জ্বালানি উপদেষ্টা
দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে স্মার্ট গ্রিড সিস্টেম প্রয়োজন: জ্বালানি উপদেষ্টা
জ্বালানি উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, কয়েক বছর ধরে বিদ্যুতের ব্যবহারে আমূল পরিবর্তন হওয়ায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ইউআইইউ) 'দ্য রোল অব স্মার্ট গ্রিড ইন দ্য ফিউচার পাওয়ার সিস্টেম' শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফাওজুল বলেন, 'চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের একটি স্মার্ট গ্রিড সিস্টেমের দিকে যেতে হবে, যা বিদ্যুৎ সরবরাহে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে।’
ইউআইইউ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশে ইএসএস সুবিধাসহ প্রথম সোলার এনার্জি ল্যাব উদ্বোধন উপলক্ষে চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট হুয়াওয়ে এবং ইউআইইউর সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ (সিইআর) যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
এই অগ্রণী সোলার ল্যাবটি নবায়নযোগ্য এবং টেকসই শক্তি খাতে শীর্ষস্থানীয় প্রশিক্ষণ এবং গবেষণার সুযোগ দেবে।
ফাওজুল কবির বলেন, সরকার সৌর ও বায়ুর মতো নবায়নযোগ্য উৎস চালু করছে। ‘এখন আমাদের স্মার্ট গ্রিডের দিকে যেতে হবে, যা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা ব্যাটারি স্টোরেজ সিস্টেমকেও প্রাধান্য দিচ্ছি।’
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম রেজওয়ান খান এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও প্যান জুনফেং।
আরও পড়ুন: ভোলায় আরও ১৯টি গ্যাসকূপ খনন করা হবে: জ্বালানি উপদেষ্টা
হুয়াওয়ে-সিইআর, ইউআইইউ সোলার ল্যাবটি হুয়াওয়ের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। সুবিধাগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম লক্ষ্য হলো সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা।
হুয়াওয়ে এবং সিইআর, ইউআইইউ যৌথভাবে বাংলাদেশের বাজারের উদ্দেশ্য পূরণকারী প্রশিক্ষণ আয়োজনের জন্য বিভিন্ন কোর্স কনটেন্ট তৈরি করবে।
কোর্সের বিষয়বস্তুতে নবায়নযোগ্য শক্তি প্রযুক্তি, ডিজিটাল শক্তি এবং স্মার্ট শক্তি সমাধানের ক্ষেত্রে সর্বশেষ গবেষণা এবং প্রযুক্তিগত বিকাশও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ইএসএস সিস্টেম সহ প্রথম সোলার ল্যাব উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা নবায়ণযোগ্য জ্বালানি খাতে আমাদের তরুণদের সম্পৃক্ততার দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ইএসএস সিস্টেমসহ প্রথম সোলার ল্যাব উদ্বোধনকালে চীন-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে এই উদ্যোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
ইয়াও ওয়েন উল্লেখ করেন, এই সহযোগিতা কেবল চীনা বিনিয়োগের মাধ্যমে স্থানীয় প্রতিভা বিকাশের জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে না বরং সৌর শক্তি খাতকে এগিয়ে নিতে ইউআইইউর শক্তি গবেষণা কেন্দ্রে দীর্ঘকালীন অবদানকেও তুলে ধরে।
প্যান জুনফেং বলেন, 'আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে উত্তরণের ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।’
তিনি আরও বলেন, সেই আলোকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হুয়াওয়ে ডিজিটাল পাওয়ার বাংলাদেশের গ্রাহকদের ৬০০ মেগাওয়াট+ ডিজিটাল পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণে সহায়তা করেছে। যা ৪৩৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা সবুজ বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। এতে কার্বন নিঃসরণ ২ লাখ ৭ হাজার ৮৬৭ টন কমেছে, যা ২ লাখ ৮৪ হাজার ৪৫০টি গাছ লাগানোর সমতুল্য।
তিনি বলেন, আইসিটি ও ডিজিটাল পাওয়ারের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে হুয়াওয়ে এবং দেশের স্বনামধন্য জ্বালানি গবেষণা কেন্দ্র ইউআইইউ'র সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ যৌথভাবে এই সোলার ল্যাবের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্পর্কে জানার, বেড়ে উঠতে ও অবদান রাখতে পেশাদারদের ব্যাপক সুযোগ করে দিতে পারে।
ইউআইইউ সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চের (সিইআর) পরিচালক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। সৌর বিদ্যুৎ ক্রমবর্ধমান ব্যয়সাশ্রয়ী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আগামী বছরগুলোতে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার নতুন সবুজ কর্মসংস্থান সৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, দেশ উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখেছে। শুধুমাত্র ২০২৩ সালেই নতুন ছাদে রেকর্ড ৪২ মেগাওয়াট (মেগাওয়াট) সৌর ক্ষমতা যুক্ত করেছে।
শাহরিয়ার আলম অবশ্য বলেন, পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় দক্ষতায় সজ্জিত করতে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রয়োজন। এই খাতে আমাদের শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের বাস্তব জ্ঞানার্জনে এই ল্যাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
নবায়নযোগ্য ও টেকসই জ্বালানির ক্ষেত্রে গবেষণা বৃদ্ধি, এর ব্যবহার ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে নীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে ২০১০ সালে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ (সিইআর) প্রতিষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য প্রায় সব সোলার ডিজেল হাইব্রিড মিনি-গ্রিড ডিজাইন করেছে সিইআর, ইউআইইউ।
সিইআর ইডকল মানদন্ড অনুযায়ী সোলার পিভি সরঞ্জামের সার্টিফিকেশনের জন্য বাংলাদেশে সোলার হোম সিস্টেম (এসএইচএস) সরঞ্জামের অন্যতম পরীক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠন করা হবে: জ্বালানি উপদেষ্টা
১ মাস আগে
ভোলায় আরও ১৯টি গ্যাসকূপ খনন করা হবে: জ্বালানি উপদেষ্টা
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে আরও ৫টি এবং ২০২৮ সালের মধ্যে আরও ১৪টি গ্যাসকূপসহ মোট ১৯টি কূপ খনন করা হবে।
তিনি বলেন, এসব কূপ খননের দায়িত্ব আগের মতো পছন্দের লোককে দেওয়া হবে না। উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে খননের দায়িত্ব দেওয়া হবে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) ভোলায় ইলিশা কূপ-১ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্পিকারের কার্যালয়ের আর্থিক ও প্রশাসনিক বিষয়গুলো তত্ত্বাবধান করবেন আইন উপদেষ্টা
তিনি বলেন, দেশে গ্যাসের তীব্র সংকট। দরকার ৪ হাজার এমএমসি। স্থানীয় এবং আমদানি মিলিয়ে ৩ হাজার এমএমসি গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ঘাটতি মোকাবিলায় বছরে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার এলএমজি গ্যাস আমদানি করি। এছাড়া ভোলায় আরও গ্যাস পাওয়া যায় কিনা তা দেখার জন্য আজকের এই সফর।
তিনি বলেন, ভোলায় আবিষ্কৃত গ্যাস থেকে বাণিজ্যিক সংযোগ দেওয়া অব্যাহত রয়েছে। গ্যাস ব্যবহার করে আরও অধিক পরিমাণে কলকারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। গ্যাসের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
পরে তিনি বোরহানউদ্দিন শাহবাজপুর গ্যাসফিল্ড, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় স্থাপিত গ্যাসভিত্তিক ২২০ মেগাওয়াট উৎপাদন প্লান্ট ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কম্বাইন সাইকেল ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
এছাড়া গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে থাকা সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির ডিআরএস ও সিএনজি স্থাপনাকেন্দ্রের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ সচিব ফারজানা মমতাজ, জ্বালানি সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান, বাপেক্স কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: রিজার্ভ বাড়ছে, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
১ মাস আগে
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠন করা হবে: জ্বালানি উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, তার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সব রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠন করা হবে এবং সেসব বোর্ড থেকে সচিবদের অপসারণ করা হবে।
বুধবার পেট্রোবাংলা মিলনায়তনে পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ও জিওলজিক্যাল সার্ভে অব বাংলাদেশের (জিএসবি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের সচিব যদি কোনো কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হন, তাহলে তা মন্ত্রণালয়ের স্বার্থের সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ এবং এটি অনৈতিক।’
কোম্পানিগুলোর পর্ষদে ছাত্রপ্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে দুর্নীতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব মামলা আইনগত বিষয় এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।
তবে প্রয়োজনে সাবেক বিচারপতিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে বিদ্যমান চুক্তির শর্তগুলো পর্যালোচনার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান ফাওজুল কবির খান।
যেকোনো ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, 'শাসনের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে জনগণের প্রত্যাশা বুঝতে হবে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, তারা যদি 'রাজপথের ভাষা' বুঝতে ব্যর্থ হয় তবে তাদের কী হবে তা বিবেচনা করা উচিত।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের বুঝতে হবে মানুষ কেন রাস্তায় নেমেছিল, কেন তারা রক্ত দিয়েছিল।’
বর্তমান সরকারের ভাবনার দর্শন অনুধাবন করে সে অনুযায়ী কাজ করতে সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ফাওজুল কবির অবৈধ গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন এবং নিয়মিত প্রতিবেদন দিতে বলেন।
বৈঠকে আরও ছিলেন- জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, বিপিসির চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসানসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
৩ মাস আগে
ভোলা থেকে গ্যাস সরবরাহের পরিকল্পনা করছে সরকার: জ্বালানি উপদেষ্টা
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেছেন, জ্বালানি সংকট নিরসনে সরকার ভোলা জেলা থেকে প্রতিদিন প্রায় আট কোটি ঘনফুট গ্যাস (এমএমসিএফডি) জাতীয় নেটওয়ার্কে সরবরাহের পরিকল্পনা করছে।
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) আয়োজিত 'শিল্প খাতে জ্বালানি সংকটের প্রভাব প্রশমন' শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।
তৌফিক-ই-এলাহী বলেন, আমরা আশা করি তিন থেকে চার মাসের মধ্যে ভোলা থেকে গ্যাস আনতে পারব।
তিনি ব্যবসায়ীসহ সকলকে বিদ্যুতের ব্যবহার কমানোর আহ্বানও জানান।
তিনি ব্যবসায়ীদের সংকটের তাৎক্ষণিক সমাধান হিসাবে গ্যাস আমদানির দাবির প্রেক্ষিতে বলেন, ‘আপনারা যদি দিনের বেলায় বিদ্যুতের ব্যবহার বন্ধ রাখেন। তবে সেটি বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতিতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করবে।’
বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন, বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি জসিম উদ্দিন, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, ফরেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সহ-সভাপতি স্বপ্না ভৌমিক, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (এফআইসিসিআই)। বিকেএমইএ) সহ-সভাপতি আফতাব হোসেন অপূর্ব ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।
বিশিষ্ট জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ইজাজ হোসেন এ বিষয়ে একটি উপস্থাপনা করেন এবং অর্থনীতিবিদ জাইদী সাত্তারও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
সঙ্কট মোকাবিলায় এক দশমিক দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে বছরে ৪০০ এমএমসিএফডি গ্যাস আমদানির ব্যবসায়ীদের দাবি প্রত্যাখ্যান করে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, এটি সম্ভব নয় যে ভবিষ্যতে সম্ভাব্য আর্থিক সংকট মোকাবিলায় সরকারকে বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: পশ্চিমারা আমাদের বিপদে ফেলেছে: প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের বিষয়ে খুব সতর্ক থাকতে হবে। কারণ আমরা জানি না রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কখন শেষ হবে।’
বিদ্যুৎ সংকট সম্পর্কে তিনি বলেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে এবং সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে কিছু গ্যাস সরিয়ে শিল্পকারখানায় দিতে পারবে।
এছাড়াও, সরকার স্বল্পতম সময়ের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে আরও এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে।
ইজাজ হোসেন তার উপস্থাপনায় বলেন, জ্বালানি পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সরকারের কাছে কিছু বিকল্প রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দাম কমতে থাকায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করা এবং বিশেষ করে গাজীপুর, সাভার এবং নারায়ণগঞ্জের সিএনজি স্টেশন, গৃহস্থালী গ্রাহক ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে শিল্পে গ্যাস সরানো এবং সরকার সার কারখানা বন্ধ করে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানি করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘এগুলো গ্যাস সরবরাহ বাড়াবে, তবে লোডশেডিং বাড়াতে পারে।’
ড. বিনায়ক সেন বলেন, সার কারখানা বন্ধ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানো ভালো বিকল্প হতে পারে না। তিনি বলেন, সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে খাদ্য উৎপাদনে কৃষিকে সহায়তা করা।
বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম পারভেজ বলেন, তীব্র গ্যাস সংকট ও লোডশেডিংয়ের কারণে অনেক শিল্পকে তাদের উৎপাদন স্থগিত করতে হচ্ছে। ফলে কাঁচামাল আমদানি কমে গেলেও রপ্তানি কমছে।
তিনি বলেন, আমরা যদি পর্যাপ্ত গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাই, তাহলে শিল্প টিকবে না।
বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, সরকারের উচিত টেক্সটাইল শিল্পে কিছুটা বেশি দামে গ্যাস সরবরাহ করা।
তিনি বলেন, ‘অপেক্ষাকৃত বেশি দামে গ্যাস পেলে আমরা টিকে থাকতে পারি। কিন্তু গ্যাস না পেলে আমরা টিকে থাকতে পারি না।’
এ কে আজাদ বলেন, পোশাক কারখানার মালিকদের দিনের বেলা তাদের কার্যক্রম স্থগিত করতে হয় এবং এখন পরিস্থিতি তাদের জনবল কমাতে বাধ্য করছে। ‘কিন্তু আমরা যদি কর্মচারীদের বরখাস্ত করি, তাহলে সমাজ ও অর্থনীতিতে কী প্রভাব পড়বে? এটি একটি বড় প্রশ্ন।’
আরও পড়ুন: এলএনজি আমদানি অব্যাহত থাকবে, আরও টার্মিনাল স্থাপন হবে: জ্বালানি উপদেষ্টা
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার জ্বালানি আমদানিতে বাধা হবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা
২ বছর আগে
পশ্চিমারা আমাদের বিপদে ফেলেছে: প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী দেশের বর্তমান জ্বালানি সংকটের জন্য ‘পশ্চিমাদের’ দায়ী করেছেন।
রবিবার বাংলাদেশ এনার্জি সোসাইটি (বিইএস) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে টেকসই শক্তি নিরাপত্তা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রূপকল্প’- শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এই সঙ্কট আমাদের নিজস্ব সৃষ্টি নয়। পশ্চিমারা আমাদের বিপদে ফেলেছে।’
বর্তমান পেট্রোলিয়াম জ্বালানির দাম ৫০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশই দাম বাড়ায়নি, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশও দাম বাড়িয়েছে।
সেমিনারে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি গ্যালন পেট্রোল পাঁচ ডলারে বিক্রি হচ্ছে, যা লিটার প্রতি ১২০-১৩০ টাকার সমান।
তিনি বলেন, সিস্টেমে যৌক্তিকতা আনতে বিদ্যুতের লোড বদলাতে থ্রি হুইলারের জন্য সোলার-চালিত ফাস্ট চার্জিং স্টেশন ও বৈদ্যুতিক ওভেনের মাধ্যমে রান্নার মতো নতুন উদ্ভাবনী সমাধান চালু করা উচিত।
বিশিষ্ট জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড.তামিম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যেই পেট্রোলিয়ামের দাম গ্যালন প্রতি পাঁচ ডলার থেকে কমে তিন ডলারে নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: গণপরিবহন বন্ধে দেশজুড়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ
এক মার্কিন গ্যালন প্রায় চার লিটারের সমান।
তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার আগেই সরকারের উচিত ছিল দাম কমানো। কিন্তু তা করা হয়নি। এখন আবার বিদ্যুতের দাম একযোগে প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
এই জ্বালানি বিশেষজ্ঞ, ‘একটি সুনির্দিষ্ট নীতি থাকা উচিত, দাম কমলে লাভ একটি বিশেষ তহবিল হিসাবে সংরক্ষণ করা উচিত এবং মূল্য বৃদ্ধির সময় পেট্রোলিয়াম আমদানিতে সে তহবিল ব্যবহার করা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, তেলের দাম শিগগিরই কমতে পারে, কারণ এটি সর্বদা চক্রাকারে ঘটে। যে দাম বৃদ্ধির পরে বাজারে সরবরাহ বাড়লে দাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবার কমে যায়।
গ্যাস অনুসন্ধান এই জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বলেন, হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধানের জন্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাপেক্সের ওপর বেশি নির্ভরতা থাকা উচিত নয়। কারণ এটি গত ৫০ বছরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন বিদেশি কোম্পানিগুলোকে উপকূলীয় ও অফশোর অনুসন্ধানের জন্য চুক্তি প্রদান করা উচিত।’
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান, ৭১ টিভির প্রধান মোজাম্মেল বাবু, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ফিরোজ আলম, বিজনেস এক্সিকিউটিভ জাকারিয়া জালাল ও কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ও বিইএস-এর সভাপতি আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লা আমজাদ হোসেন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
মোজাম্মেল বাবু বলেন, রান্নার জন্য ইন্ডাকশন ওভেনের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারে উৎসাহিত করা উচিত, কারণ এটি গ্যাস-ওভেনের তুলনায় বেশি কার্যকর।
তিনি বলেন, সরকারের ভিয়েতনামের মতো বৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অগ্রসর হওয়া উচিত। দেশটি ইতোমধ্যে ২০ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করেছে।
আজিজ খান বলেন, বিদেশি তেল কোম্পানিগুলো গ্যাস রপ্তানির বিকল্প না দেয়া পর্যন্ত গ্যাস অনুসন্ধানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে না।
তিনি বলেন, নীতিমালা পরিবর্তন হলে অনেক স্থানীয় কোম্পানি অনুসন্ধানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হতে পারে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: বাড়ছে গণপরিবহন ও লঞ্চের ভাড়া
২ বছর আগে
বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে সরকার অফিসের সময় পরিবর্তনের কথা ভাবছে: জ্বালানি উপদেষ্টা
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য নির্দিষ্ট দিনে বাড়ি থেকে কাজ করার নিয়ম চালু করার পাশাপাশি অফিসের সময়সীমা পুনর্নির্ধারণ করা হতে পারে।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্ত সংস্থার উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী এ ইঙ্গিত দেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সরকারকে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত অফিসের সময় পুনঃনির্ধারণ করার জন্য সুপারিশ করব এবং কর্মকর্তাদের সপ্তাহে দুই বা তিন দিন বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দেব।’
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বেশ কয়েকটি কঠোর ব্যবস্থার ঘোষণাও দিয়েছেন যেমন- এরমধ্যে অফিস, বাজার ও মসজিদে এয়ার কন্ডিশনারের শীতলতার মাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখা এবং বিদ্যুৎ খরচ ব্যবস্থাপনার জন্য ঈদের পর থেকে মার্কেট রাত ৮টায় বন্ধের সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে মেনে চলার সুপারিশ করবে।
এছাড়া সন্ধ্যা ৭ থেকে ৮টার মধ্যে এক ঘণ্টার মধ্যে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হবে।
আরও পড়ুন: কঠিন সময়ে বিদ্যুৎ ভর্তুকি কমাতে জনগণের সমর্থন কামনা প্রধানমন্ত্রীর
সারাদেশে ক্রমবর্ধমান লোডশেডিং ও গ্যাস সংকটের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা এ বৈঠক ডেকেছেন।
তিনি বলেন, কোভিডের সমযয়ের মতো সবাইকে সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। ‘এখন আবার কোভিড বাড়ছে এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি বলে সবাইকে দায়িত্ববান হতে হবে’।
উপদেষ্টা বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে দৈনিক লোডশেডিং ৫০০ মেগাওয়াটের মধ্যে রাখা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী কর্মকর্তাদের লোডশেডিং ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে একটি ন্যায়সঙ্গত নীতি অনুসরণ করতে বলেছেন। যাতে গ্রামীণ ও শহুরে এলাকার মানুষ ন্যায়সঙ্গত ভিত্তিতে বিদ্যুতবিহীন থাকে।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি পুস্তিকা মেনে চলার পুরানো অভ্যাসে ফিরে যাব যুক্তিসঙ্গত উপায়ে লোডশেডিং করার জন্য যেটি ডিজাইন করা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, আগামী সেপ্টেম্বর থেকে রামপাল, পায়রাসহ কয়েকটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে এবং ভারত থেকে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেশে আসা শুরু হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তৌফিক এলাহী স্থানীয় গ্যাস উত্তোলনের পরিবর্তে গ্যাস আমদানিকে অগ্রাধিকার দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
ব্রিফিংকালে জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব হোসেন ও বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান নসরুল হামিদের
বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সংকটের কারণে দেশব্যাপী লোডশেডিং বাড়ছে
২ বছর আগে
উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন দেশের জন্য আত্মঘাতী: জ্বালানি উপদেষ্টা
উন্মুক্ত পদ্ধতিতে খনি থেকে কয়লা উত্তোলন দেশের জন্য আত্মঘাতী হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী।
তিনি বলেন,‘ওপেন পিট মাইনিং শুধুমাত্র দেশের বৃহৎ জলাভূমিকে প্রভাবিত করবে না, আমাদের মূল্যবান জমির উপরের মাটিও ধ্বংস করবে।’
শনিবার ‘টেকসই জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য উপযুক্ত জ্বালানি মিশ্রণ-বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা দেশে কোনো উন্মুক্ত খনির অনুমতি না দেয়ার বিষয়ে সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করেন। যদিও কিছু বক্তা বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: খরচ বেড়েছে মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের
এসময় পরিবেশ রক্ষায় আট হাজার ৪৫১ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলে সরকারের সিদ্ধান্তকে সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেন ড. এলাহী।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জ্বালানি সচিব মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রকৌশল অনুষদের ডিন ডক্টর মোহাম্মদ তামিম।
জ্বালানি সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, বৈশ্বিক বাজারের অস্থির পরিস্থিতিতে দেশের জ্বালানি খাত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।
বিপিডিবির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, তরল জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যেখানে মোট উৎপাদনের ৩৪ শতাংশ ব্যয় হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, বিপিডিবির পক্ষে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।’
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে কাজ করছে সরকার: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে