এরপর তারা পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, রবিবার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে কাশিমপুর থেকে ১২ জন আসামিকে ঢাকার আদালতে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে আসা হয়।
সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকার প্রসিকিউশন বিভাগে আসামিদের হাজিরা দেয়ার জন্য সিজেএম আদালত ভবনের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইবুনাল ৮-এ নিয়ে যাওয়া হয়।
এ মামলার শুনানি শেষে জামিনে থাকা ১৩ নম্বর আসামি মো. ঈদী আমিন (২৭) ও ১৪ নম্বর আসামি মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি (২৪) আদালত থেকে বের হয়ে যায়। এরপর বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে আদালতের মূল ফটকের সামনে পৌঁছানো মাত্র আগে থেকেই দুটি মোটরসাইকেলযোগে অজ্ঞাতনামা আনসার আল ইসলামের পাঁচ থেকে ছয়জন সদস্য, আদালতের আশপাশে অবস্থানরত আনসার আল ইসলামের আরও ১০/১২ জন সদস্য হামলা করে।
তারা কনস্টেবল আজাদের হেফাজতে থাকা আসামি মইনুল হাসান শামিম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান (২৪), মো. আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪) মো. আরাফাত রহমান (২৪) ও মো. আ. সবুর ওরফে রাজু ওরফে সাদ ওরফে সুজনকে (২১) ছিনিয়ে নিতে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে।
কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তাদের কর্মকাণ্ডে বাধা দিলে আসামিদের মধ্যে কোনো একজন তার হাতে থাকা লোহা কাটার যন্ত্র দিয়ে কনস্টেবল আজাদের মুখে আঘাত করে।
আরও পড়ুন: ডিবি পরিচয়ে ছিনতাই: ২ মাস পর প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা
খুবির ৩ শিক্ষকের বরখাস্ত-অপসারণ অবৈধ: হাইকোর্ট
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) এক শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং দুই শিক্ষককে অপসারণ করাকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
শিক্ষকদের আবেদনে জারি করা রুল শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
ওই তিন শিক্ষক হলেন-বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী শিক্ষক মো. আবুল ফজল, ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরী ও বাংলা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক শাকিলা আলম।
আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে জামিন পেলেন দণ্ডিত এনামুল বাছির
তিনি সাংবাদিকদের জানান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই তিন শিক্ষককে ২০২০ সালের ১ ও ২ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানানোর কারণে চাকরিচ্যুত করা হয়। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করেন তিন শিক্ষক। টানা দুই সপ্তাহ শুনানি শেষে উচ্চ আদালত আজ শিক্ষকদের চাকরি থেকে বরখাস্ত ও অপসারণের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন এবং তিন শিক্ষককে চাকরিতে পুনর্বহাল করার আদেশ দিয়েছেন।
ওই শিক্ষকদের ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় বরখাস্ত ও অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়। পরে ২৮ জানুয়ারি এ বিষয়ে চিঠি ইস্যু করেন রেজিস্ট্রার। সে চিঠি প্রত্যাহার চেয়ে ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শিক্ষকদের পক্ষে নোটিশ পাঠানো হয়। সেই নোটিশের জবাব না পেয়ে তারা এ রিট দায়ের করেন।
২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রিটের শুনানি শেষে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি স্থিতাবস্থার আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: জামায়াত সেক্রেটারিকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
শর্ত সাপেক্ষে নর্থ সাউথের সাবেক ২ ট্রাস্টির হাইকোর্টে জামিন
দুর্নীতি মামলায় বরখাস্ত ডিআইজি বজলুর রশীদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি, প্রিজন) বজলুর রশীদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়াও তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আদালত তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বহিষ্কৃত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
শনিবার উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায় দেয়ার জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন আদালত।
দুদক ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর বরখাস্ত ডিআইজি ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে এবং তিন কোটি ১৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর একই দিনে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট সাবেক ডিআইজির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। ২২ অক্টোবর বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আরও পড়ুন: বহিষ্কৃত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ
পাওয়ার গ্রিড বিপর্যয়: পিজিসিবির বরখাস্ত ২ কর্মকর্তার নাম প্রকাশ
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) দায়িত্বে অবহেলার জন্য সরকার কর্তৃক সাময়িক বরখাস্ত করা তাদের দুই কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করেছে। যাদের কারণে গত ৪ অক্টোবর দেশব্যাপী গ্রিড বিপর্যয় হয়েছিল।
পিজিসিবির জনসংযোগ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সাময়িক বরখাস্তকৃত কর্মকর্তারা হলেন- উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আল্লামা হাসান বখতিয়ার (এসপিএমডি, ঢাকা-১), এবং সহকারী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান (এসপিএমডি, ঢাকা-১)।
এর আগে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, সাম্প্রতিক জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের জন্য পিজিসিবির দুই প্রকৌশলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে।
ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর রবিবার সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আজ থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে পিজিসিবির একজন সহকারী প্রকৌশলী ও একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই সপ্তাহের মধ্যে ঘটনার জন্য দায়ী অন্যদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’গত ৬ অক্টোবর বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি ৪ অক্টোবরে জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের কারণগুলো চিহ্নিত করার জন্য একটি সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে।
তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কমিটিকে তিন দিন সময় দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং বরখাস্ত
যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেংকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউকে প্রধানমন্ত্রী ট্রাস শুক্রবার মিনি-বাজেটের কিছু অংশে ইউ-টার্ন ঘোষণা করবেন এমন জল্পনা-কল্পনার মধ্যে খবরটি আসে।
এর মানে হলো যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর পদে সবচেয়ে কম সময়ের রেকর্ডে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসলো কোয়ার্টেং এর নাম।
১৯৭০ সালে চাকরি নেয়ার ৩০ দিন পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সবচেয়ে কম সময়ের চ্যান্সেলর বা অর্থমন্ত্রী ইয়ান ম্যাক্লিওড।
২০১৯ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের চারজন চ্যান্সেলর হয়েছেন। যার মধ্যে নাদিম জাহাভি যিনি বরিস জনসনের অধীনে একটি স্বল্পস্থায়ী রদবদলের সময় ৬৩ দিনের জন্য তৃতীয় সংক্ষিপ্ততম মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং সাজিদ জাভিদ যিনি ২০৪ দিন দায়িত্ব পালন করেছিলেন। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর চতুর্থ সংক্ষিপ্ততম মেয়াদ ছিল।
কোয়াসি কোয়ার্টেং- যিনি যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর হিসাবে তার চাকরির বাইরে রয়েছেন – কেবলমাত্র তিনি নিশ্চিত করেছেন যে তিনি ছেড়ে দেয়ার পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস তাকে বরখাস্ত করেছেন।
তিনি খবরটি নিশ্চিত করে একটি চিঠি টুইট করেছেন, বলেছেন যে তাকে ‘একপাশে দাঁড়াতে বলা হয়েছে’।
অর্থনৈতিক স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের এ পরিকল্পনার জন্য শুভকামনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে সহকর্মী এবং বন্ধু ছিলাম।’
তিনি নেপথ্যে থেকে ট্রাসের প্রতি তার সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ২৩ সেপ্টেম্বর তার মিনি-বাজেটের পরে বাজারের অস্থিরতা স্বীকার করেছেন কোয়ার্টেং।
তিনি লিখেছেন যে তার পরিকল্পনা প্রকাশের পর ‘অর্থনৈতিক পরিবেশ দ্রুত পরিবর্তিত হয়েছে’ যার মধ্যে রয়েছে ৪৫ বিলিয়ন ইউরো ট্যাক্স কর্তন করে সরকারি ঋণে অর্থায়ন করা।
কোয়ার্টেং বলেছেন, ‘আমরা যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি তা অবিশ্বাস্যভাবে কঠিন জেনেই কাজটি নিয়েছিলাম।’
তিনি যে পদক্ষেপগুলো ঘোষণা করেছিলেন সেগুলোর পক্ষ নিয়ে তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং বিদ্যুতের দামের মতো সমস্যাগুলোকে মোকাবিলা করার জন্য ‘স্থিতাবস্থা অনুসরণ’ করার আর কোনও ‘বিকল্প ছিল না’।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বৃহস্পতিবার
যুক্তরাজ্যে শিশুদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন, টিকটককে গুনতে হতে পারে বড় জরিমানা
গাজীপুরের বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ফরিদপুরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া গাজীপুরের সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ফরিদপুরের একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
গত বুধবার ফরিদপুরে জেলার ৩নং আমলী আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট এ আদেশ জারি করেন।
আরও পড়ুন: জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত কেন অবৈধ নয়, জানতে চান হাইকোর্ট
জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটি’র পক্ষে সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
মামলার বাদি আইনজীবি কামাল হোসেন জানান, ফরিদপুরের ৩নং আমলী আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদ উদ্দিনের আদালত ৫০৪/৫০৫/৫০৫ (ক) ধারায় আসামি জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২২ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় করা সাতটি মামলায় তিনি বর্তমানে আগাম জামিনে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: এবার পঞ্চগড়ে মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা
জাহাঙ্গীর আলম সাময়িক বরখাস্ত, গাজীপুরে তিন সদস্যের প্যানেল মেয়র গঠন