রাজধানীর রেইনট্রি হোটেলের আলোচিত ধর্ষণ মামলায় বিতর্কিত পর্যবেক্ষণ দেয়ার অভিযোগে বিচারক (জেলা জজ) মোছা. কামরুন্নাহারের ফৌজদারী বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর আগে তাকে বিচারিক দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল।
ধর্ষণের একটি মামলার এক আসামির জামিন আপিল বিভাগের আদেশে স্থগিত থাকার পরও জামিন দেন কামরুন্নাহার। এ ব্যাপারেই ব্যাখ্যা দিতে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাচঁ সদস্যের আপিল বিভাগে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সাবেক এই বিচারক হাজির হন। এ সময় আপিল বিভাগ এই সিদ্ধান্ত দেন।
এর আগে গত ১১ নভেম্বর বনানী রেইনট্রি হোটেল ধর্ষণ মামলায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর তৎকালীন বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার ৫ আসামিকে খালাস দেন। রায়ে বিচারক ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর মামলা গ্রহণ না করার জন্য পুলিশকে সুপারিশ করেন। এ সুপারিশের তীব্র সমালোচনা করেন আইন বিশেষজ্ঞ ও অধিকারকর্মীরা। তারা বলেছেন, এ রায় আইন ও বিচারের পরিপন্থী এবং ধর্ষকদের অপরাধ করতে উৎসাহিত করবে।
এ ঘটনার পর গত ১৪ নভেম্বর তাকে বিচারিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: বিচারক কামরুন্নাহারের বক্তব্য বিব্রতকর: আইনমন্ত্রী
রেইনট্রি ধর্ষণ মামলায় বিচারকের পর্যবেক্ষণ নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়াবে