মামলা
দুর্নীতি মামলা: সাত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার আগাম জামিন
দুর্নীতি মামলায় সাত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জামিন পাওয়া সাত কর্মকর্তা হলেন-ড. স্বপন কুমার রায়, ড. শিরীন আক্তার জাহান, ড. মো. শাহরিয়ার বাশার, ড. মালা খান, ড. মোহাম্মদ নাজিম জামান, ড. তুষার উদ্দিন ও ড. দীপা ইসলাম। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তবে তারা বিদেশ যেতে চাইলে আদালতের অনুমতি নিয়ে যেতে হবে বলে হাইকোর্ট শর্ত দিয়েছেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দস কাজল। সাথে ছিলেন আইনজীবী আকতার রসুল, মোসাদ্দেক বিল্লাহ, নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ ও আব্দুল্লাহিল মারুফ ফাহিম। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
আরও পড়ুন: সিনহার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা: জামিন পেলেন নাজমুল হুদা
আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, বিমা প্রিমিয়ামের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাধারণ বীমা করপোরেশন, এক্সিম ব্যাংক, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের ৩৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির মামলার চার্জশিট গত ১৬ নভেম্বর অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে তাদের বিদেশ যেতে হলে আদালতের অনুমতি লাগবে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সাধারণ বীমা করপোরেশনের সাবেক ম্যানেজার ও শাখা প্রধান মো. আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে ডকুমেন্ট তৈরি করে বিমা প্রিমিয়ামের প্রায় ২৬ কোটি ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ২০৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ৯ নভেম্বর মামলা করেছিল দুদক। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ জুলাই সাধারণ বিমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপক মো. আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার করে দুদক।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর, মুক্তিতে ‘বাধা নেই’
সিনহার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা: জামিন পেলেন নাজমুল হুদা
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা পাল্টা মামলায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালতে নাজমুল হুদা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
আজ মামলাটি চার্জশিট আমলে গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। বিচারক চার্জশিট আমলে নিয়ে বিশেষ জজ আদালত-৯ এ বদলির আদেশ দেন। একই সঙ্গে মামলাটি চার্জ গঠনের জন্য ১৩ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: ঘুষ গ্রহণ মামলা: আপিল বিভাগে নাজমুল হুদার জামিন
এর আগে, গত ৭ অক্টোবর চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নিজের বিরুদ্ধে নিষ্পত্তি হওয়া একটি মামলার রায় বদলে দেয়া হয়েছে ও উৎকোচ চাওয়া হয়েছে, এস কে সিনহার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করে ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় মামলা করেন নাজমুল হুদা।
মামলার চার্জশিটে সে সময় নাজমুল হুদা দাবি করেন, উচ্চ আদালতে ডিসমিস করার পরও প্ররোচিত হয়ে মামলাটির রায় পরিবর্তন করা হয়। মামলাটি ডিসমিস করতে দুই কোটি টাকা এবং আরও একটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টির অর্ধেক অর্থাৎ এক কোটি ২৫ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করেন সিনহা। তবে দেড় বছরের তদন্তে নাজমুল হুদার এ অভিযোগের কোনো প্রমাণ পায়নি দুদক।
মিথ্যা অভিযোগ করায় গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
মামলার বিষয়ে তৎকালীন দুদকের সচিব মুহাম্মদ দেলোয়ার বখত বলেছিলেন, নাজমুল হুদা যে মামলাটি করেছেন, সেটি একেবারেই ভিত্তিহীন। দুদকের অনুসন্ধানেও আমরা সেটা প্রমাণ পেয়েছি। দুদক আইনের ২৮ এর ২ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন আর সেটি যদি তদন্তে বেরিয়ে আসে, তাহলে অভিযোগ দায়েরকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে।
আরও পড়ুন: ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ: নাজমুল হুদা দম্পতির মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ
নাজমুল হুদা দম্পতির জামিন বৃদ্ধি
নড়াইলে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
নড়াইলে হত্যা মামলায় পলাশ মিনা (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ৫০ হাজার জারিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী মশিয়ার রহমান এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাশ মিনা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী ঠান্ডু সরদারকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায় আসামি পলাশ মিনা। রাতে ঠান্ডু সরদার বাড়িতে ফিরে না আসায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরেরদিন দুপুরে ইতনা বালিকা বিদ্যালয়ের পাশের ক্ষেত থেকে ঠান্ডুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আসামি পলাশ মিনা ভুক্তভোগী ঠান্ডু সরদারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহত ঠান্ডুর মা গোলাপী বেগম বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় ১ ব্যক্তির যাবজ্জীবন
নড়াইলে হত্যা মামলায় ছেলের মৃত্যুদণ্ড, বাবাসহ ২ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যা: গ্রেপ্তার ১
কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া পাড়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত সিটি করপোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও আওয়ামী লীগ নেতা হরিপদ সাহা হত্যা মামলায় এজহারভুক্ত আসামি সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার রাতে নগরীর কুচাইতলি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে ঘটনার প্রায় ৩৫ ঘণ্টা পর নিহত কাউন্সিলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে সুমনসহ ১১ জন নামীয় এবং ১০ জন অজ্ঞাতের নামে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কার্যালয়ে ঢুকে কাউন্সিলরসহ দু’জনকে গুলি করে হত্যা
জেলার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদর জানান, এ মামলার এজহারভুক্ত আসামি সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গেল সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ সময় গুলিতে কাউন্সিলরের সহযোগী হরিপদও নিহত হন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কাউন্সিলরকে গুলি করে হত্যা: ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কুমিল্লায় কাউন্সিলরকে গুলি করে হত্যা: ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলকে নগরের পাথুরিয়াপাড়ার কার্যালয়ে ঢুকে গুলি করে হত্যার একদিন পর হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় এজহার নামীয় ১১ জনসহ মোট ২১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে নিহত সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ রুমন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল আজীম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে।
ওই সন্ত্রাসীরা বহু মামলার আসামি বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ সময় গুলিতে কাউন্সিলরের সহযোগী হরিপদও নিহত হন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে, মঙ্গলবার জানাযা শেষে সোহেলের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সৈয়দ মো. সোহেল ২০১২ ও ২০১৭ সালে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্যানেল মেয়র ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কার্যালয়ে ঢুকে কাউন্সিলরসহ দু’জনকে গুলি করে হত্যা
কুমিল্লা ইপিজেডে স্টোররুমের বোর্ড ধসে নারী শ্রমিকের মৃত্যু
শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা: খালাসের বিরুদ্ধে আপিল
তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার মামলায় সকল অসামিকে খালাস দেয়ার আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষ ফৌজদারি আপিল দায়ের করেছেন।মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ও বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীর আপিলটি করেন।আদালতের বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম আপিলটি আমলে নিয়ে ৩০ নভেম্বর আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানির জন্য ধার্য্য করেন।
আরও পড়ুন: রিজেন্সির কবির-ফাহিমের জামিন বিষয়ে আদালতের ব্যাখ্যা তলবআসামিরা হলেন, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন, বিএনপি নেতা সরোয়ার আলম, মুকুল খান, হান্নান শরীফ, বদিউজ্জামান মিন্টু, আ. আউয়াল লোকমান, ঝিন্টু তালুকদারসহ ১৬ জন। সকল আসামিদের বাড়ি গৌরনদী উপজেলায়।মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালে ১ এপ্রিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা গৌরনদীতে জনসভায় যোগ দিতে ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। বেলা সাড়ে ১২ টায় গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছা মাত্র আসামিরা তার গাড়ি বহরে হামলা করেন। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এর আগে জনসভা স্থলের মঞ্চে হামলা ও ভাঙচুর চালায় আসামিরা। দুই হামলায় গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন আহ্ববায়ক কালিয়া দমন গুহ ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হক গুরুতর আহত হয়।তখন বিএনপি ক্ষমতায় থাকায় মামলা দায়ের করতে ব্যর্থ হয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরবর্তীতে গৌরনদী থানায় ২০০৯ সালের ২০ জুলাই মামলা দায়ের করেন। পরে তিনজন তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্ত শেষে ৪০ জন আসামির বিরুদ্ধে ২০১১ সালে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ২০১৩ সালের ১৯ মে জহির উদ্দিন স্বপনসহ ১৬ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। ওই সময় ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম শিহাবুল ইসলাম আসামিদের খালাস দেন।
আরও পড়ুন: পরিবেশের ডিজিসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুলআপিলে উল্লেখ করা হয়, ওই রায়ে ৪০ জন আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্বেও ১৬ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন, ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, অভিযোগকারী ও জখমি নুরুল হক এবং ডাক্তার সমির মিত্রের সাক্ষী গ্রহণ না করাসহ একাধিক কারণে রাষ্ট্রপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।আপিল দায়েরকারী বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ও বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীর বলেন, তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার মামলার রায় ন্যায় বিচারের পরিপন্থী হওয়ায় আপিল দায়ের করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় ১ ব্যক্তির যাবজ্জীবন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে মমিনুল ইসলাম হত্যা মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. সুফিয়ান জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের পারকালুপুর গ্রামে। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রবিউল ইসলাম আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে হত্যা মামলায় ছেলের মৃত্যুদণ্ড, বাবাসহ ২ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আঞ্জুমান আরা জানান, শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের পারকালুপুর গ্রামের মমিনুল ইসলামের বাড়ির টয়লেট নির্মাণকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সালের ২০ জুলাই প্রতিপক্ষ সুফিয়ানের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সুফিয়ান মমিনুলের গলায় হাসুয়া দিয়ে আঘাত করলে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহত’র স্ত্রী সীমা বেগম বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় সুফিয়ানকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এস আই) বানী ইসরাইল একই সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সুফিয়ানকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণাদী শেষে সোমবার দুপুরে আদালতের বিচারক উপরোক্ত রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
ডাকাত সন্দেহে ৬ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায় ২ ডিসেম্বর
২০১১ সালে রাজধানীর সাভারের আমিনবাজারে ডাকাত সন্দেহে ছয় শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য ঢাকার একটি আদালত আগামী ২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন। সোমবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইসমত জাহান এ দিন ধার্য করেন।
২০১১ সালের ১৭ জুলাই ভোরে রাজধানীর উপকণ্ঠে সাভারের আমিনবাজারে ছয় শিক্ষার্থীকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা পিটিয়ে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে তিনজন মিরপুর বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। বাকিরা রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি এবং ম্যাপেল লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাভার মডেল থানা পুলিশ ৬০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে।
এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ ২০১৩ সালের ৮ জুলাই ৬০ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এরপর মামলার বিচার শুরু হয়।
আরও পড়ুন: আবারও পেছাল তিন্নি হত্যা মামলার রায়
বিবস্ত্র করে নির্যাতনে বেগমগঞ্জে ওসিসহ ৩ পুলিশকে বরখাস্তের রায় স্থগিত
বিচারিক ক্ষমতা হারালেন কামরুন্নাহার
রাজধানীর রেইনট্রি হোটেলের আলোচিত ধর্ষণ মামলায় বিতর্কিত পর্যবেক্ষণ দেয়ার অভিযোগে বিচারক (জেলা জজ) মোছা. কামরুন্নাহারের ফৌজদারী বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর আগে তাকে বিচারিক দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল।
ধর্ষণের একটি মামলার এক আসামির জামিন আপিল বিভাগের আদেশে স্থগিত থাকার পরও জামিন দেন কামরুন্নাহার। এ ব্যাপারেই ব্যাখ্যা দিতে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাচঁ সদস্যের আপিল বিভাগে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সাবেক এই বিচারক হাজির হন। এ সময় আপিল বিভাগ এই সিদ্ধান্ত দেন।
এর আগে গত ১১ নভেম্বর বনানী রেইনট্রি হোটেল ধর্ষণ মামলায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর তৎকালীন বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার ৫ আসামিকে খালাস দেন। রায়ে বিচারক ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর মামলা গ্রহণ না করার জন্য পুলিশকে সুপারিশ করেন। এ সুপারিশের তীব্র সমালোচনা করেন আইন বিশেষজ্ঞ ও অধিকারকর্মীরা। তারা বলেছেন, এ রায় আইন ও বিচারের পরিপন্থী এবং ধর্ষকদের অপরাধ করতে উৎসাহিত করবে।
এ ঘটনার পর গত ১৪ নভেম্বর তাকে বিচারিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: বিচারক কামরুন্নাহারের বক্তব্য বিব্রতকর: আইনমন্ত্রী
রেইনট্রি ধর্ষণ মামলায় বিচারকের পর্যবেক্ষণ নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়াবে
মুনিয়া হত্যা মামলা: ফের পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ
কলেজছাত্রী মোশারত জাহান মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরসহ সাত আসামির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
রবিবার প্রতিবেদন দাখিল করতে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা পিবিআইকে ৮ ডিসেম্বর নতুন সময়সীমা বেঁধে দেন।
দ্বিতীয়বারের মতো পিবিআই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও )গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে ব্যর্থ হন। এর আগে গত ২ নভেম্বর প্রথমবার প্রতিবেদন দাখিল করতে ব্যর্থ হন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় ২১ বছর বয়সী মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই রাতেই মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া বাদী হয়ে আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: মুনিয়া হত্যা মামলা: তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে ২১ নভেম্বর
তানিয়ার ভাষ্যমতে, তার বোন মুনিয়ার সাথে আনভীরের সম্পর্ক ছিল। সে নিয়মিত মুনিয়ার সাথে দেখা করতে গুলশানের ওই অ্যাপার্টমেন্টে আসত।
গত ১৯ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান আনভীরকে ক্লিনচিট দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
৬ সেপ্টেম্বর, মুনিয়ার বোন ঢাকার অষ্টম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে নতুন করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন।
আদালত অভিযোগটি রেকর্ড করার পর পিবিআইকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অন্য সাত আসামি হলেন- আনভীরের বাবা-মা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শাহ আলম ও আফরোজা বেগম, আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা সায়েম ও মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াশা, বন্ধু সাইফা রহমান মিম এবং ফ্ল্যাটের মালিক ইব্রাহিম আহমেদ রিপন ও তার স্ত্রী শারমীম আক্তার।
আরও পড়ুন: মুনিয়া হত্যা: আনভীর কেন গ্রেপ্তার হচ্ছে না জানতে তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব
মুনিয়া হত্যা মামলায় মডেল পিয়াসার ২ দিনের রিমান্ড